মানবতা আজ কেন বিপন্ন?

আসলে বর্তমান মানব সভ্যতা এমন এক যুগে পদার্পণ করেছে যেখানে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষের শক্তি বাস্তবে বিজয়ী হতে পারেনা। কেননা বিশ্বের কোথাও  ক্ষমতাসীন মহল  সত্যের পক্ষে  কিংবা  ন্যায়ের পক্ষে থাকতে চায় না, যদি কোন আর্থিক স্বার্থ যেমন সম্পদ লুট কিংবা অস্ত্র বিক্রির সুযোগ  না থাকে।
এর উদাহরণ আমরা পূর্ব-পশ্চিম সকল দেশেই দেখতে পাই।
পশ্চিমা দেশ গণতান্ত্রিক হলেও তাদের সাথে অগণতান্ত্রিক স্বৈরশাসক ও এক দলীয় কর্তৃত্ববাদী শাসকেরা  তফাৎ এতটুকু যে,  দ্বিতীয় পক্ষ জনগণকে বাক স্বাধীনতা কিংবা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করতে দেয় না যেমন চিন রাশিয়া ইত্যাদি এবং সরকার যা চায় সেটাই হয় সেখানে।
আর পশ্চিমা দেশের সে সুযোগ দিলেও জনগণের দাবী বা কথাকে ক্ষমতাসীন মহল পাত্তা দেয় না।  অবশেষে ক্ষমতাসীনরা যা চায় সেটিই চালিয়ে যায়। কিছুটা উত্তেজনা কিছুটা আবেগ হয়তবা জনমনে সৃষ্টি হয় কিন্তু সময়ের সাথে সেটি নিস্তেজ হয়ে যায়।
মেইনস্ট্রিম করপোরেট মিডিয়াকেও সে সব বিষয়ে তেমন ফলপ্রসূ পদক্ষেপ বা সোচ্ছার হতে দেখা যায় না। কেননা মিডিয়াকে কায়েমী স্বার্থবাদীরাই কন্ট্রোল করে। অসহায়ের কণ্ঠস্বর প্রকাশের ভরসা সামাজিক মিডিয়াকেও সে বেড়াজালে আবদ্ধ করার প্রচেষ্টা চলছে।
গাজার নিরীহ লক্ষ লক্ষ মানুষের  উপর চলমান ইসরাইলী গণ হত্যা ও তাদের অবৈধ কাজের সহযোগী হয়ে পশ্চিমা বিশ্বের ক্ষমতাসীনরা যে অকুণ্ঠ সমর্থন, অস্ত্র সাহায্য ও মিথ্যা বয়ান দেয় ইত্যাদি এর জ্বলন্ত প্রমাণ।
আসলে আমরা এখন Post-Truth Era বা সত্য-উত্তর যুগের শিকার। “সত্য উত্তর” যুগে “সমাজ এবং রাজনীতি এমন একটি পরিস্থিতিতে পড়েছে যেখানে সত্য এবং অসত্যের মধ্যে সীমানা মুছে ফেলা হয়েছে, তথ্য এবং সম্পর্কিত বিবরণ উদ্দেশ্যমূলকভাবে তৈরি করা হয়, আবেগ জ্ঞানের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
সামাজিক বা রাজনৈতিক জীবনের নেতারা এমন অপকর্ম করেন যা তথ্য প্রযুক্তির অবাধ প্রবাহে সবাই  জানতে পারলেও কেউ কিছু করতে পারে না এসব অপকর্ম বন্ধ করতে।
চিন্তা করলে দেখা যায় পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী দেশে আমেরিকা আজ এমন সব অন্যায় কাজ ও অস্ত্র ব্যবসায় জড়িত হয়ে পড়েছে যা একদিন তাদের ধ্বংস বয়ে আনবে। হয়ত শুধু সময়ের ব্যাপার। আল্লাহ কুরআনে সুরা আল- আরাফ আয়াত ৭:৩৪ এ বলেন। “আর প্রত্যেক জাতির রয়েছে একটি নির্দিষ্ট সময়। অতঃপর যখন তাদের সময় আসবে, তখন তারা এক মুহূর্ত বিলম্ব করতে পারবে না এবং এগিয়েও আনতে পারবে না।”  

বিস্তারিত নিচের ভিডিওতে দেখুন।

Loading


মন্তব্য দেখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *