বসন্তের আগমনী বার্তা নিয়ে নাকি গাছে গাছে উঁকি দেয় নতুন পাতা। আবহমান বাংলার প্রকৃতিতে নাকি ফাগুনের ছোঁয়া লাগে। ইট-পাথরের কর্মব্যস্ত নাগরিকের জীবনেও নাকি বসন্ত ছন্দ তোলে মৃদু হিল্লোলে। বসন্ত আগমন নাকি কিছুক্ষণের জন্য হলেও মানুষের মনে দোলা দিয়ে যায়।
কিন্তু আজ ফাগুনের ১৮টি দিন চলে গেলেও কোথাও তো রাশি রাশি ফুল ফুটতে দেখছিনা! গাছে গাছে নতুন কোন পাতা গজাতে দেখছিনা! শুধু আম গাছ গুলোতে মুকুল এসেছে ! আর যে গাঁদা ফুল গুলো দেখা যাচ্ছে সেগুলো তো শীত ঋতুর ফুল! তবে মাঝে মাঝে কোকিলের কুহূ কুহূ ডাক শুনা গেলেও বাঁশের বাঁশীর সুর তো গ্রামে গঞ্জে শুনা যায় না। এখন চারিদিকে হিন্দি গানের চিৎকার শুধু কানে আসে। তা শুধু বসন্তে নয় ষড় ঋতুতেই কানে আসে।
আসলে কবি যে কোথায় তার চারিপাশে এত রাশি ফুল দেখে মুগ্ধ হয়ে গান লিখে ফেলেছেন তার সাথে আমার দেখা ফাগুন মিলছে না। যতই বসন্ত বসন্ত করে নেচে গেয়ে বসন্তকে বরণ করেন না কেন আল্লাহ যদি কৃপা করে জমিনে বৃষ্টি না ঝরান তা হলে কার সাধ্যি আছে গাছে গাছে ফুলও ফুটবার, পাতাও গজাবার! এখন যেমন প্রাকৃতিকে কেমন অবসন্ন মরা মরা দেখাচ্ছে সে ভাবেই দেখাবে। এই বসন্তে মাটি ফেটে চৌচির হয়ে যায় – কৃষকের বুক ফাটা আহাজারি শুনা যায়- আল্লাহ মেঘ দে পানি দে- ছায়া দে —— হালের গরু বাইন্দা কৃষক মরে কাইন্দা— edmedicom.com!!!!
বনের ফাগুনে হয়তো আগুন এখনও আসে নাই, কিন্তু কারো কারো যে মনের ফাগুনে আগুন লেগেছে তা হয়তো অস্বীকার করা যাবেনা। তাই তো কপোত কপোতীরা গান গায়- তোমারও জীবনে এলো কি ফাগুনে নতুন কোন অভিসার!—- এসো পাশাপাশি বসি কানে কানে কথা কই!!! তাই তো আরেক আধুনিক কবি বলে উঠেছেন – ফুল ফুটুক বা না ফুটুক আজ বসন্ত!
তবে ফাগুনে আগুন লাগার জন্য রাশি রাশি ফুলের বন্দনা না করে পলাশ আর শিমুলের বন্দনা করা উচিত, কারন এই দুই ফুল কবির গানকে পূর্ণতা জ্ঞাপন করে। পলাশ আর শিমুল ফুটার মধ্য দিয়ে বিবর্ণ ঋতু শীতকে খোদা হাফেজ জানিয়ে শুরু নতুন বর্ণিল প্রকৃতির।
[youtube]http://www.youtube.com/watch?v=J3_Q45X2dR8[/youtube]
বসন্ত ছুয়েছে হৃদয়
আজি জাগ্রত বসন্ত-দ্বারে…..আহ——চমতকার দৃশ্যের বর্ননা…………ধন্যবাদ ।
আপনাকে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
খুব ভাল লাগল ২২বছর হয় বসন্ত দেখি নাই আপনাকে ধন্যবাদ।
ঋতুরাজ বসন্তের এর উপর কি চমৎকার একটি লেখা লিখেছেন! আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।
পড়ার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।
পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
সরসিজ আলীম ভাই,
সংলাপ ব্লগে স্বাগতম। আশা করি আপনার কাছ থেকেও লিখা দেখতে পাব আমরা। ভাল থাকেন।
ধন্যবাদ
আমারও সেই দাবি আসুন লিখুন,
বাহ! সুন্দর।
ধন্যবাদ ভাই।
Thanks a lot for your great contribution.
অনেক ধন্যবাদ।
“যতই বসন্ত বসন্ত করে নেচে গেয়ে বসন্তকে বরণ করেন না কেন আল্লাহ যদি কৃপা করে জমিনে বৃষ্টি না ঝরান তা হলে কার সাধ্যি আছে গাছে গাছে ফুলও ফুটবার, পাতাও গজাবার!” একদম ঠিক কথা 🙂
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
সুন্দর একটি theme পছন্দ করেছেন। পড়ে ও ফটো দেখে কিছু আফসোস আসল। যদি সম্ভবত হত আর একটি পূর্ণ বৎসর গ্রামের কোথাও গিয়ে কাটাতে পারতাম, তবে কত না তৃপ্ত হতাম। কিন্তু হায়! সেটা আর হবে বলে মনে হয় না।
কেন হবেনা ভাই! ইচ্ছা থাকলে উপায় বের হয়ে যাবে। আসল ব্যাপার ইচ্ছা! আরামে আছেন ভাল ভাল ফ্রেস জিনিস খাবার খাচ্ছেন। বাচ্চাদেরকে ভাল লেখাপড়া করাতে পারছেন। সেই সূখ ছেড়ে কি কেউ দুর্যোগের দেশে আসে! আপনার ভাবিও সেই কথা আমাকে বলে- তোমাদের লোক যারা এই দেশে জন্মেছে তারা একবার ইউরোপ আমেরিকা গেলে তারা কেন আর ফিরে আসেনা! আর আমাকে তুমি বাধ্য করছ এই দেশে থেকে যেতে!
তবে সময় সূযোগ করে একবার অন্ততঃ আসেন। আপনাকে দেখে মনে ইচ্ছা পূর্ণ করি। দেশে আসলে আমি আপনার হোস্ট থাকব ইনশাল্লাহ!