[সবাই কী সুন্দর কবিতা লেখে। এ যেন তাদের কাছে একেবারে ডালভাত! শত চেষ্টা করেও আমার দ্বারা এ হেন কাজটি করা সম্ভব হয় না। ঈর্ষায় (নাকি হিংসায়?) জর্জরিত হয়ে তাই লিখেছিলাম একটা কিছু। অনেক আগে। শব্দনীড়ে অনেক কবিতা লেখা হয়। দেখে পুরাতন সেই ঈর্ষা জেগে ওঠে। সেই ঈর্ষা থেকেই আজকের এই পোষ্ট! শুধুই মজা করার জন্য – কাউকে আঘাত দেবার জন্য নয়।]
সকলেই কবি নয়, কেউ কেউ কবি, এ কথা বলেছে যে সে তো বোঝেনি
এ দেশের-বিদেশের সকলেই কবি, কবিতার ছড়াছড়ি, এখানে সেখানে।
দুর্বোধ্য অবোধ্য শব্দের গুচ্ছগুচ্ছ সমাহারে প্রকাশিত অজস্র কবিতার খনি
অজানা অচেনা, শ্লীল অশ্লীল ভেদাভেদহীন সাম্যবাদের ছন্দহারা মিল!
আছে দ্বন্দ্ব আছে ধন্দ, আছে বিষাদ আছে আনন্দ, অর্থহীন রহস্য অপার,
যাহার যা আছে মনে, অর্থ করি লহ তেমনে, কবি নিজে অপারগ সেথা,
মুচকি হেসে গোঁফের আড়ালে, কবি তাহার কবিতার আড়ালেতে থাকে
পাঠকেরা অর্বাচীন, কেহবা জ্ঞানহীন না-বুঝে বৃথা তর্ক বৃথা মাতামাতি।
সুন্দর-অসুন্দরে, সুরে আর অসুরে অসম লড়াই আর বাদ-প্রতিবাদে
তৃণদল চূর্ণ হয় ধরনীতে মিশে যায়, তাহে কারো কিছু নাহি যায় আসে,
সাম্প্রতিক প্রতীকপূর্ণ কবিতার হাহাকারে দিশাহারা পাঠকের আমি একজন;
কবিদের কহিব কিছু হেন ভাষা জানা নাই, ভাবি শুধু কবিতার মর্ম যেন কী?
অকথ্য কুকথ্য শব্দ কবিদের আরাধ্য, যত সব সুবাধ্য বালকের মত
শতে শতে হাজারে ভিড় করে কবিতায়, কবিদের অন্তরে যেথা আছে যত।
কোন কোন কবিতায় খুঁজে না-পাইয়া ঠাঁই, শরমে-মরমে নত হয় শির,
হুদার বেহুদা কথা দেয় যদি কারে ব্যথা, আগে-ভাগে ক্ষমা চাই শত!
২৩ এপ্রিল ২০১১, চতুর্মাত্রিক ব্লগে প্রকাশিত।
ভাল লেগেছে।
চেষ্টা করলে মানূষ অনেক কঠিন কাজই করতে পারে। আপনার সফলতা কামনা করি।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ মহিউদ্দিন ভাই।
ভালো থাকুন।
কবি হওয়া কঠিন কাজ…
যারা এই কাঠিন্যকে জয় করতে পারে তারাই ধন্য!
শুভ কামনা, ভাই হাসান।
মারহাবা! স্যার মারহাবা! খুব ভাল লিখেছেন। ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ, মুনিম ভাই।