খালেদা হাসিনা সংলাপ

দেশ প্রেম। দেশ প্রেমিক। পৃথিবীর যত প্রেম আছে তার চেয়ে মহান প্রেম হচ্ছে দেশ প্রেম। প্রেমে ভাগ আছে। কয়েকদিন আগেও প্রেম নিয়ে বলেছি। তবে এবার ভিন্নভাবে বলছি। কারণ আপা আপনি। আপা সদ্য প্রয়াত হুমায়ুন আহমেদকে বলা হয় কথার যাদুকর বা গল্পের যাদুকর। এই কথাগুলো মানুষের কল্যানের। আপনিও কিন্তু যাদুকর। ‘কথার’। আপনার যেমন রক্তের গুণ আছে। বাবা ছিল বঙ্গবন্ধু। রাজনৈতিক গুণও আছে। ৩২ বছর ধরে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী। আপনার সবচে’ বড় গুন হচ্ছে আপনি কথার যাদুকর। সাহিত্য বিশ্লেষনে আপনার অবস্থান কি হবে জানিনা। তবে আপনি যে কথা বলেন তার মানের বিশ্লেষন করার সাধ্য আমার নেই। স.স. জননেত্রীকে কথার যাদুকর বানিয়ে দিল। তুমি কি আমাকে ভ্যাংগাচ্ছো? আমি কি কথা বলতে পারি না? আমার কথা আওয়ামী লীগের কোটি কোটি সমর্থক মন্ত্র মুগ্ধের মত শুনে। তাই কথা বলি প্রাণ খুলে। তুমি আমার কথা নিয়ে কি বলতে চাও স্পষ্ট করে বলো। জননেত্রী শুনতে চাইলেন। আপা আমার খুউব লজ্জা করে বলতে। নারী হিসেবে আপনার লজ্জা বেশী। লজ্জা নারীর ভূষন। কিন্তু বর্তমানে আপনার চেয়ে আমার লজ্জা বেশী। গত দশ বছর আপনার সাথে কথা বলি কিন্তু এই প্রথম এই লজ্জার কথা বললাম। আমি বাধ্য হয়ে কথাটা বললাম। কেননা আমি ড্যানফোর্থে হাটতে পারিনা। সবাই প্রশ্ন করে তোমার আপা ‘‘আবুল হোসেনকে’’ কেন দেশ প্রেমিক বললো? আমি উত্তর দিতে পারিনা। তাই আপনাকে জিজ্ঞাসা করলাম। কি কি কারণে আবুলকে ‘চোর’ বাদ দিয়ে দেশপ্রেমিক বললেন? স.স. প্রশ্ন করলো। শোনো আবুল বিশ্বব্যাংকের তাগিদে পদত্যাগ করেছে। এরকমের পদত্যাগের ইতিহাস আমাদের নেই। মন্ত্রিত্বে মায়া আছে। আছে যাদু। আর এই যাদুর ছোঁয়া বাদ দিয়ে পদত্যাগ করা কঠিন। আবুল সেই কঠিন কাজটা করেছে। তাই তাকে আমি দেশপ্রেমিক বলেছি। শিগগিরই ‘‘দেশ প্রেমিক’’ পদক দেবার ব্যবস্থা করবো। জননেত্রী দেশ প্রেমিক পদক দেবার কথা বললেন। আপা আপনাকে আমার কিছু বলার নেই। ‘পদক’ আপনি দিতেই পারেন। সেক্ষেত্রে আবুল আর সুরঞ্জিত গোল্ড পদক পাবে দেশ প্রেমে। অবশ্য আবুল দুটো গোল্ড পদক পেতে পারে। কেননা গতবার সে মন্ত্রিত্ব হারিয়েছিল দুটো পাসপোর্ট বানিয়ে। জালিয়াতির অভিযোগে। আর আপনার সোনার ছেলেরাও পাবে। তবে আপনি ‘আবুল চোরকে’ দেশপ্রেমিক বলায় পৃথিবীর সমস্ত দেশপ্রেমিকের সমাধীস্থল থেকে চিৎকার আসছে। ছি.ছি.। তাদের একটাই প্রশ্ন চোর যদি দেশপ্রেমিক হয় তাহলে তারা জীবন দিলো কেন। ল্যাটিন আমেরিকার মহা নায়ক সিমন বলিভার চিৎকার করে বলছে থামো ‘‘হাসিনা’’। বলিভারের দেহ নেই আত্মা কষ্ট পাচ্ছে। আপনার বাণী শুনে। বলিভার ল্যাটিন আমেরিকা স্বাধীন করেছিলেন। নিজের দাস ছেড়ে দিয়েছিলেন। আবার কালো আফ্রিকার মান্ডেলা চিৎকার করে বলছে ‘‘হে ঈশ্বর তুমি আমাকে নিয়ে যাও। যেই বাতাসে চোরা আবুলের নিঃশ্বাস আছে সেখান থেকে আমাকে মুক্ত করো’’। মান্ডেলা ২৬ বছর কারাগারে ছিলেন তবু মাথা নত করেননি। ল্যাটিন আমেরিকার চে’ গুয়েভাড়াও বলছে ‘‘মরে বেঁচে গেছি’’। হাসিনার দেশপ্রেমিকের কথা শুনতে হয়না। আপা শুনছেন কিনা জানিনা ক্ষুদিরাম, নেতাজী, সুভাষ বোসের আত্মা নাকি কাঁদছে। বেশ কিছুদিন ধরে। মাষ্টার দা সুর্যসেন এমনকি নূর হোসেনের (গণতন্ত্র মুক্তি পাক, স্বৈরাচার নিপাত যাক) সমাধী থেকেও শব্দ আসছে। কান্নার। আপা শব্দ আসছে কোত্থেকে জানেন? বলছি। আপনার কানে সমস্যা। শুনবেন না। দয়া করে একটু টুঙ্গী পাড়া যান। বঙ্গবন্ধুর কবর জিয়ারত করেন। বঙ্গবন্ধুর মৃত আত্মা চিৎকার করে বলছে ‘‘থাম হাসিনা, যেই দেশের জন্য জীবন দিলাম। চোরদের বিরুদ্ধে লড়াই করলাম। পাক সেনাদের কাছে আত্ম সমর্পন করিনি। লক্ষ লক্ষ মানুষ মুক্তিযুদ্ধে জীবন দিলেন। তাদের তুমি দেশপ্রেমিক খেতাব দেওনি। দেশপ্রেমিক বলো ‘আবুল’কে। আমার জীবন দেয়া বৃথা। অন্যদিকে জিয়াকে পছন্দ করুন আর নাই করুন ওর সমাধী থেকেও একই চিৎকার। আবুল যদি দেশপ্রেমিক হয় তাহলে যারা গণতন্ত্র আর মুক্তির আন্দোলনে জীবন দিয়েছে তাদের আত্মা কষ্ট পায়। আপা এটা বুঝেছেন কিনা জানিনা। তবে আপা আমি নিশ্চিৎ আপনার ডাক্তার দেখানো উচিৎ। মুখে কোন সমস্যা হয়েছে কিনা। আপনি লন্ডনে বললেন ‘‘যাতে উত্থান তাতেই পতন।’’ লন্ডনে স্থানীয় সাংবাদিকরা ইলিয়াসের গুম নিয়ে প্রশ্ন করায় এই বলেছেন। আপা ইলিয়াসের বাচ্চাগুলোকে আরও কাঁদালেন। লন্ডনে বিবিসি’র সাক্ষাৎকারে বললেন ‘রক্ত চোষা ইউনুস’ ইষড়ড়ফ ঝঁপশবৎ নিজেই বলেছিলেন। এখন বললেন নামতো বলিনি। এখানে আপনার সাথে মিল আছে আমার। টরন্টোয় জুয়া উকিল বলছি। নাম বলিনি। এখনও। যাকগে। যেই ইউনুস সারা পৃথিবীতে বাংলার মর্যাদা বাড়িয়েছে তাকে বলেন ‘রক্তচোষা’ আর বিশ্বখ্যাত চোরা আবুলকে বানিয়েছেন ‘দেশপ্রেমিক’ হ্যা অবশ্যই আবুল দেশপ্রেমিক! আর দেশপ্রেমিক বলেই আপনার আগের টার্মে ২টা পাসপোর্ট বানিয়ে মন্ত্রিত্ব হারিয়েছিলেন। আমি জানিনা আবুলের সাথে এত টান কিসে। বাংলার মানুষ জানতে চায়। আমি ৯ বছর দেশে যাইনা। তার পরেও দেশ প্রেম ভুলতে পারিনা। টেলিভিশনের সুবাদে বাংলার সবুজ দৃশ্য দেখি আর কাঁদি। বাংলা কত সুন্দর। আর তার রাজনীতিক, আমলা, প্রকৌশলীরা, পুলিশরা কত চোর। আপা যারা শহীদ হয়েছে তাদের ছাড়া সবচে’ বড় প্রেমিক যারা দেশের বাইরে থেকে কষ্ট করে আয় করে দেশে অর্থ পাঠায়। যাদের অর্থে আপনার চোখের ফ্রেম বদলানো হয়। দয়া করে মুখটা সামলান। আমাকে যা বলেন মেনে নেব। দেশ প্রেম নিয়ে বলবেন না। মানায় না। পৃথিবীর সবচে’ বেশী জীবন দেয় দেশ প্রেমে। দেশ প্রেম না থাকলে জীবন দিতে পারে না। অবশ্য রাজাকারের শাব্দিক অর্থ দেশ প্রেমিক। সেক্ষেত্রে আবুল দেশ প্রেমিক। হতে পারে। তার চেয়ে আপনার প্রেম বড়। আর সে জন্যেই আবুলকে লোক দেখানো পদত্যাগ দেখিয়েছেন। কিন্তু তার পদত্যাগ এখনও গৃহীত হয়নি। রাষ্ট্রপতির কাছে যায়নি। কত খেলা দেখাবেন। বোঝা মুশকিল। তবে আপনি একটা কাজ করতে পারতেন। এবার অলিম্পিকে আপনি যোগ দিতে পারতেন। প্যারেডে। দু’টো পদক আপনার থাকতো। এবং সেটা গোল্ড। এক বাজে কথা বলায়। দুই দুর্নীতিতে। বাজে কথা বলায় আপনাকে হটাবার কেউ নেই। অলিম্পিক গোল্ড আপনারই। তবে দুর্নীতিতে আপনার প্রথম স্থান পেতে লড়তে হতো। আপনার বান্ধবী দেশনেত্রীর সাথে। তবে আমার বিশ্বাস সেখানেও আপনি গোল্ড পেতেন। দেশনেত্রীর পায়ে ব্যাথা। দৌড়াতে পারে না। তবে যেহেতু আইটেম দুটো অলিম্পিক ইভেন্টে নেই সেহেতু আপনি লবিং করতে পারেন। অন্তত আগামী অলিম্পিকে যেন থাকে। হয়তো আগামী অলিম্পিকে আপনি আর বিশেষ বিমানে লন্ডনে আসবেন না। আসবে দেশনেত্রী। পদক তার একটাই দুর্র্নীতির। বাজে কথা বলায় আপনার বান্ধবীকে হারিয়েছেন বহু আগে। আপা লন্ডন অলিম্পিকে আপনার যাবার দরকার কি ছিল? এত অর্থ খরচ করে। যেই সমস্ত দেশে পদক পাবে তাদের রাষ্ট্র প্রধান বা সরকার প্রধান গেল না। আপনি এত অর্থ খরচ করে গেলেন কেন? বন্যায় অনেক জেলা ভাসছে। সেখানে ত্রান দিতে পারতেন। না, আপনাকে বলে লাভ নেই। শুনবেন যখন আপনার কান কোন শব্দই শুনতে পারবে না। আর আমি একটা স্টুপিড। লেখাপড়া বাদ দিয়ে আপনার সাথে গল্প করছি। স.স. আক্ষেপ করলো। শুধু তুমি আমাকে নিয়েই আক্ষেপ করো। অন্য কিছু পাওনা। জননেত্রী উত্তর দিলো। আপা অন্য অনেক কথাই আছে। কিন্তু কোনটা বলবো। তবে হুমায়ুনের কথা বলতে ইচ্ছে করে। প্রথমত অর্থ জমা করে রাখা অন্যায়। তাহলে কবর দিতে দেরী হয়। হুমায়ুনের কেন কবর সময় মত হলো না তা আপনি ভালভাবে বলতে পারবেন। আপনার শাওন দেখালো তার ক্ষমতা। দাফন যেখানেই হোক কিছু এসে যায়না। যে মারা গেল সেতো আর জানলো না। নুহাশ পল্লীতে হুমায়ুন কি জানবে লিচু হয়েছে কিনা। শাওন বা গুলতেকিন কাঁদে কিনা? আমার মতে কোরান সত্য। দ্রুত দাফন করা কর্তব্য। তবে আপা আমি হুমায়ুনের চিকিৎসা ব্যাপারে শুনলাম তা আরও বেদনার। আসলেই কি অর্থে অভাবে মারা গেছেন। কেননা তাকে মেডিকেট করিয়ে চিকিৎসা করিয়েছেন। স্বল্প দামের ব্যালিভিউ হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়েছে। আসলে আমরা বোকা। জমাতে চাই। কিন্তু জমিয়ে কি লাভ? হুমায়ুন আহমেদের মত কোটিপতি লেখক বিনা পয়সায় মারা যায় তাহলে আমাদের কি হবে। ভেবেছিলাম আপনার সংলাপ বাদ নিয়ে মানুষ নিয়ে লিখবো। আপনিও মানুষ তবে উন্নত মানুষ। সাধারন মানুষ নিয়ে লেখা উচিৎ। মানুষের দুঃখ প্রেম নিয়ে লেখা উচিৎ। ভাবি লিখেই কি লাভ। মানুষ বদলায় না। বয়স বদলায়। অবশ্য মানুষও বদলায়। কম। যাদের মনুষত্ব এখনও একটু আছে। তারাই বদলাতে পারে। মনুষ্যত্ব না থাকলে বদলাবার কিছু থাকে না। বিশ্বাস করবেন কাল রাতে আমাকে একজন ক্যাব ড্রাইভার ফোন দিয়েছে। বললেন ‘‘জুয়া উকিল আমাকে শেষ করেছে।’’ বললাম কিভাবে। সে বললো সে ট্যাক্সি চালায়। রাতে। কিন্তু বিকেল হলেই প্রতিদিন জুয়া উকিল ডাকতো। ‘ভাই আসেন প্লেয়ার আছে। অনেক টাকা রোজগার করতে পারবেন।’ আর যে খেলতে আসতো। ঐ লোক থাকে রিজেন্ট পার্কে। লাখ খানেক ডলার নাকি শেষ করেছে জুয়া উকিলের দরবারে। আমি তাকে বললাম জেনেও গেলেন কেন? সে বললো ‘নেশা’। আর জুয়া উকিল হচ্ছে বড় নেশাখোর। আপা জুয়া উকিল সম্পর্কে যে বিবরণ দিলো তা বলার ভাষা নেই। অবশ্য অনেকে প্রশ্ন করেছে জুয়া উকিল কে। তবে বেশীর ভাগ জুয়া উকিলকে জানে কিংবা চিনে। স.স. জুয়া উকিলের কথা বললো। তোমার জুয়া উকিল কে? আমাকে বলো? জননেত্রীও জুয়া উকিলের বিবরণ জানতে চাইলো। আপা আমি জুয়া উকিলের বিবরণ দিবো। কথা দিচ্ছি। তার পেশা তার কাজ তার গিরিঙ্গি সবটার বিবরণই দেবো। ধীরে। স.স. চেপে গেলো। তোমার ড্যানফোর্থে কি জুয়ার পারমিট আছে? আপা আমার জানা মতে নেই। তবে জুয়া উকিল কেন অবৈধ জুয়ার নেতৃত্ব দেয় জানিনা। হয়তোবা কিছু পায়। তবে শুনেছি এই জুয়া উকিল হাশর পর্যন্ত জুয়া খেলবে। এমনকি রোজার দিনেও। স.স. আক্ষেপ করলো। আপা আমার কোন ক্ষোভ নেই। জুয়া উকিল যদি ক্যাসিনো গিয়ে জুয়া খেলতো। সে জুয়া খেলে অনেক মানুষ পথে বসিয়েছে। এবং জুয়ার আসরে মারামারি। প্রতি সপ্তাহে। আমার মঠবাড়িয়ার ছোট ভাইকে (এলাকার ভাই) জুয়ার আসরেই মারা হয়। ওর সংসার আছে। জুয়ার আসরেই ধোলাই। সে পুলিশও ডাকেনি। তার এক মাসের মাথায় জুয়ার আসরে আবার মারামারি। পুলিশের গাড়ি। এই মারামারিতে জুয়া উকিলের অবদান আছে বলে শোনা গেছে। আরে বাবা জুয়া যদি খেলতেই হয় তাহলে ক্যাসিনো যাও। অবৈধ জুয়া খেলে সব ধ্বংস করছো কেন? শুনলাম ফাটিকের দাঁতও চলে গেছে জুয়ায়। জুয়া উকিলের ব্যবসাই জুয়া। আইন পেশার চেয়েও জুয়ায় আয় ভাল। তার আরও অনেক গুণ। কথা দিচ্ছি। সব বলবো। আপনি দেশ প্রেমে পদক দিবেন। আমি জুয়ায় আর যারা গিরিঙ্গিতে ভাল অবস্থান করছে। আর জুয়ায় যাদের ভাল অবস্থান তাদের পুরস্কার দেয়া হবে। যেমন আপনার আবুল যদি দেশপ্রেমিক হতে পারে তাহলে ড্যানফোর্থের জুয়া উকিল কেন পদক পাবে না। যৌক্তিক প্রশ্ন। তবে সব জুয়াড়–র বায়ো জমা দিতে হবে। বায়ো ফরম এমন- (১) নাম কি? (২) বাবার নাম কি? (৩) মায়ের নাম কি? অবশ্য মায়ের নাম ম্যানডেটরি নয়। (৪) কখন থেকে জুয়া খেলা শুরু? (৫) কত বছর টোটাল খেলার বয়স? (৬) কত টাকা জিতেছে? হারলে হবে না (৭) কত জনকে জুয়ার পথে এনেছে? (৮) কতজন জুয়ার পথে আসার পর ফিরে গেছে? অবশ্য ফিরে যাওয়াটাকে মাইনাস হিসেবে ধরা হবে। (৯) কতটা জুয়ার ক্লাব গড়েছে? (১০) জুয়ার আড্ডায় কত মারামারিতে অংশ নিয়েছে? (১১) কত মারামারির সাক্ষী থেকেছে? (১২) কত মারামারিতে ইন্ধন দিয়েছে? (১৩) প্রতিদিন জুয়া খেলে কিনা? (১৪) জুয়া খেললে চোখ লাল হয় কিনা? (১৫) জুয়া সম্পর্কে স্ত্রী বা সন্তানের মত কি? (১৬) জুয়ার আসরে কত বোতল মদ খাওয়া হয়? (১৭) কোন নতুন কাজ শুরু করলে মদ দিয়ে শুরু করে কিনা? (১৮) মদ খেয়ে বমি করেছে কিনা? (১৯) জুয়ার আসর শেষে কিংবা আগে ভিন্ন নারীর স্পর্শ নেয় কিনা? (২০) বোতল খেয়ে মসজিদে যাওয়া হয় কিনা? (২১) সর্বোচ্চ কত লোক জুয়ায় রিক্রট করেছে? (২২) জুয়ার আসরের ঘর ভাড়া কত দিতে হয়? (২৩) পুলিশ আসলে কি বলা হয়? রেফারাল ঃ জুয়া আগে খেলতো এখন খেলেনা এমন দু’জনের কাছ থেকে চারিত্রিক সনদ জমা দিতে হবে। জুয়াড়– খেতাব পাবার দরখস্ত জমা দেবার শেষ তারিখ ৩১ শে আগষ্ট ২০১২। আপা আপনি মন খারাপ করবেন না। ভাবছেন জুয়ার পদক আপনার বান্ধবীর দলে নিবে। আরে না। আপনার ¯েœহের কেউ কেউ জুয়ায় সোনা না পেলেও লোহা পাবে। স.স. লোহার মেডেল দেবার কথা বললো। গোল্ড, সিলভার বা ব্রোঞ্জ বাদ দিয়ে লোহা কেন? জননেত্রী প্রশ্ন করলো। আপা লোহা ভাংগা কঠিন। জুয়ার নেশা ভাংগা আরও কঠিন। চোখ থাকে লাল। টকটকে। স.স. জুয়ার চেহারার কথা বললো। সব বাদ দিয়ে জুয়া পদক চালু করবে কেন? জননেত্রী প্রশ্ন করলো। আপা আমি অমর হতে চাই। এই সামান্য জীবনে আমি এমন কিছু খুঁজে পেলাম না যা আমাকে অমর করবে। শৈশব থেকে মানুষের কল্যাণে অনেক আন্দোলন করেছি। আজও করি। কিন্তু তাতেও অমর হব বলে মনে হয় না। আর জুয়া পদক আজও কেউ প্রবর্তন করেছে বলে আমার জানা নেই। জানি কোন কোন জুয়াড়– একটু কষ্ট পাবে। তবে অমরত্ব লাভের এমন সুযোগ আর পাবে না। মরে অমর হয়ে লাভ নেই। সেই অমরত্ব আমি দেখবো না। জীবিত থেকেই অমর হতে চাই। এ এক নতুন চাওয়া। এ এক মহান পাওয়া।

Loading


মন্তব্য দেখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *