শিশু জিহাদ ২৬ ডিসেম্বর বিকালে ওয়াসার পরিত্যক্ত ঢাকনাবিহীন পানির পাইপে পড়ে যায় । এই পাইপটি ছিল রেলওয়েব নিয়ন্ত্রণে । বিভিন্ন মিডিয়ার খবরে জানা যায়, ব্যর্থ উদ্ধার অভিযান চলাকালে শাহাজানপুর থানা পুলিশ রাত ১২টার দিকে জিহাদের বাবাকে জোর করে ধরে থানায় নিয়ে যায় । সেখানে তাকে ১২ ঘণ্টা আটকে রেখে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করে এবং তাকে বলে যে, জিহাদ পাইপে নেই । তুই তাকে লুকিয়ে রেখেছিস । স্বীকার কর । স্বীকার না করলে তোকে র্যাবের হাতে তুলে দেবো । তাছাড়া এও বলে যে, এই অভিযানে সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ হচ্ছে । তোকে সব টাকা দিতে হবে । পরবর্তীতে ২৭ তারিখ প্রথম আলোর একজন সাংবাদিক পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার আনোয়ার হোসেনের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান যে, জিহাদের বাবাকে মারধর করা হয়নি । তিনি আরো জানান যে, ০২টি কারণে জিহাদের বাবাকে থানায় নেয়া হয় । এর ০১টি হলো- তার নিরাপত্তা এবং আরেকটি হলো-তার অসুস্থতা ।
এখন প্রশ্ন হল-০১। তাকে নিরাপত্তা দেয়ার প্রয়োজন কি? তিনিতো চুরি ডাকাতি খুন খারাবি হাইজ্যাক রাহাজানি বা রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক কোন কাজ করেননি । জনগণতো তাকে মারার জন্য খোঁজেননি বা তাকে তাড়া করেননি । ০২। তিনি যদি অসুস্থ হয়ে থাকেন তাহলে তাকেতো হাসপাতালে নেয়ার কথা, থানায় নয় ।
জনগণের সাথে এ কেমন প্রতারণা, এ কেমন ধোঁকা? এরূপ প্রতারণা এবং ধোঁকার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের বা জনগণের কি কিছুই করার নেই?