বউচি খেলার বর

[এক]   শতাব্দীর চিলেকোঠায় তোমায় দেখেছি যেদিন; বিষম খেলাম ভারি! ব্যথায় না বিস্ময়ে, তা নিরূপণ করতে পারি নি! এ কি সেই বীথি! আমার বীথিকাই আজকের বৃক্ষ? হ্যাঁ, বট-বৃক্ষই বটে; আছে তার অগুণতি ঝুরি, মূল আর কান্ড-শাখা-প্রশাখার জটাজুটে আচ্ছন্ন অতিকায় বৃক্ষকুঞ্জ! … বিস্তারিত

Loading

তোকেই চাই হে কৃষ্ণকলি

আমার বাড়ির সামনে দিয়ে যখোন হেঁটে যাস্ তুই কাঁধে ঝুলিয়ে চকচকে ব্যাগ হাতে মোবাইল মনোহর বারান্দায় বসে আমি তখোন পলকহীন কাজল কালো নয়নে দেখি তোর পথ চলা ঘাড় ছুঁই ছুঁই লম্বা চুল তার ছন্দিত নাচন। আমার আকাশ ছিলো শান্ত তোকে … বিস্তারিত

Loading

আত্মসমর্পণ

তোমার চুলের বনে হারিয়ে যাবো আজীবন রবো একা আমি লুকিয়ে শাড়ির আঁচলে রেখো চঞ্চল বায়ু দেহের পরতে রেখো যমুনার জল ঢেউয়ের তালে তালে ভেসে যাবো নিয়তির শেলাঘাতে আমি এক জিন্দালাশ । কাঁকনের রিনিঝিনি সুর তোলো ডাগর নয়নে মাখো মায়া কাজল … বিস্তারিত

Loading

জবাব দিতে হবে

বিদগ্ধ মোর বঙ্গমাতা শুনবে কি গো আজ অভাগাদের কষ্ট গাথার করুণ আহাজারী! আজ মা তুমি সেজেছ কি এমনই বধির! রক্ত নেশা তোমার হয়েছে কি ভারি! রক্ত চাই তোমার – শুধু তাজা লহু ঝরে প্রাণ ঝরুক না, যতই হোক তা বহু! … বিস্তারিত

Loading

কথা হবে নদীকূলে

বৃষ্টিভেজা বিকেলে কথা হবে তোমার সাথে ধানী রং শাড়ি পরে এসো তুমি দুহাতে কাঁচের চুড়ি কপালে মেরুন টিপ। কালো চুলে লাল ফুল গলায় পুঁতির মালা আলতা লাল চরণে সোনালী নুপুর এসো তুমি নদীকূলে তোমার সাথে কথা হবে নিরিবিলি গোধুলিবেলা। হরিণ … বিস্তারিত

Loading

পাইনি ঠিকানা

কতটুকু শোভন শীতের আশ্রয় পেয়েছি সেথায় ভালবাসার পীটস্থান – ওই কবোষ্ণ বুকে? স্মৃতির মণিকোঠায় টানি মাণিক্যের ইতি খুঁজে খুঁজে হয়রান, ব্যথার বারিধি যায় ভেসে দুঃখের গহন নদ বহে প্রত্যাশার অগোচরে।   স্মিতোধরে অফুটা হাসির রেখায় দেখেছি কবে কবিতার সামিয়ানা তোমার … বিস্তারিত

Loading

কিশোর রিকশাওয়ালা

সুন্দর মিয়া বহুদিন যাবত কঠিন রোগে ভুগছেন। ঠিকমত রিকশার প্যাডেলে পা দিতে পারেন না তিনি। থাকেন ফুলপুর বস্তিতে, এক ভাঙ্গা ঘরে। বৃষ্টি হলে দরদর করে পানি পড়ে। চৌকিখানি ভিজে একাকার হয়ে যায়। এমনই এক বৃষ্টির রাতে মাটিতে শুয়ে রাত কাটাতে … বিস্তারিত

Loading

কবিতায় সাধু ও চলতি রূপের মিশ্রণঃ

বন্ধুরা শুভেচ্ছা নিন। আলোচনার আসর ইদানিং বেশ কিছুদিন যাবত ঝিমিয়ে আছে! নতুন কোন আলোচনার সূত্রপাত না হলে আলোচনার আসর সরব হয় না। আর সাহিত্য বিষয়ক আলোচনা সরব না হলে আমরাও কিছু শিখতে পারি না। কাজেই, ভুল হোক শুদ্ধ হোক; একটা … বিস্তারিত

Loading

আশার কদলী ভেলা

নিরাশার মরুতটে বেঁধেছিনু ঘর কুহকের মায়া ছলে, নিয়তি দেখেছি ভাগ্য নিয়ে হায় দিবা-নিশি জুয়া খেলে। কতকাল হেঁটে মিলেছে হিসাব গোধূলীর অকাল বেলায় বেদনার পাথর নাহি কো গলে শিশিরের সিক্ত ধারায়। হায়রে দিবসের আলোক দেখেগো ভুলেছি তামস রাতি ভাবিনি কখনো সুখের … বিস্তারিত

Loading

তেঁতুল বীচির কারিশমা

কায়েস, সাত্তার, মেহদি, সুজন বরাবরই ছিলো ভালো ছাত্র। সাধারণ গৃহস্থ ঘরে জন্ম নিলেও মেধা ও নিষ্ঠায় কেউ কারো চেয়ে কম যায় না। ইউসূফগঞ্জ সরকারী প্রাথমিক ও উচ্চবিদ্যালয়ে একাধারে দশটি বছর এই চার বন্ধু ছিলো লেখাপড়ায় রত্ন বিশেষ। যেদিন বার্ষিক পরীক্ষার … বিস্তারিত

Loading

সেচি স্বপ্ন সাগর

রাতের আকাশ জুড়ে বেদুইন তারা জ্বলে হিয়াপাশে আমি তার একা জেগে রই; হৃদয়ের কথা যত – বলি তারই সাথে। তারাগুলো ডুবে যায় তবু চাঁদ জেগে রয় প্রেয়সী বাতাস আছে আমাদের হাতে।   কুয়াশা চাদর মোড়া সময় যাতনা হরা দূরের সাগরে … বিস্তারিত

Loading

খালি ঘরে একা

অনেক আশায় বেঁধেছি ঘর থাকবো তোমায় নিয়ে নিশিদিন একা ভরে দেবো মন হৃদয় আকুতি দিয়ে ।   হাওয়ায় চড়ে আসবে তুমি আমার শুন্য ঘরে তোমার সুরত ছড়াবে আলো হাজার বছর ধরে ।   আমরণ আমি কইবো কথা হৃদয়ে দেবো গো … বিস্তারিত

Loading

ভাষা দৈন্যতার পরিনতি – দুই

আজ থেকে প্রায় তিনযুগ আগে – গত শতাব্দীর আশির দশকের কথা। কর্মোপলক্ষে রাজিব সাহেব প্রথমবারের মতো দক্ষিণ-কোরিয়া গেছেন। সে দেশের কৃষ্টি-সভ্যতা আর খাবার-দাবারের সাথে তাঁর বিন্দুমাত্র পরিচয়ও নেই। তখনো পর্যন্ত বাঙালীরা ভাগ্যান্বেষণে সে দেশে গিয়ে পৌঁছায়ওনি। বাঙালীর ঘরে জন্ম নিয়ে … বিস্তারিত

Loading

সাধের স্বাধীনতা আমার

তোমার জন্য প্রতীক্ষার প্রহর কভু ফুরাবে না জানি, এখনো যে মাঠে দেখি শুধু হানাহানি? নিঝুম রাতের প্রহর জুড়ে আধোঘুম জাগরেণে শুনি – এ কি কানাকানি! এক বুক তৃষ্ণা নিয়ে চেয়ে আছি চাতক পাখীরই মত ইতিউতি খুঁজে ফিরি নীলিমার নীলে – … বিস্তারিত

Loading

সেই মেয়েটি

প্রতিদিন তড়িঘড়ি পড়ন্ত বেলা গলির বুক মারিয়ে চুপচাপ হেঁটে যায় যে মেয়েটি কাঁধে তার রংচটা লাল ব্যাগ ডান হাতে ঘড়ি বাম হাতে সুর তোলা কাঁচের চুড়ি খাড়া নাকে নাকফুল ঝিলিক মারা । মেঘ কালো চুলে তার রূপালী কিলিপ থেকে থেকে … বিস্তারিত

Loading