পাশ্চাত্য হিজাবকে ভয় পায়?

hijabহিজাব বর্তমান যুগে একটি বিতর্কের বিষয়ে পরিণত হয়েছে। কুরআন-হাদিস সম্পর্র্কে মোটামুটি যারা অভিজ্ঞ, তারা হিজাবকে ইসলামের অন্যতম অপরিহার্য বিষয় হিসেবে গণ্য করছেন। আর ধার্মিক মুসলিম নারীরা একে ধর্মীয় কর্তব্য হিসেবেই অনুশীলন করছেন। অন্য দিকে, পাশ্চাত্যের অমুসলিমরা এটিকে পাশ্চাত্য সংস্কৃতির পরিপন্থী, নারীদের জন্য শৃঙ্খল, পুরুষশাসিত সমাজের প্রথা, নারীকে দমন করার হাতিয়ার ইত্যাদি নামে আখ্যায়িত করে হিজাব বন্ধ করার আওয়াজ তুলছেন। পাশ্চাত্যের কোনো কোনো দেশ, এমনকি মুসলিম অধ্যুষিত কোনো কোনো দেশও হিজাব আইন করে বন্ধ করে দিয়েছে। মনে হচ্ছেÑ স্বাধীনতা, নারী অধিকার, মানবাধিকার, উন্নয়ন ইত্যাদির জন্য হিজাব প্রধান বাধা।
অন্যান্য ধর্মে ও সভ্যতায় হিজাব
মহিলাদের মাথাসহ পুরো শরীর ঢেকে রাখা ইসলামের আবির্ভাবের আগেও বিভিন্ন সমাজে চালু ছিল। খ্রিষ্টপূর্ব আড়াই হাজার বছর আগেও মহিলাদের মাথায় কাপড় দেয়ার প্রথা ছিল। প্রাচীন মেসোপটেমিয়া ও অ্যাসিরীয় সমাজেও অভিজাত পরিবারের মেয়েদের নেকাব পরতে হতো। দাসী ও পতিতারা আইনত তা পরতে পারত না। প্রাচীন গ্রিক ও পারসিক সমাজে হিজাব ছিল মর্যাদা ও আভিজাত্যের প্রতীক। ইহুদি সমাজের ‘রাব্বানী’দের দৃষ্টিতে মহিলাদের মাথা ঢাকা ছিল শালীনতার অংশ। প্রাচীন রোমান সাম্রাজ্যে মেয়েদের মাথা ও মুখ ঢেকে রাখতে হতো। খ্রিষ্টান সমাজেও চার্চে প্রার্থনার সময় মেয়েদের মাথা ঢেকে রাখতে হতো। গ্রিসের প্যাগান সমাজেও মহিলাদের হিজাব পরতে হতো। এক কথায়, পুরো প্রাচীন সমাজে তা একেশ^রবাদী হোক আর পৌত্তলিক হোক, নারীকে মাথাসহ শরীর ঢাকতে হতো। এটিই সব প্রাচীন সমাজের রীতি। এ রীতির বিরুদ্ধে প্রথম আওয়াজ ওঠে রেঁনেসার সময়। এরপর থেকেই এ প্রথা ধীরে ধীরে বদলাতে থাকে। তবুও বিশ শতকের আগ পর্যন্ত সব ধরনের চার্চেÑ ক্যাথলিক, প্রোটেস্টান্ট, রিফর্মড ও ইস্টার্ন অর্থোডক্স চার্চের অভিমত ছিল, প্রার্থনার সময় অবশ্যই মাথাসহ শরীর ঢাকতে হবে। আবার কোনো কোনো গোষ্ঠীর (আমিশ, মেরোনাইট) প্রথা ছিল শুধু প্রার্থনার সময় নয়, বরং সবসময় মাথা ঢেকে রাখতে হবে। এক কথায়, বিশ শতকের আগ পর্যন্ত ধর্মীয় ও সামাজিকভাবে হিজাব সারা ইউরোপ-আমেরিকায় তথা পাশ্চাত্যে চালু ছিল।

বস্তুবাদী সভ্যতা ও হিজাবের বিলুপ্তি
আধুনিক বস্তুতান্ত্রিক আদর্শ ও সভ্যতা-সংস্কৃতি জোরদার হওয়ার পর থেকে মেয়েদের শরীর ঢেকে কাপড় পরার বিরুদ্ধে আওয়াজ ওঠে। প্রথমে মেয়েদের স্বাধীনতার কথা বলে পর্দাপ্রথা বা হিজাবপ্রথার বিরুদ্ধে মেয়েদের ুব্ধ করে তোলা হয়। ‘স্বাধীনভাবে চলার পথে হিজাব প্রধান বাধা’ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। যখন পাশ্চাত্যসমাজে মাথায় কাপড় দেয়ার প্রথা শিথিল হতে শুরু করল, তখন স্লোগান তোলা হলো, হিজাবপ্রথা নারীদের জন্য শিকল। তার মাধ্যমে মেয়েদের ঘরে বন্দী করে রাখা হয়েছে। কাজেই বন্দিত্ব থেকে মেয়েদের মুক্তি পেতে হলে এ শিকল ছিঁড়ে ফেলতে হবে। এটিও যখন একপর্যায়ে সম্ভব হলো; তখন বলা হলো, নারী-পুরুষ যেহেতু সমান তখন মেয়েদের ভিন্ন পোশাক বলে কিছু থাকতে পারে না। নারী যা পছন্দ করবে, তাই পরবে। এভাবেই নারীরা পুরুষদের পোশাক প্যান্ট-শার্ট-কোট পরতে শুরু করল। তারপরও লোভাতুর পুরুষেরা থেমে থাকল না। তারা প্রচারণা শুরু করলÑ নারীদের মিনি স্কার্ট, শর্টস, বিকিনি ইত্যাদি পরলেই ভালো দেখায় এবং এ ধরনের পোশাক পরাই নারীদের স্বাধীনতা ও সাহসিকতার লক্ষণ। এ বিষয়টিকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য ‘সুন্দরী প্রতিযোগিতা’ চালু করা হলো। বিভিন্ন করপোরেট ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান এ কাজে এগিয়ে এলো এবং কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা পুরস্কার হিসেবে দিতে থাকে। একশ্রেণীর মেয়ে অর্থ ও প্রচারের লোভে এ কাজে জড়িয়ে পড়ে। গড়ে উঠল মডেলিংয়ের মতো আকর্ষণীয় সব পেশা। স্টার, মেগাস্টার ইত্যাদি খেতাবও জুটে গেলো, অর্থনৈতিকভাবেও তারা যথেষ্ট সচ্ছল হয়ে উঠল। বিভিন্ন খেলাধুলায় নির্বিচারে মেয়েদের নামিয়ে দেয়া হলো। এক্ষেত্রে কোনো সীমা আর থাকেনি। যত কম কাপড় পরা যায় ততই সভ্য, সংস্কৃতিবান আর আধুনিক হয়ে ওঠা যায় বলে মনে করা হলো। এ ক্ষেত্রে পুরুষদের চেয়ে নারীরা কয়েক ডিগ্রি এগিয়ে গেছে। বেশির ভাগ খেলাতে পুরুষ খেলে লং প্যান্ট আর ফুল ড্রেস পরে, আর মহিলাদের খেলতে হয় শর্টস আর হাফপ্যান্ট পরে। যে মেয়ে যত অনাবৃত হতে পারবে, সে তত বেশি সংস্কৃতিবান বলে বিবেচিত হবে, সাহসী বলে খ্যাত হবে। অথচ দক্ষতা ও শিল্পের সাথে উদোম থাকার কী সম্পর্ক থাকতে পারে? প্রচারণা চালানো হলো যে, নারী-পুরুষের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। সব পার্থক্য সাংস্কৃতিক ও সামাজিক কুসংস্কারের ফল। মূলত ভোগবাদী পুরুষেরাই মেয়েদের ‘খোলামেলা’ হওয়ার ব্যবস্থা করেছে। শিল্পের নামে এসব বিষয় চালু করা হয়েছে, যার উদ্দেশ্য পুরুষদের মনোরঞ্জন। এ দিকে পরিবারপ্রথাকে দুর্বল করার যাবতীয় ব্যবস্থাই করা হয়েছে। চাকরি আর শিল্পের নামে মানুষকে বিশেষত মেয়েদের স্বামী বা স্ত্রীবিমুখ, সন্তানবিমুখ করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এটি কোথায় গিয়ে থামবে বলা যাচ্ছে না। পাশ্চাত্যের কোথাও কোথাও কিছু ন্যুড বা উলঙ্গ মানুষের কলোনি আছে। মনে হয় সারা পৃথিবীকে তারা ন্যুড কলোনি বানাতে চায়। তাই হিজাবব্যবস্থার প্রতি তাদের এত ক্রোধ। বস্তুত স্বাধীনতা আর অধিকারের নামে নারীদের পুরনো সমাজের জ্বলন্ত চুলা থেকে টেনে এনে সরাসরি বন্দিত্বের আগুনে নিক্ষেপ করা হলো।

হিজাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা
ইউরোপীয় বিভিন্ন দেশ হিজাব বিশেষত নেকাব বা বোরকার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এ ক্ষেত্রে ফ্রান্স, বেলজিয়াম ও নেদারল্যান্ডস বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তা ছাড়া সুইজারল্যান্ডের Ticino, ইতালির Lombardy ও স্পেনের Reus শহরে নেকাব নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
২০০৪ সালে সর্বপ্রথম ফরাসি দেশে স্কুলে হিজাব বা ধর্মীয় প্রতীকধর্মী পোশাক নিষিদ্ধ করা হয়। ২০০৬ সালে নেকাব (মুখ ঢাকা) নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। নেকাব পরে কোনো মহিলা বাইরে যেতে পারবেন না। এ আইন লঙ্ঘন করলে জরিমানা গুনতে হবে। আর যদি কেউ মহিলাদের হিজাব পরতে বাধ্য করে বা জোর খাটায়, তবে ওই ব্যক্তিকে ৩০ হাজার ইউরো জরিমানা ও এক বছরের জেল খাটতে হবে। ২০১৪ সালে European Court of Human Rights ফ্রান্সের এ আইনটি বহাল রাখে। চলতি বছর মহিলাদের সাঁতারের জন্য এক ধরনের পোশাক যাকে বুরকিনি বলা হয়, তা ২০টি শহরে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সমুদ্রের বেলাভূমিতে বুরকিনি পরা মহিলাকে পুলিশ জোর করে তার পোশাক খুলতে বাধ্য করে। এ ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত হলে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। শেষপর্যন্ত ক’দিন আগে বুরকিনির ওপর নিষেধাজ্ঞা আদালত কর্তৃক বেআইনি ঘোষণা করা হয়েছে। বেলজিয়ামে নেকাববিরোধী আইন ২০১১ সালে কার্যকর হয়। এর আওতায় নেকাব পরে কেউ স্কুল, হাসপাতাল এবং গণপরিবহনে উঠলে তাকে জরিমানা গুনতে হবে এবং সাত দিন জেল খাটতে হবে। ২০১৫ সালে নেকাববিরোধী আইন পাস হয়। এ আইন অনুযায়ী কেউ নেকাব পরে সরকারি কোনো ভবন, হাসপাতাল, স্কুল অথবা গণপরিবহনে উঠতে পারবে না।

আপত্তির কারণ ও এর অসারতা
ইউরোপের বিভিন্ন দেশে হিজাব ও নেকাব নিষিদ্ধ করার পেছনে বিভিন্ন ‘যুক্তি’ প্রদর্শন করা হয়। ২০০৬ সালে ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার বলেছেন, ‘ইউরোপীয় দেশগুলোর জাতীয় পরিচয়ের সাথে প্রাচ্যের প্রকাশ্য ধর্মীয় প্রতীকধর্মী সব কিছুর সাথে সঙ্ঘাত রয়েছে।’ তা ছাড়া, হিজাব পশ্চিমা সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের সাথে সাঙ্ঘর্ষিক। বস্তুত হিজাববিরোধী প্রচারণায় যেসব বিষয় তুলে ধরা হয়, সেগুলো হচ্ছে প্রধানত
নিম্ন রূপ:

১. হিজাব ইসলামের প্রতীকধর্মী পোশাক, আর জনসমক্ষে তা পরা মানে ধর্মনিরপেক্ষতার লঙ্ঘন; ২. হিজাব নারী-পুরুষে বৈষম্য সৃষ্টি করে; ৩. হিজাব দেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি; ৪. হিজাব সন্ত্রাসবাদের ব্যাপারে উৎসাহ জোগায়; ৫. হিজাব পশ্চিমা সমাজ ও সংস্কৃতির জন্য হুমকি; ৬. হিজাব মানে ‘রাজনৈতিক’ ইসলামের প্রশ্রয়দানকারী; ও ৭. হিজাব মুসলিম নাগরিকদের ইউরোপীয় সমাজে মিশে যেতে বাধা সৃষ্টি করে।
যদি আমরা কারণগুলো পর্যালোচনা করি, দেখা যাবে কোনো কারণই যুক্তিসঙ্গত নয়। কেন না, স্বাধীনতা, মানবিকতা ও সাম্যের কথা বলে যে ফরাসি দেশে একদা বিপ্লব হয়েছিল; সেই দেশে নাগরিকদের ধর্ম পালনের স্বাধীনতাই এতে ক্ষুণ্ণ করা হয়। ধর্মনিরপেক্ষতা মানে নিশ্চয়ই নাগরিকদের নিজস্ব ধর্মীয় রীতিনীতি পালনের অধিকার কেড়ে নেয়া নয়। পশ্চিমা দেশগুলো বহুত্ববাদী সমাজের কথা বলে থাকে এবং এ ব্যাপারে তারা প্রাচ্যের দেশগুলোকে অনেক উপদেশ শোনায়। কিন্তু যখন হিজাববিরোধী আইন সম্পর্কে প্রশ্ন তোলা হয়, তখন তারা ধর্মনিরপেক্ষতার দোহাই দেয়, এটা পশ্চিমা সংস্কৃতির পরিপন্থী বলে চিৎকার করে। আবার মুসলিম কোনো দেশ যদি হিজাব চালু করতে চায়, তখন তারা ব্যক্তিগত স্বাধীনতার কথা বলে বহুত্ববাদের যুক্তি খাড়া করে। তা ছাড়া, হিজাব নারী-পুরুষের স্বাভাবিক পার্থক্যই সৃষ্টি করে; এখানে বৈষম্যের কিছুই নেই। সন্ত্রাসের সাথে হিজাবকে যুক্ত করা মানে, সত্যকে আড়াল করা। হিজাব কোনো দেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি এ কথা বলা নেহায়েতই হাস্যকর বিষয়। হিজাব ধার্মিক মহিলারাই পালন করে সে রাজনীতি করুক বা না করুক। হ্যাঁ, হিজাব স্বাতন্ত্র্য বিকিয়ে, পাশ্চাত্যে লীন হয়ে যেতে বাধা দেয়। এটা নিশ্চিত সত্য। বহু সংস্কৃতি ও বহুত্ববাদিতা মানে কি কোনো গোষ্ঠীর নিজ নিজ সংস্কৃতি পরিহার করে অন্য সংস্কৃতির কাছে নির্বিচারে আত্মসমর্পণ করা, লীন হয়ে যাওয়া? এ জন্য কি বাধ্য করা যায়? তাহলে, পাশ্চাত্যে বহুত্ববাদিতার কথা বলা বাদ দেয়া উচিত। নিজের বেলায় উগ্র আঞ্চলিকতা আর প্রচ্ছন্ন বর্ণবাদের অনুশীলন, অন্যের বেলায় উদারনৈতিকতার উপদেশ গেলানো, নিশ্চিতভাবেই ডাবল স্ট্যান্ডার্ড বা সুবিধাবাদ। দুর্ভাগ্যবশত পশ্চিমা অনেক দেশে এ প্রবণতা সৃষ্টি হচ্ছে। তারা যে কথা বলে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব জাহির করত, এখন তারা নিজেরাই তার বিরোধিতা করছে। মনে হয়, ইউরোপে ব্যক্তিস্বাধীনতা মানে ধর্ম-বিরোধিতার স্বাধীনতা; ধর্ম মানার স্বাধীনতা নয়। সেখানে স্বাধীনতা মানে অশালীনতার স্বাধীনতা, শরীর ঢাকার স্বাধীনতা নয়। যা কিছু ধর্মীয় সে ব্যাপারেই পাশ্চাত্যের অনীহা দেখা যায়। আর যা কিছু ধর্মের বিরোধী তাতেই তাদের আগ্রহ ও সম্মতি বেশি।
প্রকৃতকথা হচ্ছে পাশ্চাত্য মনে করেছিল, তারা যেভাবে নিজেদের দেশে খ্রিষ্টীয় সংস্কৃতিকে বিশেষত হিজাবকে পরাভূত করে ধর্মহীনতার প্লাবন বইয়ে দিয়ে, এখন আর কোনো ধর্মই পশ্চিমের ধর্মহীনতা ও উলঙ্গপনার বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে না। ধর্মের বিরুদ্ধে সমালোচনার বিরুদ্ধে কেউ জোরালো আওয়াজ তুলবে না। কিন্তু তারা দেখছে, মুসলিম দুনিয়ায় মানুষ ধর্মহীনতার বিরুদ্ধে কথা বলছে, হিজাবের মাধ্যমে মহিলা সমাজের অবমাননা ও নগ্নতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে পাশ্চাত্য এখন নিজেদের ঘোষিত এত দিনের তত্ত্ব ও মতবাদের বিরোধিতা করে হিজাবের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধ’ ঘোষণা করছে। মূলত ইসলামো ফোবিয়ার কারণেই তারা এর বিরুদ্ধে ক্ষিপ্ত। নিজেদের সভ্যতা-সংস্কৃতির উপযোগিতার ব্যাপারে তারা আতঙ্কে ভুগছে। তাই তারা হিজাবের প্রতি এত অসহনশীল। বস্তুবাদী বা ধর্মহীন সমাজে নারী নির্যাতন ও অধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে ঈমানদার ও সাহসী মুসলিম তরুণীদের এগিয়ে আসা উচিত। এমনই ভূমিকা পালনে এগিয়ে এসেছেন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত এক সাহসী নারী নাজমা খান। ২০১৩ সালে নাজমা খান হিজাবকে জনপ্রিয় করে তোলা এবং হিজাব বিষয়ে বহু ভুল ধারণা দূর করার জন্য প্রতি বছর ১ ফেব্রুয়ারি ‘বিশ্ব হিজাব দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেন। বিশ্বের প্রায় ১৪০টি দেশে এ দিবসটি পালিত হয়েছে। আমাদের দেশেও দিনটিকে জোরালোভাবে পালন করার জন্য মহিলাদের এগিয়ে আসতে হবে।

পূর্ব প্রকাশিত : নয়া দিগন্ত


মন্তব্য দেখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *