রাত তিনটা বাজার সংকেত শোনায় দেয়াল ঘড়িগুলো ।
এখন রাত তিনটা । জেগে আছি । পাশে
সাধের বধুয়া ঘুমে অচেতন । তার
সাউন্ড স্লিপ আমার কাম্য ।
মাঝরাতে প্রতিদিন ঘুমুতে যাই
কখনো বিষন্ন কখনো বা সব কিছু ঠিকঠাক
কখনো ছটফট কখনো শান্ত
ঘড়ির কাঁটায় চলে দেহমন ।
মাঝরাতে ঘুমুতে যাওয়া আমার ছেলেবেলার অভ্যাস
আজো হয়নি বদল । গেলো চার বছর
আক্রান্ত আমি ঘুমের অসুখে
কোন কোন রাত কাটে নির্ঘুম চুপচাপ । এখন
রাত তিনটা বাজে । পৃথিবী নিরব ।
ফ্যানের শব্দ ছাড়া জেগে নেই কেউ । মনে পড়ে
বাবার কথা । সারারাত পায়চারি
একা একা কথা বলা
সংসার সমুদ্র পাড়ি দিয়ে তীরে ওঠার পরিকল্পনা ।
বাবারও ছিলো ঘুমের অসুখ ।
বাবা ছিলেন প্রান্তিক চাষী জীবন যুদ্ধে পরাজিত ।
একদিন নাম লেখালেন মজুরের খাতায়
জীবনের জন্য জীবন বিসর্জন । আমি তার অক্ষম সন্তান
কিছুই পারিনি দিতে ।
পরপারে কেমন আছেন বাবা
সুখের অসুখে আক্রান্ত নাকি কষ্টে ভারাক্রান্ত
জানতে ইচ্ছে করে ।
বাবা দিন মজুর ছিলেন
ঘুমের অসুখ তার সারেনি কখনো ।
আপনার কবিতা পড়ে আমারও মনে পড়ল বাবার কথা।আর যখনই মনে পড়ে কান্নায় বুকটা ফেটে যেতে যায় কারণ আমি সেই হতভাগাদের একজন যারা আপন বাবার জীবনের শেষ সময়ে তাঁর পাশে থাকতে পারেনি রুটি রুজির ধান্দায়। হৃদয়ের ব্যথাটা আবার জেগে উঠল।
ধন্যবাদ।