জলপাই দানবেরা
কেড়ে নিয়েছে একটি চোখ
বেঁচে যাওয়া অক্ষত চোখ দিয়ে
শুধু দেখছে একটি অর্ধ কমলা,
একটি অর্ধ আপেল,
আর মায়ের মুখের অর্ধাংশ!
মাথার ভিতরে আটকে থাকা
সে বুলেটটিকে কখনও দেখে নাই,
যখন বিস্ফুরিত হয় মাথা
ব্যথা অনুভব করে—-
চেতনা হারিয়ে অচেতনের স্তরে গেলে
তার আবছা চেহারাটা ভেসে আসতো!!!
এক যোদ্ধা,
সাথে ভারী অস্ত্র
অস্থির দুটি হাত,
তার চোখ দুটিতে কিসের অন্বেষণ
বুঝতে পারেনা !!!!
আহা! বেচে যাওয়া চোখটিও যদি বুলেটটি কেড়ে নিত!
পুরো অন্ধ হলে, নিশ্চয় সব পরিষ্কার
দেখতে পেত!!!!!!!!!!
আহা! মানুষের যদি
এক জোড়া অতিরিক্ত চোখ থাকতো
তাহলে হয়তো ধার দিতে পারতো!
আগামী জন্ম দিনে
আনকোরা কাঁচের চোখ পাবে
হয়তো বদ্ধ দৃষ্টিতে দেখবে
গোলাকৃতি ও মোটাকৃতি
মধ্যবর্তী সবগুলো মার্বেল!!!!
শুনেছে তাঁর মত যুদ্ধে ন’মাস বয়সী এক শিশু
সেও হারিয়েছে তার একটি চোখ,
একজন জলপাই রং খুঁজছে
সেই ছোট্ট মেয়েকে,
যে ছোট্ট করে তাকিয়েছিল তার দিকে….
অবাক হবো না
সে জলপাই রং –
যদি মেয়েটিকে শুট করেও বসে! !!!!!!!!!!
কিশোর ভাবছে, বয়স এখন যথেষ্ট হয়েছে
জীবনের অনেক কিছু পেয়েছে– উপভোগ করেছে …….
কিন্তু এই ছোট্ট মেয়েটি তো অবোধ শিশু
সে তো এসেছে
এই মাত্র দুনিয়ায়!
`
-হে অবোধ শিশু
আমার বেচে যাওয়া অক্ষত চোখটি
তোমাকে দিয়ে যাচ্ছি
তুমি পূর্ণ ভাবে দেখে নিবে-
একটি পূর্ণ কমলা,
একটি পূর্ণ আপেল
আর পরিপূর্ণ মায়ের মুখ!!!
কবিতাটা হৃদয় স্পর্শ করল।{heart}
ভাই, ইদানীং এ ব্লগে আপনার আনাগোনা তেমন দেখা যায় না। কি ব্যাপার ব্যস্ত নাকি?
ভাল থাকেন।
এখানের লেখকরা অন্যের লেখা পড়েন না! কমেন্ট করেন না। ইন্টারেকশন নাই। কেমন মরা মরা লাগে আর এর জন্য এখানে আসতে মন চায় না। ধন্যবাদ।
গাজায় মুসলমানদের প্রতি আপনার এই লিখা এবং ফেইসবুকে পোস্ট ভালই লেগেছে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ভাল লাগা জানিয়ে গেলাম।
ফেইসবুকে শেয়ার করলাম।
পড়ার এবং শেয়ারের জন্য ধন্যবাদ।