বাল্যবিবাহের নামে যৌন হয়রানি কিংবা স্ত্রী-নির্যাতন-





তাহানী, রজনী, সুনীল, নজুদ, জারকা এবং আমাদের রুমানা- এই নামগুলোর সাথে ভিন্ন ভিন্ন জাতি, ধর্ম ও স্থান-কালের সম্পর্ক কিংবা পরিচিতি ফুটে উঠলেও তাদের নিয়তি যেন একই সূত্রে গাঁথা। তাদের অমানবিক অবস্থার কথা মনে হলেই যে ধরনের আন্ধা-রীতি বা দুর্গতির চিত্র ফুটে ওঠে, প্রকৃত অর্থে তার সাথে ধর্মের কি আদৌ কোন সম্পর্ক থাকতে পারে? মানবতা রক্ষার স্বার্থে এবং ধর্মান্ধতা দূর করার জন্য এ বিষয়টি খতিয়ে দেখার অবশ্যই প্রয়োজন আছে। ধর্মের নামে স্বার্থবাদী প্রতারণা কিংবা অতিরঞ্জিত আরোপ করলে অথবা ধর্মীয় স্পষ্ট বিধানকে উপেক্ষা করলেও যে শান্তির পরিবর্তে জীবনে অশান্তি ছাড়া আর কিছুই জোটে না, এমনকি বিপর্যয় নেমে আসতে পারে- এই ঘটনাগুলো থেকে পরোক্ষভাবে সে শিক্ষাই মেলে।

 

এ পৃথিবীর কোন স্থানের মানুষ ধর্ম মানুক বা না মানুক, শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে সর্বকালেই এবং সর্বস্থানেই জাগ্রত বিবেক ও আইনের সুষ্ঠ প্রয়োগের বিকল্প নেই । কোন অন্যায় ও অত্যাচারের কারনে মানবতা যখন হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়ে তখন কঠোর হাতে আইন প্রয়োগ করা ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না। আপাত দৃষ্টিতে দোষীকে সাজা দেবার আইনটি যতই কঠোর মনে হোক না কেন তা অমানবিক মনে করাটা যেমন অযৌক্তিক, তেমনি অমানবিক কর্মকে ধর্ম কিংবা মানবতার গান গেয়ে প্রশ্রয় দেয়াটাও ভন্ডামী ছাড়া আর কিছুই নয়। কোন অমানবিক কর্মকে আইনের মারপ্যাচে প্রতিষ্ঠা করার অপচেষ্টা করা হলে যেমন তাকে আন্ধা-কানুন বা কালা-কানুন বলা যেতে পারে। তেমনি ধর্মের নামে নিষ্পাপ মানুষকে নিষ্পেষিত করার যে কোন রীতিকে অধর্মই বলতে হবে। ধর্মীয় বিধান হোক কিংবা ধর্ম-নিরপেক্ষ আইন হোক- তার অবস্থান সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে হলে মানবতা রক্ষা পাবার সম্ভাবনাই বেশি থাকে এবং এটাই স্বাভাবিক। ধর্মের সাথে সরাসরি স্রষ্টার নিগূঢ় সম্পর্ক বিদ্যমান, আর স্রষ্টা সর্বদা ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা ও মানবতা রক্ষার পক্ষে মানুষের জন্যই ধর্মের অবতারণা করেছেন। সুতরাং ধর্মের নামে মানবতা বিবর্জিত যে কোন রীতির সাথে স্রষ্টা প্রদত্ত খাঁটি ধর্মের কোন সম্পর্কই থাকতে পারেনা। যদি সমাজে ধর্মের নামে এরূপ কোন রীতি চালু থকে, তবে সেটিকে স্বার্থবাদী মানুষের রচিত কুসংস্কার অর্থাৎ অধর্মই বলতে হবে।

 

মানুষের মন বৈচিত্রময়। কথায় বলেনা- “যার মনে যারে লাগে ভাল”। বয়সের বড় ব্যবধান সত্বেও যদি কোন নারী বা পুরুষ একে অপরকে পছন্দ করে এবং বিয়ে করে সুখি হতে চায় বা পারে, তাতে তো কারও কোন আপত্তি থাকার কথা না।আপত্তির প্রশ্ন আসে তখনই, যখন বিকারগ্রস্ত যৌন বাসনা মেটানোর জন্য বালিকাবিবাহ করাকে ধর্মীয় রীতি বানিয়ে পুণ্য অর্জনের ঢেকুর তোলার পায়তারা করা হয়। অনেক সময়ই দেখা যায় পৃথিবীর বিভিন্ন জাতি ও গোত্রের সমাজ ব্যবস্থায় বিবাহ কি জিনিস তা বোঝার মত জ্ঞান-বুদ্ধি হবার আগেই বিয়ের নামে কচি অবুঝ শিশুকে বলতে গেলে এক রকম জোর করেই কোন এক মাঝবয়সী কিংবা বৃদ্ধের গলায় ঝুলিয়ে দিতে আপনজনেরা কুন্ঠাবোধ করে না। হায়! এক্ষেত্রে কনের সম্মতি বা অসম্মতির কোন তোয়াক্কা তো করাই হয় না, বরং ধর্মের নামে পুণ্য কামাই করার নেশায় তাদের অধিকার হরণের সকল পন্থা অবলম্বন করা হয়। ধর্মান্ধ মানুষ এতটাই অন্ধ হয়ে যায যে, বিয়ের শর্ত অনুসারে সম্মতি/অসম্মতির তোয়াক্কা তো করাই হয় না, এমনকি একটা হারাম উপায় অবলম্বন করে তদের পায়ে যৌন বেড়ি পরিয়ে গুনাহের পথ বেছে নিতেও কুন্ঠিত হয়না। বরং ধর্মের নামে পুণ্য কামাই করার নেশায় তাদের অধিকার হরণের সকল পন্থা অবলম্বন করা হয়।

 

যেহেতু একজন মুসলিম হিসেবে আপন সমাজের এই অন্ধকার দিকটি আমাকে খুবই পীড়া দেয়। তাই অন্য কোন সমাজের রীতি সম্পর্কে বলার আগে আমার সমাজে বিরাজমান এই ভ্রান্ত রীতির রহস্য উন্মোচন করার জন্য সাধ্যমত চেষ্টা করেছি। আশা করি এ সম্পর্কে অন্য ধর্মের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণও তাদের সুচিন্তিত মতামত ব্যক্ত করবেন।

……………………………………………………………

মিয়া বিবি রাজি, তো কেয়া কারেগা কাজি?

বর কনে রাজি থাকলে, বিয়ে পড়ানো ছাড়া কাজির কি বা করার আছে?

আমাদের দেশে সর্বনিম্ন বিয়ের বয়স হিসেবে কনের জন্য ১৮ বছর এবং বরের জন্য ২১ বছর নির্ধারন করা হয়েছে। অভিভাবক ও পাত্র-পাত্রীর সম্মতিতে ও উপযুক্ত কারন সাপেক্ষে এর চেয়ে কম বয়সে বিয়ে হতে পারে। তবে এক্ষেত্রে অভিভাবক বা পাত্র-পাত্রীদের মধ্যে কোন পক্ষের অসম্মতি থাকলে মুশকিল আছে। কারন সরকারের কাছে অভিযোগ করলে প্রশাসন এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার, এমনকি বিয়ে ভেঙে দেবারও অধিকার রাখে। বর্তমানে শিক্ষিত মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত সমাজে সাধারনত সরকার নির্ধারিত বিয়ের বয়স অতিক্রম করার পরই ছেলে (২৮ – ৩২ বছর)-মেয়েদের (২০ – ২৫ বছর) বিয়ে দেবার পদক্ষেপ নেয়া হয়। গ্রামাঞ্চলে ও নিম্ন আয়ের অশিক্ষিত সমাজে কিন্তু এখনও বাল্যবিবাহের চল রয়েছে। তবে তা পূর্বের তুলনায় বেশ কমে এসেছে। সমাজ থেকে এ ধরনের অন্যায় রীতিকে বিদায় বলার সময় এসেছে। আর্থিক উন্নয়নের পাশাপাশি শিক্ষিত ও সচেতন সমাজ সৃষ্টি এবং আইন প্রয়োগের মাধ্যমে এই জুলুমের হাত থেকে মুক্তি দেয়ার জন্য মূলত সরকারকে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে।

ইসলামের মূল গ্রন্থ আল-কোরআনে নির্দিষ্ট করে বিয়ের বয়স উল্লেখ করা হয় নাই। তবে বিয়ের ক্ষেত্রে পাত্র ও পাত্রীর সম্মতি যেহেতু একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং যে কোন একজনের অসম্মতি থাকলে বিয়েই হবে না, তাই পাত্র ও পাত্রীকে অবশ্যই অন্ততপক্ষে তাদের সম্মতি/অসম্মতি প্রদানের মত উপযুক্ত হতে হবে। এই উপযুক্ত হওয়ার বিষয়টি তাদের বয়স ও বুদ্ধি বিবেচনার উন্মেষ- এই দুটো নির্ধারকের উপর নির্ভরশীল। তবে পুরুষের জন্য আর্থিকভাবে সামর্থবান হওয়াও একটা বড় ফ্যাক্টর। আর্থিক সামর্থ না থাকলে বিয়ে করা যাবে না, তা নয়। তবে অর্থের অভাবে অনেক সময়ই সংসারে অশান্তি নেমে আসে, এমনকি বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটার সম্ভাবনা প্রবল হয়ে উঠতে পারে। তাই একজন পুরুষের জন্য আর্থিকভাবে স্বাবলম্বি হবার পরই বিয়ের পিরিতে পা বাড়ানো বুদ্ধিমানের কাজ হবে। কিন্তু রাষ্ট্র কর্তৃক নির্ধারিত বয়সে উপনীত মিয়া-বিবি যদি আর্থিক অসচ্ছলতাকে উপেক্ষা করে পরস্পর বিয়ে বসতে চায়, তাহলে এক্ষেত্রে কারো কিছু বলার বা করার নাই এবং বিয়ের নিয়ম ও শর্ত সাপেক্ষে কাজি বিয়ে পড়াতে বাধ্য। মানুষের মন বৈচিত্রময়। কথায় বলেনা- “যার মনে যারে লাগে ভাল”। বয়সের বড় ব্যবধান সত্বেও যদি কোন নারী বা পুরুষ একে অপরকে পছন্দ করে এবং বিয়ে করে সুখি হতে চায় বা পারে, তাতে তো কারও কোন আপত্তি থাকার কথা না। আপত্তির প্রশ্ন আসে তখনই, যখন কোন অবুঝের ঘাড়ে জোর করে অসামঞ্জস্যপূর্ণ বোঝা চাপিয়ে পুণ্য অর্জনের ঢেকুর তোলার পায়তারা করা হয়। এক্ষেত্রে মানুষ এতটাই অন্ধ হয়ে যায যে, বিয়ের শর্ত অনুসারে সম্মতি/অসম্মতির তোয়াক্কা তো করাই হয় না, এমনকি একটা হারাম উপায় অবলম্বন করে তদের পায়ে যৌন বেড়ি পরিয়ে গুনাহের পথ বেছে নিতেও কুন্ঠিত হয়না।

অনেক সময়ই দেখা যায় পৃথিবীর বিভিন্ন জাতি ও গোত্রের সমাজ ব্যবস্থায় বিবাহ কি জিনিস তা বোঝার মত জ্ঞান-বুদ্ধি হবার আগেই বিয়ের নামে কচি অবুঝ শিশুকে বলতে গেলে এক রকম জোর করেই কোন এক বৃদ্ধ বয়সের মানুষের গলায় ঝুলিয়ে দিতে আপনজনেরা কুন্ঠাবোধ করে না। হায়! এক্ষেত্রে কনের সম্মতি বা অসম্মতির কোন তোয়াক্কা তো করাই হয় না, বরং ধর্মের নামে পুণ্য কামাই করার নেশায় তাদের অধিকার হরণের সকল পন্থা অবলম্বন করা হয়। অন্য কোন সমাজের রীতি সম্পর্কে বলার আগে একজন মুসলিম হিসেবে আপন সমাজের এই অন্ধকার দিকটি আমাকে খুবই পীড়া দেয়। যখন দেখি ধর্মগুরুরা ধর্মান্ধ সেজে ইসলামের নামে এরূপ বর্বর রীতিকে অনায়াশে গ্রহণই শুধু নয়, তৃপ্তি সহকারে হজমও করছে। তখন সত্যিই অবাক লাগে। কিন্তু প্রকৃত অর্থে ইসলাম কি এধরনের জুলুমকে আদৌ প্রশ্রয় দেয়? না কখনই না; আল-কোরআনে এর পক্ষে কোন বক্তব্য তো নেই-ই, এমনকি কোন সহী হাদিছ দ্বারাও এর পক্ষে কোন প্রমাণ পেশ করা আদৌ সম্ভব নয়। বিকৃত কাম লিপসা চরিতার্থ করার জন্য অনেকে হয়ত কোন দুর্বল বা জ্বাল হাদিছ থেকে বানোয়াট বক্তব্য পেশ করে তাদের পক্ষের মতামতকে জোরদার করার পাঁয়তারা করে থাকে। কিন্তু এটি মোটেই ইসলাম সম্মত নয়। বরং কোন শিশুর সাথে অপরিণত বয়সে তার মতের বিরুদ্ধে জোর করে যৌন সম্পর্ক করার অপরাধে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইন সংগত শাস্তির ব্যবস্থা করা উচিত। মনে রাখা উচিত যে, শুধুমাত্র যৌন সম্পর্ককে বৈধতা দেয়াই বিয়ের উদ্দেশ্য নয়। বরং এটি এমনি এক বন্ধুত্বপূর্ণ মধুর বন্ধন যা আত্মিক সম্পর্ক স্থাপনের সাথে সাথে পরিনতিতে মানসিক ও দৈহিক স্বর্গীয় সুখ ভোগের দিকে আহ্বান জানায়। ফলশ্রুতিতে দুটো মন ও দেহের পূর্ণ মিলনে একটি নুতন জীবন সৃষ্টির মধ্য দিয়ে বিয়ের মূল লক্ষ অর্জিত হয়। তাই যে সম্পর্কে মনসিক সম্মতি থাকে না, বিয়ের নামে জোর পূর্বক সেই পাশবিক যৌন সম্পর্কে সুখ তো দূরে থাক- প্রকৃত অর্থে যাতনা ও কষ্ট ছাড়া আর কি বা পাবার থাকে! যত বড় আলেম নামধারী ব্যক্তি এর পক্ষে যতই ছাফাই গাক না কেন, এ ধরনের বিয়ের নামে প্রহসনের সম্পর্ক স্থাপনের কোন অপশন ইসলামে নেই। যদি কোন সমাজে অবোধ শিশুকে জোর করে বিয়ের নামে পায়ে যৌন বেড়ি পড়ানোর কালা কানুন বা রীতি চালু থাকে তাহলে সেই অমানবিক রীতিকে বন্ধ করার দায় ইসলামি আলেম সমাজের উপরেই বর্তায়। ধর্মান্ধতার কারনে বা অজানা আশংকায় অন্ধ সেজে এর পক্ষাবলম্বন করার জন্য অবশ্যই তাদেরকে গুনাহগার হতে হবে। সমাজের অন্ধকার ঘরগুলো থেকে এই আন্ধা-রীতির মূলোৎপাটন করার জন্য বলা ও আইনের মাধ্যমে তার ইতি টানার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা ছাড়া এই গুনাহর হাত থেকে রেহাই পাবার অন্য কোন পথ নেই। আবার অপরদিকে ছেলেমেয়ের বিয়ের বয়স পেরিয়ে গেলেও অনেক পরিবারে তাদের বিয়ের ব্যাপারে তেমন কোন উদ্যোগ নেয়া হয় না। ফলে অনেক সময় তারা অসামাজিক কর্মে জড়িয়ে পড়ে। তাই সঠিক বয়সে বিয়ে সম্পাদনের জন্য অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে।

মুসলিম সমাজে বিশেষ কারন সাপেক্ষে পারিবারিক বোঝাপড়ার ভিত্তিতে কম বয়সের পাত্র-পাত্রীদের মধ্যে বাগদান সম্পন্ন করে রাখার নিয়ম চালু আছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে যে, ইসলামের বিধান অনুসারে শারীরিক ও মানসিকভাবে উপযুক্ত না হওয়া পর্যন্ত বিবাহিত জীবন যাপন করা থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে। পারিবারিক সম্মতির ভিত্তিতে কম বয়সের পাত্র-পাত্রীদের বাগদান হয়ে গেলেও উপযুক্ত বয়সে উপনীত হবার পর বিবাহিত সংসার জীবন শুরুর পূর্বে সেই পাত্র বা পাত্রীর মধ্যে কেউ একজন যদি অসম্মতি জ্ঞাপন করে,(67) তাহলে পূর্বেকার বাগদান ভেঙে দেয়া আইন সম্মত। এক্ষেত্রে বিয়ে আর পূর্ণতা পাবে না অর্থাৎ বিবাহিত সংসার জীবন যাপনের জন্য তাদেরকে বাধ্য করা যাবে না। নিচের হাদিছটি থেকে এর স্পষ্ট ইংগিত পাওয়া যায়-

‘Wedlock, Marriage (Nikaah)’ of Sahih Bukhari.
67: Narrated Abu Huraira: The Prophet said, “A matron should not be given in marriage except after consulting her; and virgin should not be given in marriage except after her permission.” The people asked, “O Allah’s Apostle! How can we know her permission?” He said, “Her silence (indicates her permission).”

ইসলামে বিধবা বিবাহকে উৎসাহিত করা হয়েছে। তালাক প্রাপ্ত নারীদেরকেও বিবাহ করা ও দেয়ায় কোন বাধা নেই। জোর করার তো প্রশ্নই আসে না, বরং বিধবা ও তালাক প্রাপ্ত নারীদের মতের বিরুদ্ধে বিবাহ দেয়া বা করা নিষেধ। তবে উভয় ক্ষেত্রেই একটি নির্দিষ্ট সময় ইদ্দত পালনের বিধান রয়েছে। এই সময় অতিবাহিত হবার পর বিবাহ করা হারাম নয় এমন যে কোন ব্যাক্তির সাথে তাদের বিয়ে হতে পারে। বিধবা ও তালাক প্রাপ্ত নারীদের অনুমতি না নিয়ে বিয়ে দিলে তা ভেঙে দেয়া আইন সম্মত।

69: Narrated Khansa bint Khidam Al-Ansariya: that her father gave her in marriage when she was a matron and she disliked that marriage. So she went to Allah’s Apostle and he declared that marriage invalid.

56: Narrated Zainab bint Salama: Um Habiba said to Allah’s Apostle “We have heard that you want to marry Durra bint Abu-Salama.” Allah’s Apostle said, “Can she be married along with Um Salama (her mother)? Even if I have not married Um Salama, she would not be lawful for me to marry, for her father is my foster brother.” ‘And there is no blame on you if you make hint of betrothal or conceal it in your hearts. Allah is Oft-Forgiving, Most Forbearing.’ (2.235) Ibn ‘Abbas said, “Hint your intention of marrying’ is made by saying (to the widow) for example: “I want to marry, and I wish that Allah will make a righteous lady available for me.’ ” Al-Qasim said: One may say to the widow: ‘I hold all respect for you, and I am interested in you; Allah will bring you much good, or something similar ‘Ata said: One should hint his intention, and should not declare it openly. One may say: ‘I have some need. Have good tidings. Praise be to Allah; you are fit to remarry.’ She (the widow) may say in reply: I am listening to what you say,’ but she should not make a promise. Her guardian should not make a promise (to somebody to get her married to him) without her knowledge. But if, while still in the Iddat period, she makes a promise to marry somebody, and he ultimately marries her, they are not to be separated by divorce (i.e., the marriage is valid).

 

স্বভাবতই প্রশ্ন আসতে পারে- ইসলামের বিধান মতে তাহলে বিয়ের বয়স কত?

সূরা নিসা
(০৪:০৬) অর্থ:- আর এতীমদের প্রতি বিশেষভাবে নজর রাখবে- যে পর্যন্ত না তারা বিয়ের বয়সে পৌঁছে, তখন তাদের মধ্যে বুদ্ধি-বিবেচনার উন্মেষ আঁচ করতে পারলে, তবেই তাদের সম্পদ তাদের হাতে অর্পন করতে পার। এতীমের মাল প্রয়োজনাতিরিক্ত খরচ করো না বা তারা বড় হয়ে যাবে মনে করে তাড়াতাড়ি খেয়ে ফেলো না। যারা স্বচ্ছল তারা অবশ্যই এতীমের মাল খরচ করা থেকে বিরত থাকবে। আর যে অভাবগ্রস্ত সে সঙ্গত পরিমাণ খেতে পারে। যখন তাদের হাতে তাদের সম্পদ প্রত্যার্পণ কর, তখন সাক্ষী রাখবে। অবশ্য আল্লাহই হিসাব নেয়ার ব্যাপারে যথেষ্ট।

এই বিষয়টি বুঝতে হলে প্রথমে আল-কোরআনে বিয়ের বয়স সম্পর্কে কি বলা হয়েছে তা জানতে হবে। দেখা যাচ্ছে যে, (০৪:০৬) নং আয়াতে বিয়ের বয়সে উপনীত হবার কথা বলতে গিয়ে বুদ্ধি-বিবেচনার উন্মেষ ঘটেছে কিনা সেদিকটাও লক্ষ রাখতে বলা হয়েছে। এখানে সম্পদ হস্তান্তরের বিষয়টি এসেছে। আর আমরা জানি যে, বুদ্ধি-বিবেচনা করার যোগ্যতা না থাকলে সম্পদ রক্ষা করা এবং তার সদ্ব্যবহার করা বেশ কঠিন ব্যাপার। এমন কি বিচক্ষণতার অভাবে সম্পদহারা হয়ে পথে বসার মত পরিস্থিতিতে পড়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা থাকে। তাই এ ধরনের পরিস্থিতিতে যেন তারা না পড়ে সেজন্য উপায় বলে দেয়া হয়েছে। আর বাকীটা তো আল্লাহতায়ালার ইচ্ছা। সম্পদের হেফাজত করা যেমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, তেমনি সাংসারিক জীবনে পারিবারিক দায়িত্ব পালন করাও তার চেয়েও বেশি গুরুত্ব বহন করে। আর তাই বুদ্ধি-বিবেচনার উন্মেষ ঘটার বয়সটি উভয় ক্ষেত্রেই বিবেচনা করার দাবি রাখে।

আল-কোরআনে বিয়ের বয়স হিসেবে নির্দিষ্ট কোন বয়সের কথা বলা হয়নি। তবে অনেকে মাসিক শুরু হওয়াকে, আবার অনেকে ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সকে বিয়ের বয়স হিসেবে নির্ধারনের জন্য তাদের মতামত ব্যক্ত করেছেন। যেহেতু (০৪:০৬) নং আয়াতে বিয়ের বয়সের উপযুক্ততা নির্ণয়ের ক্ষেত্রে বুদ্ধি-বিবেচনার উন্মেষের বিষয়টিকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে, আর সাধারনভাবে বুদ্ধি-বিবেচনার উন্মেষ এবং দৈহিক বৃদ্ধি সাধন একে অপরের সাথে সম্পর্কযুক্ত। সুতরাং পারিপার্শ্বিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে কোন ইসলামী রাষ্ট্রের সরকার যদি পুরুষ ও নারীর জন্য গ্রহণযোগ্য বিয়ের বয়স নির্ধারণ করে দেন, তাহলে রাষ্ট্রের সামগ্রীক অবস্থার কথা বিবেচনা করে বৃহত্তর স্বার্থে তা মেনে চলা যেতে পারে। আবার মাসিক শুরুর আগে মেয়েদের বিবাহ দেয়া যাবেনা- এমন নির্দেশ আল-কোরআন ও হাদিছে নেই, তাই এ বিষয়ে বাধ্যবাধকতা রাখার উপায় নেই। তবে কোন দেশের ইসলামি শাসক কর্তৃক বিয়ের বয়স নির্ধারন করে দেয়া হলে তা লংঘনের পূর্বে যৌক্তিক কারন দেখিয়ে পূর্বানুমতি নেয়া উচিত। তা না হলে সরকার শাস্তি দেবার বা জরিমানা করার অধিকার রাখে। 

সাধারনত মাসিক শুরু হওয়ার পূর্বে একজন নারীর শরীর সুগঠিত হতে শুরু করে এবং শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন গুলো বেশ দ্রুত ঘটতে থাকে। এই পরিবর্তন সবার ক্ষেত্রে একই রকম নাও হতে পারে। কারও কারও ক্ষেত্রে শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধিসাধন বেশ দ্রুত ঘটলেও পারিপার্শ্বিক অবস্থা, পুষ্টিহীনতা, হরমোনের অসামঞ্জস্যতা বা বংশগত স্বাভাবিক কারনে ঋতুস্রাব শুরু হতে বেশ সময় লাগতে পারে। আমাদের দেশের মেয়েদের মাসিক শুরু হয় সাধারনত ১০ – ১২ বছর বয়সে। তবে দেখা গেছে শারীরিক ও মানসিকভাবে পূর্ণতা প্রাপ্ত ২০ – ২২ বছর বয়স্কা নারীর ক্ষেত্রেও ঋতুকাল শুরু না হবার ঘটনা বিরল নয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৯০% মেয়েদের মাসিক সাধারনত ১৩.৫ বছর বয়সে শুরু হলেও এর সর্বোচ্চ সময়সীমা প্রায় ১৭ বছর ধরা হয়। এরপর শুরু না হলে মেডিকেল চেকআপের এবং প্রয়োজনে চিকিৎসা নেবার পরামর্শ দেয়া হয়। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নির্দিষ্ট কোন কারন খুঁজে পাওয়া যায় না এবং এমনিতেই বা সমান্য চিকিৎসায় এর সমাধান হয়ে যায়। সুতরাং সর্বজ্ঞ মহান আল্লাহতায়ালা সঙ্গত কারনেই ঋতুকাল শুরু হওয়া বা না হওয়াকে বিবাহিত জীবন জাপনের উপযুক্ততার মাপকাঠি হিসেবে নির্ধারন করে দেন নাই। কারন তাহলে যে সমস্ত মুসলিম নারীদের ঋতুকাল বংশগত ভাবেই দেরিতে শুরু হওয়ার টেন্ডেন্সি রয়েছে, তাদের বয়স বৃদ্ধি পেলেও ঋতুবতী না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে করা মুশকিল হয়ে পড়ত। তাই মাসিক শুরুর পূর্বে বিবাহিত জীবন আরম্ভ করা যাবেই না, এমনটি ভাবা ঠিক নয়। তবে শারীরিক ও মানসিকভাবে সে উপযুক্ত কিনা তা অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে এবং আল-কোরআনের নির্দেশ ও রাসূলের (সাঃ) সুন্নতও তাই।

এ প্রসঙ্গে রাসূল (সাঃ) ও আয়শা (রাঃ) এর বিবাহের বিষয়টি উদাহরন হিসেবে পেশ করা যেতে পারে। হযরত আবুবকর (রাঃ) এবং রাসূলুল্লাহর (সাঃ) মধ্যে এমনই ঘনিষ্ট সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল যে তাঁরা তাদের এ সম্পর্ককে আত্মীয়তার বন্ধনে রূপ দিতে চেয়েছিলেন। আল্লাহ তায়ালা আবুবকর (রাঃ)এর আদরের কন্যা আয়শা (রাঃ) -কে রাসূলুল্লাহর (সাঃ) সাথে পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ করার মাধ্যমে তাদের মাঝে আত্মীয়তার বন্ধনকে সূদৃঢ় করার সাথে সাথে ইসলামের খেদমত করার জন্য নিয়োজিত করেছিলেন। রাসূল (সাঃ) এর সাথে বাগদান সম্পন্ন হওয়ার সময় আয়শা (রাঃ) এর বয়স কম ছিল। তাঁরা বিবাহিত জীবন জাপন শুরু করেছিলেন বাগদানের বেশ কয়েক বছর পরে।

 

Saheeh al-Bukhari, Volume 7, Book 62, Number 64

‘Aa’ishah, may God be pleased with her, narrated that the Prophet was betrothed (zawaj) to her when she was six years old and he consummated (nikah) his marriage when she was nine years old, and then she remained with him for nine years.

 

যদিও আয়শা (রাঃ) এর বয়স নির্ধারন করা আমার এই আলোচনার মূল বিষয়বস্তু নয়, তবে এ হাদিছ থেকে অন্তত এটুকু বোঝা যায় যে, আয়শা (রাঃ) শারীরিক ও মানসিকভাবে উপযুক্ত না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করার উদ্দেশ্যেই রাসূল (সাঃ) তার সাথে বিবাহিত সংসার জীবন শুরু করার ক্ষেত্রে সময় নিয়েছিলেন। রাসূল (সাঃ) এর সাথে সংসার জীবন শুরু করার পূর্বে আয়শা (রাঃ) মূলত তাঁর পিতা হযরত আবুবকর (রাঃ) এর বাসাতেই থাকতেন। রাসূল (সাঃ) এর জীবনের এই অংশটি থেকে আমাদের জন্য শিক্ষনীয় রয়েছে।

মানুষের বিচিত্রময় জীবনে পারিবারিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ইত্যাদি বিভিন্ন কারনে জটিল সমস্যার সমাধান করতে গিয়ে কোন কোন নারীর জীবনে কম বয়সে বিয়ে দেবার প্রয়োজন দেখা দিতে পারে। কোন বিশেষ কারনে বাল্যকালে বিয়ে সম্পন্ন হলেও শারীরিক ও মানসিকভাবে উপযুক্ত না হওয়া পর্যন্ত সেই নারীর সাথে বিবাহিত জীবন শুরু না করার ইংগিত এই ঘটনার মধ্যে রয়েছে। তাছাড়া যতটুকু জানা যায় রাসূল (সাঃ) তাঁর কন্যা ফাতিমার (রাঃ) বিয়েও ১৮ বছর হবার পরই দিয়েছিলেন। শারীরিক ও মানসিকভাবে উপযুক্ত না হওয়া পর্যন্ত রাসুল (সাঃ) নিজেও যেমন তাঁর কোন স্ত্রীর সাথে বিবাহিত জীবন জাপন শুরু করেন নাই, তেমনি কাউকে তা করার জন্য কখনও উদ্বুদ্ধ করেছেন বা কারও বিয়ে দেবার ব্যবস্থা করেছেন বলে কোন প্রমান নেই।

ইসলামে বিবাহ সম্পাদনের বিষয়টি মেয়েদের ক্ষেত্রে মাসিক শুরুর সাথে সম্পর্কিত নয়। তবে অর্থনৈতিক সামর্থের কথা বাদ দিলে বিবাহিত জীবন জাপনের বিষয়টি অবশ্যই একজন পুরুষ ও নারী উভয়ের জন্যই শারীরিক ও মানসিকভাবে উপযুক্ত হবার সাথে সম্পৃক্ত। আবার মানসিক বিকাশের বিষয়টি নিজস্ব সক্ষমতার পাশাপাশি পারিপার্শ্বিক অবস্থার উপরও অনেকাংশে নির্ভরশীল। অপরের উপরে নির্ভরশীলতা মানসিক বিকাশের ক্ষেত্রে একটা বড় অন্তরায়। যেসব ছেলে- মেয়েরা যত তাড়াতড়ি আত্মনির্ভরশীল হওয়ার সুযোগ পায়, তাদের মানসিক বিকাশও তত তাড়াতাড়ি সাধিত হতে দেখা যায়। শুধু তাই নয় শারীরিক, মানসিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমও থাকতে পারে। ক্ষেত্র বিশেষে এই বিকাশ সাধন এতই দ্রুততার সাথে হতে দেখা যায় যে তখন তা আর অন্য দশজন সাধারনের সাথে তুলনা করা চলে না। আমরা আয়শা (রাঃ) এর তুখোর স্মরণশক্তি ও মেধার কথা বিভিন্ন বর্ণনা থেকে জানতে পারি। হাদিছ বর্ণনা ও রাসূলের (সাঃ) ওফাতের পর বিভিন্ন সমস্যা সামাধানে তাঁর অসাধারণ বুদ্ধিমত্তা ও প্রাজ্ঞতার যথেষ্ট প্রমান তিনি রেখেছেন।

বিবাহিত জীবন শুরুর সময় আয়শা (রাঃ) এর প্রকৃত বয়স কত ছিল হাদিছ বর্ণনার ক্ষেত্রে বর্ণনাকারীর শব্দ প্রয়োগ জনিত ত্রুটি কিংবা বোঝার ভুলের কারনে বয়সের হিসেব-নিকেশ করতে গিয়ে কম-বেশি হতেই পারে। স্মরণশক্তি ও উচ্চারনগত ত্রুটি থাকা সত্বেও একজন অশীতিপর বৃদ্ধ হাদিছ বর্ণনাকারী হযরত আয়েশার (রাঃ) নাম নিয়ে কি কইলেন- সেই বক্তব্যকে সহী হাদিছের মর্যাদাই শুধু নয়, সেটার উপর ভর কোরে মুসলিম সমাজে সুন্নাত পালনের দোহাই তুলে শিশু তথা বাল্যবিবাহকে জায়েজ বানিয়ে দিতে হবে- এমনতর বিশ্বাসে গা ভাসিয়ে দেয়ার দলে আমি নেই। তাছাড়া ঐতিহাসীক তথ্যের সাথেও এই হাদিছের বক্তব্যের গড়মিল পাওয়া যায়।(What was Ayesha’s (ra) Age at the Time of Her Marriage?) তাই বিশ্বাস করার তো প্রশ্নই আসে না, বরং শিশু তথা বাল্যবিবাহর নামে এই ধরণের বেয়াকুফি নির্যাতন বন্ধের পক্ষেই আমি সোচ্চার থাকব। এতে কেউ আমার বিশ্বাস নিয়ে প্রশ্ন তুললে তুলতে পারেন। কিংবা কাফির ভাবলেও ভাবতে পারেন। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) যে বিবাহ করার মত শারীরিক ও মানসিকভাবে উপযুক্ত বয়স হবার পরই হযরত আয়শার (রাঃ) সাথে বিবাহিত জীবন শুরু করেন তাতে কোনই সন্দেহ নাই। অবিশ্বাসীরা এই বিষয়টি নিয়ে অবিবেচকের মত যেরূপ হাস্য-রস করে তা মোটেই যৌক্তিক নয়। রাসূলের (সাঃ) জন্য আয়শা (রাঃ) এবং তাঁর জন্য রাসূল (সাঃ) পারফেক্ট ছিলেন বলেই তো তাঁদের মাঝে বোঝাপরা ও পরস্পরের প্রতি সম্প্রীতি অত্যন্ত সামঞ্জস্যপূর্ণ ও মধুর ছিল। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত আয়শা (রাঃ) রাসূলের (সাঃ) পাশেই ছিলেন এবং তাঁর কোলে মাথা রেখেই রাসূল (সাঃ) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। সংসার জীবনে আপন জনের সাথে ছোট-খাট ভুল বুঝাবুঝি থেকে শুরু করে গুরুতর পরিস্থিতির সৃষ্টি হতেই পারে। রাসূল (সাঃ) ও আয়শার (রাঃ) মাঝে অত্যন্ত নীবিড় সম্পর্ক ছিল এবং তাদের জীবনেও এরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। মহান আল্লাহতায়ালা স্বয়ং রাসূলের (সাঃ) জীবনে এ ধরনের পরিস্থিতির অবতারনা করেছেন এবং ঐশী বাণী পাঠিয়ে পরোক্ষভাবে ইমানদার মানুষকে তার বাস্তব সমাধানও জানিয়ে দিয়েছেন।

মহান স্রষ্টা আল্লাহতায়ালা সর্বজ্ঞ। তিনি যা জানেন আমারা তা জানিনা। আর তিনি যতটুকু আমাদের জানাতে চান, ততটুকুই আমরা জানতে পারি। বিশ্বাসীদেরকে সৎপথে পরিচালিত করার জন্য মহান স্রষ্টা আল-কোরআনে মানুষের জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত বিবিধ বিষয় সম্পর্কে মৌল জ্ঞান দান করেছেন। এগুলো সঠিকভাবে মেনে চলার মধ্যেই মানবজাতির সর্বাঙ্গীণ কল্যাণ নিহিত রয়েছে।

Loading


মন্তব্য দেখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *