আমি ভিসুভিয়াস, আমি আগ্নেয়গিরি
তারুন্য আমার উদ্দীপনা, সত্য আমার সিড়িঁ;
আমি প্রবাহিত তুফান, আমি নীলনদ
জালিমের কালোহাত নীরবে করি রদ;
আমি গ্যালাক্সি, আমি মিল্কি ওয়ে
প্রতিবাদী সবে অপমান-লাঞ্ছনা সয়ে;
আমি হিমালয়, আমি হ্যালির ধুমকেতু
ভালবাসা বন্ধন রচিত সীসাঢালা সেতু।
আমি মরু সাহারা, আমি দুর্বার
অন্যায় অবিচার জ্বালিয়ে করি ছারখার;
আমি বিশাল, আমি সত্যের কোষ
মিথ্যার সাথে মানি না কোন আপোস;
আমি অবিরাম ঝর্ণা, আমি নায়াগ্রা
লন্ডভন্ড করি অত্যাচার বিবাদ ঝগড়া;
আমি চন্দ্র, আমি পূর্ব গগণের রবি
হৃদয়ে ধারিত সব অসহায় দুঃখের ছবি।
আমি বিষাদ, আমি অসম্ভব যন্ত্রনা
ভেঙ্গে করি খানখান সমস্ত কুমন্ত্রনা;
আমি মহাপ্রলয়, আমি মুক্তমঞ্চ
দাসত্বের শৃঙ্খল করি তছনছ;
আমি গ্রেট ওয়াল, আমি অকূল প্রশান্ত
হাসিমুখে প্রাণ দেই রক্ষিতে সীমান্ত,
আমি মায়াবী, আমি স্বাধীনতার মন্ত্র
কৌশল করে রুখে দেই সকল ষড়যন্ত্র।
আমি যৌবনদ্দীপ্ত নবীন, আমি দুর্জয়
বন্দুক মাইন স্প্লিন্টারে করি না কোন ভয়;
আমি বহমান নদী, আমি কংশ
ধুলোয় মিশিয়ে নিঃশেষ দালালীর বংশ;
আমি সৈনিক, আমি অঙ্গীকারাবদ্ধ
একতাই আমার সমর সাইবার যুদ্ধ;
আমি হত দরিদ্র, আমি নিঃস্ব
শান্তি সংকল্প আমার, বিজয় সারা বিশ্ব।
ভালো লাগল
লেখাটি বিদ্রোহী কবিতা স্মরণ করিয়ে গেল।
“আমি বিষাদ, আমি অসম্ভব যন্ত্রণা
ভেঙ্গে করি খানখান সমস্ত কুমন্ত্রণা”
ভাবছি, সব যন্ত্রণা আর কুমন্ত্রণা শেষ হয়ে গেলে দুনিয়াটার কী হবে?
চলুক, ইনশাল্লাহ।
ভালো! কোথাও যেন এই রকম ছন্দে কার কবিতা পড়েছিলাম!
ধন্যবাদ।