চিন্তা

বাড়ীর পাশের রাস্তা ধরে চলছি সেদিন রাতে,

হঠাৎ দেখি পূর্ণিমা চাঁদ চলছে আমার সাথে।

পথের ওপর ধূসর ছায়া করছিল সব খেলা,

বাঁশের ঝাড়ে ধূসর পাতা ধূসর সুখের মেলা।

খেকশিয়াল এক জানান দিল- রাত্রি গভীর বড়,

নিরব সবাই চতুর্দিকে নিদ্রা গভীরতর।

ঝিঁঝির ডাকে নিরবতার রূপের পেলাম দেখা,

আঁধার রাতের নিরব পথিক চলছি আমি একা।

চলছি যখন ভাবছি তখন, ভাবছি অনেক কিছু,

নানান রকম চিন্তাগুলো নিচ্ছিল সব পিছু।

জমাট বাঁধা চিন্তাগুলো কষ্ট হয়ে এসে

নয়নকোণে বিন্দু সেজে রিক্ত হয়ে শেষে

প্রশ্নবানের অগ্নিদাহ নির্বাপিত করে

মুক্ত হয়ে তপ্ত হৃদয় সিক্ত হয়ে ঝরে।

বন্দী আমি নিজের ভিতর, কষ্ট মাখা ক্লান্তি,

কোন সে পথে মুক্ত হব দূর করে সব ভ্রান্তি?

হাসছে হাসি অবিশ্বাসী সর্বনাশী চিন্তা,

যুক্তি নানা দিচ্ছে হানা যৌক্তিকতাহীন তা।

তাইতো এখন মুক্ত করে তীক্ষ্ণ করে দৃষ্টি,

খুঁজছি ফিরে যুক্তি ভীরে স্রষ্টা ও তাঁর সৃষ্টি।

চাঁদটা কেন অমন মধুর মিষ্টি আলো দিচ্ছে?

রাতটা কেন নিরব হয়ে ক্লান্তি মুছে নিচ্ছে?

তারাগুলো এমন কেন মিটিমিটি জ্বলছে

কক্ষপথে থাকছে কেন নিয়ম মেনে চলছে?

গাছগুলো কেন্ স্বার্থবিহীন সুবাস কেন দেয় সে?

ফুলে, ফলে, সবুজ পাতায় রঙিন কেন হয় সে?

জমিন কেন উর্বরা হয়, কেন সে দেয় শস্য?

কোন্ সে ঋনে বাধা সে যে, কোন্ খানে রহস্য?

মানুষ কেন ক্ষুধার্ত হয় তৃষ্ণা কেন পায় তার?

কে সে দিল এমন বিধান ভাবছি ফিরে বার বার।

এই তো তাঁকে পাচ্ছি খুজে সকল কিছুর স্রষ্টা,

সৃষ্টিতে তাঁর জ্ঞানের প্রকাশ তিনিই সকলদ্রষ্টা।

 কে কাপুরুষ?                   

সত্যকে যে বুঝতে পেরে নির্ভীক?

মুক্তধারার সীমাবদ্ধ চিন্তাশীলে ধিক্‌ ধিক্‌ ।

তোমরা বসে প্রলাপ বকো চিন্তাশীলের দল ঐ,

মহাবিশ্বের বিধানদাতার বিধান থাকবে নিশ্চয়ই।

তাঁর নিকটেই অবনত হই দেখেছি যে তাঁর সৃষ্টি,

তাঁর মহিমায় বিস্মিত আমি, প্রশান্ত মন-দৃষ্টি।

আবদুল্লাহ সাঈদ খান

ঢাকা, ২০০৭

সম্পাদনা: ১৫/০১/১৩

Loading


Comments

চিন্তা — 1 Comment

মন্তব্য দেখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *