বুধবার সংসদ অধিবেশনে পদ্মা সেতু নিয়ে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বেশ উত্তেজিত কণ্ঠেই বলেন, ‘আমি, আমার ছোট বোন এবং আমাদের পাঁচ ছেলেমেয়ে ছাড়া আমার আর কোনো পরিবার নেই। এর বাইরে আমার কেউ নেই।’ ‘আমাদের নাম ভাঙিয়ে কেউ সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করলে আমাকে জানাবেন’_ এ কথা বলে নিজের দুটি মোবাইল ফোন নম্বর (+৮৮ ০১৭১১৫২০০০০ ও +৮৮ ০১৮১৯২৬০৩৭১) এবং ই-মেইল ঠাকানা: [email protected] জানিয়ে দেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমরা ক্ষমতায় এসেছি কমিশন খাওয়ার জন্য নয়। আমার পরিবারের সদস্যরা কমিশন খায় না।’
বোবার শত্রু নেই, এ কথা আমি বিশ্বাস করি। ফোন নম্বর চাই না কারো, কোন কিছু জানলেও কাউকে কিছু বলবো না। চুপ, একেবারে চুপ!
ঠাকুর ঘরে কে রে আমি কলা খাইনা। পরে কল করে আর মেইল করে বিপদে পড়ার জন্য?
প্রধান মন্ত্রীর এ আশা পুর্ন হউক সে কামনা করছি।
“প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, যেখানে তারা এক পয়সা ছাড় দেয়নি, সেখানে দুর্নীতি হলো কী করে? বরং এর পেছনে কারা আছে, তাদের কী উদ্দেশ্য, তা খোঁজ নেওয়া দরকার। তিনি বিশ্বব্যাংকের বিরুদ্ধে পাল্টা দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বলেন, ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল ও ফোর্বস ম্যাগাজিনের প্রতিবেদন পড়ে দেখা হোক। তাহলেই আসল দুর্নীতি কোথায় আছে, তা জানা যাবে।
গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তরে স্বতন্ত্র সাংসদ ফজলুল আজিমের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। পদ্মা সেতু নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন বাতিল করার পর প্রধানমন্ত্রী প্রথমবারের মতো প্রতিক্রিয়া জানালেন। শেখ হাসিনা এ সময় বলেন, ‘পদ্মা সেতু আমরা নির্মাণ করব। প্রয়োজনে নিজেদের অর্থায়নে করব।”
প্রধান মন্ত্রীর এ আশা পুর্ন হউক সে কামনা করছি। তবে ফোন করতে যাবনা গুম হওয়ার ভয়ে। “ঘরে থাকলে খুন বাহিরে গেলে গুম!” দেশের এ দুরাবস্থা আগে ঠিক করা দরকার।