আজব রহস্যাগার

আজব রহস্যাগার

এধারে ছিল কাঁশবন ঘেরা এদোডোবা এক,
ঝর্ণাধারা ছিল এক ওধারে। ঝর্ণার জল এলো
এদোডোবা পাড়ে, আকাশ এলো কি নেমে
ধরার ‘পরে? শূণ্যগর্ভ হলো স্থির মঙ্গলে
গড়ে তুলবে এক আজব নগর – জীবনের রসায়ন,
আগামীর ভিত। বিজ্ঞানী তার্কিক তাবত ধর্মতত্ববিদ
গলদঘর্ম সদা খুঁজে ফিরে তীর রহস্যাগারের।

এখানে তার্কিক, ওখানে বিজ্ঞানী সদা তৎপর
কেবল ধর্মগুরু করে ঈশ্বরে নির্ভর।
একটি রেল সবেগেতে ধায়, করে না ভ্রূক্ষেপ।
জানে না সে পথ-ঘাট চেনে না নগর,
পশে না কানেতে তার কোন হুঙ্কার
শুধু জানে; নতুন পৃথিবীতে পৌঁছতে হবে তার
ঘড়ির কাঁটায় – ঠিক দশ ঘটিকায়।

ওখানে. ওই রহস্যাগারে নিয়মিত সভা হতো
উৎসবের নীরব গানে সাজাতো বেদী প্রতি পরবে;
ঝর্ণার জল এলে সাদরে বরিতে তারে হতো উন্মূখ।
একদা সে জল এলে সাদরে বরিয়া তারে
লাগায় ঘরেতে তালা; আর কোন সভা নয়,
নয় কোন গান, মুলতবি সভা সব, সব আয়োজন
বিজ্ঞানী ভেবে মরে রহস্য জানার, সমাজপতিরা ভাবে একি কারবার!

Loading

অনিরুদ্ধ বুলবুল

About অনিরুদ্ধ বুলবুল

ব্যক্তির সমষ্টিই সমাজ। আমি সেই সমাজেরই অংশ। যে সমাজে বাস করছি সেই সমাজের উন্নয়ন আমার স্বপ্ন। সমাজের যেকোন অনিয়ম অসংগতি আমাকে খুব কষ্ট দেয়। ইচ্ছা হয়; সুযোগ পেলে সমাজটাকে বদলিয়ে একটা সুন্দর সমাজ গড়ে তুলি। সমাজের প্রতি সেই দায়বদ্ধতা থেকেই নিজের কিছু ইচ্ছা, অভিপ্রায় ও মতামত উপস্থাপন করে সমমনা পাঠকেদের সাথে তা শেয়ার করার মানসে মাঝে মাঝে কিছু লিখি। তাতে সমাজের সামান্যতম উপকার হলেও নিজেকে ধন্য মনে করি।

মন্তব্য দেখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *