গাজরের জুসের উপকারিতা

গাজরের জুস ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
গাজরে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, পটাশিয়াম, ফসফরাস ইত্যাদি। গাজর স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী একটি সবজি। গাজর আমরা রান্নায় ব্যবহার করি, হালুয়া করে খাই বা সালাদে ব্যবহার করি। তবে সহজ হয় একেবারে গাজরের জুস করে খেলে। এতে রান্নার ঝক্কি ঝামেলা এড়িয়ে সহজেই এর পুষ্টিগুলো পাওয়া যায়। তবে সেটা হতে হবে তরতাজা গাজরের জুস। কোনো কৃত্রিম জুস নয়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে গাজরের জুসের কিছু উপকারিতা।
দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে ভিটামিন এ। গাজরের মধ্যে রয়েছে বেটা কেরোটিন। যেটা ভিটামিন এ-তে রূপান্তরিত হয়। ভিটামিন এ এর ঘাটতি হলে রাতকানা রোগ হয়। তাই চোখ ভালো রাখতে ‘ভিটামিন এ’-সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া জরুরি। আর নিয়মিত এক গ্লাস গাজরের জুস খাওয়া আপনাকে ভিটামিন এ-র চাহিদা পূরণে অনেকটাই সাহায্য করবে।

অ্যান্টি অক্সিডেন্ট
গাজরের মধ্যে আছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। এটি ফ্রি র‍্যাডিকেলসের সঙ্গে লড়াই করে। ভালো স্বাস্থ্যের জন্য অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া প্রয়োজন। এটি শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে। এটি ক্যানসার এবং হৃদরোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
ক্যানসার প্রতিরোধে
অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার ফ্রি রেডিকেলসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। এটি ক্যানসার প্রতিরোধ করে। গবেষণায় বলা হয়, ১০০ গ্রাম গাজরের মধ্যে থাকে ৩৩ শতাংশ ভিটামিন এ, ৯ শতাংশ ভিটামিন সি এবং ৫ শতাংশ ভিটামিন বি ৬। এই উপাদানগুলো ফ্রি রেডিকেলসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।
রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়
গাজরের জুসের মধ্যে যেহেতু গাজরের উপাদানগুলো বিদ্যমান, তাই গাজরের জুস রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এটি ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে লড়াই করে এবং প্রদাহ প্রতিরোধ করে। গাজরের জুসে থাকে অনেক ধরনের ভিটামিন এবং মিনারেল যেমন বি৬, কে, পটাশিয়াম, ফসফরাস ইত্যাদি। এগুলো হাড়ের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখে, স্নায়ু পদ্ধতিকে ভালো রাখে এবং মস্তিষ্কের শক্তি বাড়ায়।
হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখে
হৃৎপিণ্ডকে সুস্থ রাখতে কায়িক শ্রম করা, পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমানো, মানসিক চাপ কমানো প্রয়োজন। এর পাশাপাশি গাজরের জুস খাদ্যতালিকায় রাখলেও আপনি ভালো উপকার পাবেন। গাজরের মধ্যে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং আশ, এক সঙ্গে হার্টকে ভালো রাখতে সাহায্য করে। এটি রক্ত চলাচলকেও ভালো রাখে।
উজ্জ্বল ত্বক
গাজরের মধ্যে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং প্রয়োজনীয় মিনারেল বিশেষ করে পটাশিয়াম কোষের ক্ষয় প্রতিরোধ করে। এটি ত্বকের শুষ্কভাব প্রতিরোধ করে। ত্বকের টোন ভালো করে, ক্ষত সারাতে সাহায্য করে।
কোলেস্টেরল ও রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে
গাজরের জুস ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে বেশ উপকারী। এটি রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণেও কাজ করে। এটি ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে। এটি বাইল সিক্রেয়েশন বাড়ায় যা চর্বি কমাতে সাহায্য করে।

সৌজন্যে: বিডিকথা ডট কম

Loading

উড়ন্ত পাখি

About উড়ন্ত পাখি

আমি কোন লেখক বা সাংবাদিক নই। অর্ন্তজালে ঘুরে বেড়াই আর যখন যা ভাল লাগে তা সবার সাথে শেয়ার করতে চাই।

Comments are closed.