প্রসঙ্গ : বিএনপির টকশো বর্জন

প্রায় ৭০ ভাগ টকশোতেই বিএনপির উপস্থিতিতে ভুল বার্তা পাচ্ছে মানুষ। বিএনপি আর সমমনা আলোচকেরা এক নয়। বিএনপিকে টিভি পর্দায় রেখে দেখাতে পারছে সরকার বৈধ। প্রশাসন, অর্থনীতি, মানবাধিকার, আইনের শাসন, জুডিশিয়ারি… সর্বত্রই বিরাজমান স্থিতিশীলতা। দেশী-বিদেশীরা জানছে, নির্বাচন হয়নি সত্ত্বেও কোনোরকম অস্থিতিশীলতা নেই। আন্দোলন নেই। যা কিছু করছে সব কিছুতেই জনগণের ম্যান্ডেট।
কৌশলে সংসদ থেকে বের করে, টেলিভিশনের পর্দায় রেখে বিএনপির অভাব পূরণ করছে। মানুষ দেখছে, ‘জাতীয়’ সংসদে না থাকলেও, ‘বিকল্প’ সংসদে আছে। আর এই কাজে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করছে বিএনপি।
‘ভিজিটিং কার্ড’-সর্বস্ব বিরোধী নেতা আর ৫ জানুয়ারির সংসদ পৃথিবীতে একটাই। বিএনপিকে পর্দায় ঘন ঘন দেখিয়ে প্রচার করছে, গণতন্ত্র আছে বলেই সরকারের সমালোচনা করছে। ওয়াশিংটনে হাইকমান্ডও এই ইঙ্গিতই দিলেন, ‘দেশে বাকস্বাধীনতা আছে।’ মানুষের কাজ শুধুই বিশ্বাস করা। বিশ্বাস তারা করছে। এই কাজে বিএনপির অবদান ১ নম্বরে।
দশম সংসদ নানা বিতর্কে বিতর্কিত দেশে-বিদেশে। বাধ্য হয়ে বিএনপিকে টকশোতে হাজির করে দেশ-বিদেশে প্রমাণ করছে, দুধের স্বাদ ঘোলেই মেটাও। ঘোলই বা কম কী? ওটাও তো দুধের মতোই সাদা। আর এই ফাঁদেই পা দিয়েছে বিএনপি।
যেন আওয়ামী আলোচকদের হাতে ধরা খেতেই আসে। নাস্তানাবুদ হয়ে ফিরে যায়। প্রতিবারই প্রমাণ হয়, সবই ভুল, একমাত্র আওয়ামী লীগই নির্ভুল। ফিন্যানসিয়াল ক্রাইম, মানবতাবিরোধী ট্রাইব্যুনাল, রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, কুইক রেন্টাল, প্রশাসন, মানবাধিকার, সংবিধান… ক্রাইসিসের পর ক্রাইসিস। কিন্তু টকশোতে আসার সময় কণ্ঠযন্ত্রটিকে বাড়িতে রেখে আসেন দুদু ভাইয়েরা। আওয়ামী লীগ যে কখনোই ভুল করতে পারে না, প্রমাণ করতে আসেন।
হাইকমান্ডের সর্বোচ্চ প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও রওশনের বদলে খালেদাকেই বেছে নিলেন কেরি। বিদেশীরা ঢাকায় এলে খালেদাকেই খোঁজেন। এর মানে হলো, ৫ জানুয়ারিতে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়নি। তার পরও টকশোতে আত্মরক্ষায় ব্যস্ত থাকে বিএনপি। উল্টা নাস্তানাবুদ হবে আওয়ামী লীগ।
‘ভিজিটিং কার্ড’ নয়, সংসদে প্রকৃত বিরোধী দল দেখতে চায় মানুষ। দিল্লি কিভাবে একটি বিশেষ দলকে উলঙ্গ সমর্থন দিয়ে ক্ষমতায় আনল, কিভাবে জাল বিস্তার করছে উপনিবেশবাদীরা, বলতে না পারলে আসে কেন! এই দেশের মানুষ কখনোই কমিউনিস্ট চীন আর রাশিয়ার শোকেস পার্লামেন্ট দেখতে চায় না। জাতীয় পার্টিকে একই সাথে বিরোধী দল এবং সরকারে রেখে সেটাই করছে। কমিউনিস্ট পার্লামেন্ট আড়াল করতেই পর্দায় বিএনপি হাজির। জনরোষ থেকে রওশনকে লুকিয়ে, পর্দায় ধানের শীষ মনোগ্রাম দেখিয়ে, মানুষকে ভুল বোঝাতে অতুলনীয় বিএনপি।
সরকার নিয়ন্ত্রিত মিডিয়াগুলোর গ্রহণযোগ্যতায় ধস। বিএনপি না এলে পানশা হয়ে যেত টকশোগুলো। এই ষড়যন্ত্র বাঁচিয়ে রাখার জন্য নোবেল পাওয়া উচিত। সোস্যাল মিডিয়ায় মন্তব্য, নাসিমদের মুখে উন্নতির মিষ্টি এত বেশি যে ডায়াবেটিসের ভয়ে টেলিভিশন দেখাই বন্ধ করে দিয়েছি। নিজেদের প্রচারের জন্য পাইকারি লাইসেন্স দিয়ে অর্থ জোগানের বিষয়টি অন্যদের ওপর। সুতরাং বিজ্ঞাপনদাতাদেরও বিএনপিকেই চাই। এসব কারণে মানুষ ভুলেই গেছে ৫ জানুয়ারির কলঙ্ক।
মেজাজ আর বিনোদনে মধ্যরাতের টকশোগুলোর সাথে ‘স্টার জলসার’ পার্থক্য কম। কারো কারো টকশোর সংখ্যা তিন হাজারেরও বেশি। কিন্তু ৫০০ বা ১০০০ নম্বর রিপিট করলে দেখা যাবে, সব কিছুই এক।
বাগ্যুদ্ধে নাস্তানাবুদ না হয়ে, বিএনপি যদি গণতন্ত্র রক্ষায় সময় দিত, ৫০০ থেকে ১০০০ নম্বর শোকে আলাদা করা যেত। আজ পর্যন্ত প্রমাণ দেয়নি, ‘কী কী কারণে দশম সংসদ অবৈধ এবং ইন্দিরা গান্ধীর দৃষ্টান্ত কেন প্রযোজ্য।’ জাপান থেকে প্রকাশিত দ্য ডিপ্লোমেট, ‘বাংলাদেশ একটি ক্রীতদাস রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে।’ লেখাগুলো আলোচনায় আনবে তারাই। উল্টা বিএনপিকে পর্দায় রেখে অবৈধরা যেভাবে চেয়েছিল মিডিয়াগুলো সেভাবেই করছে। রাস্তার আন্দোলন বন্ধ, কারাগারে হাউজ ফুল, বিরোধী নেত্রীর অবস্থা আং সাং সুচি কিন্তু টিভিতে হাজির বিএনপি।
তুলনামূলক আলোচনার তালিকা বিশাল। শামসুজ্জামান দুদু ভাইয়েরা সেপথেই যান না। ’৯৬-এর ফেব্র“য়ারির সরকার যদি তিন মাসের বেশি ক্ষমতায় থাকতে না পারে, ৫ জানুয়ারির সরকার কিভাবে একের পর এক বর্ষপূর্তি করল? ১৩তম সংশোধনী লীগের অর্জন হলে, ১৫তম সংশোধনী থেকে তুলে নেয়ার কারণ? আলোচনার ফাঁকে ফাঁকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোকে অবশ্যই হাইলাইট করা যায়। এর মধ্যেই আওয়ামী লীগকে ধরাশায়ী করা যায়। ৯ বছর ধরেই বিদেশীদের দেয়া নেতিবাচক সার্টিফিকেটগুলো বাসায় না রেখে পর্দায় আনলে ওদের অবস্থা হতো ইন্দিরা গান্ধীর মতো। ৭২-এ ভোট চুরির অপরাধে দুই বছর জেল। জওয়াহেরলালের কন্যা বলে অজুহাত নেই। দুদু ভাইদের মুখভর্তি মধু। মধু নয়, গণতন্ত্র রক্ষায় প্রয়োজন করলা, তেতো হলেও ডায়াবেটিসের জন্য ভালো।
৩০৩ দিন হরতালে আগুন সন্ত্রাস, পেট্রলবোমা, জঙ্গিবাদ, নৈরাজ্য, ধনসম্পত্তি ধ্বংস… ৯২ দিনের তুলনায় কোনটার ওজন বেশি? সব অডিও-ভিডিও ক্লিপ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কিন্তু দুদু ভাইয়েরা শুধু নাস্তানাবুদ হতেই আসেন। তাদের নেত্রীকে যে ভাষায় অপমান, প্রতিবারই উচিত টকশো ছেড়ে চলে যাওয়া। হাইকমান্ড কত মহান, নির্বাচনে আনতে কত চেষ্টা করেছিলেন, একটি ফোন কলকে পুঁজি করে গণতন্ত্রের কবর দেখেছে বিএনপি। খালেদা যদি আগুনসন্ত্রাসী আর তারেক রহমান যদি অর্থসন্ত্রাসী হয়েও থাকে, তারপরও ১৫৪ জন অনির্বাচিত। অনির্বাচিত সংসদ আর সংসদের বাইরের রাজনীতিবিদরা এক নয়। সংসদে আনা সিদ্ধান্তে গোটা দেশ চলে। তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা চাইলেও কিছুই সম্ভব না। ৩০৩ দিন হরতালের সিল যাদের শরীরে, তারাই যখন ৯২ দিনের সমালোচনা করে, দুদু ভাইদের উচিত কণ্ঠনালীটি সাথে রাখা।
হিলারি ক্লিনটন আর বিজেপি নেতারা ড্রাম পিটিয়ে বলেছে, কিভাবে নবম ও দশম সংসদে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় এনেছে। প্রতিটি শোতেই বিএনপির জেতার কথা। তার পরেও বিএনপি কোণঠাসা।
প্রতিপক্ষরা এমন ভাষা ব্যবহার করে, যেন ৫ জানুয়ারিতে গণতান্ত্রিক নির্বাচন হয়েছে। এই দেশেও যে চীন-রাশিয়ার শোকেস পার্লামেন্ট, একবারও বোঝাতে পারেনি বিএনপি। বলতে পারেনি, ‘১৯৭১-এ মুক্তিযুদ্ধ হলে কম গণতন্ত্র আর বেশি উন্নতির মানে কী? শেখ মুজিব কি কম গণতন্ত্রের জন্য ’৬৯-এর আন্দোলন আর জিয়াউর রহমানরা কি এ জন্যই সেক্টর কমান্ডার?’ বাংলাদেশ কখনোই সিঙ্গাপুর আর মালয়েশিয়ার মতো কমিউনিস্ট রাষ্ট্র হবে না। সুতরাং বেশি উন্নতি আর কম গণতন্ত্রের ষড়যন্ত্রও চলবে না। উন্নতির নামে উপনিবেশবাদীদের যে বিশাল ঘাঁটি তৈরি হয়েছে, এসব নিয়ে বলে না বরং বিএনপি কত বড় জঙ্গি আর আগুনসন্ত্রাসী, সেটাই শুনতে আসে।
রাজবন্দীদের বিষয়টিকে পুরোপুরি অবজ্ঞা করে খুব খারাপ করছে বিএনপি। চুপ থেকে মানবাধিকার ভঙ্গের রাস্তা আরো চওড়া করছে। সাংবাদিক মাহমুদুর রহমানের সব মামলায় জামিনের পরও মুক্তি না পাওয়ার বিষয়টি মানবাধিকার ভঙ্গের সর্বোচ্চ দৃষ্টান্ত। কারাগারে অসুস্থ ও মৃতপ্রায় বন্দীর সংখ্যা কত?
ইইউ ভাঙার প্রধান কারণ গণভোট। মানুষের ইচ্ছার কাছে পরাজিত হয়ে প্রধানমন্ত্রিত্বই নয়, এমপি পদেও ইস্তফা দিলেন ক্যামেরুন। প্রসঙ্গ পদত্যাগ ও জনমত। অবৈধ সরকারের আমলে কোনো বিষয়েই জিততে পারে না বাংলাদেশীরা। আদালত থেকে দুই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে রায় দেয়ার পরও তারাই পদে। কিন্তু মাহমুদুর রহমান এখন পর্যন্ত জেলে। ৯৫ ভাগ মানুষ ভোট না দিলেও তৃতীয় বর্ষপূর্তির পথেই শুধু নয়, ২০৪১ পর্যন্ত টার্গেট পূরণেও প্রায় সফল। যেভাবে পুলিশ দিয়ে পেটায়, ক্রসফায়ারের যে দৃশ্য, ‘জনমতের’ বিরুদ্ধে সেরা দৃষ্টান্ত রামপালবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের অত্যাচার কিন্তু বিএনপি বোবা ও ঠসা।
গণভোট জনমতের সমাধির ওপর বিস্তার লাভ করেছে সরকার নিয়ন্ত্রিত মিডিয়াগুলো। বিএনপিকে ক্যামেরায় রেখে, দুই ধরনের প্রশাসন চালাচ্ছে। পার্লামেন্টে ৩০০ কণ্ঠ, একসাথে ‘হ্যাঁ’। গণতন্ত্রকামীরা সেটা পছন্দ করে না। বিতর্কিত পার্লামেন্ট থেকে দৃষ্টি সরাতেই হাইফাই প্রকল্প। বিএনপি যদি চিৎকার করেও বলে তারপরেও নির্বাচন নিয়ে একটি আশাও পূর্ণ হবে না। নাসিমরা বলেই দিয়েছেন কার অধীনে নির্বাচন এবং কয় সাল পর্যন্ত। এর পরও নির্বাচন নিয়ে টকশোতে আলোচনার কারণ কী?
আসামি বিএনপি, বিচারক আওয়ামী লীগ। এখানে বসেই কথার মারপ্যাঁচে নিজেদের বৈধ আর বিএনপিকে আগুনসন্ত্রাসী প্রমাণ করে লীগ। বিএনপি কি সেটা বোঝে?
‘আওয়ামী লীগের প্রতিটি প্রশ্নের জবাব আওয়ামী লীগ নিজেই।’ ৯২ দিনের আগুনসন্ত্রাসী এবং পেট্রলবোমা নিয়ে কথা। এই পেট্রলবোমার সাথে ২০০৬ ও ২০০৭ সালের পেট্রলবোমার পার্থক্য কী? ২৮ অক্টোবরের ঘটনার সাথে ২০১৩ সালের বার্ন ইউনিটের পার্থক্য কী? যার হুকুমে ৩০৩ দিন হরতাল এবং ২৮ অক্টোবরে লগি বৈঠার তাণ্ডব, সব কিছুই ইউটিউবে। ক্যামেরাম্যানসহ বার্ন ইউনিটে গিয়ে ফলাও করে প্রচারে সেটাই প্রমাণ হয়েছে। ‘৩০৩ দিন হরতালের আয়নায়, ৯২ দিনকে মিলিয়ে দেখলে, প্রকৃত আগুনসন্ত্রাসীদের পরিচয় পাওয়া যাবে।’ বিশ্বজিৎ আর খাদিজার দৃষ্টান্ত একমাত্র আওয়ামী লীগের। ‘৯২ দিনের আগুনসন্ত্রাসের সুফলভোগী এবং কারণ দুটোই আওয়ামী লীগ, বোঝাতে ব্যর্থ বিএনপি।’
২০৪১ পর্যন্ত আওয়ামী লীগই ক্ষমতায় থাকলে, টকাশোতে নির্বাচন নিয়ে কিসের আলাপ? এই দেশে আর কোনো গণতান্ত্রিক নির্বাচন হবে না, কতবার বললে যথেষ্ট? মানবজমিনে সুরঞ্জিতকে নিয়ে লেখা প্রতিবেদনে পরিষ্কার বলেছেন, বিরোধী দল বলে কিছু থাকবে না। স্বাধীনতার রজতজয়ন্তী তারাই পালন করলে ২০১৯ সালে কোন ধরনের নির্বাচন হবে? ২০৪১ পেরিয়ে এরাই ক্ষমতায় থাকলে নির্বাচন নিয়ে কথা বলাটাই হাস্যকর। রাজনীতি থেকে অবসর চাওয়ার বার্তায়, পারিবারিক ঘাঁটি আরো পোক্ত করা এবং সেটাই প্রমাণ হবে কাউন্সিলে। টকশোতে এসে শুধুই লোক হাসানো। উচিত রাস্তায় থাকা।
পশ্চিমাদের ঘোর আপত্তি সত্ত্বেও জোটের শরিকদের যেভাবে ফাঁসি দিলো, প্রতিবাদ না করে বরং নিজেদের ক্ষতি করেছে বিএনপি। দুর্বলতার সুযোগে নিয়ে রাজনীতি থেকে বিদায় করার রাস্তা আরো পোক্ত করেছে। কারো পক্ষে দাঁড়ানোর মানে এই নয়, অন্যায়কে সমর্থন বা অসমর্থন করা। গার্ডিয়ানে স্পষ্ট বলেছে, রাজনৈতিক অভিলাষে হত্যাকাণ্ড। পশ্চিমাদের সন্দেহগুলো তুলে ধরলেই মদদদাতার প্রমাণ হয় না। জোটের নেতৃত্বে থাকা বিএনপি কখনোই ভলতেয়ারের সেই বিখ্যাত উক্তিটি অস্বীকার করতে পারে না।
নয় বছর ধরে যত ইস্যু তৈরি হয়েছে, ৯৫ ভাগ দেশী-বিদেশী জনমত আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কিন্তু তার পরও রামপাল হচ্ছে। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রও হচ্ছে। এসব নিয়ে আগেও লিখেছি। যাদের নিজেদের দেশে বিশেষজ্ঞের অভাব নেই তারাই যদি চেরনোবিল আর ফুকুসিমা সামাল দিতে না পারে আমরা দেবো কী করে? বর্জ্য নেবে না রাশিয়া, তাঁবেদারি করতে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রেও ঢুকে পড়েছে ভারত। সরকার নিয়ন্ত্রিত রসাডোম কোম্পানির দুর্নীতি এবং তৃতীয় শ্রেণীর বিদ্যুৎকেন্দ্রের তথ্য উইকিপিডিয়ায়। অনেক দেশেই বন্ধ হয়ে গেছে। ফিন্যানসিয়াল ক্রাইসিস থেকে গুলশান ও রূপপুর… বলার সুযোগ না পেলে কেন টকশোতে আসা? আর সুযোগ পেয়েও বলতে না পারাটা আলোচকদের জন্য লজ্জা।

পূর্ব প্রকাশিত: নয়া দিগন্ত

Comments are closed.