নপুংসকের প্রার্থনা-!

অসিতে নয়- কলবে ধরেছে জং তোর
খাড়ু পরে আছিস তাইতো পালাচ্ছিস,
দর্পণ থেকে- বহু শতাব্দী দূর!!
কাদার পুতলির অর্চনা করিস,
চরণে অঞ্জলি দিয়ে
প্রার্থনা করিস-
“হে দেবী তোমার বস্ত্রের অন্তরালে লুকিয়ে রাখো আমায়”।
——————————-
কোথায় মুসা তুমি কোথায় ? কোথায় তোমার হাতের সেই লাঠিটা ?
আমার সামনে লোহিত দরিয়া-
পিছে পিছে তেড়ে আসছে স্বসৈন্য রামসিস!
পরিত্রাণের নেই আশা!!
কোথায় গেলে তুমি মুসা ? কোন নিরুদ্দেশে ??
ফিরে কি আসবেনা আর ???
পথ দেখিয়ে -ফিরিয়ে নিতে – প্রতিশ্রুত ভূমিতে ?
ফিরে কি আসবেনা আর ???

দূরে —-
বহু দূরে, ভেসে যাচ্ছে- নূহের কিস্তি,
হাজার মেগাওয়াটের শিঙ্গা- ফুকিয়ে ডাকছি-
তবুও শুনতে পাচ্ছেনা- এই নপুংসকের আর্তি!
ধীরে… ধীরে… তলিয়ে… যাচ্ছি… পঙ্কিল হ্রদে!!!!!!
হায়রে! নূহের কিস্তি!
তরাইতে পুলসিরাত
তুমিও কি আর কখনও ভিড়াবেনা তীরে ?

Loading

মুনিম সিদ্দিকী

About মুনিম সিদ্দিকী

ব্লগে দেখছি অন্য সহ ব্লগাররা তাদের আত্মপরিচয় তুলে ধরেছেন নিজ নিজ ব্লগে! কুঁজো লোকের যেমন চিৎ হয়ে শোয়ার ইচ্ছা জাগে তেমন করে আমারও ইচ্ছা জাগে আমি আমার আত্মপরিচয় তুলে ধরি! কিন্তু সত্য যে কথা তা হচ্ছে শুধু জন্মদাতা পিতা কর্তৃক আমার নাম আর পরিবারের পদবী ছাড়া আমার পরিচয় দেবার মত কিছু নেই! আমি এক বন্ধ্যা মাটি যেখানে কোন চাষবাস হয় নাই। যাক আমি একটি গান শুনিয়ে আত্মপ্রতারণা বর্ণনা শেষ করছি- কত শহর বন্দরও পেরিয়ে চলেছি অজানা পথে - কালেরও নিঠুর টানে- আমার চলার শেষ কোন সাগরে তা তো জানা নাই! ধন্যবাদ।

Comments

নপুংসকের প্রার্থনা-! — 10 Comments

  1. আপনার এই প্রতিকধর্মী দ্রোহের কবিতা আমার বেশ ভালো লেগেছে । আমি মনে করি কখনো কখনো প্রতিকের আশ্রয় নিয়ে দ্রোহের মাধ্যমে আকুতি প্রকাশ করতে হয় এবং স্বস্থানে ফিরে এসে স্বকর্মে আত্ম নিয়োগ করার আহবান জানাতে হয় । ধন্যবাদ ।

  2. নপুংসক জাতি হয়ে জন্মেছে যারা
    পৌত্তলিকতার ধুম্রজালে আবদ্ধ তারা
    কি করে আশা করেন মুক্তি পাবে ওরা?
    আর যারা মনে করে পেয়েছে আলোর বার্তা
    বিদেশীরা হচ্ছে তাদের কর্তা
    প্রভু যখন বলেন “উঠ হে বান্দাহ যেতে হবে তোমায় ঐ যে দেখ সোজা রাস্থায়”
    বান্দাহ তখন সেজদায় পড়ে ভুমিতে লুটায়!
    অপমান আর ব্যর্থতা ছাড়া এমন বান্দার
    কপালে তখন আর কি বা জোটায়?

  3. কবিতার প্রবক্তা নপুংসক হওয়াতে কিছু প্রশ্ন রেখে যায়। সে তার নিজের যে অবস্থা বর্ণনা করছে তা কি নপুংসক হওয়ার কারণে, না অন্য কোন কারণে? তার দ্বৈততা: একদিকে দেবীতে প্রার্থনা এবং অন্যদিকে মুসায়ী উত্তরণ-প্রত্যাশা, এই দুই অবস্থা নপুংসক হওয়াতে কীভাবে সম্পর্কিত হয়? নপুংসক হয়েও যদি সে দেবীতে প্রার্থনা করতে সমর্থ হয়, তবে সেই সামর্থ্য মুসার খোদাতে প্রার্থনায় নিয়োগ না করে কেন তার লাঠির অলৌকিকতার দিকে তাকিয়ে থাকে? আবার নপুংসক অস্তিত্ব যেহেতু একটি প্রাকৃতিক বাস্তবতা, সেই বাস্তবতা কীভাবে তার আত্ম-প্রজ্ঞাপনকে দুদিকে টানতে বাধ্য করে?

    তবে প্রবক্তার gender-orientation ব্যতিরেকে কবিতাতে নির্বাচিত শব্দাবলী, বাক্যিক ব্যবহার ও ভাষার আবেদন কাব্যিক হয়েছে।

    • দুনিয়ার পূজা তো কম বেশি সবাই করে থাকে এইতো মানুষের স্বভাবজাত অভ্যাস!
      সেই অভ্যাসের মধ্যেও কখনও কখনও মানুষ মুক্তি পেতে চায়। কিন্তু স্বীয় চেষ্টায় মুক্তির চেষ্টা না করলে কি ব্যাট আর বলে মিল হতে পারে।
      আর কবিতাতে ব্যক্তি নয় শ্রেণী আর জাতির কথাই বলার চেষ্টা করা হয়েছে! ধন্যবাদ।

মন্তব্য দেখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *