আর আই এস সম্মেলন ২০১৬

গত ২৩ – ২৫ ডিসেম্বরে নর্থ আমেরিকার মুসলিম যুবসমাজের আয়োজিত  বৃহত্তম সমাবেশ রিভাইভিং দি ইসলামিক স্পিরিট কনভেনশন (RIS Convention) অনুষ্ঠিত হয় টরন্টো শহরের কনভেনশন সেন্টারে । এবারের কনভেনশনে কিংবদন্তী মুষ্টিযোদ্ধা  মো. আলীর স্মরণে আয়োজিত হয় বিশেষ অধিবেশন।

ক্রীড়াজীবনের শুরুর দিকে আলী রিংয়ের ভেতরে ও বাইরে একজন অনুপ্রেরণাদায়ক ও ক্রীড়ার জগতের সেলিব্রেটি তথা আলোচিত ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ৩ বারের ওয়ার্ল্ড হেভিওয়েট চ্যাপিয়ন এবং অলিম্পিক লাইট-হেভিওয়েট স্বর্ণপদক বিজয়ী। ১৯৯৯ সালে মুহাম্মদ আলীকে বিবিসি এবং স্পোর্টস ইলাট্রেটেড স্পোর্টসম্যান অব দ্যা সেঞ্চুরী (শতাব্দীর সেরা ক্রীড়াবিদ) হিসেবে ঘোষণা করে। (উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ)  মোহাম্মদ আলীর পুরানো নাম ছিল ক্যাসিয়াস মারকেলাস ক্লে জুনিয়র। তিনি ছিলেন খিষ্টান ধর্মের অনুসারী। তাঁর জন্ম হয় ১৭ জানুয়ারি ১৯৪২ আমেরিকার লুইসভিলা, কেন্টাকি শহরে। ১৯৬৮ সালে আলী আফ্রিকান আমেরিকানদের সংগঠন নেশন অব ইসলামে যুক্ত হন এবং তার নাম পরিবর্তন করেন। ১৯৭৫ সালে তিনি মেইনস্ট্রিম ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।
মো. আলীর স্মরণে আয়োজিত অধিবেশনে যুগ দেন আলীর তিন কন্যা। তারা সবাই তাদের পিতার সৃতিচরন করতে গিয়ে তার সঙ্গের বিভিন্ন ইন্টারেষ্টিং ঘটনার বর্ণণা দেন বিশেষ করে ইসলামের প্রতি তাঁর অনুরাগ আকর্ষন যে কত গভীর ছিল তা তাদের কথায় ফুটে উঠেছে । কিভাবে তাদের পিতা তাদেরকে কাছে ডেকে কোরআন হাদিস খুলে বিভিন্ন সুরা ও হাদিস কালামের নিচে দাগ দিয়ে রাখতেন এবং তাদেরকে দিয়ে তা পড়াতেন ও আলোচনা করতেন তাতে জানা যায় আল্লাহর প্রতি তার আস্থা ও বিশ্বাস এবং তার সাহস ছিল আপরিসীম। আল্লাহ ছাড়া কাউকে তিনি ভয় করতেন না সেটা তার বিভিন্ন কথা ও কাজে প্রমাণ পাওয়া যায়।

মোহাম্মদ আলী তার নিজের ভুল ভ্রান্তির কথা স্বীকার করতেন এবং নিজেকে কখনই বিশুদ্ধ-চরিত্র বলে দাবী করতেন না। ​মুহম্মদ আলীর কন্যা মরিয়ম আলীকে দেখে অত্যন্ত বিনম্র, ভদ্র এবং ডাউন টু আর্থ মহিলা মনে হয়েছে। মারিয়াম বললেন, ” বাবা যখন নিজের দুর্বলতা ও কোন ভুলের স্বীকার করতেন তখন তা শুনে বাবার প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা ও সম্মান আরো বৃদ্ধি পেত”
রাশেদা আলী মুহাম্মদ আলীর আরেক কন্যা বলেন .”আমার বাবা আমাদেরকে এবং বিশ্বের সবাইকে অনুপ্রাণিত করেছেন কিভাবে নিজের সেরা সংস্করণ হতে ,” (“My dad has inspired us and the entire world to be the best version of ourselves,” said Rasheda Ali Walch, the daughter of Muhammad Ali)
ইমাম যায়েদ শাকির, মো : আলীর প্রতি তার শ্রদ্ধা জানাতে বলেন, (“As we remember Ali, don’t just talk about his courage, Try and grab a handful of that courage and put it in your heart.” “Muhammad Ali was not perfect but he was used by God to do the work of God.”) “আমরা মো: আলীকে স্মরণ করলে, শুধু তার নিজের সাহস নিয়ে কথা বলি না বরং চেষ্টা করুন সে সাহসের এক মুষ্টি নিজের মনে স্থাপন করতে। মোহাম্মদ আলী হয়তবা নিখুঁত ছিলেন না কিন্তু তাঁকে দিয়ে আল্লাহ তাঁর কাজ করিয়েছেন।” 

এই RIS কনভেনশনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল এখানে আগত স্কলারদের মতামতের ভিন্নতা থাকে এবং প্রত্যকেই তাদের বক্তব্য  অত্যন্ত স্পষ্ট ও অনুপম, জ্ঞানগর্ব এবং সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেন। আমার মতে কনভেনশনের সংগঠকরা ইসলামিক আলোচনাকে হোম স্ট্রিট থেকে মেইন স্ট্রিটে নিয়ে আসে। পশ্চিমা দেশের অন্যতম  ব্যস্ত নগর টরন্টো শহরের প্রাণ কেন্দ্রে প্রতি বছর এভাবে হাজার হাজার মানুষের সমাবেশ করা এত সহজ নয়। তাই তাদের এ সফলতা অবশ্যই প্রসংশার দাবী রাখে।

এবাবের কনভেনশনে বিভিন্ন  বক্তব্য শুনে আমার যে অনুভতি হল তা হচ্ছে মুসলিম দেশগুলার  অবস্থা লক্ষ্য করলে দেখা যায় পৃথিবীর সবচেয়ে বেশী দূর্নীতিপূর্ন সমাজ   বিরাজ করছে মুসলিম দেশে। সে সব দেশের নাগরিক বা যারা ক্ষমতায় আছেন তাদের অনেকেই নিজেদেরকে মুসলিম হিসাবে দাবি করেন কিন্তু কাজে কর্মে তার বিপরীত। এর অন্যতম একটি কারণ মনে করি আজ ধর্মীয় সমাজে এমন এক কালচারের সৃষ্টি হয়েছে যেখান আমরা কোরআনকে বুঝার আগে মুখস্থ করতে ব্যস্ত। তাই কোরআন পড়লেও আমাদের চরিত্রে  কোন পরিবর্তন আনতে পারে না!  কোরআন আমাদেরকে আল্লাহর প্রতি অনুরাগী হতে আল্লাহর প্রতি আত্মসমর্পণ করতে কোন অনুপ্রেরণা দিতে পারেনা। ধর্মের নামে শুধু আনুষ্ঠানিকতা পালন করাই হচ্ছে আমাদের ধার্মিকতার সনদ। আমাদের অন্তর্দৃষ্টি (বাসিরাহ/بصيرة) হয়ে গিয়েছে অন্ধ। তাই আমরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলতে সাহস পাই না। মোহাম্মদ আলীর উদাহরণ যদি আমরা দেখি  তিনি তাজউইদের সহিত কোরআন তিলায়ত করতে শিখার  আগেই কোরআন বুঝার চেষ্টা করেছেন আর সে জন্য আল্লাহ তাকে ইসলামের পথে চলার জন্য আলোকিত করেছেন।

এবারের কনভেনশনে তুরষ্ক থেকে আগত ড: রিসিপ সেনতুক “Tradition or Extradition -Restoring Normative Islam” টপিকের উপর অত্যন্ত জ্ঞানগর্ব বক্তৃতা দেন যা আমার কাছে খুবই ভাল লেগেছে। তাই সে বক্তৃতার কিছু কথা নিম্নে বর্ণণা করছি।

তিনি বলেন, “আজকাল আমাদের অধিকাংশ কথাবার্তা চলে পলিটিক্স নিয়ে আমরা গ্লোব্যল পলিটিক্স, ক্রিমিন্যাল পলিটিক্স ইত্যাদি নিয়ে আলাপ করি কিন্তু আমাদেরকে নিজের হৃদয়ের পলিটিক্স – সিয়াসাতুল ক্বালব নিয়েও আলোচনা খুবই জরুরী। এ বিষয়ে ইমাম গাজ্জালি ও ইমাম রাবআনি আস্তিরি হিন্দি সহ অন্যান্য আলেমরা আলোচনা করেছেন। তাঁরা রাষ্ট্র শাসনের সাথে হৃদয়ের শাসনের তুলনা করেছেন। রাষ্ট্র যেমন দেশের প্রশাসন কন্ট্রল করবে তেমনি ব্যক্তির হার্ট তার সকল কাজকে কন্ট্রল করবে।” বিশ্বব্যাপী মুসলিমদের মাঝে ইসলামি স্পিরিট জাগরিত করতে হলে ব্যক্তি পর্যায়ে কাজ করতে হবে । ”

সে জন্য ড: রিসিপ সেনতুক ৭টি কর্মসূচির প্রস্তাব রাখেন:

১) প্রথমেই উদ্দেশ্য স্থির করুন নিজেকে একজন পরিপূর্ণ বা পরিপক্ষ মানুষ “ইনসান আল কামিল” হিসাবে গড়ে তুলতে। সে জন্য ফোকাস থাকবে নবীর আদর্শ অনুসরন। তবে “ইনসান আল কামিল” হতে হলে একজন বিশ্বাসীর মনে ঈমানের স্বাদ (Taste of Iman) থাকতে হবে এবং তা সৃষ্টি করতে হলে তাঁর হৃদয়ে সর্বদা আল্লাহর স্মরণে তথা জিকির থাকতে হবে। অন্য কথায় তাকওয়ার অনুভুতি থাকতে হবে। দু:খের বিষয় হচ্ছে বর্তমান মুসলিমদের জীবনে ঈমানের স্বাদ অনুপস্থিত এবং ঈমানের স্বাদ এ ধারনাটাই যেন বহিরাগত কল্পিত বিষয় তাই এটাকে পুনরিজ্জিবিত করতে হবে “আল ইনসান আল কামিল” হতে হলে।

২) শিক্ষা ও আত্মপরিশুদ্ধি -“তা’লিম ও তাজকিয়া” তা’লিম হচ্ছে বিজ্ঞতাপূর্ণ শিক্ষা, পাণ্ডিত্যপূর্ণ তথা জ্ঞানগর্ব কেতাবি বা একাডেমিক শিক্ষা আর তাজকিয়া হচ্ছে আত্মপরিশুদ্ধি জন্য আধ্যাত্মিক শিক্ষা এ দুটি শিক্ষা একে অন্যের সম্পুরক হিসাবে কাজ করবে। রাসুল স: এ দু ধরনের শিক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন এবং কোরআনেও স্পষ্ট করে বলা আছে, ” ওয়া ইউয়াল্লিমুল কিতাবা ওয়াল হিকমাতা ওয়া ইউযাক্কীহীম”।

৩) ফিকর – যুক্তিপ্রয়োগ বা যুক্তিবিচার বিশেষ করে কোরআন ও ফিকিহ শাস্ত্রের অধ্যায়নে। ফিকর হচ্ছে ইসলামিক যুক্তি পদ্ধতি (Islamic reasoning)। তা রাজনৈতিক ইস্যু, সমাজিক ইস্যু, পারিবারিক ইস্যু বা যে কোন ইস্যুতে প্রয়োগের বেলায় প্রযোয্য । উসুল আল ফিকাহ প্রণালী বা নিয়মবিজ্ঞান methodology ব্যবহার করতে হবে বিশেষকরে কোরআনের কোন আয়াতের গভীর অর্থ বুঝতে বা ব্যাখা দিতে হলে উসুল আল ফিকাহ অনুসরণ করতে হবে। কোরআনকে খবরের কাগজের মত পড়ে ব্যাখা দেয়া সম্ভব নয় সে জন্য প্রয়োজন উসুল আল ফিকাহ methodology অনুসরণ যা আমাদের আমাদের ট্রাডিশনাল স্কলাররা কোরআন হাদিসের ।আলোকে জ্ঞানগর্ব ব্যাখ্যা দিয়ে গিয়েছেন। অতএব সে সবের  ভিত্তিতে কোরআন সুন্নাহর ব্যাখা বা গভীর অর্থ বুঝতে বা কোন বিষয়ে ফতোয়া দিতে কিংবা ইজতেহাদ করতে উসুল আল ফিকাহ অনুসরণ করতে হবে।

৪) ইসলামের বহুবিধ বিশ্ব দর্শন (multiplex world view of Islam) শিক্ষা দিতে হবে। যা পরিবেষ্টিত আছে  মা’রাতিবুল উজুদ, মা’রাতিবুল উলুম, মা’রাতিবুল উসুল এবং মা’রাতিবুল হাকাইব এর জ্ঞাণে। এখানে আমি যা বুঝাতে চাচ্ছি তা হল অস্তিত্বের বিভিন্ন দিক আছে তা হচ্ছে বৈষয়িক অস্তিত্ব (material existence), অবৈষয়িক বা ব্যবহারিক অস্তিত্ব (non material existence) ও ঐশ্বরিক অস্তিত্ব (Devine existence) । আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থায় বৈষয়িক অস্তিত্বের শিক্ষা ছাড়া  অন্য সব অস্তিত্বের জ্ঞানের কোন চর্চা নাই। তাই মুসলিম বিশ্বের শিক্ষা ব্যবস্থায় এ সব বিষয় নতুন করে চালু করতে হবে।

৫) আদামিয়্যাহ তথা ইসলামিক মানবিক ধারনা (concept of humanity by Islam) যার ভিত্তিতে ইসলামি আইন বা ফিকাহ, ইসলামিক রাজনৈতিক আদর্শ ও নৈতিকতা গড়ে উঠেছে। ইসলামের দৃষ্টিতে প্রতিটি মানব সন্তান অলঙ্ঘনীয় (inviolable) । এ কথাই ইমাম আবু হানিফা প্রকাশ করেছেন আল ইসমা বিল আদামিয়্যাহ  বলে। যতক্ষন পর্যন্ত কোন মানুষ কাউকে আক্রমন করবে না বা  ক্ষতি করবে না তাকে নিরাপদ থাকতে দিতে হবে। তার কোন ক্ষতি করা যাবে না। এই ঐতিহ্য চালু ছিল মুসলিম বিশ্বে অটোমান সাম্রাজ্য পতন পর্যন্ত।

৬) বৈচিত্র্য বা ভিন্নতার ব্যবস্থাপনা (diversity management) বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে diversity management ভিন্নতা ব্যবস্থাপনার সংকট । সেজন্য আজ আমরা এত সংঘর্ষ ও কনফ্লিক্ট দেখছি এ পৃথিবীতে। ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট লক্ষ্য করলে দেখা যায় মুসলিম সভ্যতার শক্তির অন্যতম উপাদান ছিল এই সার্বিক ব্যবস্থাপনাসমূহের  সফলতা।

৭) “ফুতুয়া কালচার” বা যুব সংস্কৃতি। এটা যুব সমাজের জন্য আমাদের উলেমারা সৃষ্টি করেছিলেন। তার মৌলিক উপাদান ছিল আদব ও শিষ্টাচার  শিক্ষা যা উপনিবেশিকতা ও আধুনিকতার কবলে পড়ে বিলোপ হয়ে গিয়েছে মুসলিম সমাজে।

কনভেনশনের অন্যতম বক্তা শেখ হামজা  ইউসূফ যে বিষয়ে সবার দৃষ্টি আকর্ষন করতে চেয়েছেন তা হল এ দুনিয়ায় বিপদ আপদ ও সমস্যা লেগেই থাকবে। যারা এ দুনিয়াকে সুখের জায়গা ভাবেন তারা ভুল অবস্থানে আছেন। চির সুখ ও শান্তির জায়গা হল জান্নাত দুনিয়া নয়। তাই আমাদেরকে ধৈর্য্য সহকারে দুনিয়ার জীবনের বিপদ আপদ, ক্ষয়-ক্ষতি ও সমস্যা মুকাবিলা করে যেতে হবে এবং এখানে  ধৈর্য্য ধারন করা হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ যারা তা করতে পারবে তাদেরকে জান্নাত প্রাপ্তির সুংবাদ দিতে আল্লাহ বলেছেন কোরআনে।

উপসংহার :

কোরআনে মহান আল্লাহ মানুষকে তার খলিফা রূপে এ দুনিয়ায় চলার কথা বলেছেন। এখন খলিফা কিভাবে হবেন যদি আপনি দুনিয়াকে ছেড়ে বৈরাগ্যের জীবন ধরেন? দেশের রাজনীতি আপনি মাফিয়াদের হাতে ছেড়ে দেন, অর্থনীতি আপনি সুদখোরদের হাতে ছেড়ে দেন, ব্যবসা বাণিজ্য মুনাফা লোভী অসৎদের কাছে ছেড়ে দেন, শিক্ষাব্যবস্থা আপনি নাস্তিকদের হাতে তুলে দেন, আবার নিজেকে এক্টিভিষ্ট মনে করবেন নিজেকে রাজনৈতিক বা ইসলামী রাজনৈতিক কর্মী রূপে নিবেদিত করবেন অথচ ব্যক্তি জীবনে “তাজকিয়ায়ে নাফস” বা আত্মশুদ্ধির কোন প্রচেষ্টা  নাই। ভিতরে নুর নাই, আলো নাই বাহিরে নুরানী চেহারার বেশ ধরেন। তাহলে আপনি দুনিয়ার জীবনে আল্লাহর খলিফার দায়িত্ব কিভাবে কোথায় পালন করছেন তা কি ভেবে দেখেছেন? সুর করে ওয়াজ করবেন আর লিল্লাহ খাবেন আর আপনি মনে করবেন আপনি বুজুর্গে দ্বীন আর আল্লাহর খলিফা! মারহাবা চালিয়ে যান।

অন্য দিকে মুসলিম ঘরে জন্ম নেয়া ইলিটদের অবস্থা তো আরও খারাপ তারা নিজেদেরকে ইসলামের পথে তো আনবেই না এবং নিজেরা ইসলামের জন্য কিছু করবেনা অথচ ভাবখানা হচ্ছে সকল সমস্যার কারণ হচ্ছে মুল্লাগুষ্টি। আবার কেউ বলবেন  কি আর করা যায় এ  সবই ইসলামের দুষমনদের ষড়যন্তের ফসল!

যে  কারণই  বলেন না কেন বাস্তবতা হল ইসলামের প্রথম এক হাজার বছরে পৃথিবীতে যে ভুমিকা রাখতে পেরেছিল যে সভ্যতা গড়ে তুলতে পেরেছিল তার পিছনে কিন্তু আল্লাহর খলিফা রুপে চলার স্পৃহা তথা আল্লাহর নৈকট্য প্রাপ্তির বাসনাই ছিল এই উম্মতের চালিকা শক্তি। কালের অতিক্রমে বিগত পাঁচশত বছরের ইতিহাসের মুসলিমরা বিজয়ের আসন ছেড়ে আজ পরাজয়ের গ্লানি নিয়ে জীবন কাটাতে হচ্ছে । সেখানে শুধূ হতাশা করে লাভ নেই বরং সত্যিকার ইসলামী স্পিরিট মুসলিম সমাজে আবার ফিরিয়ে আনা যে একান্ত  জরুরী  সে প্রচেষ্টা করা উচিত। তবে এই অবস্থা বুঝার মত অন্তর্দৃষ্টি (বাসিরাহ/بصيرة ) আমদের সবার মনে কবে জাগাবে সেটাই হচ্ছে প্রশ্ন।

গত বছরের কনভেনশনের কিছু ঝলক নিচে দেখতে পাবেন।

Comments are closed.