মাহমুদুর রহমানের অপরাধ?

ফেইসবুক এবং ব্লগের প্রচার প্রভাবকে যারা খাটো করে দেখেন তারা যে বর্তমান জগতের বাস্তব অবস্থার পিছনে পড়ে আছেন তা না বললেই চলে। তবে বর্তমান  প্রযুক্তির উৎকর্ষের এ জগতে ইন্টারনেট ও সামাজিক নেটওয়ার্কে তথ্য প্রবাহের প্রভাব যে কত বেশী তা কেউ না বুঝলেও পৃথিবীর স্বৈরাচারীরা ঠিকই বুঝে। চোর যেমন নীরবতা ও অন্ধকারের পরিবর্তে শব্দ ও আলো ভয় পায় তেমনি অত্যাচারীরা ভয় পায় জনতার আওয়াজ। তাই মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও অবাধ তথ্য প্রবাহের সুযোগ তারা বন্ধ করতে চায়।

বাংলাদেশ এক ভয়ানক অন্ধকার সময় পার করছে। আর এই অন্ধকার সময়ে এদেশর প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের ভূমিকাকে ইতিহাস কিভাবে মূল্যায়ন করবে?  ইতিহাস কি লিখতে পারবে যে  তিনিই বাংলাদেশে অন্ধকার সময়ের সূচনা করেন নাই?  এটাও কি লেখা হতে পারে যে এই সময়ে জঘন্য জঘন্য অপরাধ করার পরিণতিতে এক সময় যে তাঁর কিংবা তাঁর দলের অনেকের শাস্তি হতে পারে তা তারা ভাবতেও পারেননি ক্ষমতার দাপটে?

একটা সরকার গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত হয়ে গেলেই যে গণতান্ত্রিক সরকার হয় না। বৃক্ষের যেমন পরিচয় তার ফলনে তেমনি একটা সরকার গণতান্ত্রিক কি না তা প্রকাশ পায় বিশেষকরে বিরোধী মতের লোকদের তথা বিরোধী দলের প্রতি তার আচরণ দেখে।

নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষণে দেখা যায় বাংলাদেশের মানুষ এখন নাস্তিকতা ও তাদের  পৃষ্টপোষক একদলীয় শাসন ব্যবস্থার নেশায় পাগল এক সরকারের বিরুদ্ধে সংগ্রামে লিপ্ত। মানুষ যখন তাদের ন্যায্য অধিকার, ন্যায় বিচার ও দুর্নীতিমুক্ত একটি শাসনব্যবস্থার দাবী তুলছে তখন সরকার পক্ষের যুক্তি হচ্ছে জনগণের এসব গণতান্ত্রিক দাবীর উদ্দেশ্য হচ্ছে “যুদ্ধাপরাধের” বিচারকে ব্যাহত করা!

সরকার তাদের বিরোধী একদল মানুষকে যুদ্ধাপরাধীর আসামি করে নিজেদের ইচ্ছামত বিচারক নিয়োগ করে ট্রাইবুন্যাল করে মানবতাবিরোধী একতরফা বিচারের নামে যে অবিচার করছে যা এখন দেশে বিদেশে সবাই বলছে। কিন্তু তা মানতে রাজি না ক্ষমতাসীন সরকার এবং এদেশের কিছু বাম রাম পন্থিরা!। তাদের এই একতরফা বিচারের নামের অবিচারের সাথী হয়েছে এক দল মানবতা বিরোধী ও ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিকেরা। পরিতাপের বিষয় হল এসব কিছুই করা হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে অপব্যবহার করে ও সরকারের প্রকাশ্য মদতে! তবে তা এখন দেখতে পাচ্ছেন সবাই শুধু মাত্র মানসিক প্রতিবন্ধীরা ছাড়া। তাই ন্যায্য বিচারের কথা বললেই চিহ্নিত করা হয় স্বাধীনতার বিরোধী পক্ষের শক্তি বলে। প্রশ্ন হচ্ছে স্বাধীনতার ৪১ বছর পর আজ যেখানে প্রয়োজন সামনে চলার সেখানে এখন স্বাধীনতার পক্ষে বিপক্ষের কথা তুলে বিভেদ বিভাজন তৈরি করে কি দেশের উন্নয়ন ও শান্তিপূর্ণ সহ অবস্থানের পরিবেশ সৃষ্টির সহায়ক হবে? তবে সব কিছুর একটা সীমা থাকা দরকার তা না করে সরকার যখন অগণতান্ত্রিক চরম ফ্যাসিবাদী পদে পা দিয়েছেন তখনই শুরু হয়েছে গণবিস্ফোরন। ফলাফল ক্রমাগত হরতাল আর গাড়ীতে আগুন। মানুষ মরছে। আর এসব কর্মে বাধ্য হয়ে জড়িত হচ্ছে এদেশের  তরুণ সমাজের এক অংশ। । প্রচুর সম্ভাবনার  একটা বিকাশমান অর্থনীতির দেশে তরুণ সমাজকে বিভক্ত করে নিজেদের বিরুদ্ধে মারামারি করাতে প্রশয় দেয়া হচ্ছে পুলিশের ছত্রছায়ায়। আর কারা এসবের সাহায্য করছে তা আজ প্রকাশিত হচ্ছে দেশে বিদেশে। যার ফলে দেশে আজ তরুণ সমাজকে লড়তে হচ্ছে পুলিশের বিরুদ্ধে। দেশের ভবিষ্যতে পরিচালনার জন্যে প্রশিক্ষিত এবং ইতিবাচক মনোভাবের যে তরুণ সমাজ দরকার তার সম্ভাবনা চিরতরে উজাড় করার চলছে এক জঘন্য অপ্রচেষ্টা।

অবশ্য সরকার যখন অগণতান্ত্রিক হয়ে পড়ে তখন তার বিপক্ষের উপর আক্রমণ চালাবার কোন অজুহাত বা যুক্তির বাহনার অভাব হয়না। অত্যাচারী যে যুগে যে দেশেই থাকুক না কেন তাদের অপশাসন ও অত্যাচার চালিয়ে যেতে তাদের কাছে থাকে প্রচুর অজুহাত ও যুক্তি।

ক্ষমতার মোহে এরা এতই অবিবেচক হয়ে যায় যে তখন তাদের এসব যুক্তি, বাহানা শিশুসুলভ মনে হয়। অবশ্য শিশুরা তা করে অবুঝ মনে আর এই স্বৈরাচারীরা তা করে জিঘাংসার মনোবৃত্তি নিয়ে।

শিশুর কথা বলতে মনে পড়ল এক দুষ্ট ছেলের গল্পের কথা। ছেলেটা এতই দুষ্ট ছিল যে তার দুষ্টামিতে সবাই বিরক্ত। কখন কি কাণ্ড ঘটাবে সে দু-চিন্তায় অস্থির থাকতেন মা বাবা! এক দিন মা তার সেই ছেলেকে নিয়ে গেছেন ডাক্তারের কাছে। সেখানে গিয়েই সে শুরু করল যখন তার দুষ্টামি যা দেখে ডাক্তার তাড়াতাড়ি তাকে পাঠিয়ে দিলেন অভিজ্ঞ এক বুড়া শিশু বিশেষজ্ঞের কাছে। সেখানে যাওয়ার পর ডাক্তার যখন তাকে বসতে বলেন সে বলে আমি বাথরুমে যাব। এখন বাথরুমে গিয়ে সে তার জামা কাপড় খুলে ফেলে মায়ের সামনে বসে পড়ে! এদিকে ছেলে যেহেতু বিবস্ত্র আর চায় না কাপড় পড়তে মা বেচারি তাকে ডাক্তারের রুমেও নিয়ে যেতে পারছেন না। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করে ডাক্তার এসে বললেন, ঠিক আছে কাপড় পড়তে হবে না। এভাবেই চল। ডাক্তার তার রুমে এনে চিকিৎসা সেরে যাওয়ার সময় বললেন, আমার নিয়ম হল কেউ কাপড় খুলার জিদ ধরলে বাড়ী যাওযার সময় কাপড় ছাড়াই যেতে হয়। সে দিন ছেলের মা অনেকটা বাধ্য হয়েই সে ছেলেকে উলঙ্গ অবস্থায় নিয়ে বাড়ি ফিরলেন। আর নিজের দুষ্টামির কারণে সে দিন সেই উলঙ্গ অবস্থায় বাড়ী ফিরায় যে অপমান ও বিব্রত অবস্থায় তাকে পড়তে হল তার পর থেকে ঐ ছেলে আর কোন দিন দুষ্টামি করে নাই।

অনেকে বলেন আজ বাংলাদেশে মিডিয়া থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের প্রতিটি ক্ষেত্রসহ সর্বত্র যে অশূ্ভ পৈশাচিক শক্তির দখলে তাকেও উলঙ্গ করে ঘরে ফিরাবার দরকার ।

আর সে কাজই শুরু করেছেন  বাংলার সাহসী পুরুষ মাহমুদুর রহমান। তাই তিনি আবারও পড়েছেন সে অশুভ শক্তির প্রতিহিংসার দাবানলে। এটাই হচ্ছে তার বড় অপরাধ । মতলবিরা আজ মাহমুদুর রহমানকে অভিযুক্ত করতে  অজুহাত খুজে এই বলে যে ব্লগের একটি ছোট্ট পরিসরের কিছু ব্লগারদের কুকীর্তি যেমন  রাসুল (সঃ) কুটুত্তিকারিদের মুখোশ উন্মেষণ কেন করতে গেলেন? প্রথম কথা হল আজকের এ যুগে ব্লগকে ছোট্ট পরিসর বলতে পারে কেবল তারাই যারা দুনিয়ার খবর রাখে না । এই ব্লগ দিয়ে দুনিয়ায় বিপ্লব ঘটছে সে খবর তারা রাখে না। আর এ ব্লগের কুকীর্তি চালিয়েই তো প্রচণ্ড ইসলাম বিদ্বেষীদের দ্বারা একটি গণআড্ডায় আবির্ভূত হত্তয়া সম্ভব হয়েছে শাহবাগ চত্তরে।

মাহমুদুর  রহমান এদের কথা পত্রিকায় ছাপিয়ে শাহাবাগী নাস্তিকদের যুদ্ধাপরাধের বিচারের দাবীর আড়ালে তাদের আসল এজেন্ডা বাস্তবায়ন স্তব্ধ করতে সক্ষম হয়েছেন । এসব করাকে ধর্মীয় অনুভূতি কাজে লাগিয়ে রাজনীতি করা বোঝায়ে যারা আপত্তি তোলেন তারা আসলেই সেই নাস্তিকদের সহযোদ্ধা হতে চায়।

বিশ্ব অবাক হয়ে লক্ষ্য করছে  বাংলাদেশ নামের দেশে কথিত এক গণতান্ত্রিক সরকার তার বিরোধী দলের শীর্ষ পর্যায়ের দেড়শত নেতাসহ শত শত কর্মীকে জেলে ঢুকায়ে রেখেছে এবং সেই সাথে একজন সম্পাদককে গ্রেফতার করে সংবাদপত্র অফিসে পুলিশ হামলা করে তল্লাশি চালাচ্ছে।

তাই আসুন সবাই মিলে মাহমুদুর রহমানসহ ও অসংখ্য রাজনৈতিক নেতা কর্মীদের দ্রুত মুক্তির জন্য আওয়াজ তুলি ও সেই সাথে দেশকে আজকের এই অন্ধকার দূরাবস্থা থেকে রক্ষা করতে মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া করি।

পরিশেষে বলতে চাই,

বাংলা নববর্ষ শুরুর এ লগ্নে শুভ কামনা যদি সত্যিই করতে হয় তবে সে কামনা হউক এদেশের মানুষকে এক করার এবং এদেশ থেকে অত্যাচার ও অপশাসনের চির বিদায় । তা না করে যারা মঙ্গল শোভা যাত্রায় দেশের মানুষের মাঝে কৃত্রিম বিভাজনের অমঙ্গল বুলি আওড়ান তদের জীবনেও নেমে আসতে পারে অমঙ্গলের মহা তুফান।

বস্তুত কাল বৈশাখী ঝড়হাওয়া ইতিমধ্যে উড়িয়ে দিয়েছে এদের বিবেককে। তার এক উদাহরণ মিলে তারা যখন বলে দেশ এখন দুভাগে বিভক্ত ১) মুক্তিযুদ্ধের চেতনা-ধারী আর ২) মৌলবাদী গুষ্টি।

প্রথম দলে ওনারা আর ২য় দলে হচ্ছে বিরোধী দল বিএনপি জামাত, এরশাদের দল ও অন্যান্যরা এবং অরাজনৈতিক দল হেফাজতে ইসলাম ও তাদের সমর্থকেরা সবাই। এরা যেহেতু সরকারের বিপক্ষে এবং শাহবাগিদের গনআড্ডা সমর্থন করে না   তাই তারা হচ্ছেন রাজাকার, কিংবা রাজাকারের সহযোগী। তাই রাজাকারমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে পালিত হবে মঙ্গল শোভা যাত্রা।

ধরে নিলাম, ২য় দলের সবাই দালাল এবং একাত্তরের দুষমন। এখন কেউ যদি প্রশ্ন করে

এই ২য় দলের যাদেরকে রাজাকার বলছেন তারা জনসংখ্যার শতকরা কত পার্সেন্ট ? একজন নিরপেক্ষ দৃষ্টির লোক নিশ্চয় বলে দিবে যে সে অনুপাত হতে পারে কমপক্ষে ৬০%  তাহলে একটি গণতান্ত্রিক দেশে ৬০% মানুষকে দুষমন বানিয়ে ৪০% দিয়ে বিতাড়িত করতে চাইলে গণতন্ত্র থাকল কোথায়? আর এ সংখ্যা ভুল হলে সরকারের কি সাহস হবে গণভোট নিতে?

সে যাক, মাহমুদুর রহমানের লিখা বা তাঁর কথাতে মিথ্যাচার থাকলে তা লিখা দিয়েই প্রমাণ করা উচিৎ কিংবা লিখা বেআইনি মনে করলে আদালতে আইনানুগ  মামলা করা ।

(এখানে উল্লেখযোগ্য “আমার দেশ” পত্রিকায় মক্কায় মানববান্ধবের  উপর একটি অসত্য খবর ছাপা হয়েছিল ইন্টারনেটের ভুল তথ্যের উপর। তবে কর্তৃপক্ষের নজরে আসার সাথে সাথে তা নামিয়ে নেয়া হয় ওয়েব সাইট থেকে। যা নিয়ে মায়াকান্না কিছুদিন হয়েছে একটি মহলে।)

কিন্তু মামলা করে তাঁর জামিন না দিয়ে বিচার কাজ পরিচালনার আগেই ১৩ দিনের রিমান্ডে নিয়ে অত্যাচার করে কি অর্জন করতে চান? এ কোন ধরণের মানবাধিকার?  আগের বার যখন তাকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছিল তখন কি তথ্য বাহির হয়েছিল জনগণ আজও জানতে পারে নাই। কেবল রাজনৈতিক বিরোধিতার কারণে কাউকে বাংলাদেশের মত রিমান্ডে নেয়ার এই প্রথা বা অধিকার কোন সভ্য সমাজে আছে কি?

আজ দেশটা কোথায় গিয়েছে ভাবতে অবাক লাগে! একটা গণতান্ত্রিক দেশে যেখানে রাষ্ট্রীয় ইন্টেলিজেন্স তথা নিরাপত্তা বাহিনী সদা জাগ্রত থাকে দেশের বিরুদ্ধে বিদেশী শত্রু কি করছে তা খুঁজতে কিন্তু বাংলাদেশে প্রশাসন দলীয়করণের ফলে আজ সে সব বাহিনী কি করছে তা স্পষ্ট প্রতীয়মান।

আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতারের ঘটনায় চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন নাগরিক অধিকার রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক, কবি ও লেখক, রাষ্ট্র ও সমাজচিন্তক ফরহাদ মজহার।

তিনি বলেন “একজন সম্পাদককে তার কার্যালয় থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া এবং সংবাদপত্রের কর্মীদের নির্যাতন করা নাগরিক ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। ………..আমার দেশ-এর অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, দেশে একমাত্র তারাই সত্যিকার অর্থে সংবাদপত্র বা গণমাধ্যম চালাতে পারবেন, যারা এই সরকারকে সমর্থন করেন। এই সরকারের সঙ্গে আঁতাত করে চলতে পারবেন। ….. কিন্তু গণতন্ত্রের জন্য জনগণের জন্য এটা মঙ্গলজনক হতে পারে না। এটা বাংলাদেশকে অত্যন্ত বিপজ্জনক অবস্থানে এবং খারাপ পর্যায়ে নিয়ে যাবে। দেশের সচেতন জনগোষ্ঠী এটা মেনে নিতে পারে না। ………….. আমাদের বুঝতে হবে, সমাজে বিভিন্ন মত-পথ ও চিন্তা থাকতে পারে। আমার দেশ-এর ব্যাপারে অনেকের মত বা ভিন্ন বক্তব্য থাকতে পারে। কিন্তু আমরা দেখলাম, সমাজের একটি অংশ তাকে গ্রেফতারের দাবি তুলেছিল এবং নিন্দা জানিয়েছিল। এটার কারণও আছে। তারা সংক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। কিন্তু ক্ষুব্ধতার কারণে মত প্রকাশের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো উচিত নয়। আমরা সমঝোতার মাধ্যমে এর সমাধান করতে পারি। লেখালেখির মাধ্যমে বিরোধিতা করতে পারি। কিন্তু যদি আমরা রাষ্ট্রকে এক্ষেত্রে ব্যবহার করি সংবাদপত্র বন্ধ করতে, তার ওপর নির্যাতন করতে, তাহলে এই আক্রমণ আজ হোক, কাল হোক, অন্য পত্রিকা বা গণমাধ্যমের ওপর আক্রমণ হতে পারে। আমরা কীভাবে চিন্তা করতে পারি—আগামী দিনে ভিন্ন একটি গোষ্ঠী রাষ্ট্রক্ষমতায় আসবে না, তারা অন্য পত্রিকার ওপর আক্রমণ করবে না। দেশের সচেতন নাগরিকদের বলব বিষয়টি ভেবে দেখতে।

এমন অবস্থায় যদি আমরা একটি জায়গায় দাঁড়াতে পারি, দেশের জনগণ যদি জেগে ওঠে, তাহলে এটা প্রতিরোধ করা সম্ভব। এজন্য তিনি দেশের জনগণকে জেগে ওঠার আহ্বান জানান। তা না হলে আমরা দু’পক্ষে বিভক্ত হব। হিংসা বেড়ে যাবে। দেশের ভবিষ্যত্ কঠিন খারাপের দিকে ধাবিত হবে।  ফরহাদ মজহার আরও বলেন, সরকার এরই মধ্যে আকার-ইঙ্গিত ও বিরোধী দলকে নিপীড়নের মাধ্যমে নিজের চরিত্র দেখিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে, বাংলাদেশে তারা সহিংসতা ও বল প্রয়োগের মাধ্যমে ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখতে চায়। বলা বাহুল্য, এমন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে পৃথিবীর কোনো রাজা ও সরকারই সফল হয়নি। তিনি বলেন, মাহমুদুর রহমানকে এর আগেও সরকার গ্রেফতার, রিমান্ড, নির্যাতন ও হত্যা চেষ্টা করেছিল। আমরা তার জীবনের জন্য আশঙ্কা করছি। তার জীবন নিয়ে উদ্বিগ্ন।।” (ফরহাদ মজহারের বক্তব্য বিস্তারিত পড়তে সুত্র এখানে দেখুন)


Loading


Comments

মাহমুদুর রহমানের অপরাধ? — 1 Comment

  1. “উরপঃধঃড়ৎং ধৎব হড়ঃ রহ ঃযব নঁংরহবংং ড়ভ ধষষড়রিহম বষবপঃরড়হং ঃযধঃ পড়ঁষফ ৎবসড়াব ঃযবস ভৎড়স ঃযবরৎ ঃযৎড়হবং.”
    ― এবহব ঝযধৎঢ়, ঋৎড়স উরপঃধঃড়ৎংযরঢ় ঃড় উবসড়পৎধপু

    স্বৈরাচাররা কখনই এমন নির্বাচন দিবে না যা তাদেরকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেবে ।
    – জেন শারফ, স্বৈরাচার থেকে গণতন্ত্র

    আওয়ামিলীগ কখনই গনতন্ত্রে বিশ্বাস করে না; স্বৈরাচারিত্ত্ব হচ্ছ আওয়ামিলীগের অবিচ্ছেদ্য চারিত্রিক বৈশিষ্ট। কিন্তু ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য সাজানো-গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ব্যবহার করে মাত্র। ইতিহাস একথাই বলে। বাকশাল সৃষ্টি করে সরকার নিয়ন্ত্রিত চারটি দৈইনিক রেখে দেশের অন্যসবগুলি পত্রিকা বন্ধ করে দিয়েছিল। শেখ হাসিনা দৈনিক আমার দেশ বন্ধ করে, তার সম্পাদক মাহমুমুর রহমানকে রিমা-ে নিয়ে অত্যাচার করে, তার মাকে আসামী করে মোকদ্দমা করে আওয়ামিলীগের বাকশালী চরিত্রের প্রকাশ ঘটাবে; তা স্বাভাবিক, এতে আশ্চর্য্য হওয়ার কিছু নেই। মাহমুদুর রহমানকে নীরব করার পর হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে দুকথা বলার বা লিখার আর কেউ মাঠে নাই। শেখ হাসিনা ১৯৭৩ সালের শেখ মুজিবের নির্বাচনের মত একটি সাজানো নির্বাচন দিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকবার চেষ্টা করবে- এটা প্রায় নিশ্চিত।
    এবার যদি শেখ হাসিনা ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা সফল হয়; তাহলে তাকে আর কোন দিন ক্ষমতা থেকে সড়ানো যাবে না, আর যদি কোন দৈবাৎ কারণে শেখ হাসিনা এবার ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়; তাহলে আর কোন দিন ক্ষমতায় যাওয়া তার জন্য কঠিন হয়ে যাবে।

    শেখ হাসিনা নানা কলা কৌশলে বাংলাদেশ সেনা বাহিনীকেও তার লোটপাটের অংশীদার করে নিচ্ছে। পদ্মা সেতু নির্বমাণে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ অংশ গ্রহণের ঘোষণা তারই প্রমাণ। কিছুদিন আগে বাংলাদেশের সেনাপ্রধান হঠাৎ করে দিল্লী সফর করে আসলেন- আলামত ভাল নয়। গত নির্বাচনের আগে তৎকালীণ সেনাপ্রধান ইউ মঈনও দিল্লী সফর করে আসছিলেন- ফলাফল সবার জানা।

    দৈনিক আমারদেশ বন্ধ হয়ে যাবার পর সরকার বিরোধী অন্যান্য পত্রিকা এবং সংবাদ মাধ্যম এর ভগ্যে একই অবস্থা ঘটবে তা সময়ের ব্যাপার মাত্র। এছাড়া দৈনিক দেশ এবং মাহমুদুর রহমান এর পর সর্বজনের বিশ্বাসযোগ্য আর কোন সংবাদ মাধ্যম বাংলাদেশে রইল না।

    জামাতকে ১০০% এবং বিএনপি কে ৯০% নেতৃত্বশূন্য করার কাজ প্রায় শেষ। বিরোধীদল বিহীন নির্বাচন করার স্বপ্নে হাসিনা সরকার বদ্ধপরিকর। প্রয়োজনে হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা মেনে নেয়ার প্রতিশ্্রূতি দিতে বা হেফাজতের সাথে একটি সমযুতা চুক্তি করতেও শেখ হাসিনা রাজী হয়ে যেতে পারে- যেমন চুক্তি করেছিল গত নির্বাচনের আগে একটি বড় ইসলামী দলের সাথে।

মন্তব্য দেখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *