( ৩য় পর্ব- শয়তানের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, দূর্বুদ্ধি, আত্মীয়তা )-
বেশ ক’দিন পর আমার বন্ধুর সাথে আবারও দেখা। আড্ডা বেশ জমে উঠেছে। সুযোগ বুঝেই তাকে প্রশ্ন করেছিলাম “শয়তানের ডায়রী” সে পড়েছিল কিনা বা এখনও মনে আছে কিনা? উত্তরে বললো “ওটাতো অনেক পুরনো ঘটনা, ছোট ছোট শয়তানের ছোট ছোট ব্যক্তিগত ঘটনা দিয়ে ওগুলো সাজানো ছিল। এখনতো এর ইন্টারন্যাশনাল ভারশন বের হয়েছে। তুমি পড়োনি?” উত্তরে বললাম না আমি দেখিনি, একটু খুলে বলবে কোথায় পাওয়া যায় বা কি লিখা আছে? উত্তরে বন্ধুটি বললো তোমার জন্য ওটা সংগ্রহ করা বেশ কঠিন হবে। আমার কাছ থেকেই সারাংশ শুনে নাও। এই বলেই তার স্বভাবজাত নিয়মে চোখ বন্ধ করে শয়তানের ইন্টারন্যাশনাল ভারশন বলতে লাগলো। “শয়তানের বংশ বিস্তার কিভাবে হয় তা একমাত্র আল্লাহ তালাই ভাল বলতে পারবেন।তবে একটি বিষয় জেনে রাখো শয়তানের মধ্যে কোন মা বাবা ভাই-বোনের সম্পর্ক নাই। তাদের মধ্যে একটি রসালো বা রশিকতার সম্পর্ক বিদ্যমান। তা হতে পারে বেয়াই, শ্যালক, দুলাইভা। দুই সতীন, শালার শালা ইত্যাদি। এদিক দিয়ে শয়তানদেরকে ধন্যবাদ দিতে হয় যে, মা বাবা’র মত কোন পবিত্র সম্পর্ক তাদের মধ্যে নাই। যাই হোক এই রশিকতার সম্পর্ক আছে বলেই তাদের দ্বারা লোমহর্ষক বা লজ্জাস্কর কর্ম, ব্যভিচার, কুকর্ম, জিনা, ইত্যাদি একসাথে করা সম্ভব হয়। তাদের নিজস্ব একটি ভাষা আছে যা সাধারণের বোধগম্য হওয়া দুরুহ। ওরা যখন কথা বলে মানুষকে ধোকা দেয় তখন ওদের মোলায়েম ব্যবহার ফেরেস্তাকেও হার মানায়। ওরা হ্যান্ডশ্যাক করার সময় হাতের কোমলতা বজায় রাখে। মানুষের মত ‘ফার্ম হ্যান্ডস্যাক’ ওরা করতে পারে না। বন্ধুকে থামিয়ে বললাম “তবে কি তুমি বলতে চাও কোমল ভাবে হ্যান্ডশ্যাককারী সবাই শয়তান?” উত্তরে বন্ধুটি বললো “তা হতে যাবে কেন, ভাল মানুষ যারা কোমল ভাবে হ্যান্ডশ্যাক করে তাদের সাথে শয়তানের পার্থক্য বিস্তর। শয়তানের হ্যান্ডশ্যাক, চলনের কোমলতা, বাঁচন ভঙ্গি এবং শয়তানী কর্মকান্ডের মধ্যে যে নিখুত সমন্বয় রয়েছে তা মানুষের দ্বারা কখনও হওয়া সম্ভব নয়। ওরা ফার্ম হ্যান্ডশ্যাক করে না এই জন্য যে পাছে ধরা পড়ে যায়। ওদের হাতে ব্যভিচারের দাগ, চামড়ার নীচে দুষিত রক্ত, ওদের চরিত্রে একটি ভ্রান্ত (ফেইক) চৌম্বকীয় শক্তি রয়েছে যা দিয়ে ওরা ভাল মানুষকে কাছে টানে তারপর একটি নির্দিষ্ট সময়ে ওরা অলৌকিক ভাবে মানুষের উপর আছড় করে নিজের দলের বানিয়ে নেয়। যারা প্রচন্ড আত্মনির্ভরশীলতায় বলীয়ান এবং সৎ ও নিষ্টঠাবান তারাই একমাত্র এই প্রক্রিয়াকরণ থেকে বের হয়ে আসতে পারে। তবে দুঃসংবাদ হচ্ছে এই যে শয়তান তাদের হাতিয়ার ব্যবহার করেও যাদেরকে তাদের দলের বানাতে পারে না তাদের বিরুদ্ধে ওরা সর্বশক্তি নিয়োগ করে মরিয়া হয়ে লেগে যায় । তবে তাদের পরিনতি তো শয়তানেরই পরিনতি। ন্যায়ের পথে থাকা আল্লায় বিশ্বাসী বান্দারা ঠিকই “আউযুবিল্লাহি মিনাস শাইত্যায়ূনুর রাহিম” বলে নির্বিঘ্নে আত্ম রক্ষা করে।
সালাম ভাই।
আপনার লেখা খুব মূল্যবান। পড়ে শেখার অনেক কিছু আছে। সে জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ভাই একটি কথা বলছি – ভেবে দেখবেন।
ব্লগ আর প্রিন্ট মিডিয়া যে এক নয় তা তো জানেন। ব্লগে ইন্টারেকশনের বড় প্রয়োজন পড়ে যা প্রিন্ট মিডিয়া বা আকাশ মিডিয়ায় পড়েনা।
এই যে ব্লগ পড়ছি তা আপনার ব্লগ। এইটি ভার্চুয়াল জগতে আপনার সাথে যোগাযোগ রাখার এক ঠিকানা। বাস্তবে যেমন প্রতিটি মানুষের একটি বাসা কিংবা বাড়ি থেকে তেমন করে এই ব্লগও আপনার একটি বাড়ি বটে!
মনে করুন এক সময় আমি আপনার বাড়িতে আপনার সাথে কুশল বিনিময় করতে আসলাম। আপনার বাড়িতে প্রবেশের জন্য আপনাকে সালাম জানালাম। কিন্তু আপনি আমার সালামের কোন জবাবই দিলেন না। তাহলে কি আমি আর কখনও আপনার বাড়িতে কি আসব বলে মনে করেন!!!
ধন্যবাদ।
মুনিম ভাই সালামঃ
প্রবাসের ব্যস্থতা আমাদেরকে অনেক দায়ীত্ববোধ থেকেও দূরে সরিয়ে রাখে । এ টা কোন অজুহাত নয় বাস্থবতা । আপনার উত্তর না দেওয়ার জন্য অনেক দুঃখিত। ঠিকমত বাংলা টাইপ ও করতে পারিনা । শুধূ মনের ক্ষুধা মেটানোর জন্য লিখা লিখির ব্যার্থ প্রচেষ্টা মাত্র। আশা করি সহজ ভাবেই নিবেন। সময় হলে আমার পত্রিকা টি ভিজিট করবেন ।
আল্লাহ হাফেজ