সাঈদীর বিচার ও যুদ্ধাপরাধ

একটা মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচার করতে গিয়ে আমরা অবশ্যই আর একটা মানবতা বিরোধী অপরাধ করতে পারি না। যুদ্ধাপরাধ, মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচার কোন গ্রাম্য শালিশ নয়। তাই আমার কনসার্ন ফকির-পাকড়া নয়। আমার কনসার্ন এত বড় একটি বিচারের সাক্ষী হিসাবে ফকির-পাকড়ার অপব্যবহার। (ক্রেডিবেলিটির বিবেচনায় বলছি। আশা করি অন্যদিকে টুইষ্ট করার চেষ্টা করবেননা।)

যুদ্ধের সময় আমার বয়স ছিল ২৩ বছর। আমি তখন কলেজ সংসদে ছাত্রলীগ থেকে মনোনীত নির্বাচিত প্রতিনিধি ছিলাম। এবং মুক্তিযুদ্ধের স্থানীয় সংগঠক ছিলাম। তখন পাকিস্তানী সৈন্যরা যে দিকে যেতো তার তিন কিলোমিটারের মধ্যে সম্ভাব্য স্থানে মুক্তিযোদ্ধা ছাড়া কোন জন মানুষ দেখা যেতোনা। মহিলারা ঘরবাড়ী ছেড়ে জঙ্গলে চলে যেতো। আসলে, যারা এই বিচার কাজের সহিত জড়িত তারা যুদ্ধ দেখেছেন বলে আমার মনে হয় না। কিন্তু না দেখুক, মুক্তিযুদ্ধের সত্য ইতিহাস তাদের জানা থাকা উচিৎ ছিল। মুক্তিযুদ্ধ যদি এতটাই নিরুত্তাপ হতো, তাহলে মাত্র নয় মাসে ত্রিশ লাখ লোক মরে কি ভাবে ? আসলে, এমন একটি বিরাট বিচার কাজে ফকির ফেরিওয়ালাদেরকে টেনে এনে আপনারা যুদ্ধের ভয়াবহতাকেই ম্লান করে দিয়েছেন। আর এজন্যই কিছু লোক  নাচ-গান করে, মোমবতি জ্বলিয়ে মুক্তিযুদ্ধ খেলার সাহস পাচ্ছে! রাজাকারদের স্থানীয় কমান্ডাররা পাকিস্তানে চলে যায়নি। যুদ্ধের শেষ পর্যন্ত, ম.খা. আলমগীরের মতো ইউনিয়ন, থানা, ও জিলা লেবেলের পাকিস্তানী প্রশাসনিক কর্মকর্তারা বাংলাদেশেই রয়ে গেছে। তৎকালীন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগণ অনেকেই এখনো বেঁচে আছেন। কিন্তু বলতে পারেন, এই মহারতিদেরকে অভিযুক্ত না করা হোক, সাক্ষী হিসাবে কেন উপস্থাপন করা হয়নি। অথচ এরাই হতে পারতো সঠিক ঘটনা উৎঘাটনের জন্য বিশ্বাসযোগ্য সোর্স। আর অভিযুক্তই বা কেন হবেন না? ‘দেল্লা রাজাকার’ দেলোয়ার হোসেন সাঈদী (???) হয়ে গিয়েছে বলেই কি তখনকার সব অপরাধ তার মাথার উপর চেপে দিতে হবে? আসলে আপনারা ‘দেল্লা রাজাকারের’ শাস্তি দেননি, শাস্তি দিয়েছেন ‘দেলোয়ার হোসেন সাঈদী’ নামের একজন নিরাপরাধ মহান ব্যক্তির।

আসলে, প্রকৃতপক্ষে এই বিচারটি কি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ছিল? এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার জন্য বিষযটি আরো গভীর ভাবে বিশ্লেষণ প্রয়োজন। যুদ্ধ, যুদ্ধাপরাধ, ও মানবতা বিরোধী অপরাধ, একটি নয় তিনটি বিষয়। প্রথমত: যুদ্ধের কথা বলা যাক। যুদ্ধ আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত কোন অপরাধ মূলক কাজ নয়। যুদ্ধের জন্য আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত বিধি-বিধান বা নিয়ম-নীতি রয়েছে। এই সকল নিয়ম-কানুন ও বিধি-বিধান মেনে চললে যুদ্ধকে অপরাধ হিসাবে গণ্য করা হয় না। এবং স্বীকৃত বিধি-বিধান বা নিয়ম-নীতি লঙ্ঘীত না হলে যুদ্ধের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিচার করা যায় না। অধিকন্তু যুদ্ধ শেষে বিজয়ী পক্ষকে পরাজিত পক্ষের দায়-দায়িত্ব নিতে হয় এবং বিজিত ও পরাজিতদের মধ্যে সামাজিক ইন্টিগ্রেশনের জন্যও ব্যবস্থা নিতে হয় বিজিত শক্তিকে। মোহাম্মদ (সাঃ), নেলশন ম্যান্ডেলা, শেখ মুজিবুর রহমান বিজয়ের পর রাষ্ট্র নায়ক সুলভ দায়িত্বটি পালন করেছিলেন। অপরদিকে, যুদ্ধাপরাধ যুদ্ধের সহিত সংশ্লিষ্ট একটি বিষয়। আর ‘মানবতা বিরোধী অপরাধ’ যুদ্ধের সহিত সংস্লিষ্ট হতে পারে আবার নাও হতে পারে। যুদ্ধের সময় যুদ্ধের বিধি-বিধান বা নিয়ম-নীতি ভঙ্গ হওয়ার ঘটনা ঘটলে তাকে লঙ্ঘীত হলে তাকে ‘মানবতা বিরোধী অপরাধ’ বলা হয়। মানবতা বিরোধী অপরাধ যে কোন সময়ে সংগঠিত হতে পারে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতা বিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে এটা অনস্বীকার্য। এই অপরাধের মূল নায়ক ছিল পাকিস্তানী সৈন্যরা। কিন্তু পাকিস্তানী সৈন্যদেরকে অভিযুক্ত থেকে বাদ দেওয়ার পর বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে যুদ্ধাপরাধের বিচার করা সম্ভব ছিলনা। তাই অনিবার্য কারণে যুদ্ধাপরাধের বিচার সম্ভব নয় বলে সরকার যুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতা বিরোধী অপরাধ বিচারের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। আজকের যে ট্রাইবুনাল আমরা দেখছি তা যুদ্ধাপরাধ নয়, মানবতা বিরোধী অপরাধের জন্য সংঘঠিত ট্রাইবুনাল। ‘মানবতা বিরোধী অপরাধের’ বিচার করতে গিয়ে ‘যুদ্ধাপরাধের’ বিচার করা যায় না। ফলে এই ট্রাইবুনালের সীমাবদ্ধতা অনেক। বিচার কার্যের এই সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করার জন্যই হয়তো একটা জাতীয় আবেগ সৃষ্টির প্রয়োজন পড়েছিল। শাহবাগ হয়তো এই প্রয়োজনেরই একটি অনিবার্য ফলশ্রুতি। কিন্তু ভুলে যওয়া ঠিক নয় যে, বিচার একটি পবিত্র আমানত। রাগ-বিরাগ আর বেগ-আবেগ দিয়ে এই আমানত শোধ করা যায় না। বিচার কাজ সম্পন্ন করতে হয় বিচারের সীমা-পরিসীমার মধ্যে থেকে সাক্ষী প্রমাণের মাধ্যমে। আবার, রাগ-অনুরাগেরও সীমা-পরিসীমা রয়েছে। সাময়িক আবেগ সৃষ্টি করতে গিয়ে যদি গভীর ক্ষত সৃষ্টি করা হয় তাহলে তার ফল ভোগ করতে হয় দীর্ঘদিন ধরে।

এবার নিজেকে একটা প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন। মুক্তিযুদ্ধের সময় সংগঠিত সকল অপরাধ প্রকৃতপক্ষেই কি ওভারলুক করা হয়েছিল? আমার মনে হয়, শাহবাগ কেন দেশের অনেক বড় বড় নেতা-নেত্রীরাও তা জানেন না। আসলে চোখে না দেখলে কোন কিছুই পুরোপুরি ভাবে জানা সম্ভব হয় না। আর জানা হয়নি বলেই আজ শাহাবাগ সহ পুরো দেশ আমরা বায়বীয় ভাবাবেগে তাল-মাতাল। ভুলে যাবেন না, এটা যুদ্ধ বা যুদ্ধ অপরাধের বিচার নয়। এটা শুধুমাত্র মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচার। আসলে আপনারা মনে করছেন একাত্তর সালের মানুষগুলো বেয়াকুফ ছিল। তরা কোন রকম শাস্তি না দিয়েই কি সকল রাজাকারদেরকে জামাই আদরে ছেড়ে দিয়েছে? না, তাদের নিষ্ঠুরতা আপনাদের চেয়ে বেশী না হলেও তারা বেয়াকুফ ছিলনা। আপনারা কি জানেন –

১. মুক্তিযুদ্ধের পর প্রত্যেকটি রাজাকার ও শান্তি কমিটির সদস্যকে নির্মম ভাবে বেত্রাঘাত করা হয়েছিল, জুতাপেটা করা হয়েছিল, কোন কোন রাজাকারকে বেয়নেট ও ব্লেড দিয়ে শরীর ক্ষত বিক্ষত করা হয়েছিল।

২. মুত্তিযুদ্ধের পর ৬০% থেকে ৮০% রাজাকার ও শান্তি বাহিনীর সদস্যকে মেরে ফেলা হয়েছিল।

৩. মুক্তিযুদ্ধের সময় অসংখ্য মুসলিম লীগ ও জামায়েতে ইসলামীকে ঘর থেকে ডেকে এন চোখ বেঁধে মেরে ফেলা হয়েছিল।

৪. মুক্তিযুদ্ধের আগে ও যুদ্ধের সময় অসংখ্য মুসলিম লীগ ও জামায়াতে ইসলামীর বাড়ী-ঘর পুড়ে দেওয়া হয়েছিল।

৫. মুক্তিযুদ্ধের পর মুসলিম লীগ ও জামায়াতে ইসলামীদের অসংখ্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল করা হয়েছিল।

৬. সম্ভ্রান্ত মুসলিম লীগ ও জামায়াতে ইসলামীদের অনেক সুন্দরী মেয়েকে মুক্তিযুদ্ধাদের কাছে বিয়ে দিতে বাধ্য করা হয়েছিল।

৭. ইত্যাদি ইত্যাদি ————-।

আচ্ছা বলুনতো, আমরা অনেক কঠিন বাস্তবতাকে এত অল্পতে ভুলে যাই কেন? আজকে বেয়াল্লিশ বছর পর রাজাকারদের ব্যাপারে আপনাদের আবেগ যদি এতটা ভয়ঙ্কর হয়, তাহলে একাত্তরে যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশের পরিবেশ কিভাবে ভাবতে পারেন যে আমাদের এখনকার আবেগের চেয়ে কম ছিল? কিভাবে মনে করতে পারেন যে, আপনারা এখন যাদেরকে দিয়ে সকাল বিকাল নাস্তা করতে চান, তাদেরকে দিয়ে বাস্তবিক ভাবেই তখন সকাল-বিকাল নাস্তা হয়নি? ভাবতে পারেন, পাকিস্তানী সৈন্যরা রাজাকারদেরকে পরিত্যাক্ত করে চলে যাবার পর বিভিন্ন জায়গায় হাজার হাজার ক্ষিপ্ত মানুষের মাঝে অসহায় কয়েক ডজন রাজাকরের কি অবস্থা হয়েছিল? চোখ বুঝে দিব্যদৃষ্টিতে দেখুন, যা দেখবেন তা প্রমাণের জন্য আমাকে সাক্ষী হাজির করতে হবে না। সেদিন লিবিয়াতে গাদ্দাফির কি হয়েছে তা আপনারা নিজ চোখে দেখেছেন। আচ্ছা আজ যদি শাহাবাগ মঞ্চে দশ/বিশ জন রাজাকার ধরে এনে চেড়ে দেওয়া হয় বলতে পারেন তাদের কি অবস্থা হবে?

উপরের এই তথ্যগুলো শুধু এই প্রজন্মের ছেলে-মেয়েদের নয়, আমার মনে হয় যারা উপর থেকে যুদ্ধ দেখেছেন তারাও জানেন না। আর যারা ভারত থেকে উড়ে এসে জুড়ে বসেছিল তারাতো যুদ্ধ কি তা’ই দেখেনি। যদি তা দেখতো তাহলে বুঝতে কষ্ট হতোনা যে, মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের লোকদেরকে শেখ মজিবুর রহমান সাহেবের সরকার জামাই আদর করে ছেড়ে দেননি। মনে রাখবেন, দূর থেকে শুনা আর চাক্ষুস দেখা এক কথা নয়। যুদ্ধের পর পরাজিতদেরকে সামারী এক্সিকিউশন করা যুদ্ধের নীতি বর্হিভূত কাজ। এক্সিকিউশন করতে হলেও বিচারের আওতায় আনতে হয় শাস্তির পরিমাণ নির্ণয় করার জন্য। লঘু পাপে গুরুদণ্ড দেওয়া যায় না। আমার মনে হয়, বাস্তবিকপক্ষে শেখ মুজিবুর রহমান সরকারের পক্ষে বিচার কাজ পরিচালনা করাই অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। মনে রাখবেন, আমরা একটি স্বাধীন দেশের দুই বিরোধী গ্রুপ পরস্পর যুদ্ধ করে দেশের একটা অংশ স্বাধীন করেছি। কিন্তু যুদ্ধের মাধ্যমে একটি দেশ যদি অন্য একটি দেশ দখল করে, তাহলেও বিজিত শক্তি পরাজিত শক্তিকে যাচ্ছেতাই শাস্তি দিতে পারেনা। অধিকন্তু বিজিত ও পরাজিত সকলের নিরাপত্তার ব্যবস্থার দায়িত্ব পড়ে বিজিত শক্তির উপর। পাকিস্তান একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশ ছিল। এই দেশটিতে দেশের সকল জনসাধারণ কোন একপক্ষকে সাপোর্ট দিবে এমনটা আশা করা ঠিক নয়। আর সাপোর্ট না করলে কি তাকে অপরাধ বলে মনে করা যায়? কিন্তু শাহবাগ থেকে আবেগ এমন ভাবে ছড়ানো হচ্ছে যে, যুদ্ধের সময় যারা যুদ্ধের বিপক্ষে ছিল তাদের যেন এই দেশটিতে থাকারই অধিকারই নেই। আসলে এখন যুদ্ধ, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতা বিরোধী অপরাধ এমন ভাবে জড়িয়ে ফেলা হয়েছে যে, অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, কোন অপরাধ থাকুক না থাকুক যারা যুদ্ধের বিপক্ষে ছিল মৃত্যুদণ্ড তাদের অবধারিত শাস্তি। কিন্তু বলতে পারেন, এই সেদিন সাতান্ন জন চৌকোশ সামরিক অফিসারকে ঠান্ডা মাথায় মেরে ফেলা হলো এবং তাদের বৌ-বাচ্চাদের পাশবিক অত্যাচার করা হলো কিন্তু আজ পর্যন্ত একটা লোকেরও ফাঁসীর হলোনা কেন? এটা কি ‘মানবতা বিরোধী অপরাধের’ মধ্যে পড়ে না?

আমার পূর্ববর্তী লেখার উপর যারা পক্ষে মন্তব্য করেছেন তাদেরকেও ধন্যবাদ। আর যারা বিপক্ষে মন্তব্য করেছেন তাদেরকেও ধন্যবাদ। যারা কোর’আন-সূন্নাহর উদ্ধৃতি দিয়ে এই বিচারের ধর্মীয় দিক তুলে ধরতে চেষ্টা করেছেন, প্রশংসনীয় এই উদ্যোগের জন্য তাদেরকেও ধন্যবাদ। তবে খেয়াল রাখবেন এই প্রচেষ্টা যেন বিভ্রান্তির কারণ হয়ে না যায়। সঠিক পথে জীবন পরিচালনার জন্য কোর’অন-সূন্নাহর সাথে ইনভল্বড্ থাকা একটি প্রশংসনীয় কাজ। হযরত ওমর ইনভল্বড্ হয়ে গিয়েছিলেন বলেই খলিফা ওমর হতে পেরেছিলেন। আমি ছাত্রলীগ করেছি। কোর’আন-সূন্নাহর সাথে ইনভল্বড্ ছিলাম বলেই আজ ইসলামের উপর লেখালেখী করতে পারছি। আসলে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ কখনো ইসলাম বিদ্বেষী ছিলনা। কমিউনিস্টদের হাতে পড়ে দেশের এই দলটি আজ দিশেহারা। আমরা সবাই এর নিষ্ঠুর শিকার। এই মুহুর্তে আল্লাহর মদদই একমাত্র ভরসা। মানুষের চিন্তা শক্তি মানুষের সবচেয়ে বড় সম্পদ। এই চিন্তা শক্তিই মানুষকে পশু থেকে আলাদা করেছে। মিথ্যা থেকে সত্য আলাদা করার সামর্থ্য মানুষের রয়েছে। এটি মানুষের একটি বিশেষ গুণ। আসুন আমরা আল্লাহ্ প্রদত্ত এই চিন্তা শক্তি ও বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করি। চিন্তাশক্তি ও বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া সম্ভব বলেই আল্লাহ্ বলেছেন:

“লা এক্রাহা ফিদ্দীন, কাত্তাবাইয়্যানার রুশদু মিনাল গাইয়্যে —–।” – ধর্মে জবরদস্তির দরকার নেই, সত্য ও মিথ্যা দিবালোকের মতো সুষ্পষ্ট। – আল্ কোর’আন

Loading

About ওয়াহিদুর রহমান

লেখক একজন কষ্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট একাউন্ট্যান্ট। ইসলামের মৌলিক বিধি-বিধানের উপর গবেষনা মূলক চিন্তা ভাবনা করে থাকেন। কম্পারেটিভ ধর্ম চর্চা লেখকের একটি পুরনো অভ্যাস। লেখকের গবেষনা মুলক গ্রন্থ ‘ইসলাম ও আমাদের দৈনন্দিন জীবন’ সমাপ্তির পথে। বইটি টরন্টস্থ বাংলা সাপ্তাহিক ‘দেশের আলো’ পত্রিকায় অনেকদিন থেকে নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে। লেখক টরন্টস্থ ’বৃহত্তর নোয়াখালী এসোসিয়েশন ওন্টারিও’ এর বর্তমান প্রেসিডেন্ট।

মন্তব্য দেখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *