আমাকে দংশন করে বার বার
মনসার কালনাগিনী
সুতানালী সাপ ।
বেহুলার বাসর ঘর থেকে বেরিয়ে
যায়নি ফিরে সে নিজ আস্তানায়
শেষ রাতে চুপিচুপি ঢুকেছে আমার ঘরে
আমি নাকি তার দ্বিতীয় লক্ষীন্দর । সেই থেকে আজও
রসিয়ে রসিয়ে কাটে শিরা উপশিরা অবিরাম
মগজের পরতে পরতে পান করে
শক্তি সুধা অস্থি মজ্জা ইচ্ছে মতো।
বসুধার খেলার পুতুল আমি
আমাকে নিয়ে আপন মনে খেলা করে সে
যখোন তখোন যখোন তখোন ।
আমার নসিব কান্নার ফোয়ারা
কেঁদে কেঁদে বুক ভাসানো
এক অচল ভেলা ।
আমার নসিব তকমা পরা
এক জিন্দালাশ বেহুদা গন্ধ ছড়ানো
কাঁড়ি কাঁড়ি আবর্জনা।
মনসার কালনাগিনী হজম করেছে আমার
নাড়িভুড়ি হাড্ডি মাংস যৌবন রস
প্রাণ নেই মন নেই অস্থি মজ্জাহীন
আমি এক বিকল পাখি
ঘনঘন দম দেয়া এক বিকল পাখি।
{67} {46} {67} {73} {67} {46} {67} {60} {67} {46} {67} {73} {67} {46} {67}
:mrgreen::mrgreen:
:mrgreen::twisted::arrow::-P
আহ, কবিতার প্রবক্তার সে কী যে কষ্ট! পাঠ করেই দুখে ধুকে মন ভরাক্রান্ত। বিদেশ বিভূঁইয়ে থাকি, না হয় সর্প-ওজাকে বলতাম, ‘বাপু রাম সাপুড়ে, ওখানে যাও বাপুরে/সুতানালীর বিষখানি, ঝেড়ে-ঝুড়ে কর হানি।’
বেশ সুন্দর হয়েছে। চলতে থাকুক।