খালেদা হাসিনা সংলাপ

নেই। হুমায়ুন আহমেদ। গত বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ২০মিঃ নিউইয়র্কের বেলেভিউ হাসপাতালে মারা যান। বাংলা সাহিত্যের মহান কথা সাহিত্যিক, নাট্যকার, পরিচালক, শিক্ষক হুমায়ুন আহমেদ পৃথিবীর সমস্ত হিসেব শেষ করেছেন। না। তিনি হিসেবে খাতা সমাপ্ত করতে চাননি। কিন্তু নিয়তির কাছে আত্ম সমর্পন ছাড়া কোন পথ কেই জীবনের ঋণ শোধ মৃত্যু দিয়ে। তাই করেছে। …। হুমায়ুন আহমেদ এর মৃত্যু আমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছে। কারণ বিবিধ। তবে তার জীবন কিংবা মৃত্যু নিয়ে লেখা কঠিন। আমি সামান্য। কিন্তু হুমায়ুনের জীবন অসামান্য। যদিও তিনি সংলাপের কারিগর। আমার আর আপনি কিংবা দেশনেত্রীর সাথে তো সংলাপই করলাম। দশ বছর ধরে। ইচ্ছে হয় লিখতে। সব বাদ দিয়ে বাকি বেলাটুকু। মনের ভিতরে অজ¯্র গল্পের সূত্র আছে। আপা কথা দিচ্ছি। লিখবো। তবে তার আগে হুমায়ুন আহমেদ নিয়ে কিছু না বললে আমার গল্পের সাধনা মিথ্যে হবে। হুমায়ুন আহমেদ এর শৈশব এবং তারুণ্য আমার শৈশব একই জায়গায়। পিরোজপুর। হুমায়ুনের জন্ম নেত্রকোণার কুতুবদিয়া গ্রামে। কিন্তু তার বাবার চাকুরীর সুবাদে ঘুরে বেড়িয়েছেন বাংলার এখানে সেখানে। তার মুক্তযুদ্ধ ভিত্তিক বিখ্যাত উপন্যাস ¯েœাৎনা জননীতে আমার পরিবার আর বড় ভাই শহীদ ফজলু ভাই সম্পর্কে লিখেছেন। যদিও তিনি মুক্তিযুদ্ধে যাননি। তবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছিলেন। তার বাবা আমার ফজলু ভাইকে একই জায়গায় পাক সেনারা হত্যা করেছিল। এ ইতিহাস আগেও আপনাকে বলেছি। আজকে হুমায়ুন নিয়ে লেখা। লিখবে অনেকদিন বাংলা সাহিত্যের বর্তমান বা ভবিষ্যতের ভাবুকরা। তবে হুমায়ুনের জীবন বা কর্ম নিয়ে দু’চার ঘন্টা লিখে বলে শেষ করা যাবে না। শুধু তার একটা ছবি নিয়ে লিখছি। আপা একটু হোল্ড করেন আমার একটা ফোন আসছে। স.স. জননেত্রীকে হোল্ড করে অন্য একটা ফোন ধরলেন। কন্ঠেই তাকে চিনলাম। গ্রোসারী বললেন গত সপ্তাহের সময়তে কেন বীরাঙ্গণার ছবিটা দিলাম। আগামী সংখ্যায় উত্তর পাবেন বলে রেখে দিয়ে জননেত্রীর লাইনে ফিরলো। কে ফোন দিয়েছিল? জননেত্রী প্রশ্ন করলো। ড্যানফোর্থের এক গ্রোসারী ব্যবসায়ী। যে ছবি নিয়ে বলছিলাম সেই ছবি নিয়েই ঐ গ্রোসারী ব্যবসায়ী বললেন। আপা ভিন্নমতকে আমি খুব সম্মান করি। যতটুকু আপনাকে বলি তার সমালোচনা চাই। আবার বিকেলেই আমাকে এক পাঠক ফোন দিয়ে একই প্রশ্ন করেছেন। বললাম লিখে পাঠান। অবশ্যই ছাপাবো। মন্ট্রিয়লে মামুন বললো টরন্টোর দুই নারী নাকি ফোন দিয়ে বলেছে সুইমিংপুলের ছবি ছাপানো ঠিক হয়নি। .. মসজিদের আজাদও বললো একই কথা। সমালোচনা। শ্রদ্ধা জানাই সবার প্রতিক্রিয়াকে। স্বয়ং সেক্সপিয়রকে ১০৬ জন সমালোচক সমালোচনা করেছে। আর আমি মহাসাগরের বিন্দু জল। শেক্সপিয়রের কাছে হুমায়ুন নদী না হলেও দীঘি হবে। অবশ্যই বড় দিঘী। অবশ্য হুমায়ুনের অবস্থান দীঘি থেকে সমুদ্রও হতে পারে। কেননা সেক্সপিয়র জীবদ্দশায় শেক্সপিয়র হননি। লন্ডনের নাট্য জগতে ডোবা ছিলেন। এমনকি চোরও ছিলেন। তার জীবনীতে চুরীর কাহিনীও আছে। মানুষের জীবদ্দশায় তার স্বীকৃতি হয়না। মৃত্যুর পরেই আবিস্কার হয়। কত বড় ছিল। কত বড় আছে তা কেউ বলে না। তবে হুমায়ুন জনপ্রিয়তায় বাংলা সাহিত্যের এক মহান শ্রষ্ঠা। না আপা আমি কেন তার ¯œানের ছবি ছাপালাম সেটা নিয়েই আলোচনা করছি।
এক-জীবন এবং জল
ধর্ম বলে মানুষের সৃষ্টি কাদা মাটি দিয়ে। ঐ ছবিতে হুমায়ুন মাটির উপরেই দাড়িয়ে ছিলেন। যেই মাটি থেকে সৃষ্টি সেখানেই ফিরে গেছেন। মিনহা মালাকনাকুম, নুখরা। মাটি দিয়ে সৃষ্টি, মাটিতেই ফিরে যেতে হবে আবার মাটি থেকেই তোলা হবে। এই চিরায়ত সত্যকে তুলে ধরবার জন্যেই ঐ ছবি। আর ছবিটা তিনি গোপনে তোলেননি। তার স্ত্রী দ্বিতীয় শাওনের হাসিমাখা মুখের ছবি তোলার জন্যে কাউকে বলেছিলেন। স¤্রাট শাহজাহানের মত মমতাজ মহল বানাননি তবে একটা ছবি তুলে তাদের প্রেমকে চিরঞ্জীব করতে চেয়েছিলেন। বড় কথা ধর্ম বা বিজ্ঞানের জীবনের প্রাণ জল। তাই জলের ছবি।
null

দুই- জীবন আর জলের ঢেউ
জীবন মানেই ঢেউ থাকা। যেখানে ¯œান করছিল সেখানে জলের ঢেউ ছিল। হুমায়ুনের জীবনে ঢেউ ছিল। কখনও কখনও ঝড় ছিল। তার লেখায় ঝড়ের ছবি আছে। তার কাহিনীতে সংঘাত ছিল। ছিল উত্থান পতন। বাকের ভাই, মির্জা কিংবা মিছির, হিমু সবটাই ঢেউয়ের অংশ। আর নিজের জীবনেও ঢেউ নিয়ে খেলেছেন। তাই ঢেউয়ের ছবি দেয়া।
তিন- জীবন আর খোলা দেহ
খোলা দেহের ছবি দেয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে মাটির দেহ মাটিতেই ফিরে যাবে। সাথে কিছুই যাবে না। ‘‘দক্ষিণ হাওয়া’’, নুহাশপল্লী কোনটাই সাথে যাবে না। এমনকি নুহাশ পল্লীতেও কবর হবে না। দাম কমে যাবে। হয়তোবা। অর্থ, যশ, খ্যাতি কোনটাই সাথে যাবে না। যাবে পূণ্য। যদি বিশ্বাসী হয়ে থাকেন। তবে তার বিশ্বাসের অবস্থান ঈশ্বর জানে। আমার বক্তব্য চিরায়ত দর্শন অনুযায়ী তাকে খালি যেতে হবে। আর দেহের সুস্থতাও চিরস্থায়ী নয় তাও ঐ ছবিতে ফুটে উঠেছে।
চার- জীবন আর চশমা
ঐ ছবিতে হুমায়ুন দুরের পানে তাকিয়ে ছিলেন। আমার মনে হয় তিনি গোসল করতে পানিতে নেমে ছিল না শুধু ছবি তুলতে তা বোঝঅ গেল না। কেউ চশমা পড়ে গোসল করে কিনা জানিনা। তবে চশমা দিয়ে অনিশ্চিত জীবন হয়তো দেখেছিলেন। হয়তোবা ভেবেছিলেন হুমায়ুন আর শাওনের প্রেম চিরঞ্জীব নয়। ভেবেছিলাম এই মুখ, এই হাসি। এই মাখামাখি সবটাই ক্ষণিকের। হয়তোবা ভেবেছিলেন চোখ বা চশমা দিয়ে খুব বেশী দেখা যায়না। সৃষ্টির বেশীর ভাগই অদেখায়ই থেকে যায়। শুধু সামান্য একটু দেখেই তৃপ্ত কিংবা অতৃপ্ত অথবা হানাহানি। দৃষ্টির সীমানা খুবই সামান্য।
পাঁচ- জীবন আর প্রেম
জীবন মানেই প্রেম। প্রেম ছাড়া জীবন নেই। সে প্রেমের রুপ বহু। তবু প্রেম আছে। হোকসে মায়ের প্রেম, প্রকৃতির প্রেম, প্রেয়সীর প্রেম। প্রেম ছাড়া জীবন আছে কিনা জানিনা। হুমায়ুনকে প্রেমকে জয় করতে চেয়েছিলেন। সমাজকে নয়। জীবনকে জয় করতে না পারলেও স্বার্থক প্রেমিক ছিলেন। পৃথিবীর সবাই প্রেমিক। কিছু না থাকলেও ঈশ্বর প্রেমতো আছে। হুমায়ুন সমাজের কথা ভাবেননি। ভাবেননি সন্তানের কথা। ভোগকে বিশ্বাস করেছেন, বিশ্বাসকে দূরে রেখেছেন। তার উপন্যাসে সংসারে যেমন সংঘাত দেখিয়েছেন বিরুদ্ধবাদী ছিলেন। ”A thing of beauty is a joy forever.”  তিনি এই সত্যের বিরুদ্ধে বলেছেন। মিথ্যে কিটস। সব সুন্দর সব সময় সুন্দর থাকে না। সৌন্দর্য বদলায়। এখানে তিনি গ্রীক দর্শনে ফিরে গেছেন। ”Variety of in spices of life’’ বিভিন্নতাই হচ্ছে জীবনের মশলা। তাই গুলতিকিনকে বাদ দিয়ে শাওনের মাঝে সৌন্দর্য খুঁজেছেন। এই খোঁজাটা সমাজ খুব ভালভাবে মেনে নেয়নি যদিও সমাজ ভাংগাই সৃষ্টিশীল লেখকের কাজ। রবীন্দ্রনাথ বা নজরুল সবাই তার আদর্শের পূর্বসুরী। তবে চার সন্তান ফেলে দিয়ে নয়।
ছয়- জীবন আর বর্তমান
হুমায়ুন ছিলেন … সমর্থক। ……। ফার্সি কবি রুবাইয়াতে বলেছেন নগদ যা পাও হাত পেতে না বাকির খাতা শূণ্য থাক। জীবনে ঐশ্চর্য খুঁজেছেন। ভোগ খুঁজেছেন। নুহাশ পল্লী করেছিলেন। গ্রামের মধ্যে সুইমিং পুল গড়ে ছিলেন। এ ক্ষেত্রে তিনি রবী ভক্ত। যদিও রবীর সবটাই পাওয়া ছিল। তিনি নজরুলের দরিদ্রতার সানিধ্য নেনই। পৃথিবীর খুব কম লেখকই তার মত প্রাচুর্য খুঁজেছেন বা গড়েছেন। বিশ্ব সাহিত্যের বেশীরভাগ দিকপাল ত্যাগের ভিতর মুক্তি খুঁজেছেন। ভোগে নয়। অবশ্য তিনি মধ্যবিত্তের প্রতিনিধি ছিলেন। মধ্যবিত্তের বড় চাওয়া প্রাচুর্য্য। উপরের দিকে তাকানো। যদি পাই। হুমায়ুন পেয়েছিলেন। যশ, খ্যাতি আর অর্থ। সবটাই। তার জীবনে দারিদ্রের সাথে দেখা হয়নি। তার বাবা ছিলেন পুলিশ অফিসার। হুমায়ুনের লেখা … জয় করবে কিনা জানিনা তবে বর্তমান জয় করেছিলেন। প্রবলভাবে। আর বর্তমানের বড় আদর্শ সুযোগ যা পাও তা নাও বা বরণ করো। রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, সুকান্ত অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছেন। হুমায়ুন তার ব্যতিক্রম। কেউ হুমায়ুনকে কেউ শরতের সাথে তুলনা করেছে। ভুল। শরৎ শরৎই। হুমায়ুন প্রতিবাদী ছিলেন না। যেমন ছিলেন নজরুল, রবী কিংবা সুকান্ত। হুমায়ুন জনপ্রিয়তা খুঁজেছেন। আর জনপ্রিয়তার প্রধান সত্য হচ্ছে প্রতিবাদ না করা। প্রতিবাদ মানে সুবিধা থেকে …। ….. থেকে সরে পড়া। না সেই ঝুকি তিনি নেননি বলেই আপনি কিংবা আপনার বান্ধবীর সুবিধা থেকে বঞ্চিত হননি। আপনার বান্ধবীর ‘‘বাবর’’ রাজত্ব কিংবা আপনার গুম রাজত্বের প্রতিবাদ করেননি। শেক্সপিয়রের প্রতিটা বাক্য প্রতিবাদে ভরা। কালজয়ী টলসটয় থেকে মাকের্স পর্যন্ত সবাই প্রতিবাদী। মিথ্যাকে মিথ্যা বলার সাহস ছিল। সেক্ষেত্রে হুমায়ুন বলেছে থাক। মধ্য বিত্তের জীবনের বড় ভয় ‘ভয়’। হুমায়ুন তার ব্যতিক্রম ছিলেন না। তিনিও মৃত্যুকেও ভয় পেতেন। এবং এ জন্যেই মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত ছিলেন না। যেমন গত বছর এমন দিনেই কানাডার জনপ্রিয় রাজনীতিক জ্যাক লেটন মারা গিয়েছিলেন। ক্যান্সারে। যখন ডাক্তাররা বললেন বাঁচবেন না তখন জাতীর উদ্দেশ্যে বললেন ‘অবশ্য এই কনজারভেটিট সরকারের পতন চাই।’’ মৃত্যুর পর কিভাবে তার শোক সভা হবে। ”Celebration of life’’ তাও বলে গেছেন। অবশ্য হুমায়ুনের অধ্যায়ে ভিন্নতা ছিল। কেননা তার  অপারেশন হয়েছিল বাঁচার জন্য। তবে এখানে তিনি অদূরদর্শী ছিলেন। মধ্যবিত্ত জীবনের সব দেখলেও মরণের দৃশ্য ভাবেননি। নিশ্চয়ই তার বুকে মৃত্যু চিন্তা ছিল। তা না হলে কচ্ছপ হয়ে বেঁচে থাকতে চাইতেন না। বাঁচতে কে না চায়। আমিও। জানি আমার মৃত্যু কাছাকাছি। প্রতিদিন ভাবি। মৃত্যুতো জীবনেরই অংশ।
সাত- জীবন আর চাঁদনী পাসর
হুমায়ুনের স্বপ্ন ছিল যদি মরণ আসেই সে মরণ যেন চাঁদ রাতে হয়। না হয়নি। নিউইয়র্কে তখন দুপুর। আর বাংলার আকাশে তখন অমাবশ্যার অন্ধকার। আলোতে মরতে চেয়ে ছিলেন। কিন্তু নিয়তি অন্ধকারে। তবে তার কামনা কালজয়ী। চাঁদের আলোর সৌন্দর্য নিয়ে পৃথিবীর থেকে বিদায় নিতে চেয়েছিলেন। না ঈশ্বর তা শুনলো না। শুনবে কি করে? জন্মের সময়ইতো মৃত্যুর ক্ষণ লেখা থাকে। আর সেই ক্ষণ ঈশ্বরও বদলাতে পারে না। আর যদি বদলায়ও সেটাও ঈশ্বরের খাতায় লেখা।
আট- জীবন আর শাওন
শাওনকে হুমায়ুন ভালবাসতো। পৃথিবীর বেশীর ভাগ লেখক বহুগামিতায় বিশ্বাসী। হুমায়ুন তা করেননি। যা ছিল তা বদলেছেন কিন্তু রেখে অপরের কাছে যাননি। হয়তোবা। শাওনও ভালবেসে সুখী হতে চেয়েছিলেন। দুটো সন্তানের মা হয়েছেন। আজ সে প্রেম নেই। হুমায়ুন ছিল শাওনের সাহস। আজ সেই সাহস নেই। আছে শূণ্যতা। ছবিতে শাওনের হাসি ছিল। কেননা শাওনের হাসির মাঝেই হুমায়ুন বেঁচে থাকবে। বহুদিন। তবে আপা আপনাকে বলতে পারি এই ছবিটা তার জীবন আর মরণের পূর্ণাঙ্গ অভিব্যক্তি আমি শুধু বাছাই করেছি ইন্টারনেট থেকে। সবাই মরে যাবো। কর্ম রেখে। কিন্তু হুমায়ুনের সমস্ত জীবন দর্শনকে একটা ছবিতে তুলে ধরে আমার শৈল্পিক দায়িত্ব পালন করেছি। আমার জীবনে এমন প্রেম নেই। সৃষ্টিও নেই। তবে বিয়ের ১২ দিন পর ২৪ শে ফেব্রুয়ারি। ১৯৯৬ সালে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে জেসমিনকে কাঁধে নিয়ে একটা ছবি তুলেছিলাম। সমুদ্রে ঢেউ ছিল। কাঁধে জেসমিন। প্রেম আর পরিণয়। দুটোই জেসমিন। আমি কবি নই। নই কোন কথা সাহিত্যিক। আমার মৃত্যুর পর ঐ ছবিটা কেউ ছাপবে কিনা। জানিনা। তামাম পৃথিবীর কোন লেখক লিখবে কিনা স.স.র জীবনেও প্রেম ছিল, বিরহ ছিল তার চেয়েও বড় ছিল সত্য বলার সাহস। ভয়হীন। আপোষহীন।

 

Loading


Comments

খালেদা হাসিনা সংলাপ — 2 Comments

  1. অনেক তথ্য আর যুক্তিপূর্ণ পোষ্ট, কিন্তু কেমন যেন অগোছালো।
    এত দীর্ঘ পোষ্ট ব্লগের পাঠকদের জন্য বেশির ভাগ সময়েই তেমন আকর্ষণীয় হয় না। ছবিটা দেবার কারণে পোস্টের মান নিম্নগামী হয়ে উঠেছে।

  2. যে ছবিটা দিয়েছেন তা আসলেই খাপ খায়না মানুষ যখন হুমায়ূন আহমদের শোকে কাতর!
    সে যাক আমাদের মতো দেশে বই লিখে কতোটা জনপ্রিয়তার শিখরে আরোহন করা যায়, হওয়া যায় কতো অর্থ-বিত্তের মালিক তার এক অনন্য-সাধারণ উদাহরণ স্থাপন করে গেছেন এই নন্দিত কথাশিল্পী। একই সাথে প্রশস্ত করে দিয়ে গেছেন বাংলা সাহিত্যের নবাগত ও অনাগত লেখকদের পথ। নাটক, চলচ্চিত্রেও এনে দিয়েছেন নতুন প্রাণ। মোট কথা যে মাধ্যমেই তিনি হাত রেখেছেন; সেখানেই ফলেছে সোনা। আর দিনে দিনে হুমায়ূন সম্পদে সমৃদ্ধ হয়েছে বাংলাদেশের সাহিত্যের গোলাঘর।

মন্তব্য দেখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *