জ্বীন সত্য এবং বাংলাদেশে এর প্রমাণ আছে।

হুমায়ুন আহমেদ হিমুর গল্প লিখতেন, আমি লিখবো জ্বীনের গল্প। জ্বীন সত্য এবং বাংলাদেশে এর প্রমাণ আছে। দুর্ঘটনা ঘটামাত্র তথ্যবাবা নামক এক জ্বীনের আর্বিভাব হয়, যে নাকি, অদৃশ্য ইলেকট্রোনিক বার্তা পাঠিয়ে আসমানী মন্তব্য করে। ধরে নিবো সে সত্যিই একটা আসমানী জ্বীন, দূরত্ব ১২ হাজার মাইল লম্বা। জ্বীনের মতোই মুহূর্তে অশরীরি এবং শরীরি হওয়ার প্রমাণ। হঠাৎ উদয় হয়, হোটেল রেডিসনে বক্তব্য রাখে, সঙ্গে থাকে জ্বীনের বাচ্চাকাচ্চা, হঠাৎ তিন মাসের জন্য উধাও। আসলেই সে কে, কেউ জানে না, মিডিয়াও জানে না, এমনকি পরিবারও না। জ্বীনবাবার সঙ্গে রয়েছে বিভিন্ন জাতির জ্বীন, যেমন, ইহুদি, খৃস্টানসহ নানান দেশের নাস্তিক, আস্তিকেরা। তার বিরুদ্ধে লতিফ সিদ্দিকির অভিযোগুলো কখনোই আদালতে যায়নি। কিন্তু একথাও সত্য, জ্বীনবাবার তরফ থেকে হামেশাই অর্থ হ্যাক, নিয়মে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের সুইফ্‌ট কোড ভারতের হাতে থাকার পরেও, জ্বীনবাবার তরফ থেকে এখন পর্যন্ত বিএনপিকে দায়ী করে কোন মন্তব্য আসেনি। অপেক্ষা করছি ফেইসবুকে কখন জ্বীনবাবার মন্তব্য আসবে এবং প্রতিটি পত্রিকায় এইমর্মে স্বর্ণাক্ষরে ছাপা হবে, আমার কাছে তথ্য আছে, অর্থ পাচারের জন্য দায়ী বিএনপি-জামায়েত। ওদেরকে নিষিদ্ধ করা হবে। পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেয়া হবে। ৩ হাজার সন পর্যন্ত আমরাই ক্ষমতায় থাকবো। এজন্য দিল্লির পরে আমরা আসমানের অধিনায়কদের সঙ্গেও বন্দোবস্ত করে ফেলেছি।


বাংলাদেশ না হয় পুরুষশূন্য হয়েছে, শিক্ষককেরা না হয় বাংলা মাল খেয়ে, দ্বীন-ই-মুজিবে গড়াগড়ি খাচ্ছে কিন্তু খালেদা জিয়া আজব্দি সর্ববৃহৎ বিরোধিদলের চেয়ারম্যান সত্ত্বেও অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে অবৈধ প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেননি কেন? তিনি কি রাজনীতি থেকে নির্বাসিত? হলে, সরাসরি বলে দেন। অবৈধ প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি না করায় আমজনতার মঞ্চ তাকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করালো। এমন এক মহাসচিব, বক্তব্য শুনলে ঘুম আসে। এরাই দেশের সর্বনাশ আরো ত্বরান্বিত করছে। খালেদা জিয়ার শিক্ষা এখনো হলো না, সম্ভাবনাও নেই। অর্থ পাচারের যে ঘটনা, এমনকি ভারতে হলেও অনেক মন্ত্রীকে পদত্যাগে বাধ্য করা হতো। রেল দুর্ঘটনার জন্য ভারতের রেলমন্ত্রী পদত্যাগ করেছিলো। নাইটক্লাবে আগুন লাগার জন্য ইউরোপের এক মন্ত্রী স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছিলো। আমাদের মন্ত্রীগুলো লজ্জা-শরমের মাথা খেয়ে উম্মাদ আফ্রিকানদেরকেও হার মানিয়েছে। কখনো কখনো উম্মাদ আফ্রিকানরাও অধিক সভ্য। এসবই ১/১১ এবং ৫ জানুয়ারির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। যে অব্দি বৈধ সরকার না আসবে, ক্যান্সার কোথাও যাচ্ছে না। ফ্যাসিস্ট এবং অবৈধ সরকার ক্ষমতা দখলে রাখায় যেসকল ঘটনা ঘটছে, এমনকি পার্শ্ববর্তী ভারত, পাকিস্তান, মায়ানমারেও নেই। উদাহরণস্বরূপ:-
১) বিশ্বব্যাংকের পদ্মাসেতু বাতিল হাসিনার প্রতিশোধ স্পৃহার একটি ঐতিহাসিক দৃষ্টান্ত। এটি একটি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রও।
২) যখনই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে, ধ্বংস হয়ে যায় শেয়ারবাজার।
৩) জিএসপি বাতিলের জন্য ১০০ ভাগ দায়ী হাসিনার অদম্য প্রতিশোধ স্পৃহা।
৪) মালয়েশিয়ার তরফ থেকে শ্রমিক নেয়া বাতিলের জন্য দায়ী, যুবসমাজের মধ্যে নৈতিক স্খলনের নগ্ন বর্হিপ্রকাশ ।
৫) আমিরাতসহ সৌদিতে শ্রমিক নেয়া বন্ধের কারণও তাই।
৬) মধ্যপ্রাচ্যে বাঙালিদের মধ্যে অপরাধের ঘটনা রেকর্ড করেছে আওয়ামী সরকারের আমলে এবং এর কারণও তাই।
৭) আমিরাতে সব ধরনের ভিসা বন্ধের জন্য দায়ী অবৈধ সরকারের কর্তৃত্বপরায়ন শক্তি প্রদর্শন যার অন্যতম, ভেটো পাওয়ার রাশিয়াকে হাতে রাখতে, আমিরাতকে বাদ দিয়ে রাশিয়ার পক্ষে লবি।
৮) সৌদিতে সব ধরনের ভিসার কড়াকাড়ির মূলে বাংলাদেশিদের নৈতিক স্খলন, যা ৭ বছরে রেকর্ড ছাড়িয়েছে।
৯) বাংলাদেশ থেকে গার্মেন্টস এবং মাছ না নেওয়ার বিলে ওবামার সই, গোটা শিল্পকে ধ্বংস করে দেবে।
১০) টিপিপি থেকে বাংলাদেশকে বাদ দিয়ে আমেরিকার সই, গার্মেন্টস শিল্পকে ধ্বংস করবে।
১১) হাসিনার বিদেশ ভ্রমণে অলিখিত নিষেধাজ্ঞা (জাতিসংঘ একটি নিরপেক্ষ অঞ্চল বিধায় ওটাকে আমেরিকা সফর বলে গণ্য হবে না। ওখানে আমন্ত্রিতরা আমেরিকার অতিথি নয়)।
১২) কার্গোর বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ার নিষেধাজ্ঞা।
১৩) যুক্তরাজ্যেরও নিষেধাজ্ঞা।
১৪) প্রস্থত হচ্ছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, পোশাক শিল্পে নিষেধাজ্ঞার প্রস্থতি চলছে।
১৫) যুক্তরাজ্যে বিমান নিষিদ্ধের প্রক্রিয়া চলছে, এই মর্মে হাসিনাকে চিঠি।
১৬) দেশে-বিদেশে হ্যাকারদের পিলে চমকানো তৎপরতা।
১৭) বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞায় গার্মেন্টেসের উপর নেতিবাচক প্রভাবে কারখানা বন্ধের ধুম।
১৮) আইনহীনতার কারণে অর্থ পাচারের ধুম। ৭ বছরে ৮৬ হাজার কোটি টাকা পাচার, খবর মানবজমিন ১২ ডিসেম্বর।
১৯) বিশ্বব্যাংকসহ বিভিন্ন প্রকল্পে অর্থদানকারীদের ঋণ প্রত্যাহার।
২০) শাহজালালে ব্যাপক অনিরাপত্তার কারণে বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট প্রত্যাহার, কেউ কেউ সংকোচন। ভিভিআইপি ফ্লাইটে দলবলসহ রাজকীয় সফরে জাতিসংঘে আসে এবং যায় কিন্তু কেনেডি বিমানবন্দরে ৭ বছরেও বাংলাদেশ বিমানটি নামলো না। যতোদিন পর্যন্ত অবৈধ সরকার ক্ষমতায় থাকবে, সম্ভাবনাও নেই। কারণ এরা বেছে নিয়েছে, অনিয়ম এবং দুর্নীতি। এক শাহজালালেই যে পরিমাণ অনিরাপত্তা, ইতোমধ্যেই বিদেশিরা নিরাপত্তার অর্ধেক দখল নিয়ে নিয়েছে, তারপরেও নিরাপত্তাজনিত যেসকল নিষেধাজ্ঞা, অদূর ভবিষ্যতে দারুন সংকটের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে বিমান বাংলাদেশ।
২১) অবৈধ সরকার ক্ষমতায় থাকলে, আরো অনেক নিষেধাজ্ঞা আসবে কারণ ভারতের মতো দেশগুলো ছাড়া, এদের প্রতি সভ্য দেশগুলোর রুচি নেই।

ক্রিকেট খেলাটি প্রকৃত অর্থেই কৃত্রিম উত্তেজনা সৃষ্টির হাতিয়ার। প্রতিবারই অবৈধ সরকারের নেতিবাচক ভাবমূর্তি উদ্ধারে টাইগারদের ব্যবহার এখন আর লুকিয়ে রাখা যাচ্ছে না। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিজয়ে হাসিনার কান্না এবং ফ্ল্যাগ নাড়িয়ে পাবলিক উত্তপ্ত করা…। একদিকে ইমরান সরকার, আরেকদিকে টাইগার, দুই দিকেই উত্তেজনা ছড়িয়ে, দুঃসংবাদের বিরুধে প্রোপাগান্ডা কার্যক্রম। ২৫ ফেব্রুয়ারিতে বিডিআর হত্যা দিবস, কিন্তু ২৪ তারিখে শুরু হলো খেলা। রানাপ্লাজা, সাগর-রুনি, ৭ মার্ডার ধরনের দিবসগুলোর আগে শুরু হয়ে যায় টাইগারদের খেলা। বাংলাদেশ তখন নিহতদের কথা ভুলে গিয়ে আফ্রিকানদের মতো উম্মাদ হয়ে গর্জন করতে থাকে।

যেহেতু খোলামেলাই ৫ জানুয়ারির দায়িত্ব নিলো ভারত, যা বলার ভারতকেই বলা উচিত। আমাদের কোনকিছুই রাষ্ট্রযন্ত্রের হাতে নেই। আগেও লিখেছি, জামায়েতের প্রতিটি শীর্ষ নেতারাই ফাঁসি হবে, ১ম কিস্তি শেষ হলে ২য়, ৩য় কিস্তিকে ধরা হবে। এইসকল কার্যক্রম সরাসরি পরিচালনা করছে দিল্লি।
মীর কাশেমের ফাঁসি হবে কি হবে না, সেই সিদ্ধান্ত জানার জন্য মাহমুদ আলী দিল্লিতে গিয়েছিলেন বলে খবরে প্রকাশ। জামায়েত যদি ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে তৎপর না হয়, নির্বিচারে ফাঁসি হতে থাকবে। দলের উচিত, দ্রুত সক্রিয় হয়ে কেন্দ্র থেকে অবিচারের বিরুদ্ধে মোদিকে চিঠি পাঠিয়ে সতর্ক করা। কোন গণতান্ত্রিক দেশেই এতো নগ্নভাবে দিল্লির মতো হস্তক্ষেপের দৃষ্টান্ত এই শতাব্দিতে নেই। আমরা কি দিল্লির নীতিনির্ধারণে কোন সিদ্ধান্ত দিতে পারি? বাস্তব যে, বিএনপির মেরুদন্ড জামায়েত। এখন সম্পর্ক শীতল হওয়ায় এবং মেরুদন্ড দুর্বল হওয়ায় বিএনপির অবস্থা যা-তা। অর্থাৎ দল হিসেবে জামায়েতের সদস্য সংখ্যা কম হলেও, গুরুত্ব অনেক বেশি। এই লেখার মাধ্যমে আমি কোন দলকে সমর্থন করছি না বরং ফ্যাস্টিস্ট দলের বিরুদ্ধে আমার ক্ষোভ প্রকাশ করছি।
এই দেশ যখন সিরিয়ার মতো হবে, অনেক দেরি হয়ে যাবে। গৃহযুদ্ধ বাধানোর পায়তারা চলছে সরকারের সর্বোচ্চ মহল থেকে। একবার গৃহযুদ্ধ বেধে গেলে, হাসিনার পাশে ঝাপিয়ে পড়বে রাশিয়া, চীন, ভারত এবং জাপান। খালেদার উপর ভরসা না করে জামায়েতের উচিত, দল বাঁচাতে যা প্রয়োজন, করা। সবার আগে মোদিকে সতর্ক করে চিঠি পাঠানো।

জার্মানিতে বেছে বেছে ইহুদি হত্যার কথা সকলেই জানে। অখন্ড ভারতে লর্ড ক্লাইভদের উপনিবেশের কথাও জানে। বাংলাদেশে একই সঙ্গে চলছে দুটোই। ফলে প্রতিদিনই খবরের কাগজগুলোর চেহারা ২য় বিশ্বযুদ্ধের জার্মানি আর ৪৬ সনে কোলকাতা থেকে নোয়াখালি পর্যন্ত হিন্দু-মুসলমানের দাঙ্গার মতো। বৈধ সরকার না আসা পর্যন্ত হিটলারের চেম্বার আর অখন্ড ভারতে দাঙ্গার দৃষ্টান্ত বন্ধ হবে না। বাংলাদেশের মতো দেশের পক্ষে একই সঙ্গে ২য় বিশ্বযুদ্ধের জার্মানি এবং অখন্ড ভারতের দৃষ্টান্ত ধারন করা সম্ভব না।

বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা কিভাবে চুরি হয়েছে, বোঝার জন্য বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন নেই। ফেডারেল ব্যাংকের ইতিহাসে অর্থ পাচারের ঘটনা এটাই প্রথম। হাসিনা সরকারের দ্রুত পতন না হলে, এই ধরনের ইতিহাস আরো সৃষ্টি হবে। এর কারণ, যে নাকি নিয়ম না মেনে ক্ষমতা দখল করেছে, তার সরকারের কোন নিয়মই কেউ গ্রাহ্য করবে না। সেই দৃষ্টান্ত আমরা ৭ বছর ধরে দেখেও ক্লান্ত হইনি। শুরু হয়েছিলো সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের কোষাগার লুটপাট দিয়ে, এরপর থেকে অব্যাহত রয়েছে কোষাগার লুটপাট।
ফেডারেল রিজার্ভ বলে দিলো, টাকা নিয়ম মেনেই হস্তান্তর হয়েছে। যে কোন মূর্খও বলবে, কিভাবে হয়েছে। অর্থাৎ আমানতকারীর অনুমতি ছাড়া অর্থ কখনোই ছাড় হয় না কারণ, আমনতকারীর পাসওয়ার্ড এবং নিরাপত্তাজনিত কোড শুধুমাত্র তারাই জানে। এই ক্ষেত্রে কয়েক স্তরের পাসওয়ার্ড এবং নিরাপত্তা কোড রয়েছে। সুতরাং লুটপাট কে করেছে, মুহিত জানে। মুহিতের আছে দুটি অর্থ মন্ত্রণালয়। একটির অধিনায়ক গভর্ণর আতিয়ার রহমান, অন্যটির অধিনায়ক, শেখ হাসিনা। যে পর্যন্ত না অবৈধ সরকারের পতন হবে, অর্থ লুটপাটের মহোৎসব আরো বাড়বে কেন, আমজনতা জানে।
সুন্দরবন, সার্বভৌমত্ব, যোগাযোগ ব্যবস্থা, বিচার ব্যবস্থা, সব খেয়েছে ভারত, এবার চোখ প্রবাসীদের ২৯ বিলিয়ন ডলারের রিজার্ভের উপর। হাসিনা সরকারের পতন না হলে ওই রিজার্ভও একদিন শেয়ার মার্কেটের মতোই উধাও হয়ে যাবে। কারণ, অর্থনীতিতে যে বিরাট ধ্বস, সকাল-বিকাল উন্নতির ৪তলা পদ্মাসেতু আর চট্টাগ্রামে ৮তলা হাইওয়ে দিয়ে ঢাকা যাবে না। একটা দুঃসংবাদ ধামাচাপা দিতে আরেকটা দুঃসংবাদ এখন নিয়ম। অর্থ পাচারের খবর আগের মতোই ধামাচাপা পড়ে গেছে। বিষয়টি এমন, দেশ গোল্লায় যাক, উন্নতির ৮ তলা হাইওয়ে আর কর্ণফুলি নদীর তলে বিশ্বমানের প্রকল্পগুলো অব্যাহত থাকবে। ৮তলা হাইওয়ের অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু করে দিয়েছেন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

Loading


মন্তব্য দেখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *