খালেদা হাসিনার সংলাপ

দেশপ্রেম। প্রেমের এক প্রকার। প্রেমের ভান আছে। রূপ আছে। মানব প্রেম, ধর্ম প্রেম, ঈশ্বর প্রেম, প্রকৃতি প্রেম, পশু প্রেম, সন্তান প্রেম, মাতা-পিতার প্রেম। হাজারও প্রেম আছে। পৃথিবীর সবচে’ বড় প্রেম হচ্ছে দেশপ্রেম। নারী পুরুষের প্রেমে যন্ত্রণা আছে। মরণও আছে। আছে বিচ্ছেদ। তবে দেশপ্রেমে বিচ্ছেদ নেই। নেই তালাক। নারী পুরুষের প্রেমে বিচ্ছেদ বা তালাক হলে ঘৃণা বাড়ে। এমনকি এক সাথে থাকলেও ঘৃণা থাকতে পারে। এ বিচ্ছেদ দৃশ্যমান না হলেও বিদ্যমান থাকে। আর দেশপ্রেমের মৃত্যু নেই। দেশ ছেড়ে দূরে গেলেও প্রেমের কোন ঘাটতি নেই। যত দূরে যায় প্রেম তত বাড়ে। অদ্ভুত মিলনে টানে। নারীর সৌন্দর্য যেমন পুরুষকে টানে বিপরীতে নারীকে। তবে দেশপ্রেমে লিঙ্গ নেই। ধর্ম নেই। বর্ণ নেই। জাতপাত ভেদ নেই। অবিরাম বা অনন্ত ভালবাসা এমনই এক প্রেমিকের নাম ইলিয়াস উদ্দিন। সুইজারল্যান্ডে বসবাস করতো। পনেরো বছর ধরে। ইলিয়াসের স্বপ্ন দেশে ফিরে যাবে। যে প্রেম সে লালন করতো। পৃথিবীর অন্যতম সুন্দর দেশ সুইজারল্যান্ডে থেকেও। গত সপ্তাহে ইলিয়াস দেশে আসছে। ঢাকা এয়ারপোর্ট দেখে নিশ্চয়ই সে প্রেমের বিজয় উপলব্ধি করেছিল। ইলিয়াসের ছোট ভাই তাকে নিতে এসেছিল। এয়ারপোর্টে। ওরা দু’জনে মহামিলনে সিএনজি গাড়ীতে চড়ে বাড়ী ফিরছিল। যে গ্রামে জন্মেছিল। না তাদের ফেরা হয়নি। পথে এক এম্বুলেন্সের ধাক্কায় দেশপ্রেমের সমাধী হয়েছে। দুই ভাই একই সাথে মারা গেছে। মা চিৎকার করে বলছে ‘আল্লাহ আমাকে নিয়ে যাও। তবে আমার ছেলের জীবন ফিরিয়ে দাও।’ না আল্লাহ আর জীবন ফিরিয়ে দেবে না। মরলে আর জীবন ফিরে আসে না। ফিরলে পৃথিবী উল্টেপাল্টে যেত। আল্লাহ যদি ফিরিয়ে দিতো তাহলে হযরত মোহাম্মদ (সঃ)-কে ফিরিয়ে দিতো। অথবা নিত না। নিয়তি যেখানে সেখানেই যেতে হবে। নিয়তিই সব। মায়ের প্রেমে সাড়া দেয়নি ইলিয়াস। অন্যদিকে ইলিয়াসের স্ত্রী আহাজারি করছে স্বামীকে পাবার জন্যে। ওর সাথে ইলিয়াসের অনেকদিন কথা হয়নি। অভিমান ছিল। ইলিয়াসের স্ত্রী ভেবেছিল সে দেশে ফিরলে অভিমানের শেষ হবে। না, ইলিয়াস অভিমান করে চলে গেল। ঢাকার রাজপথে গাড়ীর চাপায়। দেশ প্রেম পিশিয়ে মেরেছে। মরেছে। তবে লাশটা পেয়েছে ওর মা কিংবা স্ত্রী। দুভার্গ্য এই ঢাকা শহরেই আরেক ইলিয়াসের লাশটাও পাওয়া যাচ্ছে না। এর নাম এম ইলিয়াস আলী। তারও হয়তো দেশপ্রেম ছিল। তাকেও ঢাকা দিয়েছে বাসের চেয়েও বড় কোন যন্ত্র দানব। যেই দানবের চাপায় হারিয়ে গেছে ইলিয়াস আলীর দেহ। ইলিয়াস আলীর দেহ পাওয়া যাবে না। কোনদিন। ইলিয়াস আলীকে ণ্ডম করা হয়নি। হত্যা করা হয়েছে। আপা আপনার মন্ত্রী আশরাফ বললো ইলিয়াসকে জীবিত ফেরত দেবার চেষ্টা করছে। অন্যদিকে পাতি মন্ত্রী খুলনার মুন্নুজান সুফিয়ান বললো খুন হয়েছে। আপনার মন্ত্রী আশরাফ বললো ইলিয়াস উদ্ধারে ১২০০ অভিযান চালিয়েছে। কিন্তু র‍্যাব কেন মুন্নুজানের প্রতি অভিযান চালায় না। মুন্নুজান বললো ‘‘ইলিয়াসের বিধবা স্ত্রী..’’। তাহলে মুন্নুজানই জানে কোথায় তার লাশ। আপা ইলিয়াস আলীর ছোট মেয়েটি টিভিতে দেখে চোখে জল আসে। কি অস্ফুট বেদনা নিয়ে বাবা আসবে এই স্বপ্ন নিয়ে তাকিয়ে আছে। ওর বাবা নেই তা বুঝে না, কাঁদেও না। ইলিয়াসের বউ কাঁদে। বুঝে। তাই। আপা জানি আপনি আপনহারা। এও জানি আপনি ইলিয়াসের লাশ কোনদিন ফেরত দিবেন না। কারণ বিবিধ। ইলিয়াসকে আপনার বাহিনী হত্যা করেছে এ ব্যাপারে কোন আওয়ামী লীগারও দ্বিমত করবে না। মুন্নুজান একজন পরহেজগার মানুষ। সে নিশ্চয়ই মিথ্যে বলবে না। মাথায় হিজাব পরে। মিথ্যে বলার কথা নয়। তবে আপা আপনি বাংলাদেশ চালান। আল্লাহ দুনিয়া চালায়। আল্লাহ বাংলাদেশও চালায়। তবে কিভাবে তা আপনি বুঝেন। ইলিয়াসকে তুলে নেয়া হবে। এটা আপনার দেশ পরিচালনার অংশ। আপনি জানেন আপনাকে অনেকদিন ক্ষমতায় থাকতে হবে। আপনি আরও জানেন জনগণ ভোট দিবে না। পরপর দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় কেউ আসেনা। এই দুঃসংবাদ আপনাকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। আর বেড়াচ্ছে বলেই এত ণ্ডম হচ্ছে। আমি জানি ইলিয়াসের বাচ্চার মুখ দেখলে আপনার বুকটাও কাঁপে। কিছু করার নেই। কেননা ইলিয়াসকে ফেরত দিলে আগে যে এক দেড়শ ণ্ডম হয়েছে তাদেরও কৈফিয়ত চাইবে। দেশবাসী না হলেও তার স্বজনেরা। কি অদ্ভুত নিয়তি। ইলিয়াস ণ্ডম হবার আগে সিলেটের দুই ছাত্রনেতার খোঁজ চেয়েছিল। খোঁজ চাইতে চাইতে নিজেই নিখোঁজ হয়ে গেল। চিরতরে। প্রাণ হারালো কত। মালমা চলছে। চলছে গ্রেফতার। দেশজুড়ে। বিশ্বনাথে ৮০০০ লোকের নামে মামলা হয়েছে। আপা আপনি খুব দয়াশীল। আপনার দয়ায় ইলিয়াস আলীর মা আসামী হয়নি। ইলিয়াস যদি মরেও থাকে তবে তার আত্মা শান্তি পাবে। তবে ওর আত্মা কোনদিন শান্তি পাবে না ওর ছোট মেয়েটার মুখ দেখে। স্বপ্নলোকের কোন দৃষ্টি নেই। তাই ইলিয়াস দেখতে পাবে না। ওর মেয়েকে। আপা আপনার টিম একইভাবে রতনকে ণ্ডম করেছিল। তিনদিন আগে। কামরুজ্জামান রতন। এক সময় ছাত্রনেতা এবং সন্ত্রাসী ছিল। ইলিয়াসের মত। কারও কাছে সন্ত্রাসী কারও কাছে হিরো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তখন সুন্দরী মেয়েরা সন্ত্রাসী ছাত্রনেতাদের ভক্ত ছিল। প্রেম ছিলো। আপা আপনার ডিবি রতনকে ধরেছিলো রাত সাড়ে ১১টায়। রতনের ভাই না থাকলে আপনি কাজটা করে ফেলেছিলেন। রতনের ভাই রতনের বউকে ফোন করে বলেছে রতনকে ধরে নিয়ে গেছে। ডিবি। রতনের বউ ডিবি অফিসে, থানায় থানায় ৮ ঘন্টা খুঁজেছে। ডিবি বা থানা বলছে তারা কিছু জানেনা। কিন্তু কিভাবে বের করলেন? ধরে নিয়ে গেছে রাত সাড়ে এগারোটায়। পরদিন থানার মামলায় বলা হয়েছে রাত ন টায় ধরা হয়েছে। রাত এগারোটায় দেশ টেলিভিশনের টক শো’তে দেখা গেছে রতনকে। আপনার ডিবি সবই পারে। আপনার মুন্নুজান যেমন হত্যার খবর জানে। আপনার ডিবিও সময় আগ পাছ করতে পারে। ক্ষমতার মহাণ্ডন এই ণ্ডনের অধিকারী ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। হত্যা করেছিলেন সিরাজ শিকদার, মতিউল কাদের কিংবা গোপালগঞ্জের জনপ্রিয় কমিউনিষ্ট নেতা লেবুকে। তবে নিজের জীবন দিয়েই নিয়তির নীতির প্রমান দিয়েছেন। জিয়াউর রহমানও তাই। কর্ণেল তাহেরকে হত্যা করে ভেবেছিলেন বিদ্রোহ থেমে গেছে। না যায়নি নিজের জীবন দিয়ে প্রমাণ করেছে হত্যা হত্যাকে আহ্বান করে। পাকিস্তানের ভুট্টো কিংবা আপনার ইন্দিরা একই শ্বাশত সত্যের প্রমাণ করেছে। তবে আপনি সে পথে যান তা আমি কল্পনাও করিনা। ভাবিনা। নিয়তির ব্যতিক্রম হোন সেটাই আমি কামনা করি। আপনি হাজারও ণ্ডম করে বেঁচে থাকুন সেটাই আমি কামনা করি। তবে আপা যারা ক্ষমতা ধরে রাখতে চায় তারাই মরে কিংবা মারে। কার্টার, বুড়া বুশ, ছোট বুশ, ক্লিন্টন বিশ্বের মহা ক্ষমতাধর ছিল। এখন নেই তবু চিৎকার নেই। ওরাও হত্যা করতো। দেশের বাইরে। দেশে নয়। আপনি কোনটা করছেন তা আপনি ভাল জানেন। তবে দেশ আপনার পরিকল্পনাই চলছে। আপনার সচিবালয় বোমা পড়বে। এই বোমায় মামলা হবে। সেই মামলা সব বিএনপি নেতাদের জেল হবে এটাই আপনার পরিকল্পনা। ইলিয়াস শেষ। ণ্ডম হয়ে ঘুমিয়ে গেছে। বিএনপির হরতালও থাকবে না। কেননা মৃত্যু ভয় আছে। আছে জেলের ভয়। মাস খানেক পরে এই পলাতকদের কিছু কিছু ণ্ডম করে ফেলেন। ণ্ডম না পলাতক কেউ জানবে না। পলাতকদের ণ্ডম করলে ঝামেলা কম। আপা একটু অবাক হলাম। আপনি মামলায় জামায়াতের তেমন কাউকে রাখলেন না। জামায়াতের সাথে আপনার কোনও সুক্ষ্ম গেম হয়েছে কিনা। প্রেম মহান। থাকলে দোষের কি? আজকে যে শত্রু কাল সে বন্ধু হতেই পারে। আর জামায়াতের সাথে আপনার প্রেম ছিল। বিরহের মুক্তি দিন। ঘটান মিলন। আপনার দরকার ক্ষমতা। জামায়াতকে সাথে নিলে তাহলে আপনার আগামী নির্বাচন যুদ্ধ কিংবা ণ্ডম লড়াই বেগবান হবে। বিএনপি শেষ করা কর্তব্য। ক্ষমতায় থাকার জন্য। প্রয়োজনে জামায়াতকে সাথে নিন। বিয়ে থাকলে বিচ্ছেদ আছে। আছে হিল্লা। হিল্লা করেন। জামায়াতের অনেক হুজুর আছে। হিল্লায় সমস্যা নেই। আর করবেন ‘মুতা’। ভাল লাগবে না ফেলে দিবেন। বিশ্বাস করেন জামায়াতকে প্রস্তাব দিলে মেনে নেবে। জামায়াত বুঝে খালেদার ডান্ডার চেয়ে হাসিনার ডান্ডা শক্তিশালী। জামায়াত এও বুঝে আপনার সাথে থাকলে ওরা এতদিন মুক্তিযুদ্ধের বীর প্রতীক, উত্তম কিংবা বীরশ্রেষ্ঠ হতো। অবশ্যই এতদিন গোলাম আজমকে বীরশ্রেষ্ঠ খেতাব দিতেন। বঙ্গবন্ধু মৃতদের ‘‘বীরশ্রেষ্ঠ’’ খেতাব দিয়েছেন। আপনি জীবিতদেরও দিবেন। আপনি আরও আধুনিক। ডিজিটাল। ’৯৬ তে জামায়াতের সাথে মিলন ছিল। তা ধরে রাখতে পারলে আপনাকে এত ণ্ডমের দিকে যেতে হতো না। জামায়াতে জনবলও আছে। অর্থও আছে। যদি ওদের সাথে কথা বলতে লজ্জা পান তাহলে আমাকে বলুন। হেলপ করবো। আমার বাড়ীর কাছে মাওলানা সাঈদীর বাড়ী। একটা কানেকশন করতেই পারবো। আর সাঈদী হুজুর আমার বাবার খুব ভক্ত। টরন্টোতে দেখা হবার পর উনি সে কথা আমাকে আবেগের সাথে বলেছেন। যদিও আমার তিন ভাই মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। আমিও গ্রেফতার নির্যাতনের স্বীকার হয়েছি। তাতে কি আসে যায়। রাজাকারে কি আসে যায়। আপনার স্বার্থ সার্ব করলেই হলো। আর জামায়াত কিংবা রাজাকার খুব খারাপ না। খারাপ হলে রাজাকার পরিবারে আপনার আত্মীয়তা করতেন না। রাজাকার ফয়জুল হকের গাড়ীতে প্রথম স্বাধীন বাংলার পতাকা দিতেন না। বিষয়টা ক্ষমতা। ক্ষমতার জন্যেই জিয়া শাহ আজীজের প্রেম হয়। ক্ষমতার জন্যেই আপনার সাথে ফয়জুল হকের বন্ধুত্ব হয়। কিংবা নিজামীর সাথে আপনার ফটো শো হয়। সবই হয় বাংলাদেশে। স.স বাণী দিয়েই যাচ্ছিল। তোমার ঐতিহাসিক বানী রেখে টরন্টোর কথা বলো। তোমার সময় বৈশাখী মেলা কেমন হলো? জননেত্রী প্রসঙ্গ পাল্টে জানতে চাইলো। আপা, আমারও একটা প্রেমের পরীক্ষা হয়েছে। সে প্রেম ‘শীত’। আয়োজন ভাল ছিল। কিন্তু অনেকে আসছে পাইনতলায়। কিন্তু শীতের কারণে থাকেনি। যেমন বাংলাদেশে গণতন্ত্র আসে যায় থাকে না। যারা এই শীতে এসেছে বা থেকেছে তাদের সালাম। তবে আমার সাথে প্রেম দেখাতে গিয়ে অনেকের জ্বর হয়েছে। শীতে। তবে আমার মেলায় বেশ কিন্তু বীর ছিল। সত্যিকারের বীর। রাত ৯টা পর্যন্ত সাজ্জাদ বা শামীম ভাই, জহির, মিলন, নাইলা, লুৎফর, ফেরদৌস, সাজাদ ভাই, শাহেদ ওরা কাজ করেছে। অনেকে আগেই বিদায় নিয়েছে ঠান্ডায়। ভালবাসার অনেক মানুষও এসেছিল। আপনার অন্টারিও সাধারন সম্পাদক মিলুকে দেখলাম। দেখলাম বিএনপির ফয়সল চৌধুরীকেও। তবে অনুষ্ঠানের বীর উত্তম ছিল নায়লা রহমান। এই ঠান্ডায় শাড়ী পরে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পরিশ্রম করেছে। ব্যরিষ্টার সুলতান ঠান্ডায় কখন চলে গেল বলেও যায়নি। অবাক করেছে ব্যারিষ্টার চয়নিকা। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে শাড়ী পরে এলো। তবে তাকে হতাশ করেনি। অন্তর কাকলীর গানে। কাকলীও শাড়ী পরে ঠান্ডায় কাঁপছিল আর গাচ্ছিলো। ঠাকুরের গান। অপূর্ব কন্ঠ। মুক্ত। তবে নাসরীন খানের ভূমিকা শ্রদ্ধার। অনুষ্ঠানের শুরুটা তার হাতেই। শিরিনের জ্বর আসছে। এলিনের কি অবস্থা জানিনা। জয় গান করে তৃপ্ত। আরও কত গান। নাচ। সুন্দর। তবে অতৃপ্ত। যদি ঠান্ডা না হতো তাহলে অপূর্ব অনুষ্ঠান হতো। প্রকৃতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ক্ষমতা আমার নেই। তবে সময় মেলায় আপনি যদি না আসেন তবে খুব কষ্ট পাবো। সময় মেলায় মানুষের ঢল নামবে। আসবেন। পরে বলব। তামাম দুনিয়ার মানুষের দেশপ্রেম থাকলেও আপনার দেশপ্রেম বা বিদেশ প্রেম দুটোই আছে। কোনটা বেশী? জানিনা।

Loading


Comments

খালেদা হাসিনার সংলাপ — 1 Comment

মন্তব্য দেখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *