জর্জ ফ্লয়েডের শেষ নিঃশ্বাস।

তিনি তার মাকে ডাকলেন মা মাগো, যিনি দু’বছর আগে এই দিনেই মারা গিয়েছিলেন।
হাতে হাতকড়া।
ফেস ডাউন
তার ঘাড়ে পুলিশের হাঁটু।
তারা কিছুই করেনি।
তিনি অফিসারকে “স্যার” বলে ডাকলেন।
তারা কিছুই করেনি।
তিনি তার জীবন ভিক্ষা চেয়েছিলেন।
তিনি ভিক্ষা চেয়েছিলেন একঢোক পানি।
তিনি রহমত প্রার্থনা করলেন।
তারা কিছুই করেনি।
তার নাকে রক্তপাত হলো।
তাঁর শরীর কাঁপলো।
সে তার মূত্রাশয়ের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে পেশাব করে দিলো।
তারা কিছুই করেনি।
তিনি চিৎকার করে বললেন, আমি শ্বাস নিতে পারছি না।
তারা কিছুই করেনি।
আরও বারো বার তিনি গুঙিয়ে কাঁদলেন।
আমি শ্বাস নিতে পারছি না।
আমি শ্বাস নিতে পারছি না।
আমি শ্বাস নিতে পারছি না।
আমি শ্বাস নিতে পারছি না।
আমি শ্বাস নিতে পারছি না।
আমি শ্বাস নিতে পারছি না।
আমি শ্বাস নিতে পারছি না।
আমি শ্বাস নিতে পারছি না।
আমি শ্বাস নিতে পারছি না।
আমি শ্বাস নিতে পারছি না।
আমি শ্বাস নিতে পারছি না।
তারা কিছুই করেনি।
আরো একবার শেষবার তিনি হাঁফ ছেড়ে বললেন, আমি শ্বাস নিতে পারি না।
তারা কিছুই করেনি।
সে চেতনা হারিয়েছে।
তারা কিছুই করেনি।
একজন দমকলকর্মী বললেন, তাঁর নাড়িটি পরীক্ষা করে দেখুন।
তারা কিছুই করেনি।
অফ ডিউটি ​​একজন মেডিকেল কর্মী পুলিশদের থামানোর জন্য অনুরোধ করলেন।
তারা কিছুই করেনি।
অক্সিজেন থেকে বঞ্চিত
চিৎকার করছে তার অঙ্গগুলি।
তার মস্তিষ্ক উগ্র হলো বাতাসের জন্যে
তারা কিছুই করেনি।
তারা জর্জ ফ্লয়েডকে মরতে দেখেছিল।
তার জীবন বিবর্ণ হয়ে গেলো।
ধীর মৃত্যু এলো।
তারা কিছুই করেনি।
মাটিতে চেপে রাখা হলো তাকে শক্ত হাটু দিয়ে।
পুলিশের হাত তার নিজ পকেটে ঢোকানো বাবু সাহেবের মতো।
তারা কিছুই করেনি।
আটটি যন্ত্রণাদায়ক মিনিট তাঁকে ঠেসে ধরলো
একজন শেতাঙ্গ ডেরেক।
চারজন অফিসার চুপচাপ দেখলো।
তারা কিছুই করেনি।
সে তার মায়ের জন্য চিৎকার করলো মা মা মাগো।
সে একজন বিশাল দেহী মানুষ।
যে নারীটি তাকে জীবন দিয়েছে তার জন্য
কাঁদতে চাইলো।
তিনি বুঝলেন, আর পথ নেই খোলা। মায়ের সাথে এখন হবে দেখা মৃত্যুর পথে।
এবং তখনও তারা কিছুই করেনি।
সে শুধু একজন কালো মানুষ।
ছোটখাটো দৈত্যের মতো বিশাল শরীর তার।
তিনি কালো বলে খুন হয়েছেন।
এবং তখনও, তারা কিছুই করেনি ..
যুগের পর যুগ এই জুলুম চলছে
সব কালোদের ওপরে।
এবং এখনও তারা কিছুই করেনি।
কৃষ্ণ হলেও তিনিও একজন মানুষ। কোন মানুষই অন্য মানুষের চেয়ে বেশি মানুষ নয়।
তবুও তারা কিছুই করেনি।
তাই সবাই এখন করতে চাইছে।
তাই সারা পৃথিবী এখন রাস্তায়।
Image may contain: 1 person, standing and outdoor

উড়ন্ত পাখি

About উড়ন্ত পাখি

আমি কোন লেখক বা সাংবাদিক নই। অর্ন্তজালে ঘুরে বেড়াই আর যখন যা ভাল লাগে তা সবার সাথে শেয়ার করতে চাই।

Comments are closed.