রানা প্লাজার মর্মান্তিক ধস! আমরা শোকাহত

আজ সাভারে রানা প্লাজা নামক নয়তলা বিশিষ্ট একটি গার্মেন্টস কারখানা ভবন ধসে পড়ে। এতে চার শতাধিক লোকের মৃত্যু হয়েছে এবং আহত ২০০০ হাজারের বেশি। ধ্বংসস্তূপে উদ্ধার কাজ অব্যাহত রয়েছে। span>

এই দুর্ঘটনায় সংলাপ ব্লগ-পরিবার অত্যন্ত মর্মাহত। আমরা সকল শোক ও সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সংবেদনা জানাই আর দোয়া করি আল্লাহ যেন চলতি উদ্ধার-কাজ সফল করেন এবং শোকাতদের পরিবারে ধৈর্য দান করেন।

যদিও ঘটনাটি হৃদয় বিদারক কিন্তু এর পিছনের কাণ্ডকারখানা তার চেয়েও বিস্ময়কর। ভবনটি প্লানিং ডিপার্টমেন্টের নিয়ম-নীতির বাইরেই নির্মিত হয়। এর মালিক মালিক সোহেল রানা যুব লীগের একজন নেতা [তবে আজকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন সে যুবলীগের কেউ নয়]। তিনি রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এটি তৈরি করেন। একটি ডোবাকে বালি দিয়ে ভরাট করে দ্রুতই গড়ে তোলেন। প্রশাসন নিজেদের চামড়া বাঁচাতে নীরব থাকেন।

আজকের ঘটনা অনেকের দৃষ্টিতে গণহত্যার নামান্তর। এই মৃত্যুর সাথে আ’লীগের রাজনীতি জড়িত। গত পরশুদিন, মঙ্গলবার, রানা-প্লাজায় ফাটল ধরা পড়ে। গোয়েন্দা সংস্থার লোকসহ, সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সাভার থানা পুলিশ সেদিনই ভবনটি পরিদর্শন করেন। তারপর প্রতিষ্ঠানটি কর্মচারীদের ছুটি ঘোষণা করা হয়। ভবনটির ফাটল সংবাদ জাতীয় বিভিন্ন দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হয়। টিভি চ্যানেলেও প্রতিবেদন আসে। কিন্তু এতদতসত্ত্বেও আজ বুধবার (২৪/০৪/২৪) শ্রমিক-কর্মচারীদেরকে তাদের আতঙ্কের মুখে কাজে ডেকে আনা হয়। তারপর মানুষ-ভর্তী ভবনটি ধসে পড়ে এবং সেখানে কিয়ামত শুরু হয়। মালিকদের চাপে কর্মীদেরকে একটি চরম বিপদজনক বিল্ডিঙ্গে কাজে আসতে বাধ্য করায় অনেকে এটাকে গণহত্যা বলে আখ্যায়িত করেন। অনেকে সরকারকেও দায়ী করেন। আহত অনেকের অভিযোগ যে, বিরোধী দলের হরতাল ঠেকাতে ওই ভবনে নারী শ্রমিকদের জড়ো করেছিলেন যুবলীগ নেতা সোহেল রানা। উদ্দেশ্য ছিল রাজনৈতিক, একথা প্রমাণ করা যে ১৮ দলীয় জোটের হরতাল জনগণ মানেনি।

Loading


Comments

রানা প্লাজার মর্মান্তিক ধস! আমরা শোকাহত — 1 Comment

মন্তব্য দেখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *