নির্বাসনে যাবো আমি নির্বাসন
দাও যদি জনারণ্যে কোলাহল
আমার পছন্দ নয় তবু আমি
মাথা পেতে নেবো সখি অগ্নিশিখা
জ্বলে জ্বলে হবো ছাই বিধাতার
সুনিপুন বলি আমি এক জিন্দালাশ ।
বাজাবো বাঁশের বাঁশি নির্বাসনে
মাথায় বাঁধবো ফিতা রক্ত লাল
হাতে তুলে দাও যদি ষোল তাল
বাঁশের বাঁশরি বধু তালে তালে
নাচবো কোমর দুলিয়ে আমি কৃষ্ণকলি
নিয়তির তীরাঘাতে এক জিন্দালাশ ।
মনে বড়ো সাধ ছিলো তুচ্ছ এই কৃষ্ণকলি
কৃষ্ণ প্রেমের জোয়ারে ভেসে যাবো
কৃষ্ণের ঝালর বাঁশি সুরে সুরে
এনে দেবে স্বর্গ সুধা দেহময়
অবাধ আলোর ঢেউ আমি সিংহ যেনো
লুটেপুটে খাবো সখি রসে ভরপুর রসগোল্লা ।
আমি নির্বাসনে যাবো দাও যদি
কড়িহীন নির্বাসন লোকালয়ে
অন্নহীন বস্ত্রহীন নিঠুরতা
দাও যদি খুশি মনে বৃষ্টি ভেজা
নরোম নরোম মাটি কাদা জলের আবাস ।
“অবাধ আলোর ঢেউ আমি সিংহ যেনো
লুটেপুটে খাবো সখি রসে ভরপুর রসগোল্লা”
স্বর্গ-সুধায় মিশে আসে যদি অমৃত রসগোল্লা
সংলাপে ঢেলে দিলে খাবো,
আত্মহারা হয়ে সবে,
আর বলে যাবো
আল-হামদুলিল্লাহ
আল-হামদুলিল্লাহ।
আমি অদেখা আলোর পথে এগিয়ে যাবার জন্য বসে আছি। জানি না কবে পাবো সেই আলোর সন্ধান।