জামাতের সাথে সখ্যতার জন্যই কি ক্ষমতাসীনদের দ্বারা খুন হলেন সৌদি কূটনীতিক খালাফ?

 

ঢাকার গুলশানে গত ৫ই মার্চ দিবাগত রাতে সৌদি কূটনীতিক খালাফ বিন মোহাম্মাদ আল-আলী অজ্ঞাত আতাতয়ীদের হাতে নিহত হন। এখন পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। তবে এই নিয়ে এখন একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হয়েছিল গত বছর সৌদিতে ৮ বাংলাদেশীর শিরচ্ছেদ, ভারত-বাংলাদেশীদের কর্মসংস্থান নিয়ে দ্বন্দ এবং সর্বপরি ইরানী গুপ্তচর দ্বারা এই হত্যাকান্ড। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে ঘটনা ভিন্ন হওয়ার সম্ভাবনা জোরাল যদিও তা পেশাদার খুনীর কাজ। মহাজোট সরকার আসার পর যখন ২০১০ সালে যুদ্ধাপরাধ ও পরে মানবতা বিরোধী অপরাধ বিচারের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক আদালতের কার্যক্রম এবং জামাতকে নিষিদ্ধ করার জন্য তৎপড়তা দেখা যায়। বিশেষ করে জামাতকে বাংলাদেশের রাজনীতি হতে নিষিদ্ধ করা নিয়ে সেই দলে যথেষ্ঠ দূঃশ্চিন্তার কারণ দেখা দেয়। তাই জামাতের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ যারা এখন দলের হাল ধরে আছেন তাদের সাথে সৌদি আরবের সাথে আরো ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি পায়। তথ্য বেড়িয়ে যে এই সৌদি কর্মকর্তা খালাফ জামাত সহ বিএনপি নেতৃবৃন্দের সাথেও নিয়মিত যোগাযোগ করতেন। এই দুই দলের কোন কোন নেতাদের বাসায়ও নিয়মিত যেতেন। মজার কথা হল তাকে রাস্তায় হত্যা করা হয়নি। বরং ঐ দিন রাতে খালাফ জামাতের একজন নেতার বাসা হতে বেড়িয়ে আসার পর ক্ষমতাসীন দলের ঘাতক দল তাকে অপহরণ করে জোর পূর্বক গাড়ীতে তুলে নেয়। মহাজোট সরকার আসার পরে ঢাকার বেশ কয়েকটি বাসাকে দলের সন্ত্রাসী ও ঘাতক দলের ঘাটি হিসেবে গড়ে তোলা হয়। খালাফকে অপহরণ করে কোন একটি ঘাটিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাকে হত্যা করা হয়। তারপর গাড়ীতে করেই খালাফের লাশ গুলশানের সেই রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়। যেখানে তার লাশ পাওয়া যায় সেখানে কোন রক্তের দাগ ছিল না। এখন ঢাকায় আগত সৌদি তদন্ত দল যেভাবে দেশে বিদেশে তাদের সহায়তাকারী বিভিন্ন মহল ও ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের তদন্ত করছে যদি উপরোক্ত ঘটনা সত্যি হয় তবে দুই দেশের সম্পর্ক মারাত্নক ক্ষতিগ্রস্থ হবে। এতে করে সৌদিতে ২০ লক্ষেরও বেশী বাংলাদেশীর কর্মসংস্থানের ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে যাবে।

http://www.weeklyblitz.net/2223/saudi-diplomat-murder-mystery-exposed

***********************

ঘটনা তাইলে বলা যায় সাংঘাতিক! সাগর ও রুনীর রহস্যময় হত্যাকান্ড যদিও এই হাসিনার মহাজোট আমলে সুরাহা না হয় সৌদিরা তাদের দেশী খালাফের হত্যাকান্ড এমনি এমনি যেতে দিবে না। সেই ১৯৭৬ সাল হতে তিলে তিলে যাওয়া বাংলাদেশীরা সৌদি হতে আনুমানিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রতি বছর পাঠায়। এখন যদি এই নিয়ে কোন প্রকার বিঘ্ন ঘটে তাহলে পরিণামটা কি হবে? এমনিই গ্যাস-বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ সংকটে দেশের অর্থনীতি চরম বেসামাল। এখন ঘৃণ্য ও প্রতিহিংসার রাজনীতি যে দেশকে বিপর্যয়কর অবস্থায় ঠেলে দিতে পারে তা খালাফ আমাদের জন্য শুধু সৌদিতে নয় সারা বিশ্বের কাছে একটি কলংকজনক অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হবে!

Loading


Comments

জামাতের সাথে সখ্যতার জন্যই কি ক্ষমতাসীনদের দ্বারা খুন হলেন সৌদি কূটনীতিক খালাফ? — 7 Comments

  1. আপনার উল্লেখিত ঘটনা স্রেফ যে গুজব নয় তার কি প্রমাণ আছে! আপনার উল্লেখিত রেফারেন্স সন্দেহমুক্ত নয়। বিষয়টি নিয়ে যেহেতু তদন্ত চলছে সেহেতু এই নিয়ে কিছু না বলে চুপ থাকা উচিত। ধন্যবাদ।

    • ভাই আপনারা যে দেশে থেকে স্বাধীন ভাবে মন্তব্য করতে পারেন না তা জানি! কিন্তু এখন ব্লিটজ থেকে যা বুঝেছি দেহের ঐ নির্দিষ্ট স্থানে গুলি করতে রাস্তায় এভাবে করা যায় না। তাকে অপহরণের পরেই হত্যা করা হয়।

  2. ঘটনা যদি তাই হয়, তবে এটা অত্যন্ত লজ্জাষ্কর! ইদানীং তো আ’লীগের একটি পক্ষকে জামাতকে নিষিদ্ধ করার জন্য বেশ তোড়জোড় করতে দেখা যাচ্ছে।

    • বিষয়টি অপ্রাসঙ্গিক হলেও বলছি- আমার সন্দেহ হয় যে, তারা সত্যিকার অর্থে ইসলামী সমাজ কায়েমের জন্য কি রাজনীতি করছে! আমার মনে হয় তারা ইসলামকে সাইন বোর্ড বানিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করার মতলবে রাজনীতি করে যাচ্ছে। নতুন নাস্তিক এবং এন্টি ইসলামীরা যে ভাবে ইসলামকে আঘাত করছে সেখানে জামাতিদের কাউকে প্রতিবাদ করতে দেখা যায় না। ফেসবুকের কল্যাণে দেখা যায় যে তারা রাজনৈতিক প্রচার অপপ্রচার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে থাকতে। তাদের কতজন ফেসবুকের ফ্রেন্ড লিস্টে থাকার কারণে আমাকে প্রায় নসিয়ত করেন – আমি যেন ইসলামের নামে গল্প লেখে তা বেচে না খেয়ে সরকার বিরুধী লেখা লেখে ইসলামের দায়িত্ব পালন করি। শেষ পর্যন্ত তারা আমাকে তাদের পক্ষে রাজী না করাতে পেরে আমাকে গালী দিতেও দ্বিধা করেনা। এই যদি হয় জামাতের আসল উদ্দেশ্য তাহলে এমন ইসলামের নাম ভাংগিয়ে দল বাংলাদেশে না থাকাই ভাল বলে মনে করি। ধন্যবাদ।

      • সোনার-বাংলা ব্লগে এক সময় এক নাস্তিক তাদেরকে আক্রমণ করলে আমি প্রতিহত করতে যাই। কিন্তু এডমিন আমাকেই উলটো warning দিয়ে দেয়, আমি নাকি তাদের নীতি ভাঙ্গছিলাম! তাদের অস্তিত্ব যেহেতু দলীয় এবং দলে অনেক ধরণের লোক থাকে, এটাও একটাও কারণ হতে পারে। তারা ইসলাম বেশী বুঝে –এমন ধরণের এহসাসও লক্ষ্য করা যেতে পারে।
        তবে ইসলামকে ভাঙ্গিয়ে খাচ্ছে –এমনটা মনে করিনা। systematic রাজনীতি করছে –এটাই তাদের strength. গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে দলের প্রয়োজন, যোগ্যতাসম্পন্ন MP candidate তৈরির প্রয়োজন, এই বিষয়টি তারা বুঝে এবং তারা বিগত কয়েক দশকে রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। কিন্তু ইসলামী বৈশিষ্ট্যে ক্ষমতার সবচেয়ে বড় দুশমন ‘দুনিয়াদারী’, দুনিয়ার লিপ্সা। বিগত জোট সরকারে তাদেরকে দুনিয়াদার হিসেবে দেখা গিয়েছে। আমার কথা generalised হয়ে যাচ্ছে –এভাবে বলা ঠিক নয়। আমি সবার অবস্থা জানিনা। তবে এই পর্যায় থেকে তারা যদি কোন শিক্ষা নিয়ে থাকে তবে আগামীতে আখেরাতমুখী হবে। তাদের অনেক মুদ্রা দোষ আছে যেগুলো আলোচনা করতে হলে অন্যদের দোষ/গুণও সামনে আনতে হয়, না হলে এক তরফা হয়ে যায়। আর আমার শ্লোগান যেহেতু ‘যে কোন মূল্যে সবাইকে মিলেমিশে কাজ করতে হবে’ তাই কথাবার্তায় একটু কেয়ারফুল থাকতে হয়।

      • @ মুনিম ভাই, আপনি যদি শাওন এমপির গাড়ীতে ইব্রাহিম খুন, মেয়র লোকমান খুন এবং সাগর-রুনীর হত্যাকান্ডের দিকে তাকান তাহলে এই বিষয়টি উড়িয়ে দেওয়া যায় না। আলীগের দ্বারা এই কাজ হয়ে থাকলে দেশ ও জাতির কপালে র্দূভোগ আছে।

    • আলীগ এই কাজ করে থাকলে তা বাংলাদেশের জন্য খুবই আত্নঘাতী!

      ধন্যবাদ।

মন্তব্য দেখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *