সিরাতাল মুস্তাকিম

আয়ুজুবিল্লাহিশ শাইতানির রাজিম

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

সিরাতাল মুস্তাকিম

পবিত্র আল কুরআনের সুরা আল ফাতিহায় যে প্রার্থনা আমরা নামাজে প্রতিনিয়ত একাধিকবার করে থাকি তা হল- (হে আল্লাহ ) দেখাও (হেদায়েত করয়) আমাদেরকে সরল-সোজা পথ। সে লোকদের পথ যাদেরকে তুমি অনুগ্রহ করেছ। তাদের পথে নয়, যারা গজবে পতিত ও পথভ্রষ্ট। এই প্রার্থনার দুটি মূল শব্দ সরল-সোজা পথ অনুগ্রহ পবিত্র আল কুরআনে কোথায় কিভাবে এসেছে তা তুলে ধরার প্রয়াস চালিয়েছি। মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা আমার এ প্রয়াস যেন কবুল করেন। আমিন।

১। আল ফাতিহাঃ আয়াত ৫, ৬ ও ৭

ক) (হে আল্লাহ ) দেখাও (হেদায়েত করয়) আমাদেরকে সরল-সোজা পথ। ৫

খ) সে লোকদের পথ যাদেরকে তুমি অনুগ্রহ করেছ। তাদের পথে নয়, যারা গজবে পতিত ও পথভ্রষ্ট। ৬-৭

 

২। আল-বাকারাঃ ৪০, ৪৭, ১২২, ১৪২, ১৫০, ২১১, ২১৩ ও ২৩১।

ক) হে বনী ইসরাইল ! তোমরা স্মরণ কর আমার সে অনুগ্রহ যা আমি তোমাদের প্রতি করেছি এবং পূর্ণ কর আমার সাথে কৃত অঙ্গিকার, আমি তোমাদের সাথে আমার অঙ্গীকার পূর্ণ করবো।    আর তোমরা কেবল আমাকেই ভয় কর। ৪০

খ) হে বনী ইসরাইল ! তোমরা স্মরণ কর আমার সে অনুগ্রহ যা আমি তোমাদের প্রতি করেছি এবং আমিই তোমাদের উচ্চ সম্মান দান করেছিলাম সমগ্র বিশ্বের উপর। ৪৭

গ) হে বনী ইসরাইল ! তোমরা স্মরণ কর আমার সে অনুগ্রহ যা আমি তোমাদের দিয়েছি। বিশ্ববাসীর উপর আমি তোমাদের শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছি। ১২২

ঘ) অচিরেই নির্বোধ লকেরা বলবে; কিসে ফিরিয়ে দিল তাদের সে কিবলা থেকে, যে কিবলা তারা এ যাবত অনুসরণ করে আসছিলো। আপনি বলুন পূরব ও পশ্চিম আল্লাহ্‌রই, তিনি যাকে ইচ্ছা সরল সঠিক পথে পরিচালিত করেন। ১৪২

ঙ) এবং যেখান থেকেই তুমি বের হও না কেন, তমার মুখ আল মসজিদুল হারামের দিকে ফেরাও এবং তোমরা যেখানেই থাক না কেন সেদিকেই মুখ ফেরাবে, যাতে মানুষের কোন অবকাশ না থাকে তোমাদের বিরুদ্ধে বিতর্ক করার, তাদের মধ্যে যারা যালিম, তাদের কথা আলাদা। অতএব তাদের ভয় কর না, কেবল আমাকেই ভয় কর, যাতে আমি আমার অনুগ্রহ পূর্ণরূপে তোমাদের দান করতে পারি এবং তোমরা হেদায়াত প্রাপ্ত হতে পার। ১৫০

চ) বনী ইসরাইলকে জিজ্ঞেস কর, আমি তাদেরকে কত স্পষ্ট নিদর্শনাবলি দান করেছি। আর আল্লাহর অনুগ্রহ পৌঁছে যাওয়ার পর কেউ তার পরিবর্তন করলে আল্লাহর শাস্তি অতি কঠিন। ২১১

ছ) সকল মানুষ একই উম্মত ছিল । তারপর আল্লাহ নবীদের পাঠালেন সুসংবাদ দাতা ও সতর্ককারীরূপে, আর তাদের সাথে সত্যসহ কিতাব নাযিল করলেন যাতে মানুষের মাঝে যে বিষয়ে মতভেদ সৃষ্টি হয়েছিল তার মীমাংসা করতে পারেন । বস্তুত কিতাবের ব্যাপারে অন্য কেউ মতভেদ করেনি, বরং স্পষ্ট নিদর্শন আসার পর পারস্পরিক বিদ্বেষবশতঃ তারাই করেছে জাদের কিতাব দেয়া হয়েছিল । মুমিনরা যে সত্য সম্বন্ধে মতভেদ করতো, আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদের সে ব্যাপারে হেদায়াত প্রদান করেন । আল্লাহ যাকে ইচ্ছা সরল-সঠিক পথে পরিচালিত করেন । ২১৩

জ) আর যখন তোমরা তোমাদের স্ত্রীদের তালাক দিয়ে দাও এবং তারা তাদের ইদ্দত পূর্তির কাছাকাছি হয় তখন তোমরা তাদের হয় বিধিমত রেখে দেবে অথবা যথাবিধি মুক্ত করে দেবে। কিন্তু জ্বালাতন ও বাড়াবাড়ি করার উদ্দেশ্যে তাদের আটকে রেখনা। আর যে এরূপ করে সে তো নিজের প্রতি জুলুম করে। আল্লাহর নির্দেশাবলীকে তোমরা হাসি-তামাশার বস্তু করনা। আর স্মরণ কর আল্লাহর অনুগ্রহের কথা, যা তোমাদের উপর রয়েছে এবং স্মরণ কর কিতাব ও হিকমতের কথা যা তোমাদের প্রতি তিনি নাজিল করেছেন এবং যা দিয়ে তিনি তোমাদের শিক্ষা দেন। তোমরা ভয় কর আল্লাহকে এবং জেনে রেখ যে, নিশ্চয়ই আল্লাহ সকল বিষয়ে সর্বজ্ঞ। ২৩১

 

৩ । আল- ইমরানঃ ৫০-৫১, ১০০-১০১, ১০৩, ১৬৯-১৭১, ১৭২, ১৭৩ ও ১৭৪ ।

ক) আর আমি (হজরত ঈসা আলাইহিস সালাম) এসেছি আমার সামনে তাওরাতে  যা আছে তার সত্যায়নকারীরূপে এবং তোমাদের জন্য কতিপয় বস্তু হালাল করার জন্য যা তোমাদের প্রতি হারাম করা হয়েছিল । আর আমি তোমাদের কাছে এসেছি নিদর্শন নিয়ে তোমাদের প্রতিপালকের তরফ থেকে । সুতরাং তোমরা ভয় কর আল্লাহকে, অনুসরণ কর আমাকে । নিশ্চয়ই আল্লাহ আমার পালনকর্তা ও তোমাদেরও পালনকর্তা । সুতরাং তোমরা তাঁরই ইবাদত কর, এটাই সরল- সঠিক পথ । ৫০-৫১

খ) হে যারা ঈমান এনেছ ! তোমরা যদি আহলে কিতাবের কোন দলের কথা মান, তবে তারা তোমাদের ঈমান আনার পর আবার কাফেরে পরিণত করে দেবে । কেমন করে তোমরা কুফরি করবে ? অথচও, তোমাদেরকে পাঠ করে শোনান হচ্ছে আল্লাহ্‌র আয়াতসমুহ এবং তোমাদেরই মধ্যে আছেন আল্লাহ্‌র রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) । আর যে কেউ দৃঢ়ভাবে আল্লাহকে ধারণ করবে সে অবশ্যই পরিচালিত হবে সরল- সঠিক পথে । ১০০-১০১

গ) আর তোমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে দৃঢ়ভাবে আল্লাহ্‌র রজ্জু ধারণ কর এবং পরস্পর বিচ্ছিন্ন হইও না । আর স্মরণ কর আল্লাহ্‌র সে অনুগ্রহ যা তোমাদের উপর রয়েছে ; তোমরা ছিলে পরস্পর শত্রু, আল্লাহ তোমাদের হৃদয়ে মহব্বত সৃষ্টি করেন, ফলে তাঁর অনুগ্রহে তোমরা পরস্পর ভাই হয়ে গেলে। তোমরা ছিলে এক অগ্নিকুণ্ডের কিনারে, আল্লাহ তা থেকে তোমাদের রক্ষা করেন। এরূপে আল্লাহ তোমাদের জন্য স্বীয় নিদর্শনসমূহ স্পষ্টভাবে বর্ণনা করেন যেন তোমরা হেদায়াত প্রাপ্ত হতে পার। ১০৩

ঘ) যারা আল্লাহ্‌র পথে নিহত হয় তোমরা কখনও তাদের মৃত ধারণা কর না। বরং তারা তাদের রবের কাছে জীবিত ও জিবিকাপ্রাপ্ত। তারা পরিতুষ্ট তাতে যা আল্লাহ তাদের দান করেছেন নিজ অনুগ্রহে এবং তারা আনন্দ প্রকাশ করে তাদের ব্যাপারে যারা এখনো তাদের সাথে মিলিত হয়নি, তাদের পিছনে রয়ে গেছে। কারণ, তাদের কোন ভয় নেই এবং

তারা দুঃখিতও হবে না। তারা আনন্দ প্রকাশ করে আল্লাহ্‌র তরফ থেকে নিয়ামত ও অনুগ্রহ (ফাদলিন) লাভের জন্য। আর আল্লাহতো মুমিনদের শ্রমফল বিনষ্ট করেন না। ১৬৯-১৭১

ঙ) আহত হওয়ার পর যারা আল্লাহ ও রাসুলের ডাকে সারা দেয়, তাদের মধ্যে যারা ভাল কাজ করে এবং তাকওয়া অবলম্বন করে, তাদের জন্য রয়েছে মহাপুরস্কার। তারা এমন মানুষ যে, লোকেরা তাদের বলেছিল ; নিশ্চয়ই তামাদের বিরুদ্ধে কাফেররা বিরাট সাজ-সরঞ্জামের ব্যবস্থা করেছে, সুতরাং তোমরা তাদের ভয় কর। এ কথায় তাদের ঈমানের তেজ বাড়িয়ে দিল এবং তারা বলল ; আমাদের জন্য আল্লাহই যথেষ্ট এবং তিনিই উত্তম কর্মবিধায়ক। তারপর তারা ফিরে এলো আল্লাহ্‌র নিয়ামত ও অনুগ্রহ (ফাদলিন) নিয়ে, কোন অমঙ্গলই তাদের স্পর্শ করেনি। আর আল্লাহ যাতে রাজি, তারা তারই অনুসরণ করেছিলো। আল্লাহ মহানুগ্রহশীল। ১৭২-১৭৪

 

৪। আন- নিসাঃ ৬০-৬৯, ৭১-৭৩, ১৭৫ ও ১৭৫।

ক) আপনি কি তাদের দেখেননি যারা দাবী করে যে, আপনার প্রতি যা নাযিল করা হয়েছে এবং আপনার পূর্বে যা নাযিল করা হয়েছে তাতে তারা বিশ্বাসী। অথচ, তারা বিচারপ্রারথী হতে চায় তাগুতের কাছে, যদিও তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে তা প্রত্যাখ্যান করতে। আর শয়তান তাদের পথভ্রষ্ট করে বহুদূরে নিয়ে যেতে চায়।

[শানে নুযূলঃ একদিন এক ইহুদীর সাথে এক মোনাফেকের ঝগড়া বেঁধে গেলে হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে ফয়সালার জন্য এলো। ফয়সালা ইহুদীর পক্ষে হল। ফলে মোনাফেক রায় না মেনে ওমর ফারুক রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুর নিকট গেল, তিনি তা শুনে বললেন, যে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রায় মানতে পারে না, তার রায় হল এই, বলে তরবারির এক আঘাতে মোনাফেকের শিরোচ্ছেদ করে দিলেন। এরপর মোনাফেকের ওয়ারিশরা খুনের দাবিদার হল এবং কসম খেয়ে বলতে লাগল যে, আমরা হজরত ওমর রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুর কাছে মীমাংসার জন্য গিয়েছিলাম, তখন এ আয়াত শরীফ নাজিল হয়।]

আর যখন তাদের বলা হয়, এসো আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তার দিকে এবং রাসুলের দিকে তখন আপনি মোনাফেকদের দেখবেন আপনার কাছ থেকে সম্পুর্নভাবে মুখ ফিরিয়ে সরে যাচ্ছে। তাদের কী দশা হবে যখন তাদের উপর কোন মসিবত আপতিত হবে ? তারপর তারা আপনার কাছে এসে আল্লাহ্‌র নামে শপথ করে বলবে আমরাতো কল্যাণ ও সম্প্রীতি ছাড়া অন্য কিছু চাইনি। তারা এমন লোক যাদের অন্তরের বিষয়ে আল্লাহ জানেন। সুতরাং আপনি তাদের উপেক্ষা করুন এবং তাদের সদুপদেশ দিন আর এমন কথা তাদের বলুন যা তাদের মর্ম স্পর্শ করে। আমিতো রাসুল এ উদ্দেশ্যেই প্রেরন করেছি যে, আল্লাহ্‌র নির্দেশ অনুযায়ী তার আনুগত্য প্রকাশ করা হবে। আর যদি তারা নিজেদের  উপর জুলুম করার পর আপনার কাছে আসত, আল্লাহ্‌র কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে এবং

রাসুলও তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করতেন, তবে নিশ্চয়ই তারা আল্লাহকে অতিশয় তাওবা কবুলকারী ও পরম দয়ালু পেত। তবে না, আপনার রবের কসম https://indigenerics.com! তারা মুমিন হবে না যে পর্জন্ত না তারা আপনার উপর বিচারের ভার অর্পণ করে সেসব বিবাদ- বিসম্বাদের যা তাদের মধ্যে সংঘটিত হয়, তারপর তারা নিজেদের মনে কোনরূপ দ্বিধা-সংকোচ বোধ না করে আপনার সিদ্ধান্তের ব্যাপারে এবং সর্বান্তকরনে তা মেনে নেয়। আর যদি আমি তাদের প্রতি ফরজ করে দিতাম যে, তোমরা নিজেদের হত্যা কর অথবা নিজেদের ঘরবাড়ী ছেড়ে বেরিয়ে যাও, তবে তাদের কয়েকজন ছাড়া কেউই তা করত না। আর যদি তারা তা করত যা তাদের করতে উপদেশ দেয়া হয় তবে তা তাদের জন্য উত্তম হত এবং ঈমানকে দৃঢ়তর করতো। এবং এ অবস্থায় আমি অবশ্যই নিজের তরফ থেকে তাদেরকে মহান প্রতিদান প্রদান করতাম এবং নিশ্চয়ই আমি তাদেরকে সরল- সঠিক পথে পরিচালিত করতাম। আর যে ব্যক্তি আনুগত্য করবে আল্লাহ ও রাসুলের, এরূপ ব্যক্তিরা সে ব্যক্তিদের সঙ্গী হবেন যাদের প্রতি আল্লাহ অনুগ্রহ করেছেন, তারা হলেন- নবী, সিদ্দিক, শহীদ এবং সৎকর্মপরায়ণ ব্যক্তিবর্গ। আর কত উত্তম সঙ্গী এঁরা।  ৬০-৬৯

খ) ওহে যারা ঈমান এনেছ! তোমরা সতর্কতা অবলম্বন কর এবং তারপর বেরিয়ে পড় দলে দলে বিভক্ত হয়ে অথবা অগ্রসর হও একসঙ্গে সম্মিলিতভাবে। আর তোমাদের মাঝে এমন কিছু লোক আছে যারা গড়িমসি করবেই; আর তোমাদের উপর কোন মসিবত আপতিত হলে বলবে ঃ অবশ্যই আল্লাহ আমার প্রতি অনুগ্রহ করেছেন, কেননা আমি তাদের সাথে উপস্থিত ছিলাম না। আর  যদি তোমাদের প্রতি আল্লাহ্‌র তরফ থেকে কোন অনুগ্রহ আসে তখন এমনভাবে বলতে শুরু করবে যেন তোমাদের ও তাদের মধ্যে কোন মিত্রতাই ছিল না- হায়! আমি যদি তাদের সাথে থাকতাম তাহলে আমিও বিরাট সাফল্য লাভ করতাম। ৭১-৭৩

গ) হে মানুষ! অবশ্যই তোমাদের কাছে তোমাদের রবের তরফ থেকে প্রমাণ এসেছে এবং আমি তোমাদের প্রতি উজ্জ্বল আলো অবতীর্ণ করেছি। নুতরাং যারা আল্লাহ্‌র প্রতি ঈমান এনেছে এবং তাতে দৃঢ়তা অবলম্বন করেছে তিনি তাদের স্বীয় রহমত ও অনুগ্রহের (ফাদলিন) মধ্যে দাখিল করবেন এবং তাঁর দিকে সরল পথে তাদেরকে পরিচালিত করবেন। ১৭৪-১৭৫

 

৫। আল- মায়েদাঃ ৩, ৬, ৭, ১১, ১৫, ১৬, ২০-২৩, ১১০-১১৫।

ক) তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত প্রাণী, রক্ত, শুকুরের মাংস, আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে জবাই করা পশু, শ্বাসরোধে মৃত পশু, আঘাতে মৃত পশু, উচ্চস্থান হতে পতনের কারণে মৃত পশু, শিঙের আঘাতে মৃত পশু, হিংস্র জানোয়ার ভক্ষণ করা পশু- তবে যা তোমরা জবাই করতে পেরেছ তা ছাড়া, যা মূর্তি পূজার বেদিতে বলী দেয়া হয় এবং যা লটারির তীর দিয়ে ভাগ করা হয়। এ সব পাপ কাজ। আজ কাফেররা তোমাদের দ্বীনের বিরুদ্ধাচরণে নিরাশ হয়ে পড়েছে । সুতরাং তাদের ভয় কর না বরং আমাকেই ভয় কর। আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পুর্নাঙ্গ করে দিলাম। তোমাদের প্রতি আমার নিয়ামত পূর্ণ করে দিলাম। যদি কেউ ক্ষুধার তাড়নায় অস্থির হয়ে পড়ে কিন্তু কোন পাপের প্রতি আকৃষ্ট না হয়, তবে আল্লাহতো পরম ক্ষমাশীল পরম দয়ালু। ৩

খ) ওহে যারা ঈমান এনেছ! তোমরা যখন নামাজের জন্য দাঁড়াতে চাও তখন তোমরা ধৌত করে নেবে তোমাদের মুখমণ্ডল এবং হাত কনুই পর্যন্ত আর মসেহ করে নেবে নিজেদের মস্তক এবং ধৌত করে নেবে তোমাদের পা গ্রন্থি পর্যন্ত। কিন্তু যদি তোমরা অপবিত্র থাক তবে উত্তমরূপে পবিত্র হবে। আর যদি তোমরা পীড়িত হও কিংবা সফরে থাক অথবা তোমাদের কেউ প্রস্রাব-পায়খানা সেরে আসে কিংবা স্ত্রী সহবাস কর তারপর পানি না পাও, তবে তোমরা পবিত্র মাটি দিয়ে তায়াম্মুম করবে। ঐ মাটি দিয়ে নিজেদের মুখমণ্ডল ও হাত মসেহ করে নিবে। আল্লাহ তোমাদের অসুবিধায় ফেলতে চান না, বরং তিনি তোমাদেরকে পাক-পবিত্র রাখতে চান এবং তোমাদের প্রতি তাঁর নিয়ামত পূর্ণ করতে চান, যেন তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর। ৬

গ) স্মরণ কর তোমাদের প্রতি আল্লাহ্‌র নিয়ামতের কথা এবং তাঁর সে অঙ্গীকারের কথা যা তিনি তোমাদের কাছ থেকে নিয়েছেন। যখন তোমরা বলেছিলেঃ আমরা শুনলা ও মান্য করলাম। তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের অন্তরে যা আছে সে বিষয়ে পুরোপুরি অবগত। ৭

ঘ) ওহে যারা ঈমান এনেছ! তোমরা স্মরণ কর তোমাদের প্রতি আল্লাহ্‌র নিয়ামতের কথা, যখন এক সম্প্রদায় সংকল্প করেছিল তোমাদের বিরুদ্ধে হাত বাড়াতে তখন তিনি তোমাদের থেকে তাদের হাত প্রতিহত করে দিয়েছিলেন। তোমরা ভয় কর আল্লাহকে। আর আল্লাহ্‌র উপর যেন মুমিনরা ভরসা করে। ১১

ঙ) হে আহলে কিতাব! তোমাদের কাছে আমার রাসুল এসেছেন, তিনি তোমাদের কাছে প্রকাশ করেন কিতাবের এমন অনেক কিছু যা তোমরা গোপন করতে এবং অনেক বিষয় উপেক্ষা করেন। তোমাদের কাছে এসেছে আল্লাহ্‌র তরফ থেকে এক জ্যোতি এবং একটি সমুজ্জ্বল কিতাব। যারা আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টি কামনা করে, এ কিতাব দিয়ে তিনি তাদের শান্তির পথে পরিচালিত করেন এবং তাদের তিনি বের করে আনেন অন্ধকার থেকে আলোর দিকে স্বীয় অনুমতিক্রমে আর তাদের তিনি পরিচালিত করেন সরল- সঠিক পথে। ১৫-১৬

চ) (স্মরণ কর) যখন মুসা তার সম্প্রদায়কে বলেছিল, হে আমার কওম! তোমরা স্মরণ কর তোমাদের প্রতি আল্লাহ্‌র নিয়ামতের কথ, যখন তিনি তোমাদের মধ্যে অনেক নবী সৃষ্টি করেছিলেন এবং তোমাদের করেছিলেন রাজাধিপতি আর তোমাদের দিয়েছিলেন এমন জিনিস যা বিশ্বজগতে অন্য কাউকে দেননি। হে আমার কওম! তোমরা প্রবেশ কর পবিত্র ভূমিতে যা আল্লাহ তোমাদের জন্য নির্ধারিত করে দিয়েছেন এবং পিছনে ফিরে যেয়ো না, গেলে তোমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়বে। তারা বললঃ হে মুসা, সেখানে রয়েছে এক দুর্দান্ত জাতি, আমরা কখনও সেখানে প্রবেশ করবনা যে পর্যন্ত না তারা সেখান থেকে বের হয়ে যায়। যদি তারা সেখান থেকে বের হয়ে যায় , তবে অবশ্যই আমরা প্রবেশ করব। যারা ভয় করত তাদের মধ্য থেকে দু’জন ব্যক্তি, যাদেরকে আল্লাহ অনুগ্রহ করেছিলেন, বললঃ তোমরা তাদের উপর আক্রমণ করে দরজা দিয়ে প্রবেশ কর। আর যখন তোমরা সেখানে প্রবেশ করবে তখনই তোমরা জয়ী হবে। আর আল্লাহ্‌রই উপর ভরসা কর, যদি তোমরা মুমিন হয়। ২০-২৩

ছ) যখন আল্লাহ বলবেনঃ হে ঈসা ইবনে মারিয়াম! তুমি স্মরণ কর তোমার প্রতি ও তোমার মায়ের প্রতি আমার নিয়ামতের কথা, যখন আমি তোমাকে সাহায্য করেছিলাম জিবরাইলকে দিয়ে, তুমি মানুষের সাথে কথা বলতে মাতৃক্রোড়েও এবং পরিণত বয়সেও; আর যখন আমি তোমাকে শিক্ষা দিয়েছিলাম কিতাব, হিকমত, তাওরাত ও ইঞ্জিল; আর যখন তুমি কাদামাটি দিয়ে আমার আদেশে পাখি সদৃশ আকৃতি তৈরি করতে এবং এতে ফু দিতে, ফলে তা আমার আদেশে পাখি হয়ে যেত; আর আমার আদেশে তুমি জন্মান্ধ ও কুষ্ঠ রোগীকে নিরাময় করতে; আর যখন তুমি আমার আদেশে মৃতকে (কবর থেকে) বের করে নিয়ে আসতে; আর যখন আমি নিবৃত্ত রেখেছিলাম বনী ইসরাইলকে তোমার থেকে; যখন তুমি তাদের কাছে স্পষ্ট প্রমাণাদি নিয়ে এসেছিলে তখন তাদের মধ্যে যারা কুফরি করেছিল তারা বলেছিলঃ এত স্পষ্ট জাদু ছাড়া আর কিছু নয়। আরও স্মরণ কর , যখন আমি হাওয়ারীদের আদেশ করলাম, “তোমরা ঈমান আন আমার প্রতি এবং আমার রাসুলের প্রতি, “ তখন তারা বলেছিলঃ আমরা ঈমান আনলাম এবং আপনি সাক্ষী থাকুন যে আমরাতো মুসলিম। স্মরণ কর হাওয়ারীরা বলেছিলঃ হে ঈসা ইবনু মারিয়াম! আপনার রব কি আমাদের জন্য আসমান থেকে খাদ্য ভর্তি খাঞ্চা প্রেরণ করতে পারেন ? তিনি বলেছিলেনঃ আল্লাহকে ভয় কর, যদি প্রকৃত মুমিন হও। তারা বললঃ আমরা চাই যে তা থেকে কিছু খাব এবজেয়ামাদের অন্তর পরিতৃপ্ত হবে। আর আমরা জেনে নেব যে, আপনি আমাদের সত্য বলেছেন আর আমরা তার সাক্ষী হয়ে যাব। ঈসা ইবনে মারিয়াম বললেনঃ হে আল্লাহ, আমাদের রব! প্রেরণ করুন আমাদের জন্য আসমান থেকে খাদ্য ভর্তি খাঞ্চা, যা হবে আমাদের জন্য এবং আমাদের পুর্ববর্তি ও পরবর্তী সবার জন্য আনন্দোৎসব স্বরূপ, আর আপনার পক্ষ থেকে একটি নিদর্শন হবে। আপনি আমাদেরকে জীবিকা দান করুন আর আপনিই শ্রেষ্ঠ রিজিকদাতা। আল্লাহ বললেনঃ অবশ্যই আমি তা তোমাদের কাছে প্রেরণ করব। কিন্তু এর পরেও তোমাদের মধ্যে কেউ কুফরি করলে তাকে আমি এমন শাস্তি দেব, যে শাস্তি বিশ্বজগতে অন্য কাউকে দেব না। ১১০-১১৫

 

৬। আল-আন’আমঃ ৩৯, ৮৪-৮৭, ১২৫-১২৬, ১৫১-১৫৩।

ক) যারা আমার নিদর্শনসমূহ অস্বীকার করে তারা বধির ও বোবা, তারা রয়েছে অন্ধকারে। আল্লাহ যাকে চান বিপথগামী করেন এবং যাকে চান সরল সঠিক পথে পরিচালিত করেন। ৩৯

খ) আর আমি তাকে (ইব্রাহিমকে) দান করেছিলাম ইসহাক ও ইয়াকুব। প্রত্যেককেই আমি সৎপথে পরিচালিত করেছিলাম। এর আগে আমি নুহকেও হেদায়াত দান করেছিলাম এবং তার বংশধরদের থেকে দাউদ, সুলায়মান, আইয়ুব, ইউসুফ, মুসা ও হারুনকেও হেদায়াত দান করেছিলাম। তারা সবাই ছিলেন পুণ্যবানদের অন্তরভুক্ত। এব্বং ইসমাইল ও আলইয়াসাআ, ইউনুস ও লুতকেও হেদায়াত দান করেছিলাম। আমি প্রত্যেককেই সারা জাহানের উপর ফজিলত দান করেছিলাম এবং তাদের পুরব পুরুষদের কতক্কে, তাদের বংশধরদের কতককে এবং তাদের ভ্রাতৃবৃন্দের কতক্কেও; তাদের আমি মনোনীত করেছিলাম এবং পরিচালিত করেছিলাম সরল সঠিক পথে।  ৮৪-৮৭

গ) যাকে আল্লাহ সৎপথে পরিচালিত করতে চান তিনি তার বক্ষকে ইসলামের জন্য উন্মুক্ত করে দেন এবং যাকে বিপথগামী করতে চান তার বক্ষকে অতিশয় সংকীর্ণ করে দেন। যেন সে সবেগে আকাশে আরোহণ করছে। যারা ঈমান আনেনা আল্লাহ তাদেরকে এরূপই লাঞ্ছিত করেন। আর এটাই আপনার রবের সরল সঠিক পথ। উপদেশ গ্রহণকারীদের জন্য আমি আয়াতসমুহ বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেছি। ১২৫,১২৬

ঘ) বলুন, এসো আমি পড়ে শুনাই তোমাদের জন্য তোমাদের রব যা হারাম করেছেন তা। সেসব হল এই- তম্রা তাঁর কোন শরীক সাব্যস্ত করবে না, মাতা-পিতার সাথে সদ্ব্যবহার করবে, দারিদ্র্যের কারণে তোমরা নিজেদের সন্তানদেরকে হত্যা করবে না; আমিই রিজিক দান করি তোমাদেরকে এবং তাদেরকেও। অশ্লীল আচরণের কাছেও যেওনা- তা প্রকাশ্যে হোক কিংবা গপনে হোক; এবং আল্লাহ যাকে হত্যা করা হারাম করেছেন তাকে অন্যায়ভাবে হত্যা কর না। এসব নির্দেশ তিনি তোমাদেরকে দিয়েছেন যেন তোমরা অনুধাবন কর। এতীম সাবালক না হওয়া পর্যন্ত তোমরা সদুদ্দেশ্য ছাড়া তার সম্পদের কাছেও যেও না এবং পরিমাপ ও ওজন ঠিকভাবে পুরোপুরি দেবে। আমি কাউকে তার সাধ্যাতীত কষ্ট দেই না। যখন তোমরা কথা বলবে তখন ন্যায় পরায়নতা বজায় রাখবে, যদিও সে আত্মীয় হয়। আর আল্লাহকে দেয়া ওয়াদা পুরন করবে। এসব নির্দেশ তিনি তোমাদেরকে দিয়েছেন যেন তোমরা উপদেশ গ্রহণ কর। আর এটিই আমার সরল সঠিক পথ, অতএব তোমরা এ পথেই চল এবং অন্যান্য পথে চলনা- চললে সেসব পথ তোমাদেরকে তাঁর পথ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলবে। তিনি তোমাদেরকে এ নির্দেশ দিয়েছেন যেন তোমরা সাবধান হও। ১৫১-১৫৩

ঙ) বলুন, অবশ্যই আমার রব আমাকে সরল সঠিক পথে পুরিচালিত করেছেন। তা দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত দ্বীন একনিষ্ঠ ইব্রাহিমের মিল্লাত। আর তিনি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন না। আমার নামাজ, আমার যাবতীয় ইবাদত, আমার জীবন ও আমার মরণ সারা জাহানের প্রতিপালক আল্লাহ্‌রই জন্য; তাঁর কোন শরীক নেই, আর আমি এরই জন্য আদিষ্ট হয়েছি এবং আমিই মুসলিমদের মধ্যে প্রথম। ১৬১-১৬৩

 

৭। আল- আরাফঃ ১৬ ও ১৭।

ক) সে (শয়তান ইবলিস) বলল, যেহেতু আপনি আমাকে গোমরা সাব্যস্ত করেছেন, তাই আমিও অবশ্যই তাদের জন্য আপনার সরল সঠিক পথে ওঁত পেতে বসে থাকব। এরপর আমি অবশ্যই তাদের ক্রছে আসব তাদের সামনের দিক থেকে, তাদের পিছনের দিক থেকে, তাদের ডান দিক থেকে ও তাদের বাম দিক থেকে। আর আপনি তাদের অধিকাংশকে শোকর গোজার পাবেন না। ১৬-১৭।

৮। আল আনফালঃ ৫০ ও ৫৩।

   ক) আর যদি তুমি দেখতে পেতে যখন ফেরেশতারা কাফেরদের জান কবজ করে তাদের মুখমণ্ডল ও পৃষ্ঠদেশে আঘাত করে এবং বলে- আস্বাদন কর দহন যন্ত্রণা। এ হল সে জন্য যা তোমরা স্বহস্তে আগে প্রেরণ করেছ। আর আল্লাহতো বান্দাদের প্রতি জালিম নন। ফেরাউনের সম্প্রদায় এবং তাদের পুরববরতিদের আচরণের ন্যায় তারাও আল্লাহর আয়াতকে প্রত্যাখ্যান করেছিল, ফলে আল্লাহ তাদের পাকড়াও করলেন তাদের পাপের জন্য। নিশ্চয়ই আল্লাহ প্রবল শক্তিশালী কঠোর শাস্তিদাতা। এর কারণ এই যে, নিশ্চয়ই আল্লাহ পরিবর্তন করেন না সে নিয়ামত যা তিনি দান করেছেন কোন জাতিকে যতক্ষণ না  তারা নিজেরা নিজেদের অবস্থার পরিবর্তন করে। নিশ্চয়ই আল্লাহ সরবশ্রোতা সর্বজ্ঞ। ৫০-৫৩

 

৯। আত- তাওবাঃ ৭, ২০ ও ২১।

ক) কেমন করে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের কাছে চুক্তি কার্যকর থাকবে ? তবে যাদের সাথে তোমরা মসজিদুল হারামের কাছে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছ, যে পর্যন্ত তারা তোমাদের সাথে সরলভাবে থাকে, তোমরাও তাদের সাথে সরলভাবে থাকবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ মুত্তাকিদের ভালবাসেন। ৭

খ) যারা ঈমান এনেছে, হিজরত করেছে এবং নিজেদের মাল ও জান দিয়ে আল্লাহর পথে জিহাদ করেছে তারা আল্লাহর কাছে মরজাদায় শ্রেষ্ঠ। আর তারাই প্রকৃত সফলকাম। তাদের রব তাদেরকে সুসংবাদ দিচ্ছেন স্বীয় অনুগ্রহ ও সন্তোষের এবং জান্নাতের, যার মধ্যে তাদের জন্য রয়েছে চিরস্থায়ী নিয়ামত।  ২০-২১।

 

১০। আল- ইউনুছঃ ২৫।

ক) আর আল্লাহ আহ্বান করেন চিরস্থায়ী শান্তির বাসস্থানের দিকে এবং তিনি যাকে ইচ্ছা সরল সঠিক পথে চলার তৌফিক দেন। ২৫

 

১১। আল- হুদঃ ১০,১১, ৫৬।

ক) আর যদি আমি তাকে আস্বাদন করাই কোন নিয়ামত তার উপর আপতিত কোন দুঃখ কষ্টের পরে, তবে সে তখন বলতে থাকে- আমার থেকে বিপদ- আপদ কেটে গেছে। আর সে আনন্দিত ও অহংকারী হয়ে পড়ে। কিন্তু যারা ধৈরয ধারণ করেছে ও নেক আমল করেছে তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও মহাপুরস্কার। ১০-১১।

খ) আমিতো (হজরত হুদ আলাইহিস সালাম) ভরসা করেছি আল্লাহর উপর যিনি রব আমার ও তোমাদের। এমন কোন বিচরণকারী প্রাণী নেই যা তার পুরন আয়ত্তাধীন নয়। নিশ্চয়ই আমার রব রয়েছেন সরল সঠিক পথে। ৫৬।

 

১২। আল- ইউসুফঃ ৪-৬।

ক) স্মরণ কর! ইউসুফ তার পিতাকে বলেছিল- হে আমার আব্বা! আমি স্বপ্নে দেখেছি এগারোটি নক্ষত্র এবং সুরজ ও চন্দ্রকে। আমি দেখেছি তাদেরকে আমার প্রতি সেজদাকারী অবস্থায়। পিতা বললেন- হে বৎস! তমার এ স্বপ্ন বৃত্তান্ত তোমার ভাইদের কাছে ব্যক্ত কর না। তাহলে তারা তোমার বিরুদ্ধে কোন বিশেষ চক্রান্ত করবে। নিশ্চয়ই শয়তান মানুষের প্রকাশ্য শত্রু। এমনিভাবে তোমার রব তোমাকে মনোনীত করবেন এবং তোমাকে শিক্ষা দেবেন স্বপ্নের ব্যাখ্যা, আর পূর্ণ করবেন তাঁর অনুগ্রহ তোমার প্রতি ও ইয়াকুবের পরিবার-পরিজনের প্রতি- যেমন তিনি ইতিপুরবে তা পূর্ণ করেছিলেন তোমার পিতৃপুরুষ ইবরাহিম ও ইসহাকের প্রতি। নিশ্চয়ই তোমার রব সর্বজ্ঞ হিকমতওয়ালা। ৪-৬

 

১৩। আল- ইবরাহিমঃ ৬, ২৮-৩০, ৩২-৩৪।

ক) আর স্মরণ কর মুসা তার কওমকে বলেছিল- তোমরা স্মরণ কর তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ যখন তিনি তোমাদেরকে মুক্ত করেছিলেন ফেরাউনের লোকদের হাত থেকে, তারা তোমাদেরকে কঠোর শাস্তি দিত, তোমাদের ছেলেদেরকে হত্যা করত এবং তোমাদের মেয়েদেরকে জীবিত রেখে দিত। এত ছিল তোমাদের রবের তরফ থেকে এক বিরাট পরীক্ষা। ৬

খ) তুমি তাদেরকে দেখনি যারা আল্লাহর নিয়ামতের বদলে কুফরি করেছে এবং নিজেদের কাওমকে নামিয়ে এনেছে ধ্বংসের ক্ষেত্রে। জাহান্নামে ? সেখানে তারা প্রবেশ করবে, কত নিকৃষ্ট সে আবাস। তারা আল্লাহর জন্য অনেক সমকক্ষ সাব্যস্ত করেছে যেন তাঁর পথ থেকে অন্যদেরকেও বিপথগামী করে দেয়। আপনি বলে দিন- তোমরা কিছু দিন ভোগ করে নাও। কেননা পরিশেষে দোযখই তোমাদের প্রত্যাবর্তনস্থল। ২৮-৩০।

গ) আল্লাহ তিনিই যিনি সৃষ্টি করেছেন আসমান ও জমিন, যিনি আসমান থেকে পানি বর্ষণ করিয়ে তা দিয়ে তোমাদের জীবিকার জন্য ফলমূল উৎপন্ন করেন, তিনি নৌযানসমূহকে তোমাদের বশীভুত করে দিয়েছেন যাতে তাঁর আদেশে তা সমুদ্রে চলে এবং যিনি তোমাদের উপকারার্থে নিয়োজিত করেছেন নদনদীকে; যিনি তোমাদের কল্যাণে নিয়োজিত করেছেন সুরজ ও চন্দ্রকে যারা একই নিয়মে অনবরত চলছে এবং তোমাদের হিতার্থে নিয়োজিত করেছেন রাত ও দিনকে; যিনি তোমাদেরকে দিয়েছেন তোমরা তাঁর কাছে যা কিছু চেয়েছ তার প্রত্যেকটি থেকেই। যদি তোমরা আল্লাহর নিয়ামত গণনা কর, তবে তা গুণে শেষ করতে পারবে না। নিশ্চয়ই মানুষ বড়ই সীমালংঘঙ্কারী অতিশয় অকৃতজ্ঞ। ৩২-৩৪

 

১৪। আল- হিজরঃ ৩৯-৪২।

ক) সে (শয়তান ইবলিশ) বলল- হে আমার রব! আপনি যেহেতু আমাকে বিপথগামী করলেন, সুতরাং আমিও দুনিয়ার মানুষের দৃষ্টিতে পাপকার্জসমুহকে শোভন করে দেখাব এবং তাদের সবাইকে পথভ্রষ্ট করে দেব। তবে, তাদের মধ্যে যারা আপনার একনিষ্ঠ বান্দা তাদের ছাড়া। আল্লাহ বললেন এটাই আমার কাছে পৌঁছার সহজ সরল পথ। আমার বান্দাদের উপর তোমার কোন ক্ষমতা নেই। তবে, বিভ্রান্তদের মধ্যে যারা তোমার অনুসরন করে তাদের ছাড়া। ৩৯-৪২।

 

১৫। আন- নাহলঃ ১৮, ৫৩, ৭১, ৭২, ৭৩, ৭৬, ৮০, ৮১, ১১৪, ১২০ ও ১২১।

ক) যদি তোমরা আল্লাহর নিয়ামত গণনা কর তবে তার সংখ্যা নির্ণয় করতে পারবে না। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু। ১৮

খ) তোমাদের কাছে যেসব নিয়ামত রয়েছে তা তো আল্লাহ্‌রই তরফ থেকে; আবার যখন দুঃখ-দৈন্য তোমাদেরকে স্পর্শ করে তখন তোমরা তাঁরই কাছে ফরিয়াদ কর। ৫৩

গ) আল্লাহ শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন তোমাদের কতককে কতকের উপর এবং জীবনোপকরণের ব্যাপারে। সুতরাং যাদেরকে শ্রেষ্ঠত্ব দেয়া হয়েছে, তারা তাদের অধীনস্থ দাস-দাসীদেরকে তাদের জীবনোপকরণ থেকে এমন কিছু দিতে সম্মত হয় না যে, তারা সবাই তাতে সমান হয়ে যায়। তবে তারা আল্লাহর নিয়ামত অস্বীকার করবে ? ৭১

ঘ) ার আল্লাহ তোমাদের জন্য তোমাদেরই মধ্য থেকে জোড়া সৃষ্টি করেছেন এবং তোমাদের যুগল থেকে তোমাদের জন্য পুত্র ও পৌত্রাদি সৃষ্টি করেছেন এবং তোমাদেরকে দান করেছেন উত্তম জীবনোপকরণ। তবুও কি তারা ভিত্তিহীন বিষয়ের প্রতি বিশ্বাস রাখবে এবং তারা আল্লাহর নিয়ামতের না-শোকরী করবে ? এবং তারা কি আল্লাহ ছাড়া এমন কিছুর উপাসনা করবে যারা তাদের জন্য আসমান ও জমিন থেকে কোন রিজিক সরবরাহ করার সামর্থ রাখে না। ৭২-৭৩।

ঙ) আল্লাহ আরও উদাহরণ বর্ণনা করেছেন দুই ব্যক্তিরঃ তাদের মধ্যে একজন বোবা- কোন কাজই করতে পারে না, তাই সে তার মনিবের গলগ্রহ; মনিব তাকে যেখানেই পাঠায় সে ভাল কিছুই করতে পারে না। সে কি ঐ ব্যক্তির সমান হতে পারে যে ন্যায়ের আদেশ দেয় এবং সহজ সরল পথে রয়েছে ? ৭৬

চ) আর আল্লাহ করে দিয়েছেন তোমাদের জন্য তোমাদের গৃহকে আবাসের জায়গা এবং তিনি করে দিয়েছেন তোমাদের জন্য পশু চর্মের তাঁবুর ব্যবস্থা; তোমরা সফরকালে তা সহজে ব্যবহার করতে পার এবং অবস্থানকালে সহজে খাঁটাতে পার; আর তিনি তোমাদের জন্য ব্যবস্থা করেন এ গুলোর পশম, লোম ও চুল থেকে কিছু কালের আসবাবপত্রাদি ও প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি। আল্লাহ তোমাদের জন্য ছায়ার ব্যবস্থা করেছেন তা থেকে এবং তিনি তোমাদের জন্য আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেছেন পাহাড়ে, তিনি তোমাদের জন্য আরও ব্যবস্থা করেছেন এমন জামার যা তোমাদেরকে উত্তাপ থেকে রক্ষা করে এবং এমন জামা যা যুদ্ধে রক্ষা করে। এভাবেই তিনি স্বীয় নিয়ামত তোমাদের জন্য পূর্ণ করেন যাতে তোমরা তাঁর ফরমারবরদার হয়ে থাক। ৮০-৮১

ছ) তোমরা খাও সেসব জিনিস থেকে যা আল্লাহ তোমাদেরকে দিয়েছেন হালাল ও পবিত্ররূপে এবং আল্লাহর নিয়ামতের শোকর গোজারী কর, যদি তোমরা কেবল তাঁরই ইবাদত কর। ১১৪

জ) নিশ্চয়ই ইবরাহিম ছিলেন এক উম্মত, আল্লাহর অনুগত, একনিষ্ঠ এবং তিনি মুশরিকদের দলভুক্ত ছিলেন না। তিনি ছিলেন তাঁর নিয়ামতের শোকর গোজার। আল্লাহ তাকে মনোনীত করেছিলেন এবং পরিচালিত করেছিলেন সরল সঠিক পথে। ১২০-১২১।

 

১৬। বনী ইসরাইলঃ ৯, ১০ ও ৮৩।

ক) নিশ্চয়ই এ কুরআন এমন পথের সন্ধান দেয়, যা সর্বাধিক সরল এবং ঐ সব মুমিনদের যারা নেককাজ করে তাদেরকে সুসংবাদ দেয় যে, তাদের জন্য রয়েছে মহাপুরস্কার। এবং যারা আখিরাতে ঈমান রাখে না তাদের জন্য আমি প্রস্তুত করে রেখেছি যন্ত্রণাদায়ক আজাব। ৯-১০।

খ) আর আমি যখন মানুষকে নিয়ামত দান করি তখন সে মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং দূরে সরে যায়, আর যখন তার উপর কোন বিপদ আপতিত হয় তখন সে নিরাশ হয়ে পড়ে। ৮৩

 

১৭। মারইয়ামঃ ৩৬ ও ৫৮।

ক) (আর ঈসা আঃ) বলেছিল- নিশ্চয়ই আল্লাহ আমারও রব, তোমাদেরও রব। তোমরা তাঁরই ইবাদত কর। এটাই সরল সঠিক পথ। ৩৬

খ) এরা তারা যাদেরকে আল্লাহ অনুগ্রহ করেছেন নবীদের মধ্য থেকে তারা আদমের বংশধর এবং যাদেরকে আমি নুহের সাথে নৌকায় আরোহণ করিয়েছিলাম তাদের বংশধর এবং ইবরাহিম ও ইসরাইলের বংশধর এবং যাদেরকে আমি হেদায়াত দান করেছিলাম ও মনোনীত করেছিলাম তাদের দলভুক্ত। তাদের কাছে যখন দয়াময় আল্লাহর আয়াত পাঠ করা হত তখন তারা সিজদায় লুটিয়ে পড়ত এবং কাঁদতে থকত। ৫৮

 

১৮। আল-হজ্জঃ ৫২-৫৪, ৫৬ ও ৬৭।

ক) আর আমি আপনার আগে প্রেরণ করিনি কোন রাসুল আর না কোন নবী, এতদব্যতিত যে, যখনই তাদের কেউ কিছু আকাঙ্ক্ষা করেছে, তখনই শয়তান তার আকাঙ্ক্ষা প্রক্ষিপ্ত করেছে। অতঃপর আল্লাহ বিদূরিত করেন, শয়তান যা প্রক্ষিপ্ত করে। তারপর আল্লাহ তাঁর আয়াতসমূহকে আরও মজবুত করে দেন। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, হেকমতওয়ালা। এতা এজন্য যে, শয়তান যা প্রক্ষিপ্ত করে তিনি তা পরীক্ষাস্বরূপ করে দেন তাদের জন্য যাদের অন্তরে রোগ রয়েছে এবং যারা পাষাণ-হৃদয়। নিশ্চয়ই জালেমরা রয়েছে চরম বিরোধিতায় লিপ্ত। এবং এ কারণেও যে, যাদেরকে জ্ঞান দান করা হয়েছে তারা যেন জানতে পারে যে, এটা আপনার রবের তরফ থেকে সত্য; তারপর তারা যেন এতে ঈমান আনে এবং তাদের অন্তর যেন এর প্রতি আরও আকৃষ্ট হয়। নিশ্চয়ই যারা ঈমান এনেছে আল্লাহ অবশ্যই তাদেরকে সরল সঠিক পথে পরিচালিত করেন। ৫২-৫৪।

খ) সেদিন সমস্ত আধিপত্য হবে আল্লাহ্‌রই। তিনিই তাদের মধ্যে ফয়সালা করে দেবেন। সুতরাং যারা ঈমান আনে ও নেক কাজ করে তারা থাকবে নিয়ামতপূর্ণ জান্নাতে। ৫৬

গ) প্রত্যেক উম্মতের জন্য আমি নির্ধারিত করে দিয়েছি ইবাদতের নিয়ম পদ্ধতি যা তারা পালন করে। সুতরাং তারা যেন এ ব্যাপারে আপনার সাথে বিতর্ক না করে। আপনি আপনার রবের দিকে আহ্বান করতে থাকুন। নিঃসন্দেহে আপনি রয়েছেন সরল সঠিক পথে। ৬৭

 

১৯। আল-মুমিনুনঃ ৭৩ ও ৭৪।

ক) আর আপনিতো তাদেরকে সরল সঠিক পথে দাওয়াত দিচ্ছেন। আর যারা আখেরাতের প্রতি ঈমান রাখে না তারা তো সহজ সরল পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে গেছে। ৭৩-৭৪।

 

২০। আন-নুরঃ ৪৬

ক) আমিতো নাজিল করেছি সুস্পষ্টভাবে বর্ণনাকারী আয়াতসমূহ। আর আল্লাহ যাকে ইচ্ছা করেন সরল সঠিক পথের হেদায়াত দান করেন। ৪৬

২১। আশ-শুয়ারাঃ ২২

ক) আর আমার (মুসা আলাইহিস সালাম) প্রতি তোমার (ফেরাউন) যে সব অনুগ্রহের কথা বলছ তা তো এই যে, তুমি বনী ইসরাইলকে দাস বানিয়ে রেখেছ। ২২

 

২২। আন-নামলঃ ১৭-১৯,

ক) সুলায়মানের জন্য তার সেনাবাহিনীতে সমবেত করা হয়েছিল জিন, মানুষ ও পক্ষীকুলকে এবং এদেরকে বিন্যস্ত করা হয়েছিল বিভিন্ন ব্যুহে। এমনকি যখন তারা পিপীলিকাদের ময়দানে এসে পঁঅউছল, তখন একটি পিপীলিকা বলল- হে পিপীলিকা দল! তোমরা নিজ নিজ গর্তে প্রবেশ কর যেন, সুলায়মান ও তার সেনাদল অজ্ঞাতসারে তোমাদেরকে পদদলিত করে না ফেলে। পিপীলিকার এ কথা শুনে সুলায়মান মুচকি হেসে বললেন- হে আমার রব! আপনি আমাকে সামর্থ্য দিন যাতে আমি আপনার সে সব নিয়ামতের শোকর আদায় করতে পারি যা আপনি আমাকে ও আমার পিতামাতাকে দান করেছেন এবং যেন আমি এমন নেক কেজ করতে পারি যাতে আপনি সন্তুষ্ট হন, আর আমাকে নিজ অনুগ্রহে আপনার নেক বান্দাদের শামিল করে নিন। ১৭-১৯।

 

২৩। আল-কাসাসঃ ৪-৬, ১৫-১৭ ও ৮২।

ক) ফেরাউন তার দেশে অতিমাত্রায় উদ্ধত হয়ে গিয়েছিল এবং সে দেশবাসীকে বিভিন্ন দলে বিভক্ত করে তাদের মধ্য থেকে একটি দলকে দুরবল করে ফেলেছিল। তাদের পুত্র সন্তানদেরকে সে হত্যা করত এবং তাদের মেয়েদেরকে জীবিত রেখে দিত। বস্তুতঃ সে ছিল বিপরজয় সৃষ্টিকারী। আর আমি ইচ্ছা করলাম যে, সে দেশে যাদেরকে দুরবল করে রাখা হয়েছিল, তাদের প্রতি অনুগ্রহ করি আর তাদেরকে নেতা বানাই এবং তাদেরকে দেশের উত্তরাধিকারী করি। এবং তাদেরকে দেশের শাসন ক্ষমতা দান করি এবং ফেরাউন, হামান ও তাদের সেনাবাহিনীকে তা দেখিয়ে দেই, যা তারা বনী ইসরাইলের তরফ থেকে আশঙ্কা করত। ৪-৬।

খ) মুসা এমন সময় শহরে প্রবেশ করলেন, যখন তার অধিবাসীরা ছিল অসতর্ক। তিনি সেখানে দুই ব্যক্তিকে সংঘর্ষে লিপ্ত দেখতে পেলেন। এদের একজন ছিল তার নিজের দলের এবং অন্যজন ছিল তার শত্রুদলের। অতঃপর তার দলের লোকটি শত্রু দলের লোকটির বিরুদ্ধে তার সাহায্য প্রার্থনা করল। তখন মুসা তাকে ঘুষি মারলেন এবং তাতেই সে মারা গেল। মুসা বললেন- এটা তো শয়তানের কাজ। নিশ্চয়ই সে প্রকাশ্য শত্রু, বিভ্রান্তকারী। তিনি বললেন- হে আমার রব! আমিতো আমার নিজের প্রতি জুলুম করেছি; অতএব, আমাকে ক্ষমা করুন। আল্লাহ তাকে ক্ষমা করলেন। তিনি তো পরম ক্ষমাশীল পরম দয়ালু। তিনি আরও বললেন- হে আমার রব! আপনি আমার প্রতি যে অনুগ্রহ করেছে, এরপর আমি কখনো অপরাধীদের সহায়ক হব না। ১৫-১৭।

গ) গতকাল যারা তার (কারুনের) মত হওয়ার আকাঙ্ক্ষা পোষণ করেছিল তারা বলতে লাগল- দেখলে তো আল্লাহ স্বীয় বান্দাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা প্রচুর জীবিকা দান করেন এবং হ্রাস করেন। আল্লাহ যদি আমাদের প্রতি অনুগ্রহ না করতেন তবে আমাদেরকেও ভূগর্ভে ধসিয়ে দিতেন। দেখলে তো কাফেররা কখনো সফলকাম হয় না। ৮২।

 

২৪। লোকমানঃ ৮, ২০ ও ৩১।

ক) নিশ্চয়ই যারা ঈমান এনেছে ও সৎকাজ করেছে তাদের জন্য রয়েছে নিয়ামতপূর্ণ জান্নাত। ৮

খ) তোমরা কি দেখ না যে, আল্লাহ তোমাদের কাজে নিয়োজিত রেখেছেন যা কিছু আছে আসমানে ও যা কিছু আছে জমিনে এবং তিনিই পূর্ণ করে দিয়েছেন তোমাদের প্রতি তাঁর প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য নিয়ামত ? মানুষের মধ্যে কতক এরূপও আছে, যারা আল্লাহ সম্বন্ধে বাক-বিতণ্ডা করে কোন জ্ঞান, কোন পথ নির্দেশনা ও কোন উজ্জ্বল কিতাব ছাড়াই। ২০

গ) তুমি কি দেখ না যে, নৌযানসমূহ আল্লাহর অনুগ্রহে সমুদ্রে চলাচল করে, যেন তিনি তোমাদেরকে তাঁর নিদর্শনাবলীর কিছু দেখান ? নিশ্চয়ই এতে রয়েছে নিদর্শন প্রত্যেক এমন ব্যক্তির জন্য যে খুব সবর করে ও শোকর করে। ৩১

 

২৫। আল- আহজাবঃ ৯ ও ৩৭।

ক) হে যারা ঈমান এনেছ! তোমরা স্মরণ কর, তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহকে, যখন শত্রুবাহিনী তোমাদের উপর চড়াও হয়েছিল, তখন আমি তাদের উপর প্রেরণ করেছিলাম এক প্রচণ্ড বায়ু এবং এমন এক বাহিনী যাদেরকে তোমরা দেখতে পাওনি। তোমরা যা কর আল্লাহ অবশ্যই তা অবলোকন করেন। ৯

খ) আর স্মরণ করুন, আল্লাহ যাকে অনুগ্রহ করেছেন এবং আপনিও যাকে অনুগ্রহ করেছেন, আপনি তাকে বলেছিলেন- তুমি তোমার স্ত্রীকে স্বীয় বিবাহাধীন থাকতে দাও এবং আল্লাহকে ভয় কর। আপনি আপনার অন্তরে এমন বিষয় গোপন করেছিলেন, অথচ আল্লাহকে ভয় করা আপনার পক্ষে অধিকতর উচিত ছিল। তারপর জায়েদ যখন জয়নবের সাথে বিবাহ সম্পর্ক ছিন্ন করল, তখন আমি তাকে আপনার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করলাম। যাতে মুমিনদের পোষ্যপুত্ররা তাদের স্ত্রীদের সাথে বিবাহ সম্পর্ক ছিন্ন করলে সে সব স্ত্রীকে বিবাহ করার ব্যাপারে মুমিনদের কোন অসুবিধা না থাকে। আল্লাহর নির্দেশ কারজকরি হয়েই থাকে। ৩৭

 

২৬। আল- ফাতিরঃ ৩।

ক) হে মানুষ! তোমাদের উপর আল্লাহর যে সব নিয়ামত রয়েছে তা স্মরণ কর। আল্লাহ ছাড়া এমন কোন স্রস্টা আছে কি যে তোমাদেরকে আসমান ও জমিন থেকে রিজিক দান করে ? তিনি ছাড়া কোন উপাস্য নেই। অতএব, তোমরা বিপরীত দিকে কোথায় চালিত হচ্ছ ? ৩

 

২৭। ইয়াছিনঃ ২-৪, ৫৯-৬১।

ক) কসম জ্ঞান গর্ভ কুরআনের। নিশ্চয়ই আপনি প্রেরিত রাসুলদের অন্তরভুক্ত। আপনি আছেন সরল সঠিক পথের উপর। ২-৪।

খ) আর বলা হবে- হে অপরাধীরা! আজ তোমরা পৃথক হয়ে যাও। আমি কি তোমাদেরকে সতর্ক করিনি- হে বনী আদম! তোমরা শয়তানের পুজা কর না, সে তোমাদের প্রকাশ্য শ্ত্রু। আর আমার ইবাদত কর। এটাই সরল সঠিক পথ। ৫৯-৬১।

 

 

২৮। আস-সাফফাতঃ ৪১-৪৪, ৫০-৫৮ ও ১১৪-১১৮।

ক) (যারা আল্লাহর খাঁটি বান্দা) তাদের জন্য রয়েছে নির্ধারিত রিজিক; নানা রকম ফলমূল এবং তারা হবে সম্মানিত, তারা থাকবে নিয়ামতপূর্ণ জান্নাতে; তারা পালঙ্কে আসীন হবে মুখোমুখি হয়ে। ৪১-৪৪।

খ) তারা (বেহেশতবাসীরা) একে অপরের দিকে মুখ করে কথোপকথন করবে। তাদের মধ্যে একজন বলবে- আমার এক সঙ্গী ছিল, সে বলতঃ তুমি কি এতে বিশ্বাসী যে, যখন আমরা মরে যাব এবং মাটি ও হারে পরিণত হব, তখনও কি আমরা প্রতিফল প্রাপ্ত হব ? আল্লাহ বলবেন- তোমরা কি তাকে উঁকি মেরে দেখতে চাও ? অতঃপর সে উঁকি মেরে দেখবে এবং তাকে দোজখের মাঝখানে দেখতে পাবে। সে বলবে- আল্লাহর কসম! তুমি তো আমাকে ধ্বংস করার উপক্রম করেছিলে; আর যদি আমার রবের অনুগ্রহ না থাকত তবে, আমিও তোমার ন্যায় দণ্ডিতদের সাথে জাহান্নামে হাজির হতাম। ৫০-৫৮।

গ) আর আমিতো অনুগ্রহ করেছিলাম মুসা ও হারুনের প্রতিও; এবং আমি রক্ষা করেছিলাম তাদের উভয়কে ও তাদের কাওমকে মহাসংকট থেকে; আর আমি তদের সাহায্য করেছিলাম, ফলে তারাই বিজয়ী হয়েছিল। আমি তাদের উভয়কে দিয়েছিলাম সুস্পষ্ট কিতাব। তাদের উভয়কে আমি সরল সঠিক পথে পরিচালিত করেছিলাম। ১১৪-১১৮।

 

২৯। আজ-জুমারঃ ৮ ও ৪৯।

ক) আর যখন মানুষের উপর কোন দুঃখ-দৈন্য এসে পড়ে তখন সে তার রবকে ডাকতে থাকে একাগ্রভাবে তার অভিমুখী হয়ে। পড়ে যখন তিনি তাকে নিজের তরফ থেকে নিয়ামত দান করেন, তখন সে ভুলে যায় সে কথা যার জন্য আগে তাঁকে ডাকছিল এবং আল্লাহর শরীক সাব্যস্ত করে যাতে অপরকে আল্লাহর পথ থেকে ভ্রষ্ট করতে পারে। আপনি বলুন- তুমি তোমার কুফর সহকারে কিছুকাল উপভগ করে নাও। পরিশেষে তুমি তো দোজখীদের অন্তর্ভুক্ত হবে। ৮

খ) বস্তুতঃ মানুষকে যখন কোন দুঃখকষ্ট স্পর্শ করে তখন সে আমাকেই ডাকতে থাকে তারপর আমি যখন আমার তরফ থেকে তাকে নিয়ামত দান করি তখন সে বলে- এটাতো আমি আমার জ্ঞানের মাধ্যমে লাভ করেছি; বরং এটাতো এক পরীক্ষা, কিন্তু তাদের অধিকাংশই বুঝে না। ৪৯

 

৩০। হা-মিম সাজদাঃ ৫১

ক) আর আমি যখন মানুষকে নিয়ামত প্রদান করি তখন সে মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং পাশের দিকে ফিরে থকে। আর যখন তাকে কোন বিপদ-আপদ স্পর্শ করে তখন সে সুদীর্ঘ দোয়া করতে থাকে। ৫১

 

৩১। আশ-শুরাঃ ৫১-৫৩

ক) কোন মানুষের অবস্থা এমন নয় যে, আল্লাহ তার সাথে কথা বলবেন, কিন্তু ওহীর মাধ্যমে কিংবা পর্দার অন্তরালে থেকে কিংবা তিনি কোন ফেরেশতা প্রেরণ করবেন সে আল্লাহ যা চান তা তাঁর অনুমতিক্রমে পৌঁছে দেবে। নিশ্চয়ই তিনি অতি উচ্চ মরজাদার অধিকারী, প্রজ্ঞাময়। এভাবেই আমি আপনার প্রতি ওহী প্রেরণ করেছি, কুরআন আমার নির্দেশ। আপনিতো জানতেন না কিতাব কি এবং এও জানতেন না যে, ঈমান কি ? কিন্তু আমি এ কুরআনকে করেছি এক জ্যোতি যার সাহায্যে আমি আমার বান্দাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা পথ প্রদর্শন করে থকি। নিশ্চয়ই আপনি এর সাহায্যে সরল সঠিক পথ প্রদর্শন করে থাকেন। সেই আল্লাহর পথ যিনি, যা কিছু আছে আসমানে ও যা কিছু আছে জমিনে তার মালিক। জেনে রাখ, যাবতীয় বিষয় সেই আল্লাহর সমীপে প্রত্যাবর্তন করে। ৫১-৫৩

 

৩২। আজ- জুখরুফঃ ১২-১৪, ৪৩-৪৪, ৫৯, ৬১, ৬৩-৬৪

ক) আর যিনি সৃষ্টি করেছেন সবকিছুর জোড়া এবং সৃষ্টি করেছেন তোমাদের জন্য নৌযান ও চতুস্পদ জন্তু যাতে তোমরা আরোহণ কর; যেন তোমরা তার পিঠের উপর আসন পেতে বসতে পার, তারপর তোমরা স্বীয় রবের নিয়ামতকে স্মরণ কর যখন তোমরা  তার উপর স্থির হয়ে বস এবং বল পবিত্র মহান তিনি, যিনি একে আমাদের বশীভুত করে দিয়েছেন, অন্যথায় আমরাতো একে বশীভুত করতে সামর্থ্য ছিলাম না। আর আমরা অবশ্যই আমাদের রবের কাছে ফিরে যাব। ১২-১৪

খ) অতঃপর আপনি তার উপর অটল থাকুন যা আপনার প্রতি ওহীর মাধ্যমে নাজিল করা হয়েছে। নিশ্চয়ই আপনি রয়েছেন সরল সঠিক পথে। আর এ কুরআন আপনার ও আপনার কাওমের জন্য নিঃসন্দেহে অত্যন্ত সম্মানের বস্তু। আর আপনাদের সবাইকে অবশ্যই প্রশ্ন করা হবে। ৪৩-৪৪

গ) ঈসা তো এমন এক বান্দা, যাকে  আমি অনুগ্রহ করেছিলাম এবং তাকে বনী ইসরায়েলের জন্য আদর্শ করেছিলাম। ৫৯

ঘ) আর ঈসা তো কিয়ামতের নিদর্শন। সুতরাং তোমরা তাতে সন্দেহ কর না এবং আমার অনুসরণ কর। এটাই সরল সঠিক পথ। ৬১

ঙ) যখন ঈসা স্পষ্ট নিদর্শনসহ আসলেন, তখন তিনি বললেন- আমি তোমাদের কাছে জ্ঞান-গর্ভ বাণী নিয়ে এসেছি এবং এসেছি তোমরা যে বিষয়ে মতভেদ করছ তা স্পষ্ট করে দেয়ার জন্য। অতএব, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ আমারও রব এবং তোমাদেরও রব, অতএব তাঁরই ইবাদত কর। এটাই সরল সঠিক পথ। ৬৩-৬৪

 

৩৩। আল- আহকাফঃ ১৫, ২৯-৩০।

ক) আর আমি মানুষকে নির্দেশ দিয়েছি তার মাতাপিতার সাথে সদ্ব্যবহার করতে। তার মা তাকে গর্ভে ধারণ করেছে বড় কষ্টের সাথে এবং তাকে প্রসব করেছে অতি কষ্টের সাথে। তাকে গর্ভে ধারণ করতে এবং প্রসবান্তে দুধ ছাড়াতে ত্রিশ মাস লেগেছে। এমনকি যখন সে স্বীয় যৌবনে উপনীত হয় এবং চল্লিশ বছর বয়সে পৌঁছে তখন সে বলে- হে আমার রব আপনি আমাকে তাওফিক দিন যেন আমি আপনার সে নিয়ামতের শোকর গোজারী করতে পারি যা আপনি ও আমার মাতাপিতাকে দান করেছেন এবং  যেন আমি এমন নেক কাজ করতে পারি যা আপনি পছন্দ করেন। আর আমার জন্য আমার সন্তান সন্তুতির মধ্যেও যোগ্যতা দান করুন। আপনি আপনারই দরবারে তওবা করছি এবং আমিতো একজন আত্মসমর্পণকারী। ১৫

খ) স্মরণ কর যখন আমি আপনার প্রতি একদল জিনকে আকৃষ্ট করেছিলাম, তারা কুরআন পাঠ শুনছিল। যখন তারা তার কাছে উপস্থিত হল তখন পরস্পর বলল- নীরবে শ্রবণ কর। অতঃপর যখন কুরআন পাঠ সমাপ্ত হল তখন তারা তাদের কওমের কাছে সতর্ককারীরূপে ফিরে গেল। তারা বলল- হে আমাদের কওম! আমরা এক কিতাব পাঠ শুনেছি যা মুসার কিতাবের পড়ে নাজিল করা হয়েছে, যা আগের কিতাবের সমর্থক এবং সত্য ও সরল সঠিক পথের দিকে পরিচালিত করে। ২৯-৩০

 

৩৪। আল- ফাতহঃ ১-৩ ও ২০।

ক) নিশ্চয়ই আমি আপনাকে এক প্রকাশ্য বিজয় দান করেছি। যেন আল্লাহ ক্ষমা করে দেন আপনার আগের ও পরের ত্রুটি-বিচ্যুতিসমুহ এবং পূর্ণ করেন আপনার প্রতি তাঁর অনুগ্রহ এবং আপনাকে সরল সঠিক পথে পরিচালিত করেন; এবং আল্লাহ আপনাকে দান করেন বলিষ্ঠ সাহায্য। ১-৩

খ) আল্লাহ তোমাদেরকে প্রচুর গনিমতের ওয়াদা দিয়েছেন যা তোমরা লাভ করতে থকবে। অতএব, এটা তিনি তোমাদের জন্য প্রথমে ত্বরান্বিত করেছেন এবং লোকদের হাত তোমাদের থেকে নিবৃত্ত করে দিয়েছেন যাতে তা মুমিনদের জন্য একটি নিদর্শন হয় এবং আল্লাহ তোমাদেরকে সরল সঠিক পথে পরিচালিত করেন। ২০

 

৩৫। আল- হুজুরাতঃ ৭ ও ৮।

ক) আর তোমরা জেনে রাখ যে, তোমাদের মধ্যে আল্লাহর রাসুল রয়েছেন। যদি তিনি অনেক বিষয়ে তোমাদের কথা মেনে নেন তবে তোমরাই কষ্ট পাবে। কিন্তু আল্লাহ তোমাদের কাছে ঈমাঙ্কে প্রিয় করেছেন এবং তা তোমাদের অন্তরে সুশোভিত করে দিয়েছেন। আর তিনি তোমাদের অন্তরে ঘৃণা জন্মিয়ে দিয়েছেন কুফরি, ফাসেকি অবাধ্যতার প্রতি। আর এরূপ লোকেরাই সৎপথে রয়েছে; আল্লাহর দয়ায় ও অনুগ্রহে। আর আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। ৭-৮

 

৩৬। আত-তুরঃ ২৬ ও ২৭।

ক) তারা (বেহেশতবাসীরা) বলবে- আমরাতো এর আগে আমাদের পরিবার পরিজনের মধ্যে খুব ভীত শঙ্কিত ছিলাম। অতঃপর আল্লাহ আমাদের প্রতি অনুগ্রহ করেছেন এবং আমাদেরকে দোজখের আজাব থেকে রক্ষা করেছেন। ২৬-২৭।

 

৩৭। আল- কামারঃ ৩৩-৩৫।

ক) লুতের কওমও সতর্ককারীদেরকে অস্বীকার করেছিল। আমিতো তাদের উপর প্রেরণ করেছিলাম প্রস্তর বর্ষণকারী প্রচণ্ড ঝটিকা; কিন্তু লুত পরিবারের উপর নয়; আমি তাদেরকে রাতের শেষভাগে রক্ষা করেছিলাম; আমার তরফ থেকে বিশেষ অনুগ্রহপূর্বক। এভাবেই আমি পুরস্কৃত করি তাকে, যে শোকর করে। ৩৩-৩৫।

 

৩৮। আল-ওয়াকিয়াহঃ ১০-১২, ৮৮ ও ৮৯।

ক) আর যারা অগ্রবর্তী তারাতো অগ্রবর্তীই; তারাই আল্লাহর সান্নিধ্যপ্রাপ্ত; তারা থাকবে নিয়ামতপূর্ণ জান্নাতে। ১০-১২

খ) যদি সে (মৃত ব্যক্তি) নৈকট্যপ্রাপ্তদের মধ্য থেকে হয়; তবে তার জন্য রয়েছে অফুরন্ত সুখ-শান্তি ও নিয়ামতভরা জান্নাত। ৮৮-৮৯

 

৩৯। আল-মুলকঃ ২২

ক) যে ব্যক্তি উপুড় হয়ে মুখে ভর দিয়ে চলে, সে ব্যক্তিই কি সৎ পথে চলে, না কি ঐ ব্যক্তি যে সোজা হয়ে সরল সঠিক পথে চলে ? ২২

 

৪০। আল-কলমঃ ১, ২, ৩৪, ৪৮ ও ৪৯।

ক) নুন। কসম কলমের এবং যা তারা লিপিবদ্ধ করে তার। আপনি আপনার রবের অনুগ্রহে উন্মাদ নন। ১-২

খ) নিশ্চয়ই মুত্তাকীদের জন্য তাদের রবের কাছে রয়েছে নিয়ামতপূর্ণ জান্নাত। ৩৪

গ) অতএব আপনি সবর করুন আপনার রবের নির্দেশের অপেক্ষায়। আপনি মাছওয়ালা ইউনুসের মত হবেন না, যখন তিনি চিন্তায় বিপদে আচ্ছন্ন অবস্থায় কাতর প্রার্থনা করেছিলেন। যদি না তার রবের অনুগ্রহ তার সহায় হত তবে তিনি লাঞ্ছিত হয়ে উন্মুক্ত প্রান্তরে নিক্ষিপ্ত হতেন। ৪৮-৪৯

 

৪১। আল মাআরিজঃ ৩৬-৩৯।

ক) কাফেরদের কি হল যে, তারা আপনার দিকে ছুতে আসছে; ডান দিক ও বাম দিক থেকে দলে দলে ? তাদের মধ্যে প্রত্যেক ব্যক্তিই কি আকাঙ্ক্ষা করে যে, তাকে নিয়ামতপূর্ণ জান্নাতে দাখিল করা হবে ? না, তা কখনো হবে না। আমি তাদেরকে কোন বস্তু থেকে সৃষ্টি করেছি তা তারা জানে। ৩৬-৩৯

 

৪২। আদ-দাহরঃ ২০

ক) আর যখন তুমি সেথায় (জান্নাতে) দেখবে, তখন দেখতে পাবে বিপুল নিয়ামত ও বিশাল রাজ্য। ২০

 

৪৩। আত-তাকভিরঃ ২৭ ও ২৮।

ক) এ কুরআনতো বিশ্ববাসীর জন্য শুধু উপদেশ। তাদের জন্য যারা তোমাদের মধ্যে সরল সঠিক পথে চলতে চায়।  ২৭-২৮

 

৪৪। আল-ফাজ্রঃ ১৫ ও ১৬

ক) তবে মানুষতো এরূপ যে, যখন তাকে তার রব পরীক্ষা করেন, তাকে সম্মানিত করেন ও অনুগ্রহ দান করেন; তখন সে বলে- আমার রব আমাকে সম্মানিত করেছেন। আর তিনি যখন তাকে পরীক্ষা করেন, তার রিজিক সংকীর্ণ করে দেন, তখন সে বলে- আমার রব আমাকে হেয় করেছেন। ১৫-১৬

 

৪৫। আদ-দুহাঃ ১১

ক) আর আপনি আপনার রবের নিয়ামতের কথা প্রচার করুন। ১১

৪৬। আত-তাকাসুরঃ

ক) অতঃপর সেদিন (বিচার দিন) তোমাদেরকে অবশ্যই নিয়ামত সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করা হবে। ৮

 

Loading


মন্তব্য দেখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *