আমি বাঁশি চাই- বাঁশির গান চাই- সুর চাই!
সে সুরে অমরত্বের গুপ্তধন চাই-
কারণ -অস্তিত্ব বিনাশের পরও এ বাঁশি বিলাপ করে যায়!!!
প্রাসাদ ছেড়ে বনরাজিতে তুমি কি কখনো ঘর বানিয়েছিলে!
গিরিশৃঙ্গ, পাহাড় তুমি কি কখনো ডিঙ্গিয়ে ছিলে !
সুগন্ধি জলে গোসল করে; সূর্যের কিরণে কি কখনো
শরীরটিকে শুকিয়েছিলে ! ভোরে নির্মল আকাশ নিচে বসে কখনও কি
মার্টিনির স্বাদ নিয়েছিলে ? গোধূলিতে দ্রাক্ষাকুঞ্জে স্বর্ণের ঝাড়বাতির গুচ্ছের
পাশে কি কখনো একাকী বসেছিলে ?
আমি বাঁশি চাই- বাঁশির গান চাই- সুর চাই!
সে সুরে অমরত্বের গুপ্তধন চাই-
কারণ -অস্তিত্ব বিনাশের পরও এ বাঁশি বিলাপ করে যায়!!!
মুক্ত আকাশের নিচে ঘাসের উপর নিশিযাপনের বিছানা কি কখনো বিছিয়েছিলে ?
বৈকালিক বাতাসে আকাশকে চাদর বানিয়ে কি কখনো শরীরে জড়িয়ে ছিলে ?
বন্ধু -যদি এই সব না করে থাকো তাহলে বিদায় দাও অতীত! বরণ করো আগামী!
আমি বাঁশি চাই- বাঁশির গান চাই- সুর চাই!
সে সুরে অমরত্বের গুপ্তধন চাই-
সে গুপ্তধন আমার হৃদয়কে সমতল করবে
কারণ পাপ মোছনেরপর ও বাঁশি বিলাপ করে!
বন্ধু, ভুলে যাও অসুখের কষ্ট; ভুলে যাও আরোগ্যেরও আশা !
কারণ আমার এই কবিতা পানি দিয়ে লিখা – মানুষের কবিতা।
Comments
বাঁশি চাই- বাঁশির গান চাই- সুর চাই! — 1 Comment