কেন ১৫ আগস্ট-

নিশ্চয়ই ভূঁইফুড়ে আসেনি ১৫ আগস্ট, পেছনে যথেষ্ট কারণ ছিলো। যে কারণে মুজিব বলেছিলেন, আজ কোথায় সিরাজ শিকদার! আমি বলছি, ইতিহাসবিদদের বিবেক কোথায়! ১৫ আগস্ট কেন হয়েছিলো, আওয়ামী লীগ তা জানে। বাকশাল মন-মানসিকতা না থাকলে মুজিবের মৃত্যু হতো না। আবারো একই পথে হাঁটছে নব্য ও পুরাতন মোস্তাকেরা। হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের শিক্ষা কখনোই হবে না। বরং আরেকটি ১৫ আগস্ট এড়াতে চাইলে প্রয়োজন মুজিব পরিবারের বাইরে নতুন নেতৃত্ব। রাজতান্ত্রিক পরিবারের ভুল নেতৃত্বে বারবারই রক্তাত্ত পথে হাঁটছে আওয়ামী লীগ।
৪০ বছর আগে পরিসি’তি এমনই অস্বাভাবিক ছিলো। দেশজুড়ে নৈরাজ্য বনাম একদলীয় শাসনের সন্ত্রাস। “মামা আর গ্যাস দিয়েন না মরে যাবো।” পায়ুপথে বাতাস ঢুকিয়ে নাড়িভূড়িসহ ফুসফুস ফাটিয়ে হত্যা করলো শুধু রাকিবকে নয় বরং গোটা দেশকে। এর আগে ঘটলো রাজনদের মতো বহু পৈচাশিক ঘটনা। মানুষের এইরকম মন-মানসিকতার পেছনের প্রেক্ষাপট কি? কেন তারা এতোটা উত্তেজিত এবং বিস্ফোরণমুখি! আমরা দেখছি, বারবার মানুষ নষ্ট করার ঈশ্বর আওয়ামী লীগের ভুল রাজনীতি। ১৫তম সংশোধনীকে কেন্দ্র করে আজকের নৈরাজ্য অতীতের ৪র্থ সংশোধনীর কথাই স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। শুধুই কি রাকিব? ১৭ কোটি মানুষের পশ্চাৎদেশে বাতাসের পাইপ ঢুকিয়ে মহা আনন্দে অবৈধ ক্ষমতা ভোগ করতে করতে নৈরাজ্য উপভোগ করছে আওয়ামী লীগ। রাকিবদের পক্ষে রাষ্ট্র নেই বরং নিজেই খুনির ভূমিকায়।
১৫ আগস্টের জন্য দায়ী আওয়ামী লীগ। ১৫ আগস্টের প্রেক্ষাপট তৈরি করেছিলো আওয়ামী লীগ। এজন্য জিয়া পরিবারের গুষ্ঠি উদ্ধার করলে সমাধান হবে না। বাকশাল কায়েম করে ৭৫এর কবর খুঁড়েছিলো তারাই। আত্ম সমালোচনার বিকল্প নেই। সাড়ে ৩ বছরের দুর্ধর্ষ মুজিববাহিনী এবং রক্ষিবাহিনীর অত্যাচারের সাক্ষি আমরা। সাড়ে ৩ বছরের দুঃশাসন যারা অস্বীকার করে, তারা ১০০ ভাগ মোনাফেক। একদিকে চাপিয়ে দেয়া ক্ষমতার আগ্রাসন, অন্যদিকে চরম নৈরাজ্যকর পরিসি’তি। ১৫ আগস্টের প্রেক্ষাপটকে কিছুতেই ধামাচাপা দিয়ে পার পাবে না আওয়ামী লীগ। তাদের চরিত্র হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে স্বাধীনতাপন্থিরা। বদরুদ্দিন ওমর লিখেছেন- “পাকিস্তানীদের পর রক্ষিবাহিনীর ক্যাম্পে সবচে’ বড় অত্যাচারের ঘটনা ঘটেছে।“ আমরা জানি, তার কথা কেন পুরোপুরি সত্য। আজ পর্যন- ৩৬ হাজার গুপ্ত হত্যার হদিস হয়নি। তখন নৈরাজ্যে নেতৃত্ব দিয়েছিলো মুজিববাহিনী এবং রক্ষিবাহিনী। সন্ত্রাসের জবাবে জন্ম হয়েছিলো অন্যান্য সন্ত্রাসবাহিনীর, যাদের অন্যতম জাসদের গণবাহিনী এবং সর্বহারা। মুখোমুখি সন্ত্রাসবাহিনীর অত্যাচারে নাকাল দেশবাসীর কথা কে মনে রেখেছে? মুজিববাহিনীর অত্যাচারে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে লক্ষ লক্ষ সংখ্যালঘু।
তখন যারাই মুজিবের প্রশংসায় পঞ্চমুখ, তারাই ঘাতক। আর ওইসব ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ জড়িতদের মধ্যে অনেকেই আওয়ামী লীগের মধ্যে ঘাপটি মেরে আছে। উদাহরস্বরূপ, এইচটি ইমাম, তোফায়েল আহমেদ, ইনু, মহিউদ্দিন খান আলমগীর, মতিয়া চৌধুরি ইত্যাদি। ১৫ আগস্টের ঘটনার মূল্যায়ন করবে ইতিহাস কিন্তু পাকিস্তানপন্থিরা না হয়ে মুক্তিযোদ্ধারাই কেন হত্যা করলো, গভীরে যাওয়া উচিত। ঘটনার পর রাস্তায় উল্লাসে ফেটে পড়া হাজারো মানুষের ঢল। মুজিব হত্যার প্রতিক্রিয়া জানাতে প্রতিযোগিতা করে মিষ্টি খাওয়া হয়েছিল। দু-একজন ছাড়া আওয়ামী লীগের সকলেই আত্মগোপনে ছিলো। গোসলের জন্য ৫৭০ সাবান আর নিঃসঙ্গ জানাজা কোন সাধারণ ঘটনা নয়। সাজাপ্রাপ্তদের ১২ জনের মধ্যে ৭ জনই খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা। আজ যারা প্রতিহিংসায় বিরোধীদল নির্মূলে লিপ্ত, তারাই ১৫ আগস্টের খলনায়ক। ৪র্থ এবং ১৫তম সংশোধনীর উদ্দেশ্য, ভোটাধিকার কেড়ে নেয়া। বাংলাদেশীদের মানসিক জগৎ সম্পর্কে আওয়ামী লীগের কোন ধারনা নেই। ২০০ বছরের ব্রিটিশ শাসন এবং পাকিস্তনিদের শাসন থেকে বেরিয়ে আসতে বাংলাদেশী মুসলমানদেরই কৃতিত্ব সবচেয়ে বেশি। স্যোসাল মিডিয়ায় ক্ষোভের উত্তাল অহেতুক নয়। মান্নাদের মতো ভোটাধিকার এক্টিভিস্টদেরকে গ্রেফতার করে জেল ভরে ফেললে কিছুই হবে না। বাকশাল বিরোধীদের জেলে ভরে রক্ষা পাননি মুজিব।
বাকশালীদের অত্যাচারে পুরো দেশ তখন জ্বলছিলো। সর্বত্রই গুমোট ভাব এবং বিস্ফোরণমুখী পরিস্তিতিতে দুঃখজনক ১৫ আগস্টের জন্ম হলো। তখন বিচিত্রার সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা শাহাদাতভাই লিখেছিলেন, “আজ বুক থেকে জগদ্দল পাথর সরে গেলো।“ মুক্তিযোদ্ধারা কতোখানি বিরক্ত হলে এই ধরনের অনুভূতি প্রকাশ করে! আজীবন রাষ্ট্রপতি থাকার লোভে গণতন্ত্র হত্যা এবং একদলীয় শাসন কায়েম প্রত্যাখ্যান করেছিলো বাংলাদেশীরা। অথচ আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে এবং গণতন্ত্রের পক্ষে একচুল ছাড় দেননি মুজিব। ৬৪-৭১ গণতন্ত্রের পক্ষে লাগাতার আন্দোলন। ৭০এর নির্বাচনে গণতন্ত্রের ঐতিহাসিক বিজয়। কিন্তু সেই মুজিবের হাতেই বাকশাল এবং মানবাধিকার হত্যা? এ যেন স্বর্গ থেকে নরকে পড়ার সমান। ৭২ থেকে ৭৫এর নৈরাজ্য ভুলে যাবো কেন? আমরা কারো খাইও না পরিও না। একইভাবে নাৎসী অথবা ইয়াহিয়ার দমন-পীড়ানও ভুলে যাইনি। ইতিহাসকে ইতিহাসের জায়গায় থাকতে দিতে হবে। তখন স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি খুঁজে পাননি নির্মল সেন। এখন জরায়ুতে থাকা শিশু পর্যন- বাকশালীদের হাতে অনিরাপদ। নিরাপদ নয় কবরের লাশ এবং বেডরুমের মানুষ। ২০১০ সন থেকে আজব্দি প্রায় হাজারের উপর শিশুহত্যার ঘটনা একমাত্র বাকশালীদের জন্যই স্বাভাবিক। তখনও এভাবেই রাস্তাঘাটে পড়ে থাকতো লাশের পর লাশ। তখন বেওয়ারিশ লাশ নিয়ে আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামের লেজেগোবরে অবস্তা তোফায়েলরা জানেন। মুজিবের ক্ষমতা বিলাসের মাশুল দিতে ৭৪এর দুর্ভিক্ষ। অতি উৎসাহিত প্রতিমন্ত্রী বললেন, “রাষ্ট্রীয়ভাবে শিশু হত্যা শুরু করেছে জিয়াউর রহমান।“ আমার ধারণা, আওয়ামী লীগের ভেতর থেকেই আবারো মোস্তাক বাহিনীর মতো, ৭৫এর পরিবেশ সৃষ্টি করে আগাম ভয় দেখাচ্ছে। হঠাৎ হঠাৎ মন্ত্রী-এমপিদের মুখে আরেকটা ১৫ আগস্ট ঘটার আতঙ্ক ছড়ানো, কারণ ছাড়া নয়। তাহলে কি অতীতের মতোই নৈরাজ্য সৃষ্টি করে আরেকটা ১৫ আগস্ট ঘটাতে চাইছে আওয়ামী লীগের একটি অংশ? প্রতিদিনের টেলিভিশন এবং পত্রিকাগুলো ৭৫এর কথা বলছে।
আবারো বলছি, ১৫ আগস্টের জন্য ১০০ ভাগ দায়ী আওয়ামী লীগ। এইচ.টি ইমাম শপথ পড়িয়েছিলো মোস্তাককে। ট্যাংকসহ খুনিদেরকে নির্বিঘ্নে বের হতে দিয়েছিলো জেনারেল শফিউল্লাহ। বিতর্কিত ইনু ১৫ আগস্টের সমর্থনে ট্যাংকে উঠেছিলো। মতিয়া চৌধুরি চামড়া দিয়ে ডুগডুগি বাজাতে চেয়েছিলো। আজকের নৈরাজ্যের জন্য ১০০ ভাগ দায়ী হাসিনা নিজে এবং কোনরকম অস্বাভাবিক পরিসি’তির সৃষ্টি হলে ইতিহাস আর তাদেরকে ক্ষমা করবে না। যে দেশের প্রধানমন্ত্রী আইনের বুকের উপর দাঁড়ায়, সেই দেশে আইনের শাসন থাকবে না। যেদেশের প্রধানমন্ত্রী নিজে ভোটাধিকার চুরির নেতৃত্ব দেয়, সেদেশে গণতন্ত্র থাকবে না। সেদিনের রক্ষিবাহিনীর মুখোশ পড়েছে আজকের আইন-শৃংখলা বাহিনী, আসলেই যারা রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসীর ভূমিকায়। মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে আমরাই এর প্রত্যক্ষদর্শী এবং ভুক্তভোগী। তখন সারা দেশজুড়ে গুপ্ত হত্যা কেন, মুজিব তা জানতেন। তবে তিনি যদি ইরানের শাহ-এর মতো না হয়ে বরং ক্ষমতার আকাশচুম্বি লোভ সামাল দিতেন, ইতিহাস অন্যভাবে লেখা হতো। আমরা বোকা নই, ৪র্থ সংশোধনীর উদ্দেশ্য বাকশাল এবং ১৫তম সংশোধনীর উদ্দেশ্য ৫ জানুয়ারি। অর্থাৎ ভোটাধিকার চুরি। ভুলে গেলে চলবে না এই দেশ আফ্রিকা নয়। গণতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য একাধিক দল মুখিয়ে আছে। মুখিয়ে আছে কয়েক কোটি ভোটার। ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়া কতোটা ঝুকিপূর্ণ, প্রমাণ করেছে ৭৫। ৪০ দিন কেন, ৩৬৫ দিন শোক দিবস করলেও প্রায়শ্চিত্ত হবে না। ভোটাধিকার ফিরিয়ে না দিলে, ঝুঁকি থাকবেই।
৪র্থ ও ১৫তম সংশোধনী সুস’ মসি-ষ্কের চিহ্ন নয়। গণতন্ত্র কেড়ে নিয়ে যায় হয়, সেটাই ১৫ আগস্ট। হাসিনা হামেশাই বলেন, ১৫ আগস্টের জন্য পিছিয়ে গেছে দেশ। না। ১৫ আগস্টের জন্য পিছিয়ে যায়নি বরং তাদের দুষ্কর্মের জন্য গেছে। ভোটাধিকার কোন ছেলেখেলা নয়। এজন্যই লক্ষ লক্ষ মানুষ জীবন দিয়েছে। একটি পরিবারে বারবার একদলীয় শাসন এবং আজীবন ক্ষমতার স্পৃহা, নারকীয় উদাহরণ। শিশু হত্যা একটি বর্হিপ্রকাশ মাত্র। শুধু মোনাফেকরাই বলবে, ১৭ কোটি মানুষের পশ্চাৎদেশে বাতাসের পাইপ ঢুকিয়ে দিয়ে আরেকটা ১৫ আগস্টের ব্যবস’া করছে না আওয়ামী লীগ। ৫ জানুয়ারির কোনই প্রয়োজন ছিলো না, যেমন ছিলো না ৭৫এর ১৫ জুনের (বাকশাল)।
অভিযুক্ত মুক্তিযোদ্ধারা নয় বরং আওয়ামী লীগই বিপথগামী। এন’নি ম্যাকারনহাসের সঙ্গে বিবিসির সাক্ষাতকারে খুনি রশিদ বলেছিলেন, শেখ মুজিবের প্রতি মুক্তিযোদ্ধাদের প্রচণ্ড আস’ার কথা। কিন্তু কি হলো যেজন্য সারা দেশ বিগড়ে গেলো? মতিয়া চৌধুরি কেন প্রকাশ্যে চামড়া দিয়ে ডুগডুগি বাজাতে চেয়েছিলেন? শফিউল্লা কেন কর্তব্য পালনে বিরত ছিলেন? কর্ণেল সাফায়েত জামিল কেন মুজিব হত্যাকারীদের সঙ্গ নিলেন? দেশটাকে আবারো ৪০ বছর পিছনে ফিরিয়ে নেয়ার কোনই যুক্তি ছিলো না কিন্তু সে পথেই যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। ১৫ আগস্টের খিসি-খিউর করলেও ১৫ আগস্ট কেন হয়েছিলো সেটা বলছে না। আজ যারাই ১৫তম সংশোধনীর সাফাই গাইছে তারাই ৪র্থ সংশোধনী প্রত্যাখ্যান করেছিলো। ৭০এ ১০০ ভাগ গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা কম গণতন্ত্রের জন্য পাগল হয়ে গেছে। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় বিচ্ছিন্নতাবাদের অভিযোগে অভিযুক্ত মুজিবের মুক্তিকামীরা আজ গণতন্ত্রকামীদেরকে দিয়ে কারাগার ভরে ফেলছে। মুজিবের মৃত্যুর পেছনের কারণগুলো সামান্য নয়। আওয়ামী লীগের জানা উচিত, কারাগার ভরে ফেললেও ৭০এর নির্বাচনের জাতিকে কম গণতন্ত্র দিয়ে নিশ্চিহ্ন করা যাবে না। যা সত্য তা চিরকালই সত্য। আকাশে চাঁদ এবং সূর্য সত্য। অতি চালাকেরাই সত্য অস্বীকার করে। তারাই মাউন্ট ব্যাটেনের মতো “ডিভাইড এণ্ড রুল” দুঃশাসনের আশ্রয় নেয়। যারা ৪৭এর ইতিহাস জানে না তাদের জন্য আজকের অনেককিছুই অন্ধকার। পতন বুঝতে পেরে গৃহযুদ্ধ বাঁধিয়ে দিয়েছিলো ইংরেজরা। এরপরই দেশবিভাগ। মুসলিম লীগকে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ব্যবহার করে যা করতে চেয়েছিলেন মাউন্ট ব্যাটেন, আওয়ামী লীগের ৬৭ বছরের ইতিহাস যেন সেই ডিভাইড এণ্ড রুল-এরর রক্তাক্ত খেলা।
৭০এর জনপ্রতিনিধিদের মুখে যখন কম গণতন্ত্রের প্রয়োজনের কথা শুনি, তুলনামূলকভাবে তসলিমার জরায়ু স্বাধীনতার আন্দোলনকে আমার দৃষ্টিতে অধিক সম্মানজনক মনে হয়। নির্বাসিত হয়েও অন-ত জরায়ুর স্বাধীনতা নিয়ে কোনরকম আপোষ করেননি তসলিমা। কম গণতন্ত্র বাস-ব হলে খান সাহেবদের কি দোষ, জবাব দেবে ৭০এর জীবিত জনপ্রিতিনিধিরা। ৪র্থ এবং ১৫তম সংশোধনীর দাগ বিএনপির শরীরে নেই, আছে আওয়ামী লীগের। তাই ১৫ আগষ্টের দায়-দায়িত্বও আওয়ামী লীগের।
নিজেকে ঈশ্বর বানিয়েছিলেন মুজিব এবং কন্যাও সেই পথে। মানুষ সেটা প্রত্যাখ্যান করেছে, এবারও করবে। ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে বাবার মতোই ভুল পথে হাঁটছেন শেখ হাসিনা। আজীব ক্ষমতা নিশ্চিত করতে ৫ জানুয়ারির মাধ্যমে দমন-পীড়ন, নির্যাতন চালিয়ে বাবার মতোই ভুল করছেন হাসিনা।

Loading


মন্তব্য দেখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *