তত্ত্বাবধায়ক বাতিল থেকেই সব সমস্যার সৃষ্টি

বর্তমানে মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর প্রচণ্ড রকমে আঘাত আসছে। বাকস্বাধীনতা এখন পরাধীন। প্রেস কনফারেন্সে প্রদত্ত বক্তব্যকে চ্যালেঞ্জ করে বক্তার বিরুদ্ধে মামলা করা হচ্ছে। সরকারের অপছন্দনীয় বিষয় তুলে ধরার কারণে টিভি চ্যানেল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে পত্রিকায় কলাম লিখতে গিয়ে কলামিস্টদেরও কয়েকবার চিন্তা করতে হচ্ছে। কষ্টে হোক বা শান্তিতে হোক, এর মধ্য দিয়েই আমাদের এগোতে হবে। কেননা সময়ের চাকা কখনও থেমে থাকে না।

কয়েক দিন আগে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক রানা প্লাজার দুর্ঘটনা নিয়ে বহু লেখালেখি হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় উদ্ধার অভিযানের বিষয়টি আমাকে প্রচণ্ডভাবে নাড়া দিয়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সরকারি বাহিনীর পাশাপাশি সাধারণ মানুষও কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এ উদ্ধার অভিযানে অংশগ্রহণ করেন। এ বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দেয় যে, আমাদের ভেতর থেকে মানবিকতা হারিয়ে যায়নি। যে কোন দুর্যোগে আমাদের পাশে দাঁড়ানোর মতো লোক রয়েছে। যারা এ দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন, তাদের সবার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। সেই সঙ্গে মিডিয়াকেও অভিনন্দন জানাচ্ছি। কেননা রানা প্লাজার বিষয়টি যদি মিডিয়া ফলাও করে প্রকাশ না করত, তাহলে জনমনে মানবতার বিষয়টি এভাবে উঠে আসত না। মানুষের অনুভূতি, বিবেক জাগ্রত হতো না।

যাই হোক, রানা প্লাজার ঘটনাটি যেহেতু মানব সৃষ্ট, সেহেতু এর দায়-দায়িত্বের বিষয়টি এসে যায়। যেসব স্বার্থান্বেষী, মুনাফালোভী ব্যক্তি জোর করে শ্রমিকদের মৃত্যুমুখে ঠেলে দিয়েছে, তাদের অবশ্যই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত। যাতে করে কেউ কখনও এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না করে।

এ ঘটনার পরপরই মানুষের অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্তের কারণে সৃষ্ট আরও একটি দুর্যোগের ঘটনা ঘটে। ৫ মে অনুষ্ঠিত হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ এবং সমাবেশের পর ওই দিন গভীর রাতে ঘটে যাওয়া দমন অভিযানের বিষয়টিও জনমনে গভীর উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার সৃষ্টি করে। পাঠক লক্ষ্য করবেন, সাভারের ঘটনার ক্ষেত্রে আমি বলেছি উদ্ধার অভিযান এবং হেফাজতের ঘটনার ক্ষেত্রে আমি বলছি দমন অভিযান। শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশের জন্য সরকারই অনুমতি দিয়েছিল এবং সরকারই দমন অভিযান পরিচালনা করে। আলো নিভিয়ে অন্ধকারের মধ্যে নির্বিচারে মানুষ হত্যা করে। এ দমন অভিযানে যেহেতু মিডিয়ার কাউকেই প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি, তাই সেখানে কী হয়েছিল, কতজন মানুষ হত্যা করা হয়েছে, সে সম্পর্কে আমরা জানতে পারিনি। সরকারদলীয় ভাষ্য মতে সেখানে মাত্র ২০ জন নিহত হয়েছেন। কিন্তু বেসরকারি ভাষ্য মতে সেখানে এক থেকে দেড় হাজার মানুষ হত্যা করা হয়েছে। আমরা যেহেতু সেখানে সরেজমিন উপস্থিত ছিলাম না, তাই কারও কথাই গ্রহণ করতে পারছি না। তবে এ ঘটনা অবশ্যই কেউ না কেউ ক্যামেরার মাধ্যমে ধারণ করেছেন এবং সময় ও সুযোগ মতো এটি জনসমক্ষে প্রকাশ করবেন।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাতে পাকিস্তান সরকারও মিডিয়াকে সরিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু তারপরও প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার জহির রায়হানের কাছে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বর্বরতার অনেক চিত্র উঠে আসে। যার মাধ্যমে তিনি কালজয়ী একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করে পশ্চিমাদের বীভৎসতাকে প্রকাশ করেন। সেই কালজয়ী চলচ্চিত্রটির নাম ছিল ‘স্টপ জেনোসাইড’। সুতরাং ৫ মের প্রকৃত ঘটনাটিও হয়তো এক সময় এভাবে জনসমক্ষে উঠে আসবে। অন্যায় যেই করুক না কেন, তার বিচার হবেই। সেটা ইহলোকে হোক বা পরলোকে।

প্রশ্ন উঠেছে, হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা ৫ তারিখ রাতে শাপলা চত্বরে কী করছিলেন? কেন তারা ওই স্থান ত্যাগ করেননি? ৫ তারিখ অপরাহ্নে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘হেফাজতে ইসলাম যদি শান্তিপূর্ণভাবে সভাস্থল ত্যাগ না করে, তাহলে সরকার যা করার তাই করবে।’ বর্তমান সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার। তারা ব্রিটিশ আমলের মতো ঔপনিবেশিক অথবা পাকিস্তানের মতো সামরিক সরকার নয়। তারা গণতান্ত্রিক সরকার। একটি গণতান্ত্রিক সরকারের কাছ থেকে এ ধরনের বক্তব্য কখনোই শোভন হতে পারে না। যাদের বিরুদ্ধে সরকার আলটিমেটাম দিয়েছিল, তারা তো এ দেশেরই জনগণ।

তারা সশস্ত্র বিদ্রোহ করেনি। তারা সরকারের পার্লামেন্ট ভবন বা সচিবালয় ঘেরাও করেনি। তারা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করেছে এবং সরকারকে একটি আলটিমেটাম দিয়েছেÑ তাদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে। তারা বলেছিল, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা সেখানে অবস্থান করবে। তাদের দাবি আদায় তো দূরের কথা, মিটিং শেষ হওয়ার ৮-৯ ঘণ্টার মধ্যে সরকারের বিশেষ বাহিনী দ্বারা সেখান থেকে তাদের নির্মমভাবে উচ্ছেদ করা হয়। দূর-দূরান্ত থেকে আসা হেফাজতের কর্মীরা সারাদিনের সমাবেশ শেষ করে ছিল ক্লান্ত। তাই রাতেরবেলায় সেখানে অনেকেই ছিলেন ঘুমন্ত বা অর্ধঘুমন্ত। কেউ বা জিকির-আসকারে ব্যস্ত ছিলেন। এমন অবস্থায় আলো নিভিয়ে দিয়ে অতর্কিত হামলা করে নিরস্ত্র মানুষ হত্যা করা কোনভাবেই একটি নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকারের কাছ থেকে কাম্য ছিল না। একান্ত অন্ধ আওয়ামী ব্যক্তি ছাড়া সমগ্র জাতি এ বিষয়টিতে মর্মাহত হয়েছেন, ধিক্কার জানিয়েছেন।

১৯১৭ সালের কোন এক সময় পাঞ্জাবের জালিয়ানওয়ালাবাগ নামের একটি শহরে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাপ্রধান ব্রিগেডিয়ার ডায়ার একটি গণসমাবেশে গুলি করে হাজারখানেক লোককে নির্মমভাবে হত্যা করে। এ ঘটনার প্রায় ৯৩ বছর পর বর্তমান যুক্তরাজ্য সরকারের প্রধানমন্ত্রী ভারতের রাজধানী দিল্লিতে আনুষ্ঠানিক এক সফরে এসে ওই হত্যাকাণ্ডের জন্য দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

আমরা আশা করব, একইভাবে আওয়ামী লীগের কোন না কোন কর্ণধার এ হত্যাকাণ্ডের জন্য কোন না কোনদিন অনুরূপভাবে দুঃখ প্রকাশ করবেন, ক্ষমা প্রার্থনা করবেন।

মতিঝিল শাপলা চত্বরের দমন অভিযানের কয়েকটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য ছিল। যাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়, তারা ছিল কওমি মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক এবং তাদের প্রতি সহমর্মিতা পোষণকারী নিরস্ত্র জনগণ। কেউ কেউ ঘুমাচ্ছিলেন, কেউ কেউ উচ্চস্বরে জিকির ও ইবাদতে ব্যস্ত ছিলেন। এমন পরিবেশে সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে হঠাৎ করে আলো নিভিয়ে দেয়। এ প্রসঙ্গে বলতে হয়, ঢাকার পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সময় রাত ১২টায় আরটিভির একটি লাইভ অনুষ্ঠান থেকে আমাকে ফোনে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ‘এই মুহূর্তে পিলখানা পরিস্থিতি সম্পর্কে আপনার কী মন্তব্য?’ আমি জবাবে বলেছিলাম, ‘ঘটনাস্থলে যে কোনভাবে আলোর ব্যবস্থা করা অত্যন্ত জরুরি। প্রয়োজনে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে সার্চলাইটের অথবা বাইরে থেকে জেনারেটরের মাধ্যমে বিল্ডিংয়ের ছাদের ওপর থেকে সার্চলাইটের ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ পিলখানা এখন অন্ধকারে নিমজ্জিত। যে কোনভাবেই হোক সেখানে আলোর ব্যবস্থা করা দরকার।’

এ কথা বলেছিলাম, কারণ অন্ধকার নিজেই একটি শত্রু। আর এ অন্ধকার নামক শত্রুকে ব্যবহার করে অন্য শত্রুরা মানবতাকে লাঞ্ছিত করে। এ অনুরূপ কাজটি শাপলা চত্বরেও ঘটেছিল। সরকার কেন এ অন্ধকারকে বেছে নিয়েছে? জবাবে বলতে হয়, ঘটনা যা-ই ঘটুক না কেন, সেখানে কেউ যাতে কাউকে চিনতে না পারে এ জন্যই হয়তো এ ব্যবস্থা নেয়া। যখন কাউকে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলানো হয়, তখন তার মুখমণ্ডলটিকে কালো কাপড় দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়, যাতে করে পৃথিবীর কোন আলো তার চোখে না পড়ে।

সেই অন্ধকারেই সরকারি বাহিনী নিরস্ত্র মানুষের ওপর গরম পানি ঢেলে নির্বিচারে গুলি করে মানুষ হত্যা করে। এ অন্ধকারেই সেখানে অবস্থানরত জনগণকে পালিয়ে যেতে বলেছেন দমন অভিযানের কর্মকর্তারা। কিন্তু অন্ধকার থাকায় মানুষ পালানোর পথ হারিয়ে গুলিতে আক্রান্ত হয়েছে, দিগি¦দিক ছোটাছুটির কারণে কেউ কেউ আক্রমণকারীদের গাড়ির তলায় পড়েছেন। মানুষ মৃত্যুমুখে পতিত হয়েছেন। সেখানে কতজন মারা গেছেন, কতজন আহত হয়েছেন? কারা মেরেছে, এর কোন সাক্ষী যাতে না থাকে এজন্যই হয়তো আলো নিভিয়ে অপারেশন চালানো হয়েছে। কেননা আলোই সব কিছুর সাক্ষ্য দেয়, অন্ধকার নয়। যাই হোক, সেখানে মৃতের সংখ্যা সরকার বলছে ২০। হেফাজতে ইসলাম বলছে ২ হাজারের বেশি। এখন কারোটিই আমরা সঠিকভাবে ধরে নিতে পারছি না। কেননা এখন পর্যন্ত কোন প্রত্যক্ষ সাক্ষী আমরা পাইনি। তাছাড়া মিডিয়ার কর্মীরাও সেখানে উপস্থিত হতে পারেননি। কারণ অভিযানের আগেই মিডিয়াকে সেখান থেকে বহিষ্কার করা হয়।

শাপলা চত্বরে প্রায় দেড় লাখ লোক অবস্থান করছিল। হঠাৎ করে সেখানে অবস্থানরত ঘুমন্ত মানুষের ওপর আক্রমণ করা হয়। দিগি¦দিক ছোটাছুটির কারণে অনেকে পড়ে গিয়ে প“লিত হয়ে আহত অথবা নিহত হয়েছেন। সেই সঙ্গে সেখানে গুলিও চালানো হয়েছে। সেখান থেকে পালিয়ে যাওয়ার মতো যথেষ্ট গলি বা উš§ুক্ত স্থান কোনটিই ছিল না। সুতরাং মৃত্যুর হার কেমন হতে পারে, সেটা কিছুটা হলেও অনুমেয়। যাই হোক, শাপলা চত্বরের ঘটনাটি একটি ‘কালরাত্রি’ হিসেবে জাতির কাছে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। সরকার তাদের পড়ন্ত বেলায় এ ঘটনাটি না ঘটালেও পারত। যদি না করত, তাহলে হয়তো সরকারের জনপ্রিয়তার বিষয়টি প্রশ্নের সম্মুখীন হতো না এবং শাপলা চত্বরে বিশাল গণজোয়ারের হয়তো প্রয়োজন পড়ত না। যদি সরকার কোরআন-হাদিসের অবমাননাকারীদের তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করত, তাহলে মুসলমানদের মাঝে এত হতাশা, এত ক্ষোভ প্রকাশ পেত না।

এতগুলো মানুষ মারা যেত না। কিন্তু সরকার সেটা করতে পারেনি। সুতরাং যা হওয়ার তাই হল। পুরো জাতি একটি কলংকিত অধ্যায়ে নিমজ্জিত হল। আরেকটি বিষয় লক্ষণীয়, শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশের বিষয়টি সরকারকে অনেক আগেই জানানো হয়েছিল। তাদের মহাসমাবেশ কতদিন চলবে, তারও কোন নির্দিষ্ট তারিখ ছিল না। সুতরাং ঢাকার অত্যন্ত প্রাণচঞ্চল বাণিজ্যিক এলাকায় এত বড় সমাবেশ চলতে থাকলে ঢাকা যে অচল হয়ে যেতে পারে সেটা খুব সহজেই অনুমেয়। তাহলে সরকার সব কিছু জেনেশুনে শাপলা চত্বরে সমাবেশ করার অনুমতি কেন দিল? সুতরাং বিষয়টি সরকারের অদূরদর্শিতাই প্রমাণ করে।

বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতা শুরু হয়েছিল আজ থেকে দু’বছর আগে, যেদিন সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল করা হয়েছিল। এ কাজের জন্য বিনয়ের সঙ্গে আমি প্রধানমন্ত্রীকে দায়ী করতে চাই। তার জীবনে তিনি যদি কোন ভুল করে থাকেন তাহলে আমি বলব, তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল করে একটি বড় ভুলই করেছেন। কারণ তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিলের পর থেকে বাংলাদেশ রাজনৈতিক অন্ধকারে নিমজ্জিত। সেই সমস্যা থেকেই অন্য সমস্যাগুলো উদ্ভূত বলে আমি মনে করি।

সুতরাং বর্তমান অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতি থেকে জাতিকে রক্ষা করতে হলে দেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক পক্ষের মধ্যে আলোচনা জরুরি। কিন্তু আলোচনায় বসতে গেলেই এজেন্ডা লাগবে, পরিবেশ লাগবে। এজেন্ডা স্থির করা দুই দলের দায়িত্ব। কিন্তু পরিবেশ সৃষ্টির শতকরা ৯৯ ভাগ দায়িত্ব সরকারের। সুতরাং একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অন্যান্য অসহিষ্ণুতার বিষয় মোকাবেলা করে জনগণ ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছেন। কিন্তু সব কিছুরই একটি সীমারেখা আছে। বাংলাদেশের মানুষ সেই সীমা লংঘন করবে কি-না, আমরা তা জানি না।

সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক : কলাম লেখক, সভাপতি, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি

Loading


Comments

তত্ত্বাবধায়ক বাতিল থেকেই সব সমস্যার সৃষ্টি — 1 Comment

মন্তব্য দেখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *