বাংলাদেশ যেন একটা জমিদার বাড়ি

মনে হচ্ছে বাংলাদেশ যেন একটা জমিদার বাড়ি। অন্দরমহলের জমিদাররা মৃত্যুঞ্জয়ী। ৫৬ হাজার বর্গমাইল জমি বর্গা দিয়েছে কৃষকদের কাছে। কৃষকেরা ফসল ফলিয়ে টাকা জমা দিচ্ছে জমিদারদের তহবিলে। আর না দিতে পারলেই জমিদার আমলের মতো চা স্টলের ওই দোকানীর শরীরে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটছে। আগুন আর বন্দুক দিয়ে যেন ব্রিটিশ আমলের কৃষক মারছে আওয়ামী লীগ। পুলিশকে চাঁদা না দিলে দোকানদারের গায়ে আগুন, রিকসাওয়ালার গলায় বন্দুকের নল ইত্যাদি। গণভবন থেকে বঙ্গভবন সর্বত্রই জমিদার আর জমিদারণী।

কথায় আছে, গর্ভবতী কন্যা তার মাকে বলছে, আমি ঘুমাতে গেলাম, প্রসব ব্যথা উঠলে ডাক দিও। উত্তরে মা হেসে বললেন, প্রসব ব্যথা উঠলে তোমাকে ডাক দিতে হবে না, উল্টা তুমিই চিৎকার করে পাড়ার মানুষকে জাগিয়ে তুলবে। ভারতের বিষয়টি এখন সেইরকমই। তারা এখন এমন সকল দাবি নিয়ে হাজির হচ্ছে, আওয়ামী লীগের লোকেরাই ভয়ে মরছে, লুটপাট করা অর্থ আর পরিবার পরিজনকে বিদেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে।

ভারত এখন লজ্জা-শরম ত্যাগ করে প্রায় প্রতিদিনই নতুন নতুন দাবি নিয়ে হাজির হচ্ছে। গতকালকের খবরে দেখলাম, এবার গ্যাস ট্রানজিট চাই, পেট্রোগ্যাস রপ্তানি করতে চাই। টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবর, কৌশলী হাসিনা চীনকে গভীর বন্দর না দিয়ে ভারতের উপকার করেছে। অর্থাৎ ভারতই এবার গভীর সমুদ্র বন্দরের ইজারা পাবে। পরশুদিনের খবর, চট্টগ্রাম বন্দরেও ট্রানজিট পাচ্ছে ভারতীয় জাহাজ। তার দুইদিন আগের খবর, বাংলাদেশের অর্থায়নে হোটেল রেডিসনে প্রায় ২০০ বিদেশিকে উন্নতির জন্য আনার পর লাভ, আবারো ভারতের আদানী আর রিয়ালেন্স গ্রুপ ৩ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে চায়, পরবর্তীতে আরো করবে। ইতোমধ্যেই সকল সীমান্ত খুলে দিয়েছে। সড়ক ট্রানজিটসহ বাজার দখল এবং সংস্কৃতি দখলের সকল চাহিদাই আদায় করেছে ভারত। ভাটিতে যতোগুলো বাঁধ দেয়ার, দিতে পেরেছে হাসিনার সৌজন্যে। তিস্তা আর পদ্মার মরণদশাও তাই। আবার যখন কিছু চাইবে, সামান্য পানি ছেড়ে দিয়ে সেটাও আদায় করবে। চীন, জাপান, রাশিয়াকে সঙ্গে রেখে একটার পর একটা চুক্তি করে দেশটাকে ভারতের হাতে তুলে দিচ্ছে। এখন অবাধে ভারতের ট্রাক যাতায়াত করছে বাংলাদেশে, যেন বিছানায় এখন আর স্বামী নাকি প্রেমিক, আলাদা করা যাচ্ছে না। ভারতীয় পত্রিকাগুলোতে হাসিনার জয়জয়কার। প্রতিদিনই বিয়েবাড়ির খাবার পাচ্ছে তারা, প্রশংসা না করে করবেটা কী? এদিকে জনগণের সঙ্গে ন্যূনতম সম্পর্কহীন, শুরুতেই সেনাবাহিনীর ৫৫ জন ব্রিলিয়্যান্ট সেনা অফিসারকে হত্যা শেষে, ধারবাহিকভাবে অন্য দেশের সেনাবাহিনীকে এই দেশে ঢুকিয়ে দিচ্ছে। বিরোধিদলের মধ্যে যে গুম-খুন, হঠাৎ জঙ্গি আবিষ্কার, সন্ত্রাসের আস্তানা… খুঁজে পাওয়া, জঙ্গিবাদের নামে আওয়ামী লীগের খেলা, পার্শ্ববর্তী দেশের এজেন্ডা বাস্তবায়নই প্রধান। যাদের সঙ্গে ৩৭ বছর রাজনীতি করলো হাসিনা, ১/১১এর পরেই নিজেরা হয়ে গেলো সুন্নি, বাকিদেরকে বানিয়ে দিলো শিয়া। ইরাক-ইরান যুদ্ধ, আইসলের যুদ্ধ, আল-শাবাব, তালেবানদের যুদ্ধ, আরব বসন্তের যুদ্ধ, ইরাক-সৌদির ঠাণ্ডা যুদ্ধ… কোনটার মূলেই হিন্দু-মুসলিম কিংবা জায়ন মুসলিমদের মতো দুই ধর্মের মানুষদের যুদ্ধ নয়। বরং এরা সবাই শিয়া-সুন্নি নামের মুসলমান। শিয়া-সুন্নিদের যুদ্ধের সুযোগে ১২০ ডলারের তেল এখন ২৫ ডলার। এতে লাভ হচ্ছে কার? উদাহরণস্বরূপ, ইরাকে প্রতিদিনের খর্চ ৪ বিলিয়ন ডলার, লাভ হচ্ছে পশ্চিমাদের। এখন প্রতিদিনের আয় ৩ বিলিয়ন ডলার, যা তেল বিক্রি থেকেই আসে। অর্থাৎ ইরাক জুড়ে হাহাকার, বেতন দিতে পারছে না। বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরাক নামের রাষ্ট্রটির অস্তিত্বই মুছে যেতে পারে।
আওয়ামী লীগ যখন নিজেদেরকে সুন্নি আর বাকিদেরকে শিয়া বানিয়েছে, তখন লাভ হচ্ছে ভারতের। এখন আর প্রসব যন্ত্রণার জন্য কন্যাকে ঘুম থেকে ওঠানোর প্রয়োজন নেই। উল্টা কন্যাই চিৎকার করে জানান দিচ্ছে। চারিদিকেই ভারতীয় ব্যবসায়ীদের এটা চাই, ওটা চাই। পারলে বাংলাদেশটাই চাই। মধ্যপ্রাচ্যে যেমন ক্যাশিয়ার বসিয়ে লুটপাট করছে পশ্চিমারা, ভারতীয়রা আমাদের মতো বোকা নয়। শুরুতেই ক্যাশিয়ার বসিয়ে যা করার করছে এবং সকলেই দেখছে। প্রশাসন থেকে শাড়ির দোকান, মানুষগুলোর চেহারা দেখলেই টের পাওয়া যায়, এরা কারা!

আইয়ুব খানকে তাড়িয়ে কার কি লাভ হয়েছে জানি না, তবে আওয়ামী লীগ আর ভারতের যে হয়েছে, কোনই সন্দেহ নেই। এখন মুক্তিযোদ্ধারাই বলছে, দেশ স্বাধীন করে ভুল করেছি। বঙ্গবীর তো টুঙ্গিপাড়া গিয়ে কেঁদে কেঁদে অস্থির। মুক্তিযোদ্ধারা এখন পরিতাপ করে বুঝিয়ে দিচ্ছেন, জামায়েত কেন পাকিস্তানকে দুই খণ্ড করে ভারতের হাতে তুলে দেয়ার বিরুদ্ধে ছিলো।
৪৪ বছর পর যতোই গোমড় ফাঁস হচ্ছে, ততোই ট্রাইবুন্যালে ফাঁসির সংখ্যা বাড়ছে। মিশরের সিসির মতোই ৭১এর সঙ্গে দ্বিমত পোষণকারীদের কাউকেই বাঁচিয়ে রাখবে না ক্যাশিয়ার। মুক্তিযুদ্ধ আমি দেখেছি। এখন বুঝি, ওটা কেন ৪৮ আর ৬৫এর মতোই পাক-ভারত যুদ্ধ। কোনবারই তারা পাকিস্তান ভেঙ্গে সম্বৃদ্ধশালী পূর্ব বাংলাকে আলাদা করতে সফল হয়নি। মুক্তিযুদ্ধের নামে ৭১এ সেটা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ নাম না দিলে ইন্দো-পাক যুদ্ধ বলতে হতো। সুতরাং সরাসরি না গিয়ে ৭১এ অন্য নামে দুই টুকরা করে, নিজেদের চাওয়া-পাওয়া আদায় করেছে। ফলে দেশটাকে এখন আর ভারত থেকে আলাদা না করতে পারাটাই স্বাভাবিক।

তখন পদ্মাসেতু না করে চীনাদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্যই এই ষড়যন্ত্র। হাসিনার জন্য না হলে, পদ্মাসেতুর উপর দিয়ে এখন গাড়ি চলতো। ইচ্ছা করে সে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ঝগড়া লাগিয়ে রেখে, ঋণ বাতিলে বাধ্য করলো। এখন জেদের সেতু করছে চীন। আওয়ামী লীগ এর নাম দিয়েছে, শেখ হাসিনাই সব পারে।
আসল কথা হলে, পদ্মাসেতু চীনের হাতে তুলে দেওয়টা ভয়ংকর এক ষড়যন্ত্র। চীনের জাতিসংঘের ভেটো পাওয়ার। সরকার পতনের বিরুদ্ধে জাতিসংঘে ভেটো দেবে চীন। পরিকল্পিতভাবে বিশ্বব্যাংককে তাড়িয়ে দিয়ে চীনের হাতে পদ্মাসেতু তুলে দেয়ার রহস্য এটাই।
বিশ্বব্যাংকের ২ বিলিয়ন ডলারের বাজেট এখন বাড়তে বাড়তে ৫ বিলিয়ন ছাড়িয়েছে। কয়দিন পরপরই দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে চীনারা। সেতু কোন সনে শেষ হবে সেটা যেমন অনিশ্চিত, তেমনি খর্চও অনিশ্চত। ততোদিনে দেখা যাবে খাজনার চেয়ে বাজনা বেশি। সেতু হয়তো হবে কিন্তু লাভ হবে চীনা ব্যবসায়ীদের। গরিব মানুষদের বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার এভাবেই নিয়ে যাচ্ছে বিদেশিরা। দেশ এখন মহাষড়যন্ত্রীদের হাতে। ইংরেজদের মতোই এবার হাসিনাকে সামনে রেখে লুটপাট করছে রায়বাহাদুর আর খানবাহাদুর শ্রেণি। হাসিনার জেদের কারণে না হলে, ১% সুদে মাত্র ২ বিলিয়ন ডলারে ২০১৫ সনেই পদ্মাসেতু খুলে যেতো। ওটা হতে না দিয়ে বরং জেদের পদ্মাসেতুর জন্য বারবার যেভাবে বাজেট বাড়াচ্ছে, এতো টাকা যাচ্ছে কার পকেটে, ভাববেন না?
এইসব প্রশ্ন করার মতো বুদ্ধি ২০ দলের নেই বলেই দেশের অবস্থা নড়বড়ে। বিরোধিদল হওয়ার যোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছে ২০ দল। অন্যথায় ১টা পদ্মাসেতুই সরকার নড়িয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। ২০ দলের রিজভী আহমদকে প্রশ্ন, অভিযোগ করে, কি জানতে চাইছেন? কার কাছে অভিযোগ করছেন? এতে কি লাভ হচ্ছে? আপনাদের উচিত, অভিযোগ বাদ দিয়ে রাস্তায় নামা। যা হবার হবে কিন্তু প্রাণের ভয়ে অভিযোগসর্বস্ব বিরোধিদল হওয়া গ্রহণযোগ্য নয়।

সমালোচনা করবো না? তারা করবে আর আমরা চুপ করে বসে আঙুল চুষবো? বাঙালি মুসলমানরা যে এতো বেশি ব্যক্তি পুঁজা করতে পারে, প্রথম দেখলাম। ওরা মূর্তিপুঁজক সংখ্যালঘুদেরকেও হার মানিয়েছে।
অবশেষ আর্মি জিপ আর আর্মি পোশাকে আসক্ত হাসিনার উপদেশ, আমাকে এয়ার এম্বুলেন্সে বিদেশে নেবেন না। আমার চিকিৎসা দেশেই হবে। কিন্তু একথা বলেননি, প্রতি সেপ্টেম্বরে যখন জাতিসংঘে যান, তখনও কি বিদেশি ডাক্তার বাদ? অবশ্য প্রেসিডেন্টকে বাদ দিয়েই কথাটি বললেন। তাহলে প্রেসিডেন্টকে ঠেকাবে কে? তিনি তো রাজকীয় বহর নিয়ে বছরে অন্তত ৪ বার করের টাকা ধ্বংস করে ব্রিটিশ আর সিংগাপুরের ডাক্তারদের হাতে লক্ষ লক্ষ ডলার তুলে দিচ্ছেন। শেখ হাসিনা কি প্রেসিডেন্টকেও দেশের ক্লিনিকে জ্বর, পেট খারাপের চিকিৎসার জন্য বলবেন না? এই প্রেসিডেন্ট টুলে বসে ঈদের নামাজ পড়েন কিন্তু বিদেশে যাওয়ার সময় হুইল চেয়ার লাগে না কেন?
আসল কথা সেটা নয়, আগে বিয়েবাড়ির মতো দাওয়াত পাওয়ামাত্রই প্লেন ভর্তি করে বিদেশে যেতো, ফিরে এসেই প্রেসকনফারেন্স করে রিপোর্টকার্ড দেওয়ার নামে আরো জোরেসোরে খালেদাকে গালিগালাজ। অবৈধ সরকারকে বিয়ের দাওয়াত দেয়া বন্ধ করে দিয়েছে বিদেশিরা। আর সেটা ঢাকতেই দেশেই চিকিৎসার নামে এইসব বলা।

বান কি মুন তাকে ফোন করেছে। এ নিয়ে দেশে-বিদেশে হৈচৈ। হিলারির ইমেইল কেলেংকারি না হওয়া পর্যন্ত জানা যায়নি, সে কার কাছ থেকে কতো টাকা নিয়ে তাদের স্বার্থ উদ্ধার করতো মার্কিন কংগ্রেসে। বান কি মুনের ইমেইল ফাঁস হওয়ার কোনই সম্ভাবনা নেই। থাকলে জানতে পারতাম, কতো টাকা দিয়ে এইসব পুরষ্কার আর ফোন।

ইউনুস আসামাত্রই উঠে গেলো মন্ত্রীরা। কিন্তু অমর্ত্য সেন আর কৌশিক বসুরা এলে বসেই থাকেন রায়বাহাদুরেরা। কারণ কী? মায়ের চেয়ে মাসির দরদ বেশি হলে তাকে নাকি ডাইনি বলে।

যে অবস্থা চলছে, বইবেলা কয়দিন পর মুজিবমেলা না হয়। যে স্টলেই যাবেন, মুজিবের বই থাকবেই। মুজিব আর মুজিববাদ প্রচারে বইমেলা হচ্ছে এখন শাপেবর। একদিকে যখন হুমায়ুন আজাদরা মরতে থাকবে, তখন মুজিব প্রচার আকাশ ছোঁবে।

একটি দেশে যখন সত্যিকারের রাজনৈতিক দল থাকে, তথন তারা পলিসি নিয়ে কথা বলে। বাংলাদেশে কোন রাজনৈতিক দল নেই বলেই দিনরাত শুধু ঝগড়া করে। কুকুরকে সারাক্ষণ পেটালে, কুকুর ঘেউ ঘেউ করে। এছাড়া কুকুরের করার কিছু নেই। পরদিন আবার ফিরে এলে, আবারো পেটা খেয়ে ঘেউ ঘেউ করে কুকুর। আওয়ামী লীগ আর বিএনপির অবস্থাও তাই।
পার্লামেন্ট থেকে টকশো, সর্বত্রই কুকুর পেটানোর দৃশ্য। যেন কুকুর পেটানো ছাড়া দ্বিতীয় কাজ নেই। সংসদে প্রতি মিনিটের খর্চ ১ লক্ষ ১১ হাজার করের টাকা। এই টাকা ধ্বংস করে সারাক্ষণই কুকুর পেটাচ্ছে আওয়ামী লীগ। তবে যেমন কুকুর তেমন মুগুর এই ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। বরং মানুষই কুকুরের আকার ধারণ করে, অন্যদেরকে কুকুর ভেবে পিটিয়েই চলেছে। একেই বলে জলাতংক রোগ।
কোন মন্ত্রীকেই দেখি না মানুষের মতো কথা বলতে। মুগুরের তখনই প্রয়োজন, যখন কোন কুকুর পাগলা হয়ে যায়। আমি তো দেখছি উল্টা পাগলা হয়ে গেছে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিরাই। সারাক্ষণই ইউনুস আর ২০ দলের লেজ ধরে টানাটানি।
১০
সংসদে শেয়ালের রা, এবার মাহফুজ আনামকে গ্রেফতার করে ডেইলি স্টার বন্ধ করতে হবে। কথায় কথায় এরা রাষ্ট্রদ্রোহি খুঁজে পায়, আসুন দেখি আসল রাষ্ট্রদ্রোহি কে।
একইদিনে আপীল বিভাগে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দিলেন ৩ বিচারক। এদের একজন বিচারপতি নিজামুল হক। এই নিজামুল হকই স্কাইপ কেলেংকারির খলনায়ক। আপনারা যদি ইউটিউবে স্কাইপ কেলেংকারি শোনেন, দেখবেন, প্রবাসী জিয়াউদ্দিন আহমেদকে নিজামুল হক কি বলছেন। প্রধান বিচরাপতি তাকে বলেছেন, “৩ডা রায় দেও, তোমারে আপীল বিভাগে নিয়া আসি।” ৩টি রায় তিনি দিয়েছেন এবং ফাঁসিও হয়েছে।
কোন দেশে যখন আইন শৃংখলা থাকে, তখন রাষ্ট্রীয় আইন ভঙ্গের অপরাধে নিজামুল হকদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। আর যখন তা ভঙ্গ করে তাকেই আপীল বিভাগে আনার ঘটনা ঘটে, আইনের দেশে তখন প্রধান বিচারপতিসহ সংশ্লিষ্ট সব কটাকেই ফাঁসিতে ঝোলানোর নিয়ম।
এদিকে ৩ জনকে ফাঁসি দেয়া বিচারপতি মানিকের কর্মকাণ্ড ১০০ ভাগ রাষ্ট্রদ্রোহি। একই সঙ্গে সে ফাঁসির রায় লিখেছে আবার ভিকটিমদের বিরুদ্ধে রাজপথে আন্দোলন করছে। আইনের দেশ হলে অবশ্যই তাকে ফায়ারিং স্কোয়াডে পাঠানো হতো। যে দিকেই তাকাই, জাহান্নাম আর জাহান্নাম। এতে ঝলসে যাচ্ছে সাধারণ মানুষ কিন্তু তাদের হাতে-পায়ে শেকল।
১১
তেলের মূল্য ১২০ ডলার থেকে কমে ২০ ডলার। বিরোধিদল না বলুক কিন্তু এই টাকা কাদের পকেটে যাচ্ছে, জানতে চাইবে না জনগণ?

Loading

Comments are closed.