মুসলিম হিসাবে আমাদের জীবন সফল হউক তা সবারই কাম্য এবং তা কীভাবে সম্ভব আল্লাহ রাব্বুল আলামীন কোরআনে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন:
وَمَن يُطِعِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَيَخْشَ اللَّهَ وَيَتَّقْهِ فَأُوْلَئِكَ هُمُ الْفَائِزُونَ
যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করে আল্লাহকে ভয় করে ও তাঁর শাস্তি থেকে বেঁচে থাকে তারাই সফলকাম। (সুরা নুর: ৫২)
আল্লাহ্ তাআলা বলেন,
“অতএব আপনার প্রতিপালকের শপথ! তারা কখনও ঈমানদার হতে পারবে না, যে পর্যন্ত না তারা পরস্পরের মাঝে বিবাদমান বিষয়ে আপনাকে বিচারক মানে এবং দ্বিধাহীন চিত্তে আপনার ফয়সালার প্রতি নতি স্বীকার করে।” [সূরা নিসা ৪:৬৫]
রাসুল (সা:) এর বিচার, ফয়সালা, অভিমত, অনুমোদন এ সবকিছুকে অন্তর্ভুক্ত করেছে হাদীস।
অন্য আয়াতে বলেন,
” (এই কল্যাণ তাদেরই প্রাপ্য) যারা এই নিরক্ষর রাসুল নবীর অনুসরণ করে চলে, যার কথা তারা তাদের নিকট রক্ষিত তাওরাত ও ইঞ্জিল কিতাবে লিখিত পায় (সেই নিরক্ষর নবী) তাদেরকে সৎকাজের আদেশ দেন ও অন্যায় কাজ করতে নিষেধ করেন, আর তাদের জন্য পবিত্র বস্তুসমূহ হালাল ঘোষণা করে এবং অপবিত্র বস্তুকে হারাম ঘোষণা করে, আর তাদের উপর চাপানো বোঝা ও বন্ধন হতে তাদেরকে মুক্ত করে…” [সূরা আরাফ, ৭:১৫৭]
পবিত্র এই আয়াতগুলা থেকে জানা গেল রাসুল (সাঃ) কে আল্লাহ পাক হালাল ও হারাম ঘোষণা করারও অধিকার দিয়েছেন।
অতএব কেউ যদি উপরের আয়াতের অর্থ বুঝেন তাহলে কোরআন অনলিদের সাথে কোন মুসলিমদের আর বিতর্কে জড়ানোর প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না বরং তাতে মূল্যবান সময় অযথা নষ্ট হবে।
হাদিস সংক্রান্ত সংক্ষিপ্ত কিছু তথ্য জানতে পারবেন “হাদীসে রাসূল (সাঃ) নিয়ে কেন এই সংশয়?” শিরোনামের এই সুন্দর রচনা থেকে। লিংক এখানে দেখুন:
পরিশেষে বলতে চাই রাসুলের সুন্নাহ অনুসরনের গুরুত্ব আছে কি না সে বিষয়ে আধুনিক ইসলামী স্কলারদের অভিমত জানতে চাইলে প্লিজ নিম্নের ভিডিওটা শুনুন:
(পুরা ভিডিওটা শুনলে অবশ্যই উপকৃত হবেন।)
[youtube http://www.youtube.com/watch?v=gznveq2kZm8?feature=player_detailpage]
কোরআন অনলিদের সাথে বিতর্কে জড়িত না হওয়াই উত্তম। তবে তারা যাতে সাধারন মানুষেক বিভ্রান্ত করতে না পারে সে জন্য কলম ধরতে হবে। ধন্যবাদ আপনরার এ প্রচেষ্টার জন্য।