চৌদ্দগ্রামে দ্রতগামী চলন্ত বাসে পেট্রলবোমা—একটি ক্ষুদ্র প্রশ্ন ?

চৌদ্দগ্রামে দ্রতগামী চলন্ত বাসে পেট্রলবোমা—একটি ক্ষুদ্র প্রশ্ন ?“গত বুধবার রাত দশটায় কক্সবাজার থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা আইকন পরিবহনের বাসে ভোর চারটায় কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের মিয়াবাজার এলাকায় দ্রতগামী চলন্ত বাসের পেছন থেকে ছোড়া পেট্রলবোমার আঘাতে ঘুমন্ত যাত্রীদের মধ্যে সাত যাত্রী অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যায়। কুমিল্লার পুলিশ সুপারের ভাষ্য মতে হতভাগ্য বাসটির গতি বেশি থাকার কারণে আগুন লাগার পরেও চালক বাসে যে আগুন লেগেছিল তা বুঝে উঠতে পারেনি।” এই হৃদয়বিধারক খবরটি গতকাল সারাদিন সব টেলিভিশনে, অনলাইন নিউজ এবং আজকের জাতীয় পত্রপত্রিকার শিরোনাম ছিল। সবার মতো আমিও ধরে নিলাম (!) সন্ত্রাসী আন্দোলনকারীরাই এই ঘৃণিত সন্ত্রাসী কার্যক্রমের জন্য দায়ী! কিন্তু সেই সঙ্গে অনেকের মনে একটি ক্ষুদ্র প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, দ্রুতগামী একটি বাসের পেছন থেকে ঢিল মেরে পেট্রলবোমা বাসের ভেতরে ফেলা যাবে কিনা? পুলিশ সুপারের টিভিতে দেয়া ভাষ্য মতে তখন নাকি বাসটির গতি ছিল ১১০ কিলোমিটার। একশ দশ কিলোমিটার চলন্ত বাসের পেছন থেকে পেট্রলবোমা বাসের ভেতরে ফেলতে হলে বোমা যে ছুড়ে মারছে তার হাতের শক্তি কত হবে? সেই শক্তি কোনো স্বাভাবিক মানুষের হাতে আছে সেটিও বিশ্বাসযোগ্য কিনা তাও কিন্তু আমাদের ভাবা উচিত। না হলে আমাদের জ্ঞান-বুদ্ধি সম্বন্ধেও মানুষের মনে ভুল ধারণা সৃষ্টি হতে পারে।চৌদ্দগ্রামের মিয়াবাজার এলাকায় দ্রুতগামী চলন্ত বাসে পেট্রলবোমাটি ছোঁড়া যে কোনো পেশাদার বাহিনীর কাজ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এই পেট্রলবোমাটি অবশ্যই কোনো অস্ত্র দ্বারা ছোঁড়া হয়েছে বলে অনেকেই ইতিমধ্যে বলাবলি করছেন। আন্দোলনকারীরা বা তাদের সপক্ষের কোনো শক্তির পক্ষে এই রকম দ্রুতগামী বাসের পেছন থেকে পেট্রলবোমা মারার যোগ্যতা কখনই নেই। —–

Loading


মন্তব্য দেখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *