সমাজ বদলের যোদ্ধাগণ জানি না কেনো নিস্পৃহ
এতোদূর হেঁটেও তারা ফিরে যায় আদিবৃত্তে
পরাজয়ের গ্লানি কুঁড়ে কুঁড়ে খায় শিল্পিত নগর
তাদের চেতনা জুড়ে নেই ঢেউয়ের মাতন
রক্তে ফোটে না আগুনের ফুলকি
টগবগ টগবগ।
এখন তারা পুজো দেয় নারীর কৌশলে
চোখের জলে ভেসে যায় পুস্পিত চাতাল।
বিপ্লবের বহিৃশিখা কোন কোন যোদ্ধা ব্যস্ত এখন
রাজ দরবারে
দুচোখ বুজে হাপুস হুপুস খায়
গরম গরম মাংস রুটি।
দেখেও দেখে না তারা রাজ দরবারে
আসে যায় পঞ্চপান্ডবের বংশধর
লুটেরা বাহিনী
মাথায় বেঁধে লাল পট্টি
বিনা বাধায় লুটে নেয়
আম জনতার অধিকার।
টগবগে যুবক তোমরা কেনো
নেশায় বিভোর হয়ে হাঁটছো আঁকা বাঁকা পথে
তোমরা কি জানো না তোমাদের শিরায় শিরায়
বিজলী চমকায় অবিরাম যুদ্ধের দামামা বাজে?
কতোকাল আর বুঁদ হয়ে থাকবে নেশায়
জেগে ওঠো কমরে বাঁধো গামছা মাথায় লাল পট্টি
দেহ মনে সৃষ্টি করো বিজলীর ঝলকানি তড়িৎ গতিতে
দুহাত তোল শুন্যে বন্ধুগণ
তোমরা তো জানো তোমাদের মুঠোয় মুমূর্ষু পৃথিবী
কাঁপছে থরথর
বাজাও বাঁশি সুরে সুরে একটু ঝাঁকুনি দাও
আম জনতা তোমাদের প্রতীক্ষায় গুনছে প্রহর।