মুসলিম সমাজে মসজিদের ভূমিকা

ইসলামী সমাজ গঠনে মসজিদের যে ভূমিকা ও গুরুত্ব ছিল তা অবহেলা করে মুসলিম বিশ্ব আজ যে ঘুমে পড়ে আছে তা থেকে জাগানোর এখনই সময়। ইসলাম এমন এক জীবন ব্যবস্থা যার লক্ষ্য হচ্ছে মানুষের ব্যক্তিগত ও সাম্প্রদায়িক জীবনযাপনে শান্তি এবং একতার শিক্ষা প্রদান করা। মানুষ যাতে বর্ণ, ধর্ম ও জাতিভেদ ত্যাগ করে সমাজের বিভিন্ন গোত্রের সাথে শান্তিপূর্ণ সহ অবস্থান করতে পারে সে জন্য মসজিদ রাখতে পারে এক বিরাট ভূমিকা।

ইসলামী ঐতিহ্যের কথা স্মরণ করলে মসজিদ হওয়া উচিৎ মুসলিম সমাজের কমিউনিটি সেন্টার। একজন ঈমানদারের জীবনে আল্লাহর এবাদত এবং আল্লাহর ঘর হবে তার সাম্প্রদায়িক জীবনযাপনের প্রাণ কেন্দ্র। সত্যিকার মুসলিম সমাজে মসজিদকে কমিউনিটি সেন্টার হিসাবে ব্যবহার করা থেকে পৃথক করা যায় না। মসজিদকে বলা যায় মানুষের সবচেয়ে পুরানা স্থাপনা যা শুরু হয়েছিল পৃথিবীর প্রথম মানুষ আদম থেকে। যিনি সর্বপ্রথম গড়ে ছিলেন ৪০ বছরের ব্যবধানে মক্কায় মসজিদুল হারাম ও জেরুজালেমে মসজিদুল আকসা। মুসলিম সমাজের সামাজিক কার্যকলাপ হওয়া উচিৎ মসজিদ কেন্দ্রিক।

মসজিদ প্রতিষ্ঠান মুসলিম সমাজের পাড়ায়, গ্রাম গঞ্জে শহর এবং নগরীতে ভূমিকা রাখবে সমাজের নৈতিক দিকনির্দেশনায় সবার আগে। সেন্টার হিসাবে মসজিদের সাথে থাকতে হবে অনেক অর্থপূর্ণ ও কার্যকর উপাদান, থাকতে হবে পর্যাপ্ত সুবিধা যাতে সমাজের কাছে বিশেষ করে যুব সমাজের কাছে পরিলক্ষিত হয় এটি একটি আকর্ষণীয় ও প্রয়োজনীয় প্রতিষ্ঠান। শুধু মাত্র ধর্মীয় উপাসনা কেন্দ্র না হয়ে মসজিদ হওয়া উচিৎ জনকল্যাণ, শিক্ষা, বিয়ে শাদী সহ বিভিন্ন সামাজিক কাজের প্রাণ কেন্দ্র।

এ প্রসঙ্গে আরেকটি বিষয় উল্লেখ করা যায় যে বর্তমান পরিবর্তিত বিশ্বসমাজে নারীদেরকেও বিভিন্ন পেশাগত কারণে ঘরের বাহিরে কাজ করতে হয় কিন্তু তাদের জন্য অনেক মুসলিম দেশে বিশেষ করে বাংলাদেশে খুব কম মসজিদই পাওযা যাবে যেখানে মহিলাদের নামাজের ব্যবস্থা আছে।
null

Loading


Comments

মুসলিম সমাজে মসজিদের ভূমিকা — 2 Comments

  1. ভালই বলেছেন, এখনও সময় ফুরিয়ে যায় নাই, আমাদের সকল কাজের কেন্দ্রস্থল মসজিদ হোক। কিন্তু বাস্তবতা এখন বাংলাদেশের প্রতিটি মুসলিমদের ঘরে উলুধ্বনি আর শংখ্য ঘণ্টার আওয়াজ শুনা যায়, আর আমাদের কেন্দ্রস্থল হয়ে গেছে হিন্দি টিভির সিরিয়াল।

  2. সুন্দর একটা পোস্ট হয়েছে। এই কথাট অবশ্যই স্মরণীয় যে ‘ইসলামী সমাজ গঠনে মসজিদের যে ভূমিকা ও গুরুত্ব ছিল’। আজকে আমাদেরকে সেই ঐতিহ্যে ফিরে যেতে হবে।

মন্তব্য দেখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *