নববর্ষ। তারপর নববর্ষ, তারপর আরও বর্ষ। ঋতু-চলন্তিকা। তাপস নিঃশ্বাস বায়। সেদিনের চাহনি, সেদিনের দৃশ্য। আজ গাড়ী আর বাড়ী। পার্থক্য আর পার্থক্য। সেদিন আর এদিন। কালের কত কোলাহল। দাদা দাদি, নানা নানি, ছোট বড়, কত আওয়াজ: দাদ্দাদ-দা, নান্নান-না, মাম্মা-মা। মার্বেল, ত্রিকাটি, সরি-গুল্লা। স্মৃতি-চলন্তিকা। আহা, গোরস্থান। নিঃশেষ।ছোট ছোট গাছ, ঘাস, লতা-পাতা। নীরব, নিস্তব্ধ। অতীত? অতীত! ♪♫ “মম মনে তুমি কে আসিলে/মৃদু দোলা দিয়ে তুমি কী কহিলে। তোমার বাণীর মর্ম-মূলে/বিপুল কী যে লুকিয়ে ছিলে/বারে বারে আমি বুঝিতে গেলে/খেলার ছলে মোরে লুকিয়ে নিলে/হল না বুঝা মোর, তুমি কী চাহিলে।” ছায়ানট।
@মুনিম সিদ্দিকী
ভাই এটা সেই ছায়ানট নয়। আপনি উদ্ধৃতি চিহ্নের (” “) পূর্ব থেকে লক্ষ্য করলে দেখবেন সেখানে সংগীতের নোটেশন চিহ্ন introduce করা হয়েছে অর্থাৎ ধরতে পারেন সংগীত শুরু হচ্ছে। তারপর শেষে সংগীতকে কেন্দ্র করে বলা হয়েছে ছায়ানট, মানি রাগ ছায়ানট। এই রাগ কল্যাণ ঠাট থেকে আসে বা বলতে পারেন রাগ ইমন কল্যাণ থেকে উৎসারিত। নজরুল গীতি ‘শূন্য এ বুকে পাখি মোর আয়, ফিরে আয়, ফিরে আয় …’ হচ্ছে রাগ ছায়ানটে সাজানো।
এবারে বাংলাদেশ। আমার এক বন্ধু বলেছে অসংখ্য লোক নাকি ভারত থেকে এসেছেন বাংলাদেশে ‘বৈশাসী উৎসব’ করতে! এগুলো হচ্ছে ধর্মের ‘বিকল্প’ উৎসব। নব্য ধর্মের উৎসব।
ভাই শুরু হলো নববর্ষ দিয়ে আর শেষ করলেন ছায়নট দিয়ে! এর মারিফতি টি কি কিছু বলবেন কি?
৪৫/৪৬ বছর আগে এই ছায়ানট বৈশাখ ভরণ শুরু করেছিল কতিপয় আংগুলে গুনা লোক নিয়ে, তাদের জ্বালিয়ে দেয়া এই চেতনা আজ সারা গ্রাম বাংলায় ছড়িয়ে পড়েছে!
আমি গত বছর ১লা বৈশাখের দিন ঢাকা থেকে কমলগঞ্জ যাওয়ার পথে হাট বাজার গ্রামগঞ্জ পার হবার সময় বৈশাখী আনন্দ উৎসবে মেতে গ্রাম বাংলাকে দেখেছিলাম। গত কাল আর গত পরশু বাধ্য হয়ে রাজধানীতে ঘুরতে হয়েছিল।তাই দেখলাম এই বৈশাখে উৎসবে মাতাল হওয়া রাজধানীকে। এবারের নববর্ষ শনিবারে পড়ে যাওয়ায় এর মাত্রা অন্যরকম হয়ে দাঁড়ায়। বৃহস্পতি বারে বিকাল থেকে শুক্রবার সকাল অবদি ছিল ঠিক ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের মিছিলের মত লোকারণ্য রাজধানীর প্রতিবাস টার্মিনাল!
আমি তো দেখতে পাচ্ছি এই বৈশাখ উৎসব আগামীতে আমাদের দেশে ঈদ উৎসবকেও ছাড়িয়ে যাবে। এবং সালাম বা আদাব, নমস্কারে পরিবর্তে শুরু হয়ে পরস্পর পরস্পরকে সম্ভাবষণ “মঙ্গল হোক” “তোমার মংগল হোক” !!! সালাম আদাব দাফনবাসী হতে আর ৪০ বছর লাগবেনা।
ধন্যবাদ।
“সেদিনের চাহনি, সেদিনের দৃশ্য। আজ গাড়ী আর বাড়ী। পার্থক্য আর পার্থক্য।”
সময়ের সাথে সব কিছু কেমন জানি বদলে যায়!
একদিন আসবে থাকবনা আমরা কেউ এ ধরায়।
পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ