কাক ডাকা ভোর থেকে মধ্যরাত
অনেক দূর ঁেহটেছি হেঁটে হেঁটে ক্লান্ত
তবু যাওয়া হলো না নদীর ভূবনে ।
চাতাল পেরিয়ে কুয়া ক্ষয়ে যাওয়া
এবরো থেবরো পাড় মাঝখানে
ঝোপ জঙ্গলে ঢাকা দাদীর কবর ।
সামনে এগোলে পথ ডানে জলাশয়
বামে বিবর্ণ মাঠ খরায় চৌচির
মাঠের বুক চিরিয়া দন্ডায়মান
এক কালি মন্দির নির্জন প্রহর কাটায় ।
মন্দিরের গা ঘেঁষে সতিনের পুকুর
আউলা বাতাসে তোলে রক্তের ঝড় ।
কালো জলে টলমল সতিনের পুকুর
পেছনে ফেলে এগোলে ভেলুয়ার গাং ।
গাঙ্গের পাড় ধরে উত্তর দক্ষিণে
আঁকাবাঁকা রাজপথ। পথের শেষে
রূপালী নদীর ঘর তার আপন ভূবন ।
ভূবনের সীমানায় নদীর ছায়া
নিশিদিন মেতে রয় ডাংগুলি খেলায় ।
অনেক দূর হেঁটেছি তবু হলো না যাওয়া
নদীর ছায়া মাড়িয়ে নদীর ভূবনে ।
উঠোন পেরিয়ে কুয়া শান বাঁধানো ঘাট
আঁকাবাঁকা রাজপথ মাড়িয়ে
বাজুতে পরেছি বড় রুপার মাদুলী
তবু হলো না যাওয়া নদীর ভূবনে ।