স্ট্যাচু অব লিবাটি নাম শুনলেই সেই ছবিটি চোখে ভেসে উঠে । ডান হাত উচিয়ে আলোকবর্তিকা নিয়ে মাথায় তারকা মুকুট পরে বিশালদেহি এক নারী মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছেন। পাশ্চাত্যের চেহারা নয়, ইউরোপীয়ানও নয়, না এশিয়ান চেহারাও নয়।বিনি সুতার পোশাকে ঢাকা শরীর ।
সেই মূর্তির সামনে এসে অনেকেরই প্রশ্ন জেগেছে এই নারী মূর্তি কার। সম্প্রতি জানা গেছে, গণতন্ত্র ও মুক্তির প্রতীক স্ট্যাচু অব লিবার্টি ফরাসী ভাস্করের ডিজাইন করা আরব নারী মূর্তির অনুকরণে নির্মিত হয়েছে।
ওই ভাস্কর প্রথমে মিশরের একটি প্রকল্পের জন্য একজন আরব নারীর ভাস্কর্য তৈরি করেছিলেন। গবেষকরা একথা জানান।
যুদ্ধ বিধ্বস্ত সিরিয়া ও অন্যান্য মুসলিম প্রধান দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে শরণার্থী প্রবেশ নিয়ে উত্তপ্ত বিতর্কের মধ্যে গবেষকরা চমৎপ্রদ এই তথ্য আবিষ্কার করলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল পার্ক সার্ভিস জানিয়েছে, ফরাসী ভাস্কর ফ্রেডেরিক অগাস্টি বার্থোলদি ১৮৫৫ সাল থেকে ১৮৫৬ সাল পর্যন্ত মিশর সফর করেন। তিনি সেখানে ব্যাপকভাবে বিরাট আকৃতির সরকারি স্মৃতিস্তম্ভ ও প্রস্তরে খোদাই ভাস্কর্য নির্মাণ করেন।
মিশরীয় সরকার যখন ১৮৬৯ সালে সুয়েজ খালের জন্য একটি লাইট হাউস নির্মাণের কথা ভাবছিল, বার্থোলদি তখন একটি বিরাট নারী মূর্তির ডিজাইন করেন। ঢোলা জামা পরা মূর্তিটির হাতে একটি মশাল ছিল।
তিনি এই মূর্তির নাম দেন ‘মিশর এশিয়ার জন্য আলো নিয়ে এসেছে।’ তিনি ‘ঘোমটা দেয়া এক কৃষাণী’কে দেখে এই মূর্তির ডিজাইন করেন।
১৮৭০ সালে বার্থোলদি পূর্ববর্তী মূর্তির অনুকরণে স্ট্যাচু অব লিবার্টি নির্মাণ করেন। ১৮৮৬ সালে মূর্তিটি উন্মোচন করা হয়।
সৌজন্যে: পূর্বপশ্চিমবিডি ডটকম