ধ্বংসের আগের উন্মাদের মতো কাজ করছে সরকার

মিডিয়ার সরকারের দালাল অংশের সাংবাদিকদের বাজার মন্দা যাবে কিছুদিন। শাহবাগ মোড়ের জনতার খবর নিয়ে ১৭ দিন ধরে মহাব্যস্ত ছিলেন তারা। এই সমাবেশ নিয়ে তাদের কল্পনা ও বর্ণনা সীমা ছাড়িয়ে আকাশস্পর্শী হয়ে গিয়েছিল। সাংবাদিকতার কতগুলো সাধারণ নিয়ম তারা ভুলে গিয়েছিলেন। বস্তুনিষ্ঠতা এবং ভারসাম্য বজায় রাখা দুটি সাধারণ নিয়ম। আরেকটা নিয়ম এই যে, যা দেখছি তার পেছনে আরও বাস্তবতা থাকতে পারে। একথা তারা ভুলে গিয়েছিলেন যে শাহবাগের এই জনতার আকার বাংলাদেশের জনসংখ্যার এক শতাংশের অতি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অংশ এবং কোনো বিবেচনাতেই তাদের প্রতিভূ কিংবা প্রতিনিধিত্বমূলক বলা যাবে না। স্বল্প বিরতির পর অবশ্যি শাহবাগে আরেকটা সমাবেশ বসেছে। কিন্তু এখানে উপস্থিতদের সংখ্যা অনেক কম। আবেগের বশবর্তী হয়ে অনেকে প্রথম দফায় সেখানে গিয়েছিলেন; কিন্তু তাদের অনেকে কিছু প্রকৃত সত্য বুঝতে পেরেছেন। এবার আর তারা শাহবাগে যাচ্ছেন না।   সরকার এবং সমাবেশের নেতারা এই সমাবেশকে বাংলাদেশ বলে দেখাতে গিয়ে মারাত্মক ভুল করেছেন। সমাবেশে ভারতের প্রভাব (অবশ্যি উদ্যোক্তা ও সংগঠকদের মধ্যেও ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা র-এর বহু চর ছিল) উদ্বেগজনক বিবেচিত হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে ‘শুভেচ্ছাবাহী’ সাইকেল আরোহী দল কিংবা ত্রিপুরা থেকে আগত প্রতিনিধি দল নিয়ে উদ্যোক্তা ও কিছু সাংবাদিক যে ধরনের মাতামাতি করেছেন, তাতে তাদের আনুগত্য এবং দেশপ্রেম নিয়ে সন্দেহ সৃষ্টি হবে অনেকেরই মনে।  যখন প্রকাশ পেল যে, সমাবেশের চার-পাঁচজন সংগঠকের তিনজন নাস্তিক কিংবা ইসলাম-দ্রোহী, সমাবেশের বিশ্বাসযোগ্যতা তখন ষোলোআনা নষ্ট হয়ে যায়। তাদের মধ্যে দু’জন (রাজীব থাবা বাবা আর আসিফ) আল্লাহ, ইসলাম এবং মহানবী (সা.)-কে নিয়ে যে পর্নোগ্রাফী তাদের ব্লগে প্রচার করেছে, বাংলাদেশের জনসংখ্যার ৯০ শতাংশ ধর্মপ্রাণ মুসলমান সেজন্য তাদের কোনোদিন ক্ষমা করবে না। তাদের পক্ষ সমর্থন করে শেখ হাসিনার সরকারও ইসলামবিরোধী বলে ইমেজ সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশে শাসনের কিংবা রাজনীতি করার যোগ্যতা তারা হারিয়ে ফেলেছে।   সতেরো দিন পরে উদ্যোক্তারা (নেপথ্যের প্রকৃত উদ্যোক্তা আসলে প্রধানমন্ত্রী ও তার সরকার) বৃহস্পতিবার সমাবেশ গুটিয়ে দিয়ে ভালো কাজ করেছে। শুক্রবার তাদের বিরুদ্ধে তেঁতুলিয়া থেকে টেকনাফ পর্যন্ত গণপ্রতিবাদ যেমন ক্রুদ্ধ হয়ে উঠেছিল, তাতে শুক্রবারও সমাবেশ চালু থাকলে ব্যাপক অশান্তির উসকানি সৃষ্টি হতো। উপরোক্ত শ্রেণীর সাংবাদিকরা এখন কী নিয়ে ‘কবিতা করবেন’ ভাবছি।   ধর্মদ্রোহীদের পক্ষ সমর্থন করে এবং তাদের সংরক্ষণ দিতে গিয়ে সরকার বাংলাদেশের মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে প্রচ- আঘাত হেনেছে। সরকার এই দু-তিনজন ধর্মদ্রোহীর অধিকারকে দেশের মানুষের অধিকার থেকেও বড় করে দেখেছে। রাজীব থাবা বাবার পর্নোগ্রাফী ও ধর্মদ্রোহিতা ফাঁস করে দেয়ার কারণে সরকার আমার দেশ পত্রিকা ও তার সম্পাদকের ওপর আরও ক্রুদ্ধ হয়ে উঠেছে। সরকার বলছে, এই ধর্মদ্রোহীদের ব্লগ একান্তই তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার, সেগুলো সাধারণ্যে প্রচার করে মিডিয়ার একাংশ অন্যায় করেছে। কিন্তু এ প্রমাণও এখন পাওয়া গেছে যে, বিষয়টা নিছক ব্যক্তিগত কিংবা একান্ত নয়। এক বছর আগেও ইসলামের বিরুদ্ধে থাবা বাবার অশ্লীল ব্লগ নিয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছিল। হাইকোর্ট সে ব্লগ বন্ধ করার নির্দেশ দিলেও বিভিন্ন স্তরের সরকারি কর্মচারীর বাঁদরামির কারণে হাইকোর্টের সে নির্দেশ পালিত হয়নি।   রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন, ‘অন্যায় যে করে/আর অন্যায় যে সহে/তব ঘৃণা তারে যেন তৃণসম দহে।’ সমাজে এবং দেশে যদি অন্যায় কিছু ঘটে, তাহলে সেটাকে উদঘাটন করা সাংবাদিকদের পবিত্র কর্তব্য। পদ্মা সেতু নিয়ে দুর্নীতি যেমন ফাঁস করার বিষয়, মুসলমানপ্রধান দেশে ওরকম ইসলামবিরোধী ব্লগ প্রচার সেরকমই জঘন্য অপরাধ। সে তথ্য পাওয়ার পরে মাহমুদুর রহমান ও আমার দেশ যদি সে তথ্যকে চেপে যেত, তাহলে তারা সাংবাদিকের পবিত্র কর্তব্যের হানি করত। মানবতার বিচারেও অন্যায় করা হতো। গত শুক্রবার যে দেশব্যাপী প্রতিবাদের ঝড় উঠবে, সেটা সরকার নিশ্চয়ই জানত। অন্তত তাদের জানা উচিত ছিল। সরকার যদি ত্বরিত সংশ্লিষ্ট ব্লগারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিত, তাহলে প্রতিবাদের উষ্ণতা অনেকখানি কমে যেত। কিন্তু সরকার তাদের জন্য তিন স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়ে প্রমাণ করেছে যে তারা ধর্মদ্রোহীদের পক্ষে, দেশের জনসংখ্যার ৯০ শতাংশের ধর্মীয় অনুভূতির পক্ষে নয়। সেদিনের সহিংসতাগুলোর জন্য ‘প্রকৃত দায়ী’ মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে চার চারটি পুলিশি মামলাকে অন্যায় ও অবিচার বলেই বিবেচনা করা হবে।   ধর্মনিরপেক্ষতা এবং ধর্মবিরোধিতাকে সরকার ও প্রধানমন্ত্রী তালগোল পাকিয়ে ফেলেছেন। বাংলাদেশের ইসলামবিরোধী তৎপরতার প্রতিবাদে গত শুক্রবার কলকাতাতেও একটা সমাবেশ হয়েছে। সেদিন কলকাতার কলম পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠায় একটা প্রতিবেদন ফলাও করে প্রকাশ করা হয়েছে। সেখ ইবাদুল ইসলামের লেখা প্রতিবেদনটির শিরোনাম ছিল : ‘মমতার কাছে গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার পাঠ নিক হাসিনা’।   সরকারের অদ্ভুত যুক্তি  অদ্ভুত যুক্তি সরকারের। দু-তিনটা লোক আল্লাহ রাসুল আর ইসলামের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করে দেশের ৯০ শতাংশ মুসলিম নাগরিকের ধর্মীয় অনুভূতিতে জঘন্যতম আঘাত হেনেছে। সরকার সেটাকে অন্যায় বলে দেখছে না। অন্যদিকে সে অপকর্মের বিবরণ প্রকাশ করার ‘দায়ে’ আমার দেশ পত্রিকার বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে উন্মাদ হয়ে উঠেছে সরকার। এতে করে পরোক্ষে এ সরকার দেশের গরিষ্ঠ অংশের বিরুদ্ধে যুদ্ধই ঘোষণা করেছে। যে দু-তিনটা লোক তাদের ব্লগে এমন জঘন্য অপরাধ করেছে, তাদের পরিবর্তে দেশবাসীর প্রিয় ১২টি ব্লগ সরকার বন্ধ করে দিয়েছে। সবচেয়ে অন্যায় হয়েছে সোনার বাংলাদেশ ব্লগটি বন্ধ করা।   দেশের মিডিয়ায় কী বলা হচ্ছে, সেগুলো এই ব্লগে প্রতিদিন প্রচারিত হতো। সরকার সমর্থক পত্রিকাগুলোতে প্রকাশিত বিভিন্ন কট্টর আওয়ামী লীগপন্থীর কলাম যেমন প্রকাশিত হতো, সরকারের সমালোচনামূলক কলামগুলোও তেমনি এই ব্লগে অন্তর্ভুক্ত থাকত।  সব পত্রিকা কেনার সামর্থ্য এ সরকারের কল্যাণে বাংলাদেশে কম লোকেরই আছে। সব পত্রিকায় প্রকাশিত মতামতের নির্যাস তুলে ধরে সোনার বাংলাদেশ ব্লগ অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ও মূল্যবান সেবা দিচ্ছিল। সেজন্যই বাংলাদেশে তো বটেই, ইউরোপ আমেরিকায় প্রবাসী বাংলাদেশীদের মধ্যে এই ব্লগ প্রায় সর্বজনীন জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল। শেখ হাসিনার সরকার দেশবাসীর গণতান্ত্রিক অভিমত কোনোদিনই গ্রাহ্য করেনি। প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত বিদ্বেষ ও প্রতিহিংসা বাসনা এই সরকারের প্রধান চালিকাশক্তি। তার ঘনিষ্ঠ একটা ক্ষুদ্র কোটারি অবশিষ্ট নীতিগুলো পরিচালনা করে। সরকার ধরেই নিয়েছে যে তাদের পক্ষের কলামিস্টদের মতামত দেশের মানুষ বিশ্বাস করে না, তারা বিশ্বাস করে ভিন্নপন্থী কলাম লেখকদের বক্তব্য। সোনার বাংলা ব্লগ বন্ধ করে দেয়ার এই হচ্ছে কারণ।   আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি মন্ত্রিসভায়, সংসদে এবং সাধারণভাবেই আওয়ামী লীগে বহু মোমিন মুসলমান আছেন। কেউ কেউ আমাকে প্রশ্ন করেছেন, তাঁরা নীরব কেন? এই নীরবতারও তাৎপর্যপূর্ণ কারণ আছে।   শেখ হাসিনা বিগত সাধারণ নির্বাচনের আগে ঘোষণা করেছিলেন যে মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের সম্পদের বিবরণ নিয়মিত প্রকাশিত হবে। অন্য সব প্রতিশ্র“তির মতো এই প্রতিশ্র“তিটিকেও গিলে খাওয়া হয়েছে। পরিবর্তে মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যরা এখন সে বিবরণ জমা দেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে, ব্যক্তিগতভাবে। সবাই জানে, দুর্নীতি এ সরকারের রন্ধ্রে রন্ধ্রে পরিব্যাপ্ত হয়ে আছে। মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের কেউ প্রধানমন্ত্রীর সামান্যতম সমালোচনা করলেই তার দুর্নীতির বিবরণ ফাঁস করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী সমালোচকের রাজনৈতিক জীবনের ওপর ইতি টেনে দেবেন। এ ভয়েই আওয়ামী লীগের ভেতর থেকে সরকারের ইসলামবিরোধী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে টু-শব্দটি হচ্ছে না।  শাহবাগ সমাবেশ ও রিমোট কন্ট্রোল নিয়ন্ত্রণ  আগেই বলেছি, জনসাধারণের অভিমত নয়—সরকার নিজস্ব কোটারিটির বক্তব্যকে দেশবাসীর অভিমত বলে চালিয়ে দিচ্ছে। শাহবাগে যে সমাবেশ হয়েছে, তার জনসমষ্টি দেশের জনসংখ্যার এক শতাংশের অতি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অংশ মাত্র।   এবং কারও মনেই সন্দেহ নেই যে সরকারের অনুপ্রেরণাতেই এই সমাবেশ হয়েছে। তারা তোতাপাখির মতো সরকারের বিদ্বেষ ও আক্রোশগুলোর প্রতিফলন করছে এবং সেটাকেই সরকার দেশবাসীর অভিমত বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে। সরকারের গঠিত ট্রাইব্যুনাল এবং সরকারের পছন্দের বিচারকরা কাদের মোল্লাকে ফাঁসি দেননি, যদিও সরকারের সবচাইতে শক্তিশালী অংশ অভিযুক্তদের সবাইকে ফাঁসি দিয়ে তাদের প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে চায়।  শাহবাগের সমাবেশ তাই গড্ডলিকার মতো ফাঁসি চাই ফাঁসি চাই বলে চিৎকার করছে। শেখ হাসিনা দেশে বাকশালি পদ্ধতি ফিরিয়ে আনতে চান। সেজন্য তাঁকে আরেক দফা গদি পেতে হবে। কিন্তু তাঁর পথের একটা কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে জামায়াত ও শিবির। রাজনৈতিক কিংবা আদর্শিক পন্থায় তাদের মোকাবিলা করা হাসিনা ও আওয়ামী লীগের পক্ষে সম্ভব নয়। এ মুহূর্তে একটা গণভোট কিংবা নির্বাচন হলে একমাত্র জামায়াত-শিবিরই আওয়ামী লীগকে পরাস্ত করতে পারবে। তাই তাদের নিষিদ্ধ করা সরকারের আন্তরিক বাসনা। একই সঙ্গে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের সরকার আর বিশ্বাস করে না। সুতরাং ধর্মীয় রাজনীতিও তারা নিষিদ্ধ করতে চায়। রিমোট কন্ট্রোলে সরকার পরিচালিত শাহবাগ সমাবেশ থেকে মুহুর্মুহু দাবি ওঠে : শিবির ধরো জবাই করো, জামায়াত ও সকল ধর্মীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ করো। সরকার একবারও বিবেচনায় নেয় না যে ভারতসহ বহু দেশেই ধর্মীয় রাজনীতি চালু আছে।  কাদের সিদ্দিকী রাজাকার?   কাদের সিদ্দিকী বীর মুক্তিযোদ্ধা। একাত্তরে তাঁর ভূমিকা কিংবদন্তিতে পরিণত হয়েছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর পিতা শেখ মুজিবুর রহমানও মুক্তিযুদ্ধে তাঁর ভূমিকার স্বীকৃতি দিয়েছেন, তাঁকে সম্মান ও সম্মাননা দিয়েছেন। কিন্তু কাদের সিদ্দিকী তার কলামগুলোতে সরকার ও প্রধানমন্ত্রীর কিছু কিছু সমালোচনা করেছেন। অতএব শাহবাগে জিগির উঠেছে কাদের সিদ্দিকীকে রাজাকার বলে ঘোষণা করতে হবে। হয়তো তা-ই করা হবে এবং তাহলে যুদ্ধাপরাধের জন্য তার বিরুদ্ধেও সরকারের ট্রাইব্যুনালে মামলা হতে পারে!   সারা বিশ্বে খুব অল্পসংখ্যক দেশেই এখনও প্রাণদ- চালু আছে। এমনকি বহু আফ্রিকান দেশেও এখন প্রাণদ- পরিত্যক্ত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন ব্যক্তিদের প্রাণদ- না দিতে বাংলাদেশ সরকারকে বার বার অনুরোধ করেছে। মাত্র সেদিন ব্রিটিশ মন্ত্রী ব্যারোনেস ওয়ার্সি ঢাকাতেই বলে গেছেন যে, ব্রিটেন প্রাণদ-ে বিশ্বাস করে না। বাংলাদেশেও সম্ভবত গরিষ্ঠসংখ্যক মানুষ কাদের মোল্লা এবং অন্য অভিযুক্তদের ফাঁসি দেয়ার বিরুদ্ধে। কিন্তু পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি বলেন যে ফাঁসির দাবি বিশ্বজনীন। হয়তো বিশ্বজনীন কথাটার অর্থ তিনি জানেন না, নয়তো শাহবাগকেই তিনি বিশ্ব বলে মনে করেন। তথ্যমন্ত্রী (যাঁর দলের ৪০ হাজার সদস্য ও সমর্থককে মুজিবের আওয়ামী লীগ সরকার খুন করেছিল) হাসানুল হক ইনু জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার যুক্তি হিসেবে বলেন যে শাহবাগ সম্মেলনে সে দাবি করা হয়েছে।   সরকারের বহু কাজ এবং প্রায় সব কথারই কোনো যৌক্তিকতা খুঁজে পাওয়া কঠিন। যতই তারা জনসমর্থন হারাচ্ছে এবং দেশ যতই তাদের বিপক্ষে চলে যাচ্ছে, ততই তাদের আচরণ উন্মাদের মতো মনে হচ্ছে এবং আমাদের ধর্মীয় সংস্কৃতিতে বলা হয়েছে, আল্লাহ যাদের ধ্বংস করতে চান তাদের আগে উন্মাদ করে দেন। বাংলাদেশের মানুষকে ধৈর্য ধরতে হবে। নিষ্ক্রিয় বিএনপি যদি তাদের হুমকিমত সত্যি সত্যি আন্দোলনে নামে, তাহলে এ সরকারকে উৎখাত করা কঠিন কাজ নয়।

Loading


মন্তব্য দেখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *