একটি প্রার্থনা

  • খোদা দয়াময় রহমান রহিম 
    হে বিরাট হে মহান হে অনন্ত অসীম
    নিখিল ধরণীর তুমি অধিপতি
    তুমি নিত্য, সত্য পবিত্র অতি 
    চির অন্ধকারে তুমি ধ্রুব জ্যোতি 
    তুমি সুন্দর, মঙ্গল মহামহী 
    তুমি মুক্ত স্বাধীন বাধা বন্ধনহীন
    তুমি এক তুমি অদ্বিতীয় চিরদিন 
    তুমি সৃজন পালন ধ্বংসকারী,
    তুমি অভয়, অক্ষয়, অনন্ত আদি 
    আমি গোনাহগার; পথ অন্ধকার
    জ্বালো নুরের আলো নয়নে আমার 
    আমি চাইনা বিচার হাশরের দিন 
    চাই করুণা তোমার ওগো হাকিম
    এ ভবনে মাঝে যখন যে দিকে তাকাই
    তোমার করুণা রাশি কেবল দেখিতে পাই
    তোমার আদেশে রবি উজ্জ্বল কিরণময়
    তোমার আদেশে বায়ু ভুবন ভরিয়া বয়
    চাঁদের মধুর আলো যখন জগতে ভাসে
    তোমার করুণা তাই উচ্ছলই উচ্ছলই হাসে

     

  • আধার গগনে যবে কুটি তারা দেয় দেখা
    তোমার মহিমা যেন জ্বলন্ত অক্ষরে লেখা
    বিহগে ললিত গীতি শিখিয়েছ ভালবাসি
    ঢেলেছ ফুলের দলে স্বর্গের শুভা রাশি
    উদর সাগর মেঘ বসন্ত বরিষা দ্বারা
    বিচিত্র কৌশল তব মরমে জাগায় তারা
    নগরের কোলাহল বিজনের নীরবতা
    না সুধাতে বলে সদা তোমারই স্নেহের কথা
    কত যে বাসিস ভাল কিছু না জানিতে পাই
    যখন যা প্রয়োজন তখনই দিতেছ তাই
    নাহি চাও প্রতিদান নাহি রাখো কোন আশা
    নীরবে ভাসিস ভালো ধন্য বটে ভালবাসা
    কি আর চাহিব রব তোমার চরণ তলে
    তুমি যার সে আবার কি চাহিবে ভূমণ্ডলে
    এই মাত্র ভিক্ষা মাগি- যখন যেভাবে থাকি
    তুমি আমার- তাই সদা যেন মনে রাখি
    যতটুকু যত বিন্দু যা পারিয়া ক্ষমতায়
    সাধিয়া তোমারই কাজ যেন এ জীবন যায়  

     

 

 

 

**সংগৃহীত এবং সম্পাদিত**

Loading


মন্তব্য দেখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *