কেমন আছি আমরা

বিজয়ের মাস ডিসেম্বর শুরু হয়েছে। বাস্তবতার নিরিখে বিচার করলে বলতেই হবে, স্বাধীন বাংলাদেশ তার স্বাধীনতার তথা স্বাধীন অস্তিত্বের স্বাদ গ্রহণ করতে শুরু করেছে ১৬ ডিসেম্বরের পর থেকে। অনেক চড়াই-উতরাই পার হয়ে আমরা আজ এ জায়গায় এসেছি। সারা বছরই কেউ না কেউ কোনো না কোনো পত্রিকায় বা কোনো না কোনো টক শো বা কোনো না কোনো সেমিনারে দেশের বর্তমান অবস্থা নিয়ে চিন্তাভাবনা প্রকাশ করেন। মুক্তিযোদ্ধারা মার্চ এবং ডিসেম্বর মাসে একটু বেশি করেন। কলাম লেখক ও সাংবাদিক পীর হাবিবুর রহমান ২৫ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে সুন্দর একটি কলাম লিখেছেন বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায়। আমি সেই কলামটির বক্তব্য থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছি আরো কিছু কথা উপস্থাপন করতে। একটু ভিন্ন স্টাইল অনুসরণ করলাম। তাঁর বক্তব্যের ঠিক পাশাপাশি নিজেও মন্তব্য করলাম।

তিনি লিখেছেন, 'রাষ্ট্র পরিচালনার মতো কঠিন এবং রাজনীতির মতো দুর্বোধ্য বিষয় মোকাবিলা করেও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনেক ছোটখাটো বিষয়ের সমস্যা সমাধানেও যখন ভূমিকা রাখতে দেখা যায়, তখন নেতৃত্বের সংকট উন্মোচিত হয়।' আমি মনে করি, আগামী দিনের জন্য নেতৃত্ব প্রস্তুত করা একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। বাংলাদেশের সংবিধানের মাধ্যমে এবং রেওয়াজের মাধ্যমে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী অপরিসীম ক্ষমতার অধিকারী। এর সুফলের তুলনায় কুফল বহু গুণ বেশি। সংবিধানের সংস্কার প্রয়োজন, এরই মধ্যে সংবিধান কয়েকবার সংশোধন করা হয়েছে; কিন্তু সেগুলো করা হয়েছে আওয়ামী লীগের স্বার্থের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে। বাংলাদেশের জাতীয় ও রাষ্ট্রীয় স্বার্থ মাথায় রেখে সংবিধান সংশোধন করা প্রয়োজন।

কেমন আছি আমরা

'দেশে দলীয়করণের প্রতিযোগিতা প্রশাসনের ওপর মানুষের আস্থা ও সম্মানের জায়গা সরিয়ে দিয়েছে।… নিয়োগবাণিজ্য বা রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ স্বীকৃত হয়েছে।'- লিখেছেন পীর হাবিব। আমার মন্তব্য : প্রধানমন্ত্রীর অন্যতম ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা মাত্র কয়েক দিন আগে তিনি ছাত্রলীগের অনুষ্ঠানে যে কথাগুলো বলেছেন, সে কথাগুলো যেকোনো সচেতন নাগরিককে উৎকণ্ঠিত করতে বাধ্য। বাংলাদেশের এমন কোনো মন্ত্রণালয়, বিভাগ বা সংস্থা নেই, যেখানে একান্তভাবেই আওয়ামী লীগ দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি থেকে মানুষকে চাকরি দেওয়া হয়নি। গুরুত্বপূর্ণ স্পর্শকাতর বাহিনী বা বিভাগগুলোতেও এই কাজ করা হয়েছে বলে মানুষ বিশ্বাস করে। ওই বিশ্বাসের সমর্থন পাওয়া গেল এইচ টি ইমামের কথা থেকে। দলীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে মানুষকে সরকারি চাকরি দেওয়ার কারণেই, ৫ জানুয়ারি তারিখে অতি ন্যক্কারজনকভাবে একটি নির্বাচন অনুষ্ঠান করা সম্ভব হয়েছে। এত বড় একটা বেনিফিট বা লাভ পাওয়ার পর, কী কারণে বর্তমান ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল দলীয়করণ বন্ধ করবে বা কমিয়ে দেবে, সেটা আমার বোধগম্য নয়। প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো নিজ নিজ মেয়াদে দলীয়করণ করেছেন এটা সাধারণভাবে বিশ্বাস করা হয়। তবে ছয় বছর ধরে সেটা সীমাহীনভাবে চলছে। বাংলাদেশ নামের রাষ্ট্র এত বড় ভার বহন করতে পারবে কি না এটা কঠিন প্রশ্ন।

সাংবাদিক পীর হাবিব উল্লেখ করেছেন, 'দুর্নীতি দিনে দিনে বহু বেড়েছে।' আমি মনে করি, দুর্নীতি এখন যে স্তরে আছে, সেই স্তরে একদিনে পৌঁছায়নি। ১৯৭২ থেকে শুরু করে, প্রতিটি বছর, প্রতিটি রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক সরকারের মেয়াদে, প্রতি সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির পৃষ্ঠপোষকতায়, দুর্নীতি বিভিন্ন মাত্রা অর্জন করেছে। তবে পাঁচ-ছয় বছর ধরে দুর্নীতি বাংলাদেশকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলেছে। সবচেয়ে বিপজ্জনক কথা হলো, বর্তমান রাজনৈতিক সরকারের একাধিক মন্ত্রীর কথাবার্তা ও কর্ম প্রত্যক্ষভাবেই দুর্নীতিকে উৎসাহিত করে। ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক সরকারের জ্যেষ্ঠ ব্যক্তিরা, যাঁরা নিজেরা দুর্নীতি করেননি, তাঁদের অপরাধ হচ্ছে দায়িত্ব অবহেলা। আজ থেকে পাঁচ বছর আগের শেয়ার মার্কেট কেলেঙ্কারি, আজ থেকে তিন বছর আগের হলমার্ক ও ডেসটিনি কেলেঙ্কারি, বিসমিল্লাহ গ্রুপ কেলেঙ্কারি, বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারি ইত্যাদির দায়িত্ব কে নেবে, এটি একটি অতি উপযুক্ত এবং সময়োপযোগী প্রশ্ন। সমগ্র বাংলাদেশের সব নাগরিক অন্ধ বা বধির ও চেতনাবিহীন হয়ে গেছে অথবা তাদের স্মৃতিশক্তি ও পর্যবেক্ষণ শক্তি লোপ পেয়েছে এরূপ কল্পনা করলে, ক্ষমতাসীন ব্যক্তিরা ভুল করবেন।

পীর হাবিবের মতে, 'রাজনীতিতে সহনশীলতার উল্টোপথে আগ্রাসী রূপ নিয়েছে প্রতিহিংসা। গুম, খুন মানুষের জীবনকে নিরাপত্তাহীন করেছে।' আমার মনে হয়, রাজনীতিতে সহনশীলতা অপরিহার্য। সহনশীলতার অন্তত দুটি আঙ্গিক আছে, যথা কর্মে সহনশীলতা এবং মুখের বাক্য বিনিময়ে সহনশীলতা। সাধারণভাবে যারা দেশ ও রাষ্ট্র চালান, তাঁরাই অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় হন। অতএব জ্যেষ্ঠতম নেতা প্রধানমন্ত্রী সবার আগে অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় হওয়ার কথা। কিন্তু অঙ্কের মতো জরিপ করে যদি বিশ্লেষণ করা হয়, তাহলে অবশ্যই বলা যাবে, প্রধানমন্ত্রী ঘন ঘন বিরোধী দলের প্রতি ও বিরোধীদলীয় রাজনীতির নেতৃত্বের প্রতি অত্যন্ত অসহনশীল এবং আক্রমণাত্মক ভাষা ব্যবহার করেন। কর্মের সহনশীলতা প্রসঙ্গে আমার মন্তব্য হচ্ছে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের অনৈতিক ও অবৈধ কর্মকাণ্ডের প্রতি সহনশীল হওয়া রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকারক। অপরপক্ষে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের অঙ্গ সংগঠনের (একটি বা একাধিক) ভেতরে যেই অভ্যন্তরীণ আক্রমণাত্মক পরিবেশ, সেটা অন্য কাউকে সহনশীল হতে উৎসাহিত করে না; বরং অন্যদেরও আক্রমণাত্মক হতে উৎসাহিত করে। বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ রাজনৈতিক নেতৃত্ব প্রতিহিংসাপরায়ণ- এ কথা বহু লোকে বলছেন। কাউকে না কাউকে প্রতিহিংসা বাদ দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। বহু লোকে বলছেন যে ভবিষ্যতে যদি ২০ দলীয় জোট ক্ষমতায় আসে, তাহলে তারা বর্তমান ক্ষমতাসীনদের প্রতি প্রতিহিংসাপরায়ণ হবে। এ চিন্তার ধারাবাহিকতায় বহু লোক বলছেন, ২০ দলীয় জোট যদি অগ্রিম ঘোষণা দেয় যে তারা প্রতিহিংসাপরায়ণ হবে না, তাহলে বর্তমানের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ঠাণ্ডা মাথায় নিজেদের ক্ষমতার বাইরে থাকাকালীন সময়ের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে কিছুটা হলেও নিশ্চিত হয়ে ভবিষ্যৎ নিয়ে রাজনৈতিক চিন্তা করতে পারে। আমার নিবেদন, শুভ কাজ যথাশীঘ্র শুরু করা ভালো। পারলে ২০১৪ সালের ডিসেম্বর থেকেই প্রতিহিংসার বদলে জাতীয় ভিত্তিতে মায়ামমতা ও সহমর্মিতার পরিবেশ সৃষ্টি করা হোক।

ওই লেখায় তিনি বলছেন, 'ইয়াবাসহ মাদকের আগ্রাসন একেকটি পরিবারকেই নয়, দেশের একটি প্রজন্মকে অন্ধকার পথে টেনে নিয়ে যাচ্ছে।' এ ক্ষেত্রে আমার মত হচ্ছে, মাদকের আগ্রাসন নতুন নয়। মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর আছে। এ মুহূর্তে মাদকের আগ্রাসন থেকে বাংলাদেশের তরুণ সমপ্রদায়কে বাঁচানোর জন্য, মাদকনিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কোনো অবস্থায়ই যথেষ্ট উপযুক্ত, যথেষ্ট দক্ষ, যথেষ্ট আগ্রহী ও যথেষ্ট ক্ষমতাবান নয়। মাদক এখন একটি জাতীয় সমস্যা। মাদকের সমস্যা থেকে বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে রাজনৈতিক ও সামাজিক পর্যায়ে অ্যামপিউটেশন প্রয়োজন। অর্থাৎ উদাহরণস্বরূপ, ডায়াবেটিক রোগীর হাতে সংক্রমণ এবং ঘা হয়েছে, চার পাঁচটি আঙুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, হাতের কবজি দুর্বল হয়েছে- এ অবস্থায় হাতের কনুইয়ের নিচে হাত কেটে ফেলে দিতে হবে। মাদক সমস্যার মতোই অন্য একটি সমস্যা উদাহরণস্বরূপ তুলে ধরছি। কিছুদিন ধরে সোনা চোরাচালান প্রচণ্ড বেড়ে গেছে। খবরে পড়ি আর চিন্তা করি। দেশের মানুষ খবরে পড়েন এবং চিন্তা করেন। কোনো সমাধানের কথাবার্তা পত্রিকায় দেখা যাচ্ছিল না। হঠাৎ দেড়-দুই সপ্তাহ আগে একটা চোরাচালান ধরা পড়ার পর সেটার পিঠে পিঠে সূত্র ধরে ধরে আগাতে আগাতে দেখা গেল, এই অপকর্মটিতে বাংলাদেশ বিমানের কিছুসংখ্যক গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংশ্লিষ্টতা আছে। পত্র-পত্রিকার ভাষ্যমতে, পাঁচ-ছয় বছর ধরে দায়িত্ব পালনরত বাংলাদেশ বিমানের বোর্ড-চেয়ারম্যান সাবেক বিমানবাহিনী প্রধান অবসরপ্রাপ্ত এয়ার ভাইস মার্শাল জামাল উদ্দিন আহমদের নামও প্রশ্নের ঊর্ধ্বে নয়। যেখানে ঘরের ভেতরেই শত্রু, সেখানে বাইরের শত্রু প্রয়োজন নেই। বহু লোকের প্রশ্ন- একজন ব্যক্তি ছয় বছর ধরে বাংলাদেশ বিমানের বোর্ড-চেয়ারম্যান থাকাটা কি অতি আবশ্যক? এই ছয় বছর রাখার পেছনে অতীতের কোনো স্বার্থ বা বর্তমানের কোনো স্বার্থ কি জড়িত? সোনা চোরাচালানের যতটুকু গল্প মিডিয়ার মাধ্যমে দেশবাসী জানতে পারছে, সেটা হলো চোরাচালান নামের হাজার পৃষ্ঠার উপন্যাসের মাত্র দুটি পৃষ্ঠা। উপন্যাসের ৯৯৮টি পৃষ্ঠা এখনো উল্টানো বাকি। কারণ, প্রতিটি পৃষ্ঠাতেই বোর্ড-চেয়ারম্যানের মতো একেকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির নাম প্রশ্নের সম্মুখীন হতে পারে। মাদকের প্রসঙ্গে আবার ফিরে আসি। আমাদের দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে সাধারণত খুচরা ব্যবসায়ী ধরা পড়ে। বেশি হলে সহকারী নিয়ন্ত্রক ধরা পড়ে দু-একজন। এর ওপরের কেউ ধরা পড়েছে বলে কোনো দিন শুনিনি। মিডিয়ার রিপোর্ট মোতাবেক, বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলের অতিবিখ্যাত একজন রাজনীতিবিদ মাদকের ব্যবসায় ওই অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করেন এবং তিনি রাজনীতিবিদও। আমার শেষ মন্তব্য শুধু এই ক্ষমতাসীন সরকারের জন্য নয়, বরং সর্বজনীনভাবেই প্রযোজ্য। ক্ষমতাসীন রাজনীতিবিদ ও ক্ষমতাসীন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী ব্যক্তিদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সহযোগিতা ছাড়া মাদকের ব্যবসা পরিচালনা করা সম্ভব না। সেরূপ ক্ষমতাসীন রাজনীতিবিদ ও ক্ষমতাসীন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী ব্যক্তিদের প্রভাব বা সংশ্লিষ্টতা নিশ্চিতভাবেই এ মুহূর্তেও আছে। তবে যেহেতু কোনো সরকারি বাহিনী বা কোনো সাংবাদিক এরূপ গভীরে অনুসন্ধান করবেন না, সেহেতু ওইরূপ ব্যক্তিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকবেন। কেউ যদি বেশি অনুসন্ধানের আগ্রহ প্রকাশ করে, তাহলে তাকে খতম করে দেওয়া হবে।

কলাম শেষ করতে চাই সম্মানিত পাঠকের কাছ থেকে শুভেচ্ছা কামনা করে। কেননা, তার বিনীত ব্যাখ্যা পরবর্তী লাইনগুলো। বাংলাদেশের হাজার বছরের ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন হলো ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতা আমাদের শ্রেষ্ঠ সম্পদ। এই সম্পদ রক্ষা করতে হলে পরিশীলিত রাজনীতিবিদ, পরিশীলিত চিন্তাবিদ, পরিশীলিত আমলা, পরিশীলিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, পরিশীলিত বিনিয়োগকারী ও পরিশীলিত শ্রমজীবী প্রয়োজন। তবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তথা সবার আগে প্রয়োজন পরিশীলিত রাজনীতিবিদ। কারণ, সর্বশেষ বিচারে রাজনীতিবিদরাই দেশ পরিচালনার জন্য দায়ী। ২০০৭ সালের ডিসেম্বর মাসের ৪ তারিখ নিজে নাম লিখিয়েছিলাম একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির আত্মপ্রকাশের মাধ্যমে। সেই থেকে চেষ্টা করছি প্রচার করতে, পরিবেশন করতে একটি আহ্বান ও একটি প্রয়োজনীয়তা। সেটি হলো, বাংলাদেশের রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন প্রয়োজন। বাংলাদেশের মেধাবী, সাহসী ব্যক্তিদের এবং তরুণ সমপ্রদায়কে রাজনীতিবিমুখ হতে দেওয়া যাবে না। অন্যদিকে রাজনীতির পঙ্কিলতা ও দুর্গন্ধ তরুণ সম্প্রদায়কে দূরে ঠেলে দেয়। অতএব প্রবীণদেরই দায়িত্ব উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করা। ওই সংগ্রামে লিপ্ত আছি, নিজের অতি সীমিত শক্তিতে, সীমিতসংখ্যক বন্ধু ও শুভাকাঙ্ক্ষীর সহযোগিতায়। নতুন দলটির বয়স ৭ বছর হলো। কিছু না হোক, শুভেচ্ছা অবশ্যই কাম্য।

 

 

পূর্ব প্রকাশিত  কালের কন্ঠ, ‘মুক্তধারা’ (পৃষ্ঠা – ১৫)।

 

Loading


মন্তব্য দেখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *