পাপনের হাতে দাফন : আওয়ামী অন্ধকারে বাংলাদেশ

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীকে নিয়ে ছবি বানিয়েছিলেন আনন্দ। ছবির নাম ছিল ‘বাঘা বাঙালী’। ছবিতে কাদের সিদ্দিকীর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন আনোয়ার হোসেন। এটা ‘৭৩ সালের কথা। তখন মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ছবি তৈরি করার একটা জোয়ার এসেছিল। এই জোয়ার থেকেই আমরা পাই ওরা ১১ জন, অরুণোদয়ের অগ্নিসাক্ষী, মেঘের অনেক রং, আমার জন্মভূমি, রক্তাক্ত বাংলা ইত্যাদি ছবি। সেই সময় মুক্তি পায় ‘বাঘা বাঙালী’।

আমরা দল বেঁধে এই ছবিটি দেখতে গিয়েছিলাম। কারণ তখন কাদের সিদ্দিকী অনেক ক্ষেত্রে ছিলেন রূপকথার নায়কের মতো। কিন্তু বলতে বাধা নেই ছবি দেখে হতাশ হয়েছিলাম। ছবির মূল চরিত্র কাদের সিদ্দিকী এবং তার কয়েকটি যুদ্ধের দৃশ্য বাদ দিলে পুরো ছবিটাই নির্মিত হয়েছিল বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে। ফলে নাচ, গান, মাতলামি, মারামারি, ধর্ষণ ইত্যাদি দৃশ্যের ব্যবহার ছিল মাত্রাছাড়া। ফলে শৈল্পিক দিক থেকে এ ধরনের ছবিকে নাম্বার দেয়া মুশকিল।  আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট, আমাদের স্বাধীনতার ধারাবাহিক ইতিহাস, সংস্কৃতি, জীবনাচার মানবতাবোধ, মুক্তিযুদ্ধের মহত্ত্ব এগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ওইসব ছবিতে উপেক্ষিত হয়েছিল।

এর মধ্যে আওয়ামী লীগের সোনার ছেলেদের, নেতাদের, কর্মীদের লোভের লালসায় বিষময় হয়ে উঠে বাংলাদেশ। সদ্য স্বাধীন একটি দেশে শাসক দল মেতে উঠে চুরি, দুর্নীতি, ডাকাতি, লুণ্ঠন, দখল, টেন্ডারবাজি, পারমিটবাজিতে। চালু হয় ‘জোর যার মুল্লুক তার তন্ত্র’। অত্যাচার নির্যাতনে নাভিশ্বাস উঠে মানুষের। ৩০ থেকে ৪০ হাজার ভিন্নমতাবলম্বী নিহত হয় আওয়ামী লীগের লালবাহিনী, রক্ষীবাহিনী ইত্যাদির হাতে। নিহত হয় বাংলাদেশের চে গুয়েভারা কমরেড সিরাজ সিকদার। নাসিম বাহিনীর হাতে নিহত হয় সিরাজগঞ্জের কমরেড তারাসহ হাজার হাজার বামপন্থী কর্মী ও নেতা।

আওয়ামী লীগ সে সময় গোঁয়াড়ের মতো নিজেদের গদি ও লুণ্ঠিত সম্পদ রক্ষার জন্য এগিয়ে যায় একদলীয় বাকশালের পথে। নিষিদ্ধ হয় সব দল। ৪টি নিয়ন্ত্রিত পত্রিকা বাদে বন্ধ করে দেয় সব সংবাদপত্র। এগুলো সবাই কমবেশি জানেন।  তো সেই সময় আওয়ামী লুটেরাদের মানুষ করার জন্য খান আতাউর রহমান নির্মাণ করেছিলেন তার বিখ্যাত ছবি ‘আবার তোরা মানুষ হ’। ছবি সুপার হিট হয়েছিল।

কিন্তু মানুষ হয়নি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরাট অংশ। তারা মানুষ হয়নি বলেই সেই তাদের হাতে পড়ে এখন বাংলাদেশ আবার দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে ‘৭২-৭৫-এর দিকে। আবার প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সেই নৈরাজ্য। সেই দুঃশাসন। ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস। সেই ‘৭২-৭৫-এর মতোই এখন আওয়ামী লীগ ছাড়া দেশসুদ্ধ লোক রাজাকার। অর্থাৎ আওয়ামী লীগ করে এমন যদি ৫০ লাখ ধরি, আর তাদের বেনিফিশিয়ারি ১ কোটি ধরি তাহলে দাঁড়াচ্ছে বাকি সাড়ে ১৪ কোটি লোক রাজাকার। ফলে এই সাড়ে ১৪ কোটি লোকের ওপর যেন যা খুশি তাই করার অধিকার শাসকদের আছে। তারা যদি বলে সূর্য আজ পশ্চিম থেকে উঠবে, তাহলে দেশের লোকদেরও তাই বলতে হবে। নইলে তারা রাজাকার, জঙ্গি, মৌলবাদী বলে চিহ্নিত হবে।

এই রকম অবস্থায় কাদের সিদ্দিকীর মতো বীর মুক্তিযোদ্ধা মুখ না খুলে পারছেন না। কাদের সিদ্দিকী সম্পর্কে আরেকটু বলে রাখি, শেখ মুজিব নিহত হওয়ার পর মাত্র একজন মানুষ বিদ্রোহ করে দেশ ছেড়েছিলেন। নিজের মতো করে তিনি প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেছিলেন। তার সে পথ ও প্রক্রিয়া নিয়ে আমাদের ভিন্নমত আছে। কিন্তু একথা তো সত্য, আজ যারা আওয়ামী লীগ চালাচ্ছে তাদের অনেকেই শেখ মুজিবের চামড়া দিয়ে জুতা বানানোর স্বপ্ন দেখতেন। বাকিরা গর্তে লুকিয়েছিলেন। সেই সময় একমাত্র কাদের সিদ্দিকী ছাড়া আর কাউকেই পাওয়া যায়নি মাঠে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় সত্যিকারের আওয়ামী লীগারদের, সেই কাদের সিদ্দিকীকে দল থেকে বাইরে ঠেলে দিয়েছে তারা।

আর জুতাওয়ালারা শেখ মুজিবের ছবি মাথার ওপর ঝুলিয়ে মজাছে রাজত্ব করে খাচ্ছে।  যা হোক, সেই বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর মতো মানুষও আজ মুখ না খুলে পারছেন না। আওয়ামী লীগের কাণ্ডকারখানা দেখে তিনি শঙ্কিত। তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা দেখে তার কপালে ভাঁজ পড়েছে দুশ্চিন্তার। তিনি বলতে বাধ্য হয়েছেন : ‘আগামীতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে মসজিদে গান-বাজনা ও বাদ্যযন্ত্র বাজবে। বাংলাদেশের সংবিধান থেকে আল্লাহ ও রাসুলের নাম বাদ দেয়ায় আমি ছাড়া কেউ প্রতিবাদ করেনি। যদি রাষ্ট্র চালাতে হয় সংবিধানে আল্লাহ ও রাসুলের নাম পুনর্বাহল করতে হবে। শাহবাগে যারা আল্লাহ ও রাসুলের বিরুদ্ধে কথা বললো তাদের তিন মাসব্যাপী পোলাও-কোরমা খাওয়ানো হয়েছে। কিন্তু হেফাজতের কর্মীদের একদিনও খোলা আকাশের নিচে থাকতে না দিয়ে তাদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালানো হয়েছে। শেখ হাসিনা যদি প্রধান নির্বাচন কমিশনার হয়েও আগামী নির্বাচন দেন; তবুও তার দল ৩০টির বেশি আসন পাবে না।’

এই অবস্থায় কেয়ারটেকার সরকারের দাবিকে গায়ের জোরে পাশ কাটিয়ে শাসকরা বিরোধী কণ্ঠ দলনের জন্য নিষিদ্ধ করে দিয়েছে সভা-সমাবেশ। বন্ধ করে দিয়েছে আমার দেশ। কারারুদ্ধ করা হয়েছে সত্যনিষ্ঠ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে। বন্ধ আজ দিগন্ত টিভি, ইসলামিক টিভি। হাজার হাজার নেতাকর্মীকে জেলে পাঠানো হচ্ছে। মামলার পাহাড়ের নিচে চাপা পড়ে হাঁসফাঁস করছে দেশ। কিন্তু শাসকরা আছে মহানন্দে। তারা নির্বিকার। গায়ে মাখতেই চাইছে না জাতির আহাজারি। এই রকম মরিয়া অবস্থায়ই সাধারণত বিপদ নেমে আসে স্বৈরশাসকদের ওপর।

দুই  একজন বয়স্ক লোক বলেছিলেন, বাপুরে তোমরা তো জান না আওয়ামী লীগ মানেই দুর্যোগ। আওয়ামী লীগ মানেই দুঃসময়। এখন থেকে ১৪শ’ বছর আগে পৃথিবীতে এসেছিল আইয়ামে জাহেলিয়াত। আর ১৪শ’ বছর পর বাংলাদেশের ঘাড়ে চেপেছে আওয়ামী জাহেলিয়াত। আইয়ামে জাহেলিয়াত থেকে মানব জাতিকে উদ্ধার করার জন্য পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়েছিলেন আখেরি নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)। আমাদের কপাল খারাপ আর কোনো নবী পৃথিবীতে আসবেন না। ফলে এই আওয়ামী জাহেলিয়াত থেকে আমাদের উদ্ধারের কোনো আশা আপাতত দেখি না।

ফলে বাংলাদেশের ভাগ্যাকাশে ঘনিয়ে উঠেছে দুর্যোগের মেঘ। এই দুর্যোগের ভয়াল তাণ্ডবে এরই মধ্যে আমাদের রাজনীতির ওপর দিয়ে বইছে ১২ নম্বর মহা মহা বিপদ সঙ্কেত। চুরমার হয়ে গেছে রাজনীতির ছিরিছাদ। ধ্বংস হয়ে গেছে সব সামাজিক ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ। জীবন থেকে উধাও হয়ে গেছে নীতি-নৈতিকতা, আইন ও বিচার। যা আছে তার নাম দুর্নীতি। অনৈতিকতা, আইনহীনতা ও অন্ধকার। শত শত ফুট ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছে আমাদের সব অর্জন ও স্বপ্ন।

আওয়ামী তাণ্ডবে ডুবে মরেছে পদ্মা সেতু। ডুবেছে সোনালী ব্যাংক। ডুবেছে শেয়ারবাজার। ডুবেছে মানবাধিকার। বাকি ছিল শুধু খেলাধুলা। সেখানেও লেগেছে আওয়ামী জাহেলিয়াতের বিষাক্ত ছায়া। ফলে ডুবে যাচ্ছে ক্রিকেট। আইসিসির অ্যান্টি করাপশন অ্যান্ড সিকিউরিটি ইউনিট (আকসু) হাঁড়ি ভেঙে দিয়েছে হাটে। নাকি আকসুকে দিয়ে অন্য কেউ হাঁড়ি ভাঙিয়েছে তা আমরা জানি না। কিন্তু বেটিং কেলেঙ্কারি, ম্যাচ ফিক্সিংয়ের ঘুষের ধোঁয়ায় বাংলাদেশের ক্রিকেট এখন কালিমা মলিন। শুধু যে আশরাফুল তাই নয়। আসলে ডুবতে বসেছে বাংলাদেশের ক্রিকেট। লজ্জায় মাথা নত করে আছে আমাদের অহঙ্কার। আমাদের জাতীয় স্মৃতিসৌধ, আমাদের শহীদ মিনার, আমাদের সিনা টান করা মসজিদের মিনারগুলো।

আমাদের সাবেক রাষ্ট্রপতি মরহুম জিল্লুর রহমানের পুত্র পাপনের হাতেই কি ক্রিকেটের দাফনকর্ম সমাপন হবে? এজন্যই কি পাপন বাবাজীকে এখানে আনা? এ প্রসঙ্গে দৈনিক ইনকিলাবে ক্রীড়া সাংবাদিক রেজাউর রহমান সোহাগের প্রতিবেদন ‘আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের জালে বাংলাদেশের ক্রিকেট’ অনেকেরই মনোযোগ কেড়েছে।

তিনি তার প্রতিবেদনে যা বলেছেন তার মোদ্দা কথা হলো : ‘এর আগেও বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে ষড়যন্ত্র হয়েছে, বাংলাদেশকে টেস্ট এরিনা থেকে বাদ দেয়ার চক্রান্ত কম হয়নি। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল যখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রতিদ্বন্দ্বী দলে আবির্ভূত, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড যখন সাংগঠনিক দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছে, ২০১৪ টি-২০ বিশ্বকাপে সেরা আয়োজনের স্বীকৃতি পেতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, তখনই বাংলাদেশের ক্রিকেটের গায়ে কলঙ্ক লেপনে গভীর ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করা হয়েছে। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) স্পট ফিক্সিং, ম্যাচ ফিক্সিং ইস্যু যখন সারাবিশ্বে নিন্দার ঝড় তুলেছে, বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই’র কর্মকর্তাদের জড়িত হওয়ার খবর মিডিয়ার কল্যাণে জানছে ক্রিকেটপ্রেমীরা, তখন ওই ঘটনা থেকে চোখ ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশের ক্রিকেটের গায়ে কলঙ্ক লেপনে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যোগ হয়েছে স্থানীয় একটি স্বার্থান্বেষী মহল।

আইপিএলের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আসর হিসেবে বিপিএলের স্বীকৃতিকে মানতে পারছে না এই চিহ্নিত শ্রেণী। বিসিবি বিপিএল অব্যাহত রাখলে আইপিএলের বিপণন এবং প্রচার-প্রচারণায় আঘাত আসে বলেই প্রতিবেশী দেশের এই আসরটি ভারত মেনে নিতে পারছে না শুরু থেকেই। কৌশলে বিপিএলের গায়ে কালিমা লেপন করে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে ওঠা এই আসরকে বন্ধ করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে একটি স্বার্থান্বেষী মহল।

বাংলাদেশ প্রমিয়ার লিগে (বিপিএল) ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ যখন তদন্তাধীন, আইসিসি’র দুর্নীতি দমন বিভাগ আকসু’র রিপোর্ট হাতে পাওয়ার আগেই রঙ মাখিয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে কলুষিত করার অপচেষ্টা করছে একশ্রেণীর স্বার্থান্বেষী মহল। ঘরোয়া টি-২০ ক্রিকেট বিপিএলে জুয়াড়িদের সঙ্গে সন্দেহভাজন ক্রিকেটারদের সখ্য, অবৈধ অর্থের লেনদেন নিয়ে যখন সারাদেশ উদ্বিগ্ন তখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের তিনটি ম্যাচের গায়ে স্পট ফিক্সিংয়ের কলঙ্ক দিয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটের ভাবমূর্তি ভূলুণ্ঠিত করা হয়েছে।’

রেজাউর রহমান সোহাগের লেখাটি পাঠ করে যে কেউ উদ্বিগ্ন না হয়ে পারবেন না। আরও যেটা উদ্বেগের তা হলো, আন্তর্জাতিক তদন্তে বাংলাদেশের কোনো খেলোয়াড়ের নাম না থাকা সত্ত্বেও কোনো কোনো গণমাধ্যম ৮ কলাম, ১০ কলাম সংবাদ ছাপিয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটের আজিমপুর যাত্রাকে নিশ্চিত করতে চেয়েছে। যেন এটা একটা মহা আনন্দের খবর। শাহবাগ নিয়ে যেভাবে পাছার কাপড় মাথায় তুলে আক্কেল হুঁশ হারিয়ে উদ্বাহু নৃত্য করেছে অনেক গণমাধ্যম, তেমনি ক্রিকেটকে ডোবানোর জন্যও কেউ কেউ পাগল হয়ে গেছে। তবে এইসব প্রতিষ্ঠান ঠিক পাগল নয়—এগুলো হলো ধান্ধাবাজ পাগল। এই ধান্ধাবাজদের নিয়োগ দেয় আধিপত্যবাদ।

দুর্ভাগ্যের বিষয়, এই পাগলদের শায়েস্তা করার দায়িত্ব যে সরকারের, সেই সরকারই এদের পৃষ্ঠপোষক। কারণ বাংলাদেশের ক্রিকেট ধ্বংস করার জন্য যারা ষড়যন্ত্র করছে তাদের স্বার্থ রক্ষার ‘মহান দায়িত্ব’ নিয়েই তো ক্ষমতাসীন হয়েছে আমাদের মহামহিম সরকার। সঙ্গত কারণেই সেই তাদের পায়ের ওপরই তো পড়ে আছে আমাদের সরকারের মস্তকগুলো। তাছাড়া এই সরকারের অনেকের জন্যই তো পাবনার হেমায়েতপুরের অনেকগুলো প্রকোষ্ঠ অপেক্ষা করে আছে। তো সমস্যার সমাধান করবে কে? আমরা বলছি না যে যারা অন্যায় করেছে তাদেরকে মাফ করে দিন। আমরা বলছি দু’একজনের দোষে বাংলাদেশের পুরো ক্রিকেট জগিটকেই কেন কবরে পাঠাতে হবে? পাঠাতে হবে, কারণ আমাদের প্রতিবেশী বাংলাদেশের ক্রিকেটকে পছন্দ করছে না।

তারা যেভাবে আমাদের পোশাক শিল্পকে ধ্বংসের চেষ্টা করছে, তারা যেভাবে আমাদের টেক্সটাইল শিল্পকে ধ্বংস করেছে, তারা যেভাবে আমাদের কৃষিকে নির্বংশ করার জন্য অস্থির হয়ে আছে, যেভাবে এদেশে প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছে ‘দালাল উৎপাদন কেন্দ্র’—সেভাবেই বাংলাদেশের উদীয়মান ক্রিকেটের ওপর হামলে পড়েছে শকুনরা।

এই শকুনদের লালন-পালন ও তাদের পথ দেখিয়ে এগিয়ে নেয়ার জন্য উদ্যোগের অভাব নেই কোথাও। এই অবস্থায় আওয়ামী লীগের আমলে আমাদের আরও একটি গর্বের উইকেটের পতন আসন্ন হয়ে উঠেছে। আর আরও ঘন হয়ে জাতির হৃিপণ্ডের ওপর চেপে বসছে আওয়ামী অন্ধকার। অথচ কোথাও কাউকে দেখি না।

Loading


Comments

পাপনের হাতে দাফন : আওয়ামী অন্ধকারে বাংলাদেশ — 1 Comment

মন্তব্য দেখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *