ভুট্টোকে বঙ্গবন্ধুর লাল গালিচা সংবর্ধনা, জড়িয়ে ধরা ও তোফায়েল আহমেদ জাতীয় সৃতিসৌধে নিয়ে যান নাই? দেখুন ভিডিও সহ [ভিডিও]

ණ☛ “বুধবার সন্ধ্যায় দৈনিক মানবজমিন সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীর উপস্থাপনায় বেসরকারী টেলিভিশন বাংলা ভিশন ফ্রন্ট লাইন টকশো অনুষ্ঠানে অংশ করে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান ও মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহীম বীর প্রতীক বলেছেন,”

“১৯৭১ সালে বাংলাদেশে গণহত্যাকারী জুলফিকার আলী ভুট্টোকে বঙ্গবন্ধুর গালিচা সংবর্ধনা ও জড়িয়ে ধরা এবং তোফায়েল আহমেদ জাতীয় সৃতিসৌধে নিয়ে যান নাই?”

ණ☛ তিনি বলেন, “আমি শুরু করতে চাই ছোট্ট একটা হাদিস দিয়ে। ইন্নামা আমালুন বিন নিয়ত। আপনার নিয়তের উপর আপনার কর্মের ফলাফল নির্ভর করে। এখন এই রাজনীতির যারা নিয়ন্ত্রণকারী কৃতপক্ষ যারা নিয়ন্ত্রণ করছেন। আমি অবশ্যই ২০ দলীয় জোটের একজন। এখন যে অবস্থা চলছে আমাদের আগামী প্রজন্ম আমাদের ক্ষমা না ও করতে পারে। প্রথম সমস্যা এটি রাজনৈতিক না আইনশৃঙ্খলা জনিত সমস্যা। এবং দ্বিতীয় সমস্যা যদি মেনে নেই এটি রাজনৈতিক সমস্যা তখন বলা হবে যে এটি কোন জাগা থেকে শুরু হইলো। অনেকেই বলে এটা নাকি ৫ই জানুয়ারীর নির্বাচন দিয়ে সংকট শুরু। আমি বলি এ সংকট আরো আগে থেকে শুরু ২০১৩ সাল থেকে যখন সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করা হয়।”

ණ☛ তিনি আরো বলেন, “বর্তমান সংকটের দুটি রাস্তা আছে। এক হল মারপিট এবং দুই হল আলোচনা। আমরা সব সময়ই আলোচনায় বিশ্বাসী। একাত্মরে দেশের ফ্রন্ট লাইনে ছিলাম কিন্তু এখন রাজনীতিতে কোন ফ্রন্ট লাইনে আছি জানি না। ১৯৭১ সালে সারা বাংলাদেশে যে গণহত্যাটি হয়েছে। বন্দুকের গুলি ব্যাবহরিত কিন্তু পাকিস্থান সেনাবাহিনীর এবং পাকিস্থানের অন্যান্য বাহিনীর। কিন্তু বন্দুকের গুলি বের হওয়ার আগে পরিকল্পনা, নীতি, নির্ধারণের মধ্যে যে কয়জন ছিল। দুই, তিন বা চার জন। তার মধ্যে অন্যতম ছিল জুলফিকার আলী ভুট্টো। পাকিস্থান পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান তখন। এবং ৭১,৭২, ৭৩ এ প্রেসিডেন্ট। সেই জুলফিকার আলী ভুট্টো যখন ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে আসেন তখন বঙ্গবন্ধু কি তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেন নাই? বুকে জড়িয়ে ধরেন নাই? রাষ্ট্রীয় অথিতি ভবনে আলাপ করেন নাই? এবং তাকে নিয়ে মাননীয় তোফায়েল আহমেদ কনডাকটিং মিনিস্টার হিসেবে জাতীয় সৃতিসৌধে যান নাই? বাংলাদেশে দাঁড়িয়ে সশস্র সালাম নেন নাই? তাহলে ওইটা আরেকটা পরিস্থিতি। আপনি আপনার পূর্বের এতো বড় শত্রুকে ও রিসিব করতেছেন রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে, জনগণের প্রয়োজনে। কিন্তু এখন আমরা সংলাপে বসতে পারছি না দেশের প্রয়োজনে।”

ණ☛ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, “আজ কথায় কথায় বিএনপিরে ক্যান্টনমেন্টের দল বলেন,সেই দলের প্রতিষ্ঠাতার সন্তানরে সামরিক কবরস্থানে দাফনের অনুমতি দিলেন না কেন? আরাফাত রহমান রাজনিতি করতো না,কিন্তু তার জানাজায় যে লক্ষ লক্ষ মানুষ হয়েছে,তা প্রমান করে বিএনপি কত জনপ্রিয়। যারাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে আছেন। আমি যেহেতু সরকারের চাকরী করেছি পার্বত্য চট্টগ্রামে পুলিশ, বিডিআর, আনসার আমার অধীনস্থ ছিল। আমার অধীনস্থ সকল সৈনিক কে একই দৃষ্টিতে দেখার অভ্যাসটা গড়ে উঠেছে। এমনকি ৮ই মে ১৯৮৮ সালে বঙ্গ ভবনে একটা মিটিং এ আমি এরকম বলেছিলাম স্যার পুলিশের রেশন এবং আর্মির রেশনের মধ্যে তফাৎ আছে। পুলিশের জুতায় ও আর্মির জুতায় তফাৎ আছে। কিন্তু শান্তি বাহিনীতে পুলিশ এবং সেনাবাহিনী যে রক্ত দেয় ওই রক্তের মধ্যে কোন তফাৎ নেই। আজকে আপনি পুলিশকে যা ইচ্ছা তাই করতে বলছেন! কিন্তু ভুলে যাবেন না,ক্ষমতা পরিবর্তন হলে এই পুলিশ থাকবে,হুকুম থাকবে কেবল হুকুমদাতা আপনি থাকবেন না।।”

সৌজন্যে : নিউজ অর্গান

Loading


মন্তব্য দেখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *