তুমি কে, কবে কোন ক্ষণে ঢুকেছ ওগো
ঢুকেছ প্রাণের কোণে
শৈশবে, খেলার বেলায়, অবহেলে আনমনে,
তিন থেকে পাঁচ বয়সের আঁচ, এই হবে বড়জোর
সেই ক্ষণে ওগো চোর
ভাষার বাহনে চড়ে, সহজে গিয়েছ মনে।
সেদিন ছিল না বাধন, ছিল না সমুঝ
পেয়েছিলে মোরে শিশু এক অবুঝ –
সেই সুযোগে ঢুকেছ তাগুত
শিরকের সনে বেঁধে দিতে জোত।
তাই তো আজিকে ভয় ভরা মনে,
সদা পিছু টান, সদা দূরু দূরু হিয়া
বলি কি গো, ‘যো ডর গিয়া ও মোর গিয়া।’
মরিতে মরিতে শুনি
মোর প্রাণের ভিতরে এক অভিনব বাণী
‘ওরে আয়,
আলোয়ে আলোয়ে ফিরে আয়
ঈমানের পথে প্রাণ অমৃত, মৃত্যুঞ্জয়ী তাই
ঈমানের দেশে ভয়-ভীতি বলে কিছু নাই।’
দীপ্ত উল্লাসে বলি তাই
‘চিত্ত উজল হয়েছে মোর
আখিঁদয় মোর দেখে না আজিকে কোনো ক্ষতি কোনো লয়
আমি নির্ভীক নির্ভয়।’
জুন, ২০০৭
যা সত্য বলে জানেন কিন্তু তা সরাসরি বলতে পারছেন না। তাতেই কি বুঝা যাচ্ছেনা আমাদের ঈমান কত দুর্বল হয়ে পড়েছে!
আসলে কাঁটা দিয়ে কাঁটা তুলতে হয়। তলোয়ারের জবাব তলোয়ার দিয়ে দিতে হয়, তাই সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের জবাব যদি সাংস্কৃতিক দিয়ে দেয়া হতো তাহলে আজ আপনাকে হাহাকার করতে হতনা।
এখনও আমরা সেই সেকটরের যাচ্ছিনা! তাই আমাদের অস্থিত্ব বিনাশী হ্যামিলিয়নের বংশিবাদকদেরকে থামাতে পারবনা। ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ
ধন্যবাদ এ কবিতাটা লিখার জন্য।
“ঈমানের পথে প্রাণ অমৃত, মৃত্যুঞ্জয়ী তাই
ঈমানের দেশে ভয়-ভীতি বলে কিছু নাই।”
********
কবিকে করি প্রশ্ন, ঈমানের দেশটা কোথায়?
জানতে মন চায়।
যদি বলেন ছিল হয়তো কোথায় কোন কালে
তবে এখন এ পৃথিবীতে সে ঈমানে আপ্লুত
কোন চিত্ত আছে কি না সে প্রশ্ন এসেই যায়।
কিভাবে হবে সে চিত্ত আবার চির দীপ্ত
তা না জানায়ই হয়তো বা কিছূ লোককে দেখা যায়, হয়ে আছে ক্ষিপ্ত!
আজকের বিশ্বে সবচেয়ে বড় প্রয়োজন সঠিক দিকনির্দেশনার ও সঠিক নেতৃত্বের।
ঈমানের পথ, ঈমানের দেশ সংজ্ঞায় মিলিবে কি তারে?
কত যে “বাগান” শুধু নামেই থাকে, ফুল নাহি তাতে ধরে,
হয়ত বা সেথায় ফুল ছিল কোনো কালে,
আজ মার্কেট হয়ে কোলাহলে, টাকার হুঙ্কার ঝরে।
ভেজাল মিশানো সরিষার তেল বাজার জুড়িয়া আছে
তাই বলে কি গো খাটি সরিয়ার অস্তিত্ব হারিয়ে গেছে?
আশার দেশে নিরাশা বিরল, প্রদীপ যখন জ্বলে
শুধু নির্বাপিত হলে সে, তবেই আসিবে কালো
জুড়ে নিতে তার পালা,
কালো ও আলোতে এমনি দ্বন্দ্ব নাহি তার নিঃশেষ
চলিছে সেই খেলা ঈমান না-ঈমানে, হৃদয়ই হল সেই দেশ।
আরে ভাই আপনি কবিতাও লেখেন? আমি তো জানতাম না :-):-) খুব সুন্দর হয়েছে
ধন্যবাদ। ভাই, আগে মাঝে মধ্যে লিখতাম -এই যা।