“বুদ্ধিজীবিরা যখন চুপ থাকে, দেশ অন্ধকার হয়ে যায়।“

দেশে যদি এতোই উন্নতি, তাহলে লক্ষ লক্ষ মানুষ কেন ১০ হাজার টাকা বেতনের আশায় প্রবাসী মন্ত্রণালয়ে লাইন লাগায়? কেন তারা শেষ সম্বল বিক্রি করে ভূয়া কোম্পানিগুলোর কাছে সর্বশান্ত হয়? কেন তারা এভাবে বঙ্গোপসাগরে ডুবে মরে? কেন তাদের লাশ থাইল্যান্ড আর মিশরের গণকবরে? কেন তারা মালয়েশিয়া আর সিঙ্গাপুরের জেলে? কেন তারা ইউরোপের রিফিউজিদের ভিড়ে? কেন ১ কোটির বেশি শ্রমিক প্রবাসে? কেন বিদেশি রেমিটেন্সের উপর রাষ্ট্রের এই পরিমাণ নির্ভরতা? যাদের এই প্রশ্নগুলো তোলার কথা, কামাল হোসেনদের মতো বুদ্ধিজীবিরাই যখন নির্বুদ্ধিজীবির আচরণে লিপ্ত, তখন নেপোলিয়ানের কথাই সত্য। নেপোলিয়ান বলেছেন, “বুদ্ধিজীবিরা যখন চুপ থাকে, দেশ অন্ধকার হয়ে যায়।“


হুজুর ভাসানী বেঁচে থাকলে বলতেন, জামায়েত-শিবির তোমরা ঘোমটা খুলিয়া পুরুষ হও। কৃষক-শ্রমিক তোমরা চুড়ি খুলিয়া মানুষ হও। আমজনতা তোমরা পুতুল ফেলিয়া সাবালক হও। সময়ের ডাক কি শোনো নাই? পিতার পদাঙ্ক অনুসরনকারী আর কোন অত্যাচারি আইয়ুব খানের জায়গা নেই। আর নয় শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের মানুষ তোমরা এবার সিঁদুর মুছিয়া বিধবা হও।

৪৮ ঘণ্টা কয় বছরে হয়, অংক শাস্ত্রের সঠিক সংখ্যাটি জানাতে পারলে ১ হাজার ডলার পুরষ্কার। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের সনাক্ত করার দাবিদার সাহারা খাতুনের বার্ধক্যের কারণে, ৪ বছরে ঘুমের মাত্রা আরো বেড়েছে। ৪ বছরে হাসিনার ক্ষমতার দৌড় ২০৪১ সনে পৌঁছেছে। ৪ বছরে বিচারপতি নিজামুল হক স্কাইপ কেলেংকারি অতিক্রম করে আপীল বিভাগে নিয়োগ পেয়েছে। শিশু মেঘ প্রায় কিশোর এই ৪ বছরে কিন্তু ৪৮ ঘণ্টা এখন পর্যন্ত শেষ হলো না? কোনদিন হবেও না। কারণ ওই ল্যাপটপেই আওয়ামী লীগের বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খনিজসম্পদ দুর্নীতির প্রমাণ ছিলো। বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ডের রিপোর্ট করতেন রুনি।
অদ্ভুত সাহারা খাতুন যুগ শেষে উদয় হলেন পাগলা আলমগীর। জামায়েত-বিএনপি পিলার ধরে নড়াচড়া করায় নাকি রানাপ্লাজা ধ্বসে পড়েছে। সাগর-রুনির খুনিকে ধরতে হলে কবর থেকে লাশ তুলে আবারো কাটাকুটি করতে হবে। এগুলো পাগলা মখার কথা। বিডিআর মেরে আর্মিকে পুতুল বানিয়েছি। বিশ্বজিতের খুনিরা হয়তো মুক্ত হয়ে আবারো খুনখারাবিতে লিপ্ত হয়েছে। ফেলানির খুনিদেরকে উল্টা পুরষকৃত করছি…। ৪৮ ঘণ্টার দেখা নেই। অথচ মুজিবের শোকের জন্য ১ মাস বরাদ্দ, তার খুনিদের ধরার জন্য মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ, তার পরিবারের ভরণপোষণ এবং নিরাপত্তার জন্য দায়মুক্তি আইন এবং মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ কিন্তু সাগর-রুনি, বিশ্বজিৎ, ফেলানি, ত্বকির, ইলিয়াস আলী, চৌধুরি আলম… কারোই ৪৮ ঘণ্টা শেষ হলো না?
বয়স হলে চেহারা পাল্টায়, ক্যালেন্ডারের সন পাল্টায়, শিশুরাও একদিন নানি-দাদি হয় কিন্তু সাহারা খাতুনের ৪৮ ঘণ্টা আর কখনোই বড় হলো না। সাহারা খাতুন আর এই দুনিয়াতে না থাকলেও, তার ৪৮ ঘণ্টা- ৪৮ ঘণ্টাই থেকে যাবে। কেয়ামত হলেও মেঘের বাবা-মা ৪৮ ঘণ্টার দায়মুক্তি থেকে কখনোই মুক্ত হবে না।

আজ ভ্যালেন্টাইন্স-ডে কিন্তু এই দিনটি নিয়ে বাংলাদেশিদের মধ্যে জঘন্য আচরণ, গ্রহণযোগ্য নয়। আমি ৩৫ বছর ধরে ভ্যালেন্টাইন্স-ডে দেখে আসছি। এই দিনটিতে ভালোবাসার মানুষগুলো একে অপরকে ফুল, চকলেট, বই… উপহার দেয়। একসঙ্গে রেস্টুরেন্টে কিংবা পার্কে যায়। দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে শতশত যুবক-যুবতী বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। ফুল-চকলেট উপহার দিলে, অপরাধ হবে কেন?
৩৫ বছর ধরে আমার দেখা ভ্যালেন্টাইন্স-ডে কখনোই অশ্লীলতা নয় বরং ভালোবাসা। আমার যদি কাউকে ভালো লাগে, যদি সেটা অন্যের চোখে গ্রহণযোগ্য নাও হয় কিন্তু ভালোবাসা তো ভালোবাসাই। সেটা প্রকাশের জন্য যদি বিশেষ দিন থাকে এবং সেই দিনটিতে যদি আমি কাউকে স্মরণ করে আনন্দ পাই, এখানে অশ্লীলতার কি আছে? যুগ যুগ ধরেই নারী-পুরুষেরা একে অপরকে ভালোবেসেছে বলেই নিষ্ঠুর পৃথিবীকে এখন পর্যন্ত ভালোবাসার ভারসাম্য দিয়ে ধরে রেখেছে, পরষ্পরের প্রেম। ২ জন মানুষ থেকে আজ সাড়ে ৭ বিলিয়ন। সুতরাং এই দিনটিকে বিতর্কিত না করে, সে যেই হোক না কেন, ফুল দিয়ে আপনার ভালোবাসা জানিয়ে দিতে লজ্জার কিছু নেই। ভালোবাসার কোন সীমানা নেই, বিছানা নেই, কোন দরজা নেই।
ভ্যালেন্টাইন্স-ডে নিয়ে মুক্তমনাদের কুৎসিত প্রচারে সত্যিই লজ্জা পেয়েছি। চুমু খাওয়ার ছবি প্রকাশ করতে হবে কেন? চুমু খাওয়া ছবি প্রকাশ করলে, পৃথিবীর কি উপকার হবে? এই চিন্তা শুধু উম্মাদদের। এরা গরু-গাধা কোনটাই নয় বরং প্রচার লোভী, যৌনবিলাসীদের ক্লাব। মুক্তচিন্তা আর যৌনকামনাকে গুলিয়ে ফেলেছে। মুক্তচিন্তার বদলে এদের নাম হওয়া উচিত যৌনচিন্তাবিদ। সারাক্ষণ এরা যৌনকামনা নিয়ে ড্রাগের মতো বিভোর থাকে। এদের প্রধান গুরু তসলিমা নাসরিন, যার একমাত্র পুঁজি যৌনতা। যা দৌলতদিয়ায় শোভে, সেটাকে মুক্তবাজারে ছেড়ে দেওয়ার মতো উম্মাদ, একমাত্র তসলিমা এবং তার শিষ্যরাই। এরাই নানান পুরুষের শয্যায় যায়, আবার তাদের বিরুদ্ধেই লেখে। পৃথিবীটাকে পচানোর জন্য এইসকল যৌবনবিলাসীরাই যথেষ্ট। তরমুজ বাসি হলে পচে কিন্তু বুড়া তসলিমাদের যৌনকামনা-বাসনা কখনোই বুড়া হয় না। ফেইসবুকের সকল বন্ধুকে আমার ভ্যালেন্টাইন্স-ডে ভালোবাসা।

প্রার্থীরাই ভোটার নির্বাচন করতে থাকবে, নাকি প্রার্থীরাই ভোট দিয়ে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করবে, প্রশ্ন সুরঞ্জিতকে। ২০৪১ পর্যন্ত নিজেরাই নিজেদেরকে নির্বাচিত করতে থাকলে জনগণ ভোট দিবে কোন সনে, প্রশ্ন সুরঞ্জিতকে। বুলেট অতিক্রম করে ব্যালটের অধিকার আদায় করেছে কৃষ্ণাঙ্গরা। একবিংশ শতাব্দিতে পৌঁছে বাংলাদেশিরা এখন আওয়ামী লীগের হাতে ব্যালটের বাক্স বর্গা দিয়ে নিজেরা মরছে জমিদার আমলের বুলেটবিদ্ধ প্রজাদের মতো।

হিটলারের সঙ্গে মোদির কি অদ্ভূত মিল! দুইজনই নিরামিষ ভোজী। দুইজনই সমাজতান্ত্রিক জাতিয়তাবাদি রাজনীতিবিদ। দুইজনই মদ খান না। দুইজনই নারী সঙ্গ থেকে বিরত। হিটলারের মেয়ে বন্ধু থাকলেও, তাদেরকে ব্যবহার করতো অন্যভাবে। মেয়েবন্ধুকে সামনে দাঁড় করিয়ে রেখে বিকৃত রুচির মাধ্যমে যৌনলিপ্সা চরিতার্থ করতো হিটলার। মোদির বিষয়টিও অদ্ভূত। ১৮ বছরে বিবাহের মাত্র ১ বছর পর, সন্ন্যাস গ্রহণ করে ‘আরএসএস’-এর দলে যোগ। আরএসএস দলটি কট্টোর হিন্দুত্ববাদি দল, যারা লাহোর প্রস্তাবের আগে থেকেই অবিভক্ত ভারতের পক্ষে দেশব্যাপী তুমুল সংগ্রাম গড়ে তুলেছিলো। পরবর্তীতে এরাই গান্ধিকে হত্যা করলো ভারত ভাগের দোষে।
হিটলার আসলেই হিন্দু বংশীয় ছিলো কিনা, গবেষণা করা যেতে পারে। ঘটনার হিমালয় যখন একটা উপর আরেকটা চাপা পড়তে থাকে, তখন অনেক সত্যই অজানা থেকে যায়। হিটলারের বংশ তত্ত্ব ইতিহাসবিদদের আমলে নেয়া উচিত। নাৎসী দলের যে চিহ্নটি পশ্চিমে নিষিদ্ধ, সেটি হিন্দু ধর্মীয়দের ‘সোয়াস্তিকা’। যে কোন পুঁজামন্ডপে গেলেই চারমাথা চিহ্নটি চোখে পড়বে, যা অনেকটাই যোগ অথবা পূরণ চিহ্েনর মতো।
সভ্যতার শুরুতে দলবদ্ধ মানুষেরা বসতি সন্ধানে বিভিন্ন দেশে চলাফেরা করতো। প্রায় ৫ হাজার বছর আগে ইঙ্গো-ভারত সভ্যতার শুরুতে ইউরোপিয়াদের প্রথম আগমন ভারতে। হিটলার ছিলেন আর্য বংশীয় যা আদি ভারতের সভ্যতার শুরুর দিকের ইতিহাস। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে নেতাজীর আন্দোলনের প্রধান উৎস ছিলেন হিটলার। দুইজনের মোলাকাতের বহু ছবি ইন্টারনেটে। সাবমেরিনে নেতাজীর জাপান যাত্রা, সেটাও হিটলারের সহায়তায়। জাপান এবং জার্মানি তাকে অস্ত্র এবং জনবল দিয়ে আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠনে সহায়তা করেছিলো। প্রায় ১৪ হাজার সৈন্যের এই দলটি রেঙ্গুন পর্যন্ত পৌঁছে আটকে যাওয়ার নেপথ্যে নেহেরু হিংসা।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে দলে দলে জার্মান বিজ্ঞানী, দার্শনিক এবং শিক্ষকেরা ভারতে যাতায়াত করতো তথ্য সন্ধানে, যার বহু তথ্য ইন্টারনেটে। এটোম বোমা আবিষ্কারের ইনচার্জ, ৩ হাজার বিজ্ঞানীর দায়িত্বপ্রাপ্ত মেক্সিকোর লসআলামোর অধিনায়ক, বিজ্ঞানী অপেনহাইমারের মুখস্ত ছিলো ভগবত গীতা এবং এখান থেকেই তিনি এটোম বোমা তৈরির কারণ খুঁজে পেয়েছিলেন। উৎসাহী ব্যক্তিরা তার নিজ মুখে ভগবত গীতা এবং এটোম বোম নিয়ে কিছু বক্তব্য শুনতে পারেন ইন্টারনেটে। হিন্দু ধর্মের প্রতি অপেনহাইমারের মতো ব্রিলিয়ান্ট বিজ্ঞানী এবং হিটলারের মতো জাতিয়তাবাদি অনুসারীদের উৎসাহের বিষয়টি গবেষণার দাবি রাখে। কলামটির উদ্দেশ্য অবশ্য, হিটলার আর মোদির মধ্যে সামঞ্জস্য তুলে ধরা ছাড়া অন্য কিছু নয়।

প্রধান বিচারপতি বনাম কালো মানিকের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ যদি সত্য হয়, তাহলে বিচারবিভাগ যে, বিশেষ ব্যক্তির উদ্দেশ্য পূরণে, হেভিওয়েটগুলোকে জুডিশিয়াল কিলিং করে শেষ করতে, সেটাই প্রমাণ হলো। বারবার যে কথাটি বলেছি, সব ফিরে পাওয়া যায় একমাত্র জীবন ছাড়া। তাই কাদের মোল্লাদের ফাঁসির পর এই যে পরিকল্পিত খুন-খারাবির সংবাদগুলো বেরিয়ে আসছে, কাদের মোল্লাদেরকে ফেরত দেবে কে? এই কথা কি এখনো পরিষ্কার নয়, বাংলাদেশি হিটলারের হুকুম অনুযায়ী কাজ করছে বিচারপতিরা? বিচারবিভাগ নিজেই যদি খুন-খারাবিতে লিপ্ত হয়, বোয়ালের ডিম যখন বোয়ালেই গালে, সাধারণ মানুষ কার কাছে যাবে? আমাদের ভয়, বিশেষ ব্যক্তির অপছন্দের যে কোন মামলাই কাদের মোল্লাদের মতো প্রতিশোধের খপ্পড়ে পড়বে।

আগেও লিখেছি, আবারো লিখেছি, বারবার লিখবো, যতোদিন মানুষ না বলবে আমি বলেই যাবো… পদ্মাসেতু না হওয়ার জন্য ১০০ ভাগ দায়ী হাসিনা। জ্বেদ নিজের ভিতরে রেখে, পদ্মাসেতু হতে দিলে কি ক্ষতি হতো? বরং বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে নমনীয় আচরণ করলে এতোদিনে পদ্মাসেতুর উপর দিয়ে গাড়ি চলতো। ইতোমধ্যেই প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়ে গেছে। চড়া সুদে ঋণ, ঋণের আকার ক্রমশই বাড়ছে, পদ্মাসেতু তৈরির সময়সীমাও বাড়ছে, সেতুর ভবিষ্যত নিয়ে আশংকা, যেনতেন সেতু যে কোন সময় ধ্বসে যেতে পারে ইত্যাদি। বিশ্বব্যাংকের তত্ত্বাবধানে হলে এসব কিছুই হতো না।
কথায় বলে জ্বেদের ভাত কুত্তাকে দিয়ে খাওয়ায়। বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ঝগড়া বাধিয়ে সেই কাজটিই করলে হাসিনা এবং এই জন্য তার বিচার হওয়া উচিত। বিশ্বব্যাংককে তাড়িয়ে দিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা যেনতেন খর্চ করছে, কারো কাছেই তার জবাবদিহিতা নেই। যেন সে বনের রাজা সিংহ এবং বাঘ দুটোই একসঙ্গে। তার হুংকারে পুরুষগুলো চুড়ি পড়ে, মেয়েরা ঘর বন্ধ করে সারাক্ষণ তার নাম জপ করতে থাকে। পদ্মাসেতু না হওয়ার জন্য শেখ হাসিনার বিচার না করে উল্টা মাহমুদুর রহমান মান্নাদেরকে কারাগারে পচানোর আসল কারিগর, হাসিনার বুদ্ধিদাতা প্রণব মুখার্জী।

Loading

Comments are closed.