আকাশ যখন শিশু হয়ে যায়, দুধভাত ছড়ায় আমাদের উঠোনে উঠোনে,
চাঁদ ছবি আঁকে শিউলি, জুঁই, বকুল আর হাসনাহেনার বনে বনে,
আর বনের জোছনা কুড়িয়ে গায়ে মাখতো যে মেয়ে,
একদিন ভয় পেলো সে জোছনা আঁকা কাপড়ে রক্তের দাগ পেয়ে।
মেয়েটির পোশাকে আঁকা শাদা ফুল, প্রিয় রূপার পোশাক
ছেড়ে তার ভালো লাগতে লাগলো নীল রঙের ঢেউ,
কপালে নীল টিপ, নীলের পর্দা নাড়িয়ে আড়ালে দাঁড়িয়ে দেখছে কেউ?
একদিন পেয়ে গেলো যুবকের লাল শার্ট আর বুকের মধ্যে লাল মাছের ঝাঁক।
সেই থেকে মেয়েটির লাল সকাল লাল দুপুর তার লাল বিকেল খুব প্রিয়,
হে যুবক, দূর থেকে মেয়েটির সিথির উপর দিয়ে যেও!
তবে মেয়েটি যুবকের প্রথম চুম্বন নিয়ে দোল খায় লুটোপুটি যায়,
তবে মেয়েটি সফেদ বসনের উপর চুম্বন গড়িয়ে দিতে চায়।
একদিন ছবি আঁকা হবে, ছেলেটির মেয়েটির চোখে নীল-লাল আলো,
বাইরে খুব বৃষ্টি প্রথম বৃষ্টি এলো ঝেপে, অনেকবার বিদ্যূত চমকালো,
ছবি আঁকা হলো, ক্যানভাস থেকে গড়িয়ে গেলো রক্তের লাল দাগ,
মেয়েটি চিনে নিলো তাহার আপনার তরে নিজস্ব রঙের ভূ-ভাগ।
শাদা তার প্রিয়, নীল তাহার প্রিয়, যুবকের ছবি আঁকা অধিক প্রিয়,
লাল তাহার খুব খুব প্রিয়, হে প্রথম যুবক, লাল রঙের ভালোবাসা জানিও!
১১.০৩.২০১২, ঢাকা।
ধন্যবাদ মুনিম। ভালো হোক আপনার।
আপনাকে আমাদের মাঝে দেখে খুশি হলাম। এই ভাবে আপনার কবিতা আপনার শিল্পীত মনে চিত্র সংলাপে পোস্ট করে যাবেন।
কবিতাটি খুব ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ।