প্রিয় অরণ্যা
পানিতে তলিয়ে যেতে যেতে লিখছি এই চিঠি—
যদি সত্যি কখনও আমাকে ভালোবেসে থাকো
তাহলে আসো আমাকে সাহায্য করো-
যাতে মরা আগে তোমাকে ভুলে যেতে পারি!
প্রিয় অরণ্যা
সময় বেশি নেই বাকি
আসো সাহায্য করো
মরার আগে যেন তোমায় ভালোবাসা থেকে মুক্তি পেতে পাই!!!
প্রিয় অরণ্যা
যদি বুঝতাম তোমার সাগর এত গভীর
তাহলে কখনও এই জলে ঝাঁপ দিতাম না।
যদি বুঝতাম তোমার সাগরে এত উতাল পাতাল ঢেউ
তাহলে কখনও এই ঢেউয়ে সাতার দিতে নামতাম না!!!!
প্রিয় অরণ্যা
এই যে আমি ডুবে যাচ্ছি তলিয়ে যাচ্ছি
তারপরও তোমাকে পাবার ইচ্ছা হচ্ছে-
প্লিজ আমার ভালোবাসার দোহাই
আমাকে বলে দাও
কেমন করে তোমাকে পাবার ইচ্ছাটিকে আমি হত্যা করতে পারি!!!
কেমন করে ভালোবাসার শিকড়কে হৃদয় থেকে উপড়ে ফেলে দিতে পারি!!!
প্রিয় অরণ্যা
দেখো বুক ফেঁটে গিয়ে চোখ দিয়ে অশ্রুগুলো সাগরের লোনা জলকে আরো লোনা করে দিচ্ছে
প্লিজ! বলো না কেমন করে এই অবাধ্য চোখকে আমি সাহারা বানাবো!!!
কেমন করে ডুবে মরার আগে আমার ভালোবাসাকে আমি হত্যা করবো!!!
প্রিয় অরণ্যা
আমাকে ভালোবাসা-বাসীর জালে আটকিয়ে তুমি তো এখন সন্যাসী হয়ে গেছ!
তাহলে এসো আমাকে জাল থেকে উদ্ধার করো,
তোমাকে না পেয়ে আমি নাস্তিক হয়ে গিয়েছি
আসো আমাকে নাস্তিক থেকে আস্তিকে রূপান্তর করে যাও!
প্রিয় অরণ্যা
গহীন এই সাগরে পানির নিচে শুধু তোমার চোখের রঙ এর মত
নিকষ নিল ছাড়া আর কিছু দেখেতে পাচ্ছিনা
সময় আর বেশী নেই
প্লিজ আসো আমাকে নিহত হবার হাত থেকে রক্ষা করো!!!!
ডুবতে ডুবতে লিখছি এই চিঠি…
আমি ডুবছি….
আমি .. তলিয়ে যাচ্ছি….
তলিয়ে… যাচ্ছি….
তলিয়ে…..
তলি…..
ত…… প্রি…..য় …. অরণ্যা!!!
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
চলমান সময়ের অস্থিরতা, অচলাবস্থা সুগভীর হতাশার ক্যানভাসে ধূসর বিবর্ণতায় অঙ্কিত হয়েছে এই কবিতায়। কবি মুক্তির প্রত্যাশায় কাতর আহ্বানে মুখর _ কিন্তু সাড়া কেউ দেবে কি ?
*মুনিম ভাই আপনি যে কবিতা লেখেন সেটা তো জানতাম না আর এতো অসাধারণ লেখেন সেটা তো আরও জানতাম না। কি আর বলব আমি মুগ্ধ
সুন্দর একটি কবিতা তবে নিরাশা আর হতাশা নয় আশা আর ভরসার কথা শুনতে চাই। এই ব্লগের দেখি কবিতাই বেশী দেখা যায়! সেজন্য কবিদের প্রতি ধন্যবাদ কিন্তু কি ব্যপার বাকী পাবলিক কই?।
*কবিতার প্রবক্তার প্রেম, ভালবাসা, হতাশা, নিরাশা, কোনটাতেই স্বস্তি পাইনি। তবে এটা কবিতায় যেমন,
বাস্তবেও তেমন হতে পারে –অস্বীকার করার উপায় নেই। নিরাশা নিয়ে কিছু পড়ি না,
violence নিয়ে গঠিত ফিল্ম দেখতে যাইনা,
যুদ্ধের মুহুর্ত্তে টিভিতে
আসা অসহনীয় সংবাদ দেখিনা।